ব্রেন স্ট্রোক হলে কি হয়, এর লক্ষণ ও চিকিৎসা

ব্রেন স্ট্রোক হলে কি হয়

ব্রেন স্ট্রোক, যাকে মস্তিষ্ক আঘাতও বলা হয়, মস্তিষ্কে রক্ত ​​প্রবাহ ব্যাহত হলে ঘটে। রক্ত ​​প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে এটি ঘটতে পারে। যখন এটি ঘটে, তখন মস্তিষ্কের কোষগুলি অক্সিজেন এবং পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়, যা ক্ষতি বা মৃত্যুর দিকে নিয়ে যেতে পারে।  

ব্রেন স্ট্রোক হলে কি হয়? মস্তিষ্ক হলো সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের প্রধান অংশ এবং শরীরের সব কার্যকর শক্তির উৎস। মস্তিষ্কের কোষসমূহ ঠিকভাবে কাজ করার জন্য অবিরাম অক্সিজেন এবং গ্লুকোজের সরবরাহ প্রয়োজন। যে কোনও কারণে মস্তিষ্কের যে কোন অংশে রক্ত প্রবাহ হ্রাস পেলে মস্তিষ্কের কোষসমূহ ধ্বংস হয় এবং শরীরের স্বাভাবিক কার্য বিকল হয়।

মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহের পরিমাণে অক্ষম হওয়ায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ অথবা ব্রেইন স্ট্রোক হতে পারে। মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে রক্ত সরবরাহে ব্যঘাত ঘটার ফলে যে অবস্থা দ্রুত উত্থান পায় তাকে স্ট্রোক বলা হয়। 

দেহের রক্তের মাত্র ২% মস্তিষ্ক ব্যবহার করে থাকে, তবে মস্তিষ্কের কোষসমূহ অত্যন্ত সংবেদনশীল—অক্সিজেন এবং গ্লুকোজ সরবরাহে সমস্যা হলে এই কোষসমূহ দ্রুত ধ্বংস হয়ে যায়।

সেই কোষসমূহ যে অংশ নিয়ন্ত্রণ করে তার অংশ গুলি প্রভাবিত হয় যার ফলে পক্ষাঘাত হতে পারে। আজকের আটিকেলে ব্রেন স্ট্রোক হলে কি হয়, স্ট্রোক হলে করনীয়, ব্রেইন স্ট্রোকের ঔষধ  ইত্যাদি বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

ব্রেন স্ট্রোক কিভাবে হয় 

ব্রেন স্ট্রোক হলে কি হয় brain stroke hole ki hoy
ব্রেন স্ট্রোক হলে কি হয়

ব্রেন স্ট্রোক হলে কি হয়? অনেক গুরুত্ব সমস্যা হতে পারে। কিছু কারণ পরিলক্ষিত হলে ব্রেন স্ট্রোক হয়ে যায়।

রক্ত ​​প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে (ইসকেমিক স্ট্রোক)

  • মস্তিষ্কের রক্তনালীতে রক্ত ​​জমাট বাঁধে: এটি সবচেয়ে সাধারণ কারণ। রক্ত ​​জমাট বেঁধে রক্তনালী বন্ধ করে, যার ফলে মস্তিষ্কের একটি অংশে রক্ত ​​প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়।
  • মস্তিষ্কের রক্তনালী সংকুচিত হয়: উচ্চ রক্তচাপ, ধমনীশুলী (atherosclerosis) বা অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থার কারণে এটি ঘটতে পারে।

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে (হেমোরেজিক স্ট্রোক)

  • মস্তিষ্কের রক্তনালী ফেটে যায়: উচ্চ রক্তচাপ, অ্যানিউরিজম বা অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থার কারণে এটি ঘটতে পারে।
  • রক্তনালীতে দুর্বলতা থাকে: জন্মগত ত্রুটি বা অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থার কারণে এটি হতে পারে।

ব্রেন স্ট্রোক এর লক্ষণ

ব্রেন স্ট্রোক হলে কি হয় জানা হলে লক্ষণগুলো অবগত হতে হবে। ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষণগুলি হঠাৎ এবং তীব্র হতে পারে এবং এর মধ্যে রয়েছে:

শরীরের এক পাশে দুর্বলতা বা অবশ

  • এটি মুখ, বাহু বা পায়ের যেকোনো অংশে হতে পারে।
  • আপনি একটি হাত উঁচু করতে অসুবিধা বোধ করতে পারেন, বা আপনার পা টেনে আনতে অসুবিধা হতে পারে।
  • আপনার মুখের এক পাশ ঝুলে যেতে পারে।

বিভ্রান্তি বা কথা বলতে অসুবিধা

  • আপনি বিভ্রান্ত বা অস্পষ্ট বোধ করতে পারেন।
  • আপনার কথা বলা বা বোঝা কঠিন হতে পারে।
  • আপনি অসঙ্গত কথা বলতে পারেন।

চলাফেরা করতে অসুবিধা

  • আপনি হাঁটতে বা ভারসাম্য বজায় রাখতে অসুবিধা বোধ করতে পারেন।
  • আপনি মাথা ঘোরাতে পারেন।
  • আপনার সমন্বয় ব্যাহত হতে পারে।

এক চোখে বা উভয় চোখে দেখতে অসুবিধা

  • আপনার দৃষ্টি ঝাপসা বা অস্পষ্ট হতে পারে।
  • আপনি এক চোখে দেখতে পাবেন না।
  • আপনার “ডাবল ভিশন” হতে পারে।

হঠাৎ মাথাব্যথা

  • এটি আপনার জীবনের সবচেয়ে খারাপ মাথাব্যথা হতে পারে।
  • এটি তীব্র এবং অবিরাম হতে পারে।
  • এটি মাথার যেকোনো অংশে হতে পারে।

বমি বমি ভাব বা বমি

  • বমি বমি ভাব অথবা বমি হতে পারে।
  • আপনার পেট খারাপ হতে পারে।

চেতনা হারানো

  • আপনি মূর্ছা যেতে পারেন বা কোমা অবস্থায় পড়তে পারেন।

অন্যান্য লক্ষণ

  • হাঁটতে অসুবিধা
  • মাথা ঘোরা
  • ভারসাম্য হারানো
  • অসাড়তা
  • সংবেদনশীলতা হ্রাস
  • গিলে ফেলতে অসুবিধা

স্ট্রোক হলে করনীয়

ব্রেন স্ট্রোক হলে কি হয় জানার সাথে সাথে করনীয় গুলো জানতে হবে।

  • শান্ত থাকুন এবং রোগীকে শান্ত করুন।
  • ঢিলেঢালা পোশাক পরান এবং রোগীর শ্বাসনপথ পরিষ্কার রাখুন।
  • রোগীকে কোনো খাবার বা পানীয় দেবেন না।
  • রোগীকে মাথা উপরে করে শুইয়ে রাখুন, যদি না তাদের ঘাড়ের আঘাতের ঝুঁকি থাকে।
  • রোগীর সাথে থাকুন এবং তাদের লক্ষণগুলি পর্যবেক্ষণ করুন।
  • ডাক্তার আসার পর, তাদের স্ট্রোকের সম্ভাব্য কারণ, যেমন কোনো ওষুধ বা সম্প্রতি কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য প্রদান করুন।

ব্রেন স্ট্রোক রোগীর চিকিৎসা

ব্রেন স্ট্রোক হলে কি হয়? গুরুত্বর কিছু হতে পারে বা প্যারালাইসিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ব্রেন স্ট্রোক রোগীর চিকিৎসা সাধারণত একটি মেডিক্যাল জরুরি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। 

চিকিৎসার লক্ষ্য হলো রক্ত প্রবাহের পূর্বানুমানিক প্রাথমিক আবহাওয়ায় প্রতিক্রিয়া দেওয়া এবং মস্তিষ্কের ক্ষতির আকস্মিক প্রতিক্রিয়া কমানো। চিকিৎসার জন্য সাধারণত নিম্নলিখিত কার্যক্রম অনুসরণ করা হয়:

  • আপাতত হাসপাতালে প্রবেশ করানো।
  • ব্রেন স্ক্যান (CT স্ক্যান বা MRI) পরীক্ষা করা।
  • ইভালুয়েশন করা যায় ব্রেন স্ট্রোকের প্রকার এবং সঠিক চিকিৎসার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
  • ইন্ট্রাভেনাস থেরাপি (যেমন টিসিউ প্লাজমিনোজেন অ্যাক্টিভেশন, ইন্ট্রারাটেনাল স্ট্রোক থেরাপি) প্রয়োজন হতে পারে।
  • প্রয়োজনে রক্তনির্দেশনা, ব্লাড থিনার, অ্যান্টিহাইপারটেনশন, বা ডায়াবেটিসের চিকিৎসা সহ অন্যান্য চিকিৎসার পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।

ব্রেন স্ট্রোকের সঠিক চিকিৎসা প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ, এবং সেটি যাতে প্রতিফলিত হতে পারে সেটির জন্য ত্বরিত প্রতিক্রিয়া নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রেন স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায়

ব্রেন স্ট্রোক হলে কি হয় জানা হলে এর থেকে বাঁচার উপায়। ব্রেন স্ট্রোক থেকে সম্পূর্ণভাবে বাঁচার কোন নিশ্চিত উপায় নেই, কারণ এটি নির্ভর করে স্ট্রোকের ধরণ, তীব্রতা এবং রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর।

তবে, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে এবং ফলাফল উন্নত করতে আপনি অনেক কিছু করতে পারেন:

  • ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান স্ট্রোকের একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান: ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন: প্রতি সপ্তাহে অন্তত 150 মিনিট মাঝারি-তীব্রতা বা 75 মিনিট তীব্র-তীব্রতা ব্যায়াম করার লক্ষ্য রাখুন।
  • স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন: আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনের হন বা স্থূল হন, তাহলে ওজন কমানো আপনার স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • মদ্যপান সীমিত করুন: অতিরিক্ত মদ্যপান স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • মানসিক চাপ পরিচালনা করুন: স্ট্রেস স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যোগব্যায়াম, ধ্যান বা গভীর শ্বাসের ব্যায়ামের মতো মানসিক চাপ পরিচালনা করার স্বাস্থ্যকর উপায় খুঁজে বের করুন।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন: উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ। আপনার ডাক্তার আপনাকে ওষুধ বা জীবনধারার পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারেন।
  • কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন: উচ্চ কোলেস্টেরল স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। আপনার ডাক্তার আপনাকে ওষুধ বা জীবনধারার পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারেন।
  • যদি মধুমেহ থাকে তবে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখুন: মধুমেহ স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
  • যদি অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন থাকে তবে এটি চিকিৎসা করুন: অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন হল এক ধরণের অনিয়মিত হৃদস্পন্দন যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। আপনার ডাক্তার আপনার অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন পরিচালনা করতে ওষুধ বা অন্যান্য চিকিৎসা লিখে দিতে পারেন।

ব্রেইন স্ট্রোকের ঔষধ

ব্রেন স্ট্রোক হলে কি হয় জানার পাশাপাশি জানতে হবে ব্রেন স্ট্রোক এর ঔষধ সম্পর্কে। ব্রেন স্ট্রোকের চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরণের ওষুধ রয়েছে।

স্ট্রোকের ধরণ, তীব্রতা এবং রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে কোন ওষুধগুলি ব্যবহার করা হবে তা নির্ধারণ করা হবে।

কিছু সাধারণ ধরণের ওষুধের মধ্যে রয়েছে:

থ্রোম্বোলাইটিক ওষুধ

  • এই ওষুধগুলি রক্ত ​​জমাট ভাঙতে ব্যবহৃত হয় যা মস্তিষ্কে রক্ত ​​প্রবাহ বন্ধ করে।
  • তারা ইসকেমিক স্ট্রোকের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
  • সাধারণ থ্রোম্বোলাইটিক ওষুধের মধ্যে রয়েছে অ্যাল্টেপ্লেজ (আক্টিভেটেড প্লাসমিনোজেন) এবং টিসাস্প্লেজ (টিপিএ)।

অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট

  • এই ওষুধগুলি রক্ত ​​জমাট বাঁধা রোধ করে।
  • তারা ইসকেমিক এবং হেমোরেজিক স্ট্রোক উভয়ের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
  • সাধারণ অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্টের মধ্যে রয়েছে ওয়ার্ফারিন (কুমাদিন) এবং ডাবিয়েট্রোমেক্সিন (প্রাডাক্সা)।

অ্যান্টিপ্লেটলেট ওষুধ

  • এই ওষুধগুলি রক্ত ​​প্লেটলেটগুলিকে একসাথে জমা হওয়া থেকে বিরত রাখে, যা রক্ত ​​জমাট গঠনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • তারা ইসকেমিক স্ট্রোকের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
  • সাধারণ অ্যান্টিপ্লেটলেট ওষুধের মধ্যে রয়েছে অ্যাসপিরিন, ক্লোপিডোগ্রেল (প্লাভিক্স) এবং ডিপিরিডামোল (প্লাভিক্স)।

রক্তচাপের ওষুধ

  • উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন ধরণের ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • আপনার জন্য কোন ওষুধগুলি সঠিক তা নির্ধারণ করতে আপনার ডাক্তারের সাথে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ।

কোলেস্টেরল-হ্রাসকারী ওষুধ

  • উচ্চ কোলেস্টেরল স্ট্রোকের আরেকটি ঝুঁকির কারণ।
  • স্ট্যাটিন নামক ওষুধগুলি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ব্যবহৃত হয়।
  • আপনার যদি উচ্চ কোলেস্টেরল থাকে তবে আপনার ডাক্তার আপনাকে স্ট্যাটিন নিতে সুপারিশ করতে পারেন।

অন্যান্য ওষুধ

  • কিছু ক্ষেত্রে, অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন ব্যথা নিয়ন্ত্রক ওষুধ বা অ্যান্টিকনভালসেন্ট।

পরিশেষে

ব্রেন স্ট্রোক হলে কি হয় যদি জানতে চায়। ব্রেন স্ট্রোকের ফলে অনেক গুরুত্বর সমস্যা হয়ে যায়। এই জন্য ব্রেন স্ট্রোক এর লক্ষণ প্রকাশ পেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের সরনাপন্ন হতে হবে।

ব্রেন স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায় কিছু পন্থা অবলম্বন করতে হবে। এবং  খাবার তালিকা মেইনটেইন করে চলতে হবে। আশা করি ব্রেন স্ট্রোক হলে কি হয় বিস্তারিত বোঝাতে পেরেছি। ধন্যবাদ।

ব্রেন স্ট্রোক হলে কি হয় সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর / FAQ

১। ব্রেন স্ট্রোক কে লক্ষণ?

উত্তরঃ স্ট্রোকের উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে অর্ধ-পক্ষাঘাত বা শরীরের একপাশ নড়াতে অক্ষম হওয়া বা অনুভূতিহীন হওয়া, কথা বুঝতে বা বলতে না পারা, মাথা বা গা ঝিমঝিম করা, একপাশের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হওয়া। স্ট্রোক ঘটার পরপরই সাধারণত উপসর্গগুলো প্রকাশ পায়। ব্রেন স্ট্রোক হলে কি হয় জানতে পারলাম।

২। বেন স্টোক হলে কি কি করা দরকার?

উত্তরঃ স্ট্রোক মূলত মানুষের মস্তিষ্কে আঘাত হানে। ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মস্তিষ্কের কোন অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে মস্তিষ্কের কোষগুলো মরে গেলে স্ট্রোক হয়। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য শরীরের প্রতিটি কোষে রক্ত সঞ্চালন প্রয়োজন। কারণ এই রক্তের মাধ্যমেই শরীরের কোষে কোষে অক্সিজেন পৌঁছায়। ব্রেন স্ট্রোক হলে কি হয় এর মধ্যে একটি কারণ।

৩। ব্রেন স্ট্রোক কত প্রকার কি কি?

উত্তরঃ মস্তিষ্ক দুটি ধরণের স্ট্রোকের দ্বারা প্রভাবিত হয়, “ইসকেমিক” এবং “হেমোরেজিক।” যখন রক্ত ​​মস্তিষ্কের কোষে যেতে পারে না, তখন তারা কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টার মধ্যে মারা যায়।

আরও পড়ুনঃ-

পাকা আমের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সমূহ

Leave a Comment