মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়

বর্তমানে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও চায় তাদের একটি নিজস্ব আয়ের উৎস থাকুক। তবে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এমন অনেক কারনেই একজন নারীর পক্ষে অফিসে গিয়ে চাকুরি করা সম্ভব হয়ে উঠেনা। কিন্তু এখন সময় বদলেছে, বদলেছে কাজের ধরণ।

অনলাইন ভিত্তিক এমন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলোর উপর প্রশিক্ষন এবং দক্ষতা থাকলে চাকুরি করার জন্য স্বশরীরে অফিসে উপস্থিত হওয়ার দরকার হয় না। যে কাজ গুলো যে কোনো জায়গা থেকে এমনকি নিজের ঘরে বসেও করা যায়।

ছেলে বা মেয়ে যে কেউ ঘরে বসে কিভাবে আয় করতে পারে, আজকের আর্টিকেলে আমরা সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো ।

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় বা নারীদের ঘরে বসে কাজ

বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় রয়েছে। এগুলো মূলত অনলাইন ভিত্তিক কাজ। যেসকল কাজ করে নারীরা ঘরে বসে আয় করতে পারে সেগুলো হলো:

(১) ব্লগিং করে আয়

মেয়েদের ঘরে বসে টাকা আয় করার জন্য সবচেয়ে সুন্দর মাধ্যম হলো ব্লগিং করে আয় করা। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী আয়ের উৎস। মেয়েরা ঘরে বসে সহজেই ব্লগিং করতে পারবে। তবে বলতে যতটা সহজ কাজটা ততটা সহজ না। এটি করার জন্য প্রথমে আপনাকে গুগোলে সার্চ ভেলু আছে এমন একটি টপিক বা নিস বেছে নিতে হবে। তারপর তার উপর ভালো করে স্টাডি, রিসার্চ করে নিয়মিত ইউনিক কন্টেট প্রকাশ করতে হবে। আর এই কন্টেন্ট পাবলিশ করার জন্য আপনার একটি ওয়েবসাইট প্রয়োজন। ব্লর্গিং করার জন্য ফ্রি এবং পেইড দুই ভাবেই ওয়েব সাইট বানানো যায়।

আপনার কন্টেন্টে ভিজিটর আশা শুরু হলে বা সহজ কথায় আপনার কন্টেন্ট মানুষ পড়া শুরু করলে গুগোল এ্যাড বা অন্য যে কোনো এ্যাড প্লাটফর্মের মাধ্যমে আপনার ওয়েব সাইট থেকে আয় করতে পারেন আর এর জন্য আপনার কারো কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এই কাজটি ঘরে বসেই করা যায়।

(২) ইউটিউব থেকে আয়

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে আরেকটি হলো YouTube । আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং যে বিষয়ে আপনার পারদর্শিতা রয়েছে, আপনি চাইলে সেই বিষয়ে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন। মোটকথা আপনি যা করতে ভালোবাসেন এবং আপনি যা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করতে পারবেন তেমন কিছু করুন। 

যেমনঃ আপনি খুব ভালো রান্না করতে পারেন, তাহলে আপনি রান্নার ভিডিও আপলোড করেন। অথবা আপনি খুব ভালো কৌতুক বলতে পারেন বা আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়ে আপনি কিছু শেখাতে চাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে আপনি টিউটোরিয়াল তৈরি করতে পারেন।

আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪,০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম হয়ে গেলে গুগল এডসেন্স মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের পর গুগোল আপনার চ্যানেলটি ভেরিফাই করে এপ্রুভাল দিলেই আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে। আর ইনকাম কত হবে তা নির্ভর করে আপনার চ্যানেলে কতগুলো এ্যাড শো কারলো তার উপর।

(৩) আর্টিকেল রাইটিং করে আয়

উপরের দুটি মাধ্যম যদি আপনার কাছে কিছুটা কঠিন মনে হয় তাহলে আর্টিকেল রাইর্টিং এর কথা আপনি ভেবে দেখতে পারেন। কারন এটি এটি করার জন্য আপনাকে ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল ম্যানেজ করতে হবে না। এখানে আপনি অন্যের ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লিখবেন। আপনি যার জন্য আর্টিকেল লিখবেন যে আপনাকে আর্টিকেলের ওয়ার্ড বা পার আর্টিকেল পেমেনট করবে।

(৫) ফ্রিলেন্সিং করে আয়

ঘরে বসে ফ্রিলেন্সিং করেও আয় করা যেতে পারে । তবে এটি করার জন্য প্রথমেই আপনাকে যে কোনো একটি বিষয়ের উপর খুব ভালোবাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সেটা হতে পারে ডাটা ইন্ট্রি, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও ইডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডাটা ইন্ট্রি ইত্যাদি। যে কোনো একটি বিষয়ের ইপর দক্ষতা অর্জনে নিজের একটি প্রটফোলিও তৈরি করতে হবে। তার পরে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে একটি একাউন্ট খুলে বায়ারের রিকুয়ারমেন্ট অনুযায়ী কাজ করে দিতে হবে।

(৬) এফিলিয়েট মাকেটিং করে আয়

এফিলিয়েট মাকেটিং বলতে বুঝায় অন্যের প্রডাক্ট বা সার্ভিস সেল করে সেখান থেকে কমিশনের মাধ্যমে আয় করাকে বুঝায়। এফিলিয়েট মাকেটিংও অনেকে অনেক ভাবে করে থাকে। কেউ সোসিয়াল মিডিয়া ব্যবহার করে, আবার কেউ ওয়েবসাইট বা ইউটিউকে ব্যবহার করে।

উপসংহার

বর্তমানে ঘরে বসে আয়, ফ্রিল্যান্সিং এগুলো ট্রেন্ডিং বিষয়, এগুলে শুনতে যতটা সহজ মনেহয় ততটা সহজও নয়। এড়ুলোর জন্য প্রয়োজন সঠিক ট্রেনিং ও দক্ষতা অর্জন। বর্তমানে কথাকথিত অনেক ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং সেন্টার চটকদার সব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রতারনা করে যাচ্ছে।

যতি আপনি ঘরে বসে ইনকাম করতে চান তাহলে প্রথমে আপনি যে বিষয়টা শিখতে চান তা নিয়ে গুগোল, ইউটিউব, চ্যাটজিপিটিতে ভালোভোবে রিসার্চ করুন। রিসার্চ করতে গিয়ে অনেক ফ্রি রিসোর্স পেয়ে যাবেন সেগুলো থেকে প্রাথমিক ধারনা নিন তার পর ভালো কোনো ট্রেনিয় সেন্টার থেকে প্রশিক্ষন নিন। মেন্টরের গাইডলাইন ফলো করুন, ধর্য ধরে লেগে থাকুন। সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ্।

কাজ আপনি যেখানে যেভাবেই করুন না কেনো পরিশ্রম, ধর্য সব জায়গায়-ই লাগবে।

আরও পড়ুন

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? কেন ও কিভাবে করবেন

Leave a Comment