এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এফিলিয়েট কিভাবে শুরু করবেন

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি

আপনি কি ভাবছেন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন ।

আপনার একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থাকলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে বাড়তি আয়ের উৎস পেতে পারেন। অনলাইনে আপনার  প্ল্যাটফর্ম  যেমনই হোক না কেনো, এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা সম্ভব। ওয়েবসাইট, ফেসবুক প্রোফাইল,ইউটিউব  চ্যানেল এবং ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমেও এফিলিয়েট  মার্কেটিং করে ইনকাম করা সম্ভব।  

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?  এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন , এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন । অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে লাভজনক পদ্ধতির মাঝে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অন্যতম। এফিলিয়েট এর মাধ্যমে অনেকে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সঠিক নিয়ম এবং কাজ সম্পর্কে ধারণা না থাকায় অনেকের ইচ্ছা থাকা সত্তেও এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারছে না। যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে আগ্রহি আপনাদের জন্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি।

আরও পড়ুনঃ আউটসোর্সিং কি? আউটসোর্সিং কিভাবে শুরু করবেন

আজকের আলোচ্য বিষয়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি

এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো একটি বিপণন ব্যবস্থা । অন্য কোম্পানির প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস কমিশনের বিনিময়ে প্রোমোট ও বিক্রির প্রক্রিয়াকে বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে যে কোন পণ্য কে পৃথিবীর যে কারও কাছে পৌঁছে দেয়া সম্বব। আগে আমাদের জানা উচিত এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন ।

মনে করুন আপনার বন্ধুর একটি দোকান আছে। কিন্তু সেই দোকানে ভাল বিক্রি হয় না । এটা দেখে আপনি আপনার বন্ধু কে বললেন, বন্ধু আমি দোকানের পণ্য অনলাইনের মাদ্ধমে বিক্রি করে করে দিতে পারব কিন্তু ওই বিক্রিত মূল্যর কিছু অংশ আমাকে দিতে হবে।এভাবেই অন্যের পণ্য বিক্রি করে সেই লাভের অংশ থেকে কিছু টা প্রফিট কমিশন আকারে নেয়াই হল এফিলিয়েট মার্কেটিং।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করে?

আপনি কি একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে চান? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন ও এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম  করবেন।

একজন এফিলিয়েট মার্কেটার বিভিন্ন উপায়ে সেল বা ক্লিক আনার মাধ্যমে কমিশন পেতে পারে। এফিলিয়েট পদ্ধতির জনপ্রিয়তা একেক ধরনের। যে বিষয়ে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন, সে বিষয়ের উপর নির্ভর করে কোন মাধ্যমে প্রোমোশন করলে আপনি সফলতা পাবেন।সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলচনা করবো,যার মাদ্ধমে আপনারা এফিলিয়েট  মার্কেটিং এর মাধ্যমে কাজ শুরু করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য প্রথমে আপনার  ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক  পেজ বা ওয়েব সাইট থাকতে হবে। এবং সেই পেজ বা ইউটিউবের চ্যানেলে অনেক  ভিসিটর বা লাইক থাকতে হবে। কারণ, যেকোনো প্রোডাক্টের  মার্কেটিং করার জন্য সবচেয়ে  জরুরি  (audience)। যাদের কাছে আপনি প্রোডাক্ট মার্কেটিং করতে পারবেন। এবং যেকোনো জিনিস অনলাইনে মার্কেটিং করার জন্য ইউটিউব চ্যানেল,ফেসবুক পেজ,ওয়েব সাইট  মাধ্যম সেরা।

এরপর আপনার একটি ব্লগ, ইউটিউবের চ্যানেল বা ফেসবুক পেজ, এগুলির মধ্যে যদি একটিও থাকে, তাহলে  আপনাকে একটি ভালো “Affiliate program” জয়েন করতে হবে। যেকোনো  affiliate program জয়েন করার পর আপনি তাদের প্রোডাক্ট শেয়ার করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেট প্লেস

বর্তমানে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন প্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। এফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক টা লাভজনক একটা মার্কেটিং প্রক্রিয়া।  যার ফলে অনেক মার্কেট প্লেস তৈরি হয়েছে। এবং ওই মার্কেটপ্লেসগুলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে  যাতে করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা কোম্পানির প্রোডাক্টগুলোর মার্কেটিং করে সেল জেনারেট করতে পারে।

জনপ্রিয় কিছু মার্কেট প্লেস

  • Clickbank
  • Amazon associates
  • CJ.com
  • JVZoo
  • Impact radius

এফিলিয়েট মার্কেটার

এফিলিয়েট মার্কেটার হলেন সেই ব্যক্তি যে সেলারের কোনো প্রোডাক্ট কমিশন পাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রোমোট করেন। একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার ফেসবুক পোস্ট, ব্লগ,  ইউটউব ভিডিও ও কনটেন্টের মাধ্যমে একজন সেলারের প্রোডাক্ট এর প্রোমোশন করে থাকেন। 

সেলার

সেলার হলো অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর হোস্ট।  মূলত নিজের প্রতিষ্ঠানের তৈরী প্রোডাক্টের প্রোমোশন এর লক্ষ্যেই অ্যাফিলিয়েট পরিচালনা করে থাকেন এই সেলার।

এফিলিয়েট মার্কেটিং নেটওয়ার্ক

নেটওয়ার্ক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর একটি আবশ্যিক উপাদান নয়, তবুও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেলারগণ বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তাদের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম করে থাকে। এক কথায় বলতে গেলে সেলার ও এফিলিয়েটের সম্পর্ক তৈরি  করে দেওয়াই নেটওয়ার্ক এর কাজ।

আরও পড়ুনঃ ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়

কনজ্যুমার

অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট লিংক ব্যবহার করে যারা প্রোডাক্ট ক্রয় করেন, তারা হল কনজ্যুমার। মূলত একজন কনজ্যুমার এর ক্রয়কৃত প্রোডাক্টের লাভের একটি অংশ পাচ্ছেন একজন অ্যাফিলিয়েট।

Affiliate Marketing করে কত টাকা ইনকাম করা যাবে 

এফিলিয়েট মার্কেটিং দ্বারা আপনি কত টাকা আয় করবেন, তা পুরোপুরি নির্ভর  আপনার ওপরে। আজকাল অ্যাফিলিয়েট প্রগ্রামের মাদ্ধমে  লোকেরা মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা কমিশন হিসেবে কামিয়ে নিচ্ছে।তাই আপনি চেষ্টা করলে মাসে কয়েক হাজার তো আরামেই ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু, এই affiliate marketing বুজতে আপনার অল্প কিছু সময় নিশ্চই লাগবে। পরবর্তীতে আপনি বুজতে সক্ষম হলে বেহিসাব টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু, আপনার কিছু ক্ষেত্রে (expert) হতে হবে।

ভাবুন আপনার একটি ফেজবুক পেজ বা ইউটিউবের চ্যানেল আছে এবং আপনি তাতে টিউটোরিয়াল (tutorial) আর্টিকেল লিখেন বা ভিডিও চ্যানেলে আপলোড দেন।

সুতরাং আপনি blogging এর সাথে জড়িত আর্টিকেল লিখেন বা ভিডিও নিজের ইউটিউবের চ্যানেলে আপলোড দেন, তাই আপনার চ্যানেলে আশা বেশির ভাগ ভিসিটর্সরা ওয়েব হোস্টিং এবং ডোমেইন কেনাতে রুচি রাখতে পারে।

এখন আপনার করতে হবে, আপনি ভালো একটি domain এবং hosting কোম্পানিতে গিয়ে নিজেকে affiliate হিসেবে রেজিস্টার করে তাদের প্রোডাক্ট নিজের ইউটিউবের চ্যানেল বা ব্লগের আর্টিকেলে এফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে প্রোমোট করতে পারবেন এবং নিজের ভিসিটর্স দেড় সেই প্রোডাক্ট গুলি কিনতে বলতে পারবেন। আপনি প্রত্যেক purchase এ ১০% থেকে ২০% অব্দি কমাতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করার কিছু উপায়

আপনি যদি একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে চান? চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করবেন।

একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার একাধিক উপায়ে সেল বা ক্লিক আনার মাধ্যমে কমিশন পেতে পারেন। একেক অ্যাফিলিয়েট পদ্ধতির জনপ্রিয়তা একেক ধরনের। আপনি যে বিষয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে ইচ্ছুক, সেই বিষয়ের উপর নির্ভর করে কোন মাধ্যমে প্রোমোশন করলে আপনি অধিক সফলতা পাবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন

ব্লগিং

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ব্লগিং অন্যতম । সার্চ ইঞ্জিন থেকে আসা ফ্রি ট্রাফিক থেকে ব্লগ পোস্টে থাকা অ্যাফিলিয়েট লিংক থেকেই আয় করা যায়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর উদ্দেশ্যে একাধিক ধরনের কনটেন্ট ব্যাবহার করা যেতে পারে। টিউটোরিয়াল, রিভিউ বা বিভিন্ন ধরনের  শিক্ষামূলক কনটেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট প্রোমোট করার জন্য। 

ইউটিউব

আপনি ইউটিউব চ্যানেল এর মাধ্যমেও এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার ভিডিও ডেসক্রিপশনে এফিলিয়েট লিংক দিয়ে সেখান থেকেও কমিশন পেতে পারেন। এছাড়া ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় আরো অনেকগুলো রয়েছে।

ইনফ্লুয়েন্সার এফিলিয়েট মার্কেটিং

আপনি যদি ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব কিংবা ফেসবুকে একজন সোশ্যাল মিডিয়া আইকন হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার ফলোয়াররা অ্যাফিলিয়েট সেল জেনারেট করলে সেখান থেকে আপনাকে আয়ের পথ খুলে দিতে পারে। মানুষ ইনফ্লুয়েন্সারকে মূলত ফলো করে তাদের লাইফস্টাইল ও তাদের সম্পর্কে ভালো ধারণা পেতে। আপনার যদি ভালো একটি ফলোয়ার বেস থাকে, সেক্ষেত্রে অ্যাফিলিয়েট সেল এর মাধ্যমে আপনি কমিশন  পেতে পারেন। 

ইমেইল এফিলিয়েট মার্কেটিং

ইমেইল মার্কেটিংয়ে ইনভেস্টমেন্ট বিবেচনায় আয়ের সুবিধা অধিক বলা যায়।  একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার এর ইমেইল লিস্ট অ্যাফিলিয়েট সেল এর ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। আপনার নিউজলেটার বা  সাধারণ মেইলে অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্টের লিংক যুক্ত করে দিলে খুব সহজেই সেল জেনারেট করে আয় করতে পারবেন। ।

কুপন সাইট

ই-কমার্স ও অনলাইন শপিংয়ের জনপ্রিয়তার ফলে  কুপন সাইটগুলোর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কুপন সাইটসমুহে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক পোস্ট করে যারা শপিং করতে ভালোবাসে তাদের সাহায্য করার পাশাপাশি ভালো আয় করা সম্ভব।

এফিলিয়েট  মার্কেটিং কমিশন স্ট্রাকচার

অনেকের মনেই প্রশ্ন এফিলিয়েট মার্কেটিং করলে কোথায় কেমন কমিশন পাওয়া যায়,এবং  ফিজিক্যাল নাকি ডিজিটাল প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করলে ভালো হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ ২ ধরনের প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করা যায়, আর তা হচ্ছেঃ

  • ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট
  • ডিজিটাল প্রোডাক্ট

ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট

যে প্রোডাক্টগুলো বাস্তবে শারীরিকভাবে ব্যবহার করা যায়। যেমন ধরুন একটা মনিটর টিভি । আপনি যদি কোন মনিটর টিভি  কোম্পানি এর অ্যাফিলিয়েট করেন তাহলে আপনার ক্রেতা ওই পণ্যটি ফিজিক্যালি ব্যবহার করবে। 

ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট অ্যাফিলিয়েট এর ক্ষেত্রে  কমিশন স্ট্রাকচার একটু কম হয়ে থাকে। কোম্পানি ভেদে দেখা যায় ৫% থেকে শুরু করে ২০% পর্যন্ত হয়।মানে আপনি যদি একটি প্রডাক্টটি বিক্রি করেন, তাহলে আপনি ৫% থেকে ২০% পর্যন্ত কমিশন পাবেন।

আরও পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? কেন ও কিভাবে করবেন

ডিজিটাল প্রোডাক্ট

ডিজিটাল প্রোডাক্ট কি তা হয়ত আপনারা  বুঝতে পারছেন। ডিজিটাল  প্রোডাক্ট আপনি ডিজিটাল ভাবেই ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন ধরেন কোন সফটওয়্যার, ইবুক, ভিডিও কোর্স, কোন ডিজিটাল সার্ভিস ইত্যাদি।

ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর কমিশন অনেক ভালো হয় যেমন ৫০% – ৮০% পর্যন্ত। আবার কখনো কখনো ১০০% পর্যন্তও কমিশন পাওয়া যায়। এবং এর মূল কারণ হল  এখানে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করার কোন ঝামেলা থাকেনা, অনলাইনেই ডেলিভারি দেওয়া হয়। তার মানে আপনি ১০০ ডলারের ১টা প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারলে, ৫০ বা ৭০% কমিশন থাকলে ইনকাম হবে ৫০ বা ৭০  ডলার।

যে ধরনের প্রোডাক্ট প্রমোশন বা মার্কেটিং করবেন ?

আগে জেনে নিন, এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন সবসময় আপনাকে এমন প্রোডাক্ট বা সামগ্রী বাছাই করতে হবে যার চাহিদা লোকেদের মাঝে আছে। উদাহরণ স্বরূপে ডোমেইন এবং হোস্টিং এর চাহিদা অনেক বেশি । কারণ আজ লোকেরা নিজেদের ব্যবসা অনলাইন নিয়ে আসতে চায়, এবং তার জন্য তারা ডোমেইন বা হোস্টিং অবশই কিনতে চাইবেন।এছারা  অনলাইন প্রোডাক্টের চাহিদাও লোকেদের মাঝে এমনিতেই রয়েছে। তাই যেগুলি product সহজে বিক্রি হতে পারে এবং যেগুলিতে কমিশন ইনকাম বেশি সেগুলি মার্কেটিং করার চেষ্টা করুন।

লাভ জনক কিছু প্রোডাক্ট হল 

  • মোবাইল বা স্মার্টফোন
  • ডোমেইন এবং হোস্টিং
  • বই সমুহ
  • ওয়ার্ডপ্রেস থিম .
  • ল্যাপটপ (laptop)
  • জামা কাপর (cloths)

কিছু বিখ্যাত এফিলিয়েট প্রোগ্রাম (affiliate program)

আজকাল সব ছোট্ট বড়ো সকল অনলাইন কোম্পানি affiliate program ব্যবহার করে থাকে। তাদের মধ্যে কয়েকটি এমন এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক রয়েছে যেগুলি বেশি কমিশন ইনকাম দেয়ার জন্য বিখ্যাত।

  • Flipkart affiliate program – এইটা ইন্ডিয়ার  অনেক  জনপ্রিয় একটি online shopping website . এখানে ফ্রীতেই এফিলেয়েট   হিসেবে রেজিস্টার করে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে জয়েন করতে পারেন। 
  • Amazon  – ভারতের ই কমার্স  ব্যবসাতে আমাজন সবচেয়ে আগে এবং এই অনলাইন শপিং স্টোরেও আপনি affiliate হিসেবে রেজিস্টার হয়ে  এফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে প্রোডাক্ট সেল করে  ভালো কমিশনে বিক্রি করতে পারবেন।
  • Go daddy  – আপনার ব্লগ বা ইউটিউবের চ্যানেল blogging এবং hosting এর ওপরে হয়, তাহলে Go Daddy তে এফিলিয়েট হিসেবে নিজেকে রেজিস্টার করুন এবং অনেক হাই কমিশনে ডোমেইন এবং হোস্টিং বিক্রি করুন। Go daddy ডোমেইন এবং হোস্টিং কেনার জন্য বিখ্যাত অনলাইন কোম্পানি।
  • Hostgator affiliate network – Hostgator ডোমেইন এবং হোস্টিং এর মার্কেটে অনেক নাম করা কোম্পানি।  আপনি যদি ডোমেইন বা হোস্টিং এর এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান, তাহলে Hostgator খুবই জনপ্রিয় একটি প্লাটফ্রম ।এখানে আপনি  একটি বিক্রিতেই প্রায় ৩০০০ টাকা অব্দি ইনকাম করতে পারবেন।
  • Ebay affiliate program –  ebay অনলাইন ওয়েবসাইটের কথা অবশই জানেন। ebay একটি অনলাইন শপিং সাইট।যে ওয়েব সাইট  বিশ্বের সব জায়গায় প্রোডাক্ট ডেলিভার করে। এবং, আপনি যেই দেশের হন না কেন, ebay এফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি তাদের যেকোনো অনলাইন product মার্কেটিং কোরে ভালো commission আয় করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন কি

এফিলিয়েট  মার্কেটিং করার সুবিধা

এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে  স্মার্ট ও আধুনিক পেশা। অনলাইনে অন্যান্য কাজের চেয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে রয়েছে  আলাদা বৈশিষ্ট। যেমন:

  • নিজের টাকা ছাড়াই অন্যের পন্য বিক্রি করে আয় করা যায়।
  • নিজের পছন্দমত পন্য নিয়ে কাজ করা যায়।
  • ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ, এফিলিয়েট  মার্কেটিং করার জন্য কোথাও যেতে হয়না।
  • এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।
  • সময়ের স্বাধীনতা হয়েছে। নিজের সময় মত কাজ করতে পারবেন।
  • স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়।
  • একটি এফিলিয়েট সাইট দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে টাঁকা ইনকাম করা সম্ভব।
  • অনলাইনে সারাদিন একটিভ থেকে কাজ করার প্রয়োজন হয় না।

কম ঝুঁকি

এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে কোনো ঝুঁকি নিতে হচ্ছেনা। আপনি কোনো প্রোডাক্ট তৈরী বা কিনছেন না। তাই আপনার ক্ষতির কোন আসংখা নেই। আপনার একমাত্র কাজ হচ্ছে  প্রোডাক্ট ক্রয়ে কোনো কনজ্যুমারকে সাহায্য করা। অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট প্রোমোশন করার সুযোগ  অসংখ্য। একটি প্রোডাক্ট সেল না হলে অন্য প্রোডাক্ট প্রোমোট করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়ের উৎস খুঁজে নিতে পারবেন। এছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে কাস্টমার সাপোর্ট দেয়ার ঝামেলাও থাকছেনা।

আয় করা টাকা কিভাবে কিভাবে তুলবেন 

এফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে আয় করা ইনকাম আপনি অনেক সহজে নিজের ব্যাঙ্ক একাউন্টে (bank account) তুলে নিতে পারবেন। ব্যাঙ্ক একাউন্ট দেয়ার জন্য আপনাকে অপসন দেয়া হবে।

উপসংহার

এফিলিয়েট  মার্কেটিং হল নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার যুগোপযোগী উপায়। তাহলে আমরা আজ জানলাম এফিলিয়েট মার্কেটিং কি, এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার আগে ভিজিটরস কিংবা সাবস্ক্রাইবার তৈরি করতে হবে। কিংবা টার্গেট গ্রাহকের  মেইল এড্রেস বা মোবাইল নাম্বার যোগার করতে হবে। এবং নিজের মার্কেটিং দক্ষতা ও এসইও নলেজ বৃদ্ধি করার করতে হবে।

 সুতরাং এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চাইলে নিজেকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এমনকি সফলতা পেতে বছরও লাগতে পারে। কিন্তু, একবার প্রতিষ্ঠিত হতে পারলে আর ক্যারিয়ার নিয়ে টেনশন করতে হবে না। তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন এই সম্পর্কে জানতে সম্পুর্ন পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন-

Quora মার্কেটিং কি? কিভাবে কোরা (Quora) মার্কেটিং করবেন

ফেসবুক পেজ কিভাবে চালাতে হয়

Leave a Comment