ট্রেড লাইসেন্স কি ও লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম

ট্রেড লাইসেন্স

বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে বসে আপনি যদি বিজনেস করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করিয়ে নিতে হবে। আর যারা ট্রেড লাইসেন্স (trade licence) ছাড়াই বিজনেস করার কথা ভাবছেন তাদের বিজনেস সম্পর্কিত সকল কার্যক্রমকে পরবর্তীতে বাজেয়াপ্ত বা অবৈধ ঘোষণা করা হবে। শুধুমাত্র বিজনেসকে বৈধতা দেওয়ার

জন্যই নয়, বরং আপনার ছোট্ট বিজনেসকে ধীরে ধীরে বড় করতে এই লাইসেন্স আপনাকে তৈর করতে হবে। আপনি যদি ভবিষ্যতে নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসাবে দেখতে চান, তাহলে শুরুতেই

আপনার কাজ হবে লাইসেন্স (trade licence) রেজিস্ট্রেশন করা। যা আপনি ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমেই সেরে নিতে পারবেন এবং পরবর্তীতে তা ঘরে বসেই তৈরি হয়েছে কিনা, চেক করতে পারবেন। মূলত বাংলাদেশে সমস্ত সিটি কর্পোরেশন, পৌর ও ইউনিয়ন আওতাধীন উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ীদের এই লাইসেন্স তৈরি করিয়ে নিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ Quora মার্কেটিং কি? কিভাবে কোরা (Quora) মার্কেটিং করবেন

ট্রেড লাইসেন্স কি

সোজা বাংলায় ট্রেড লাইসেন্স শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুমোদিত এমন একটি অনুমতি পত্র যা আপনাকে যেকেনো বিজনেস শুরু করার ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতেই হবে। 

বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি ব্যবসায়ীর জন্য এই লাইসেন্স (trade licence) করার বাধ্যবাধকতা বা কোনো নিয়ম ছিলো না। তবে ২০০৯ সালের সিটি কর্পোরেশন কর আইনের মাধ্যমে এই লাইসেন্স তৈরি করার আইন পাশ হয়। আপনি যদি ট্রেড লাইসেন্স (trade licence) সংগ্রহ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আবেদনের ভিত্তিতে এটি সংগ্রহ করে নিতে হবে। লাইসেন্সের আবার বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। যা ব্যবসার ধরণ বিশেষ করে একমালিকানা, অংশীদারি ব্যবসায় এবং যৌথমূলধনী ব্যবসায় আলাদা আলাদাভাবে প্রদান করা হয়ে থাকে। 

বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার সর্বমোট ২৯৪ ক্যাটাগরিতে লাইসেন্স (trade licence) প্রদান করছে। আপনার ব্যবসাও যদি এসব ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে তাহলে নিজের বিরুদ্ধে জরিমানা ও মামলা থেকে বাঁচতে লাইসেন্স সংগ্রহ করে নিতে হবে।

ট্রেড লাইসেন্স এর প্রয়োজনীয়তা

আপনি যদি নিজের ব্যবসা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে কোনো ব্যাক্তির সামনে পরিচিত করাতে চান সেক্ষেত্রে এই ট্রেড লাইসেন্সের প্রয়োজন পড়বে। অর্থ্যাৎ ব্যবসা এবং ব্যবসায়ীর পরিচয় বহন করবে এই ট্রেড লাইসেন্স (trade licence)। পরিচয়পত্র ছাড়া যেমন ব্যাক্তি হিসাবে কোনো সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় না, ঠিক তেমনই একজন ব্যবসায়ী হিসাবে এই লাইসেন্স না থাকলে ব্যবসায়িক বিভিন্ন কার্যক্রম এবং সুবিধা থেকে আপনাকে মুখ থুবড়ে পড়তে হবে। 

এছাড়াও ব্যবসা করার সময় বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যাক্তির সাথে ব্যবসায়ীক চুক্তি করতে হয়। এসব চুক্তির ক্ষেত্রেও প্রয়োজন পড়ে । সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো লাইসেন্স (trade licence) ছাড়া যদি আপনি ব্যবসা করেন সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে আপনাকে আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি যারা ব্যবসার জন্য ব্যাংক থেকে প্রজেক্ট লোন নিতে চান তাদের ক্ষেত্রে এই লাইসেন্সর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

আরও পড়ুনঃ Drop Shipping বিজনেস কী? ড্রপশিপিং ব্যবসা করার সুবিধা

বাংলাদেশে ট্রেড লাইসেন্স এর প্রকারভেদ

বাংলাদেশে প্রায় ২৯৪ ক্যাটাগরির ট্রেড লাইসেন্স (trade licence) রয়েছে। তবে প্রধানত লাইসেন্সকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলি হলো: 

সাধারণ ব্যবসা

মূলত সকর ধরণের ব্যবসার ক্ষেত্রেই ট্রেড লাইসেন্সের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে যাদের মুদি দোকান রয়েছে অথবা যারা বেশ ছোট পরিসরে ব্যবসা করছেন তাদের এই সাধারণ ব্যবসায়িক লাইসেন্স করিয়ে নিতে হবে। এই ধরণের লাইসেন্স (trade licence) করতে হলে আপনাকে খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হবে না এবং খরচও অনেক কম পড়বে। 

ফ্যাক্টরি ব্যবসা

এই ধরণের লাইসেন্স (trade licence) তাদের করতে হবে যাদের কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান, কারখানা বা ফ্যাক্টরির ব্যবসা রয়েছে৷ মোটকথা এই যেকোনো কারখানা বা ফ্যাক্টরির ক্ষেত্রেই হোক সেটি জুতা তৈরির, বিউটি প্রোডাক্ট তৈরির অথবা অন্য যেকোনো উৎপাদিত পণ্যের, এই ফ্যাক্টরি ব্যবসায়িক লাইসেন্স (trade licence) প্রয়োজন। 

অন্যান্য ব্যবসা

উপরোক্ত ব্যবসা ছাড়া বাদ বাদি সকল ব্যবসা যেমন গ্যারেজের ব্যবসা, প্রিন্টিংয়ের দোকান, রিক্রুট্রিং অফিস, ট্রাভেল এজেন্সি ইত্যাদি নিয়ে যারা ব্যবসা করছেন তাদের এই ধরণের ট্রেড লাইসেন্স (trade licence) করিয়ে নিতে হবে৷ এই ধরণের লাইসেন্স হাতে পেতে কিছুটা বাড়তি সময় লাগতে পারে এবং এতে বাড়তি খরচেরও একটি বিষয় আছে। 

ট্রেড লাইসেন্স করতে কাগজপত্র 

সাধারণত কয়েক ধরণের ট্রেড লাইসেন্স থাকে। আর এসব লাইসেন্স (trade licence) তৈরির জন্য প্রয়োজন আলাদা ডকুমেন্টস। যেমন: 

  • যাদের দোকান ভাড়ার উপর চলে তাদের সেই ভাড়ার চুক্তি পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি
  • ভাড়ার দোকান না হয়ে যদি নিজের দোকান হয় তাহলে সেই দোকানের ইউটিলিটি বিল 
  • পূর্বে হালনাগাদ করা হয়েছে এমন হোল্ডিং ট্যাক্সপরিশোদের এর ফটোকপি
  • ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (যিনি আবেদন করবেন)
  • যারা পার্টনার শিপে ব্যবসা করতে চান তাদের ১৫০/৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে পার্টনার শিপের অঙ্গীকারনামা/শর্তাবলীর কপি
  • যারা ফ্যাক্টরির মাধ্যমে ব্যবসা করতে চান, তাদের ঢাকা সিটিকর্পোরেশন এর নিয়ম মেনে চলা সম্পর্কিত একটি অঙ্গিকারনামা, যা থাকতে হবে ১৫০/৩০০ টাকার জুডিশিয়ার স্ট্যাম্পে
  • যেখানে ফ্যাক্টরি বা কারখানা দেবেন তার পাশ্ববর্তী অবস্থান বা স্থাপনার মালিকের অনাপত্তিনার কপি
  • কারখানা তৈরির আশেপাশের বিবরণসহ নকশা অথবা উক্ত লোকেশনের সঠিক ম্যাপ
  • যেখানে ফ্যাক্টরি বা কারখানা তৈরি করা হবে তার আশেপাশের পরিবেশের ছাড়পত্র কপি 
  • ক্লিনিক বা প্রাইভেট হাসপাতাল তৈরি করতে ইচ্ছুক ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কতৃপক্ষ কর্তৃক অনুমতিপত্র
  • সিএনজির ব্যবসা করতে চাইলে বিস্ফোরক অধিদপ্তর বা ফায়ার সার্ভিস এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র
  • লিমিটেড কোম্পানির জন্য ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করতে ইচ্ছুক ব্যাক্তিদের কোম্পানির মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেল এবং সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন পত্র
  • প্রিন্টিং এর দোকান এবং আবাসিক হোটেল দিতে চাইলে ডেপুটি কমিশনার কর্তৃক অনুমতিপত্র
  • যারা রিক্রুট্রিং এজেন্সি দিতে চান তাদের লাগবে মানবসম্পদ রপ্তানী বুর‍্যোর লাইসেন্স
  • অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রে প্রয়োজন অস্ত্রের লাইসেন্স
  • মাদকদ্রব্য বা ঔষধ নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রে প্রয়োজন ড্রাগ লাইসেন্সের কপি
  • সবশেষে প্রয়োজন সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পত্র, যা লাগবে ট্রাভেল এজেন্সির বিজনেসের ক্ষেত্রে 

আরও পড়ুনঃ ডাটা এন্ট্রি কি ? ডাটা এন্ট্রি করে কত টাকা আয় করা যায়

ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম

ট্রেড লাইসেন্স (trade licence) তৈরি করাতে চাইলে উপরোক্ত কাগজপত্র জোগাড় করে নিন। মূলত আই ফর্ম ও কে ফর্ম নামে দুটি পদ্ধতি রয়েছে। আই ফর্ম পদ্ধতিতে লাইসেন্স করতে হয় ছোট কিংবা সাধারণ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য। আর যারা বড় ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্স করতে চান তাদের প্রয়োজন কে ফর্ম পদ্ধতি। লাইসেন্স করতে নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

  • আপনাকে ব্যবসা অনুযায়ী ফরম সংগ্রহ করে নিতে হবে। প্রতিটি ফরমের দাম ১০ টাকা। আপনি যে অঞ্চলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করবেন, সেই অঞ্চলের অফিস থেকেই আপনি ফরম কিনে নিতে পারবেন।
  • দ্বিতীয় ধাপে আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স (trade licence) এর ফি ভ্যাটসহ জমা দিতে হবে। এই ফি জমাদানের ক্ষেত্রে আপনাকে নিকটস্থ ব্যাংকের সাহায্য নিতে হবে।
  • পরের ধাপে আপনাকে যেতে হবে স্থানীয় সরকারের অফিসে। সেখানে গিয়ে পূরণ করা ফরম এবং সেই সাথে টাকা প্রদানের রশিদটি যোগ করে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে করে জমা দিতে হবে।
  • সবকিছু ঠিক থাকলে স্থানীয় সরকার আঞ্চলিক অফিস থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তি আপনার ব্যবসায়িক অঞ্চলটি চেক করে নেবে। ঠিক থাকলে কিংবা কোনো সমস্যা দেখলে, অর্থ্যাৎ যেকোনো পরিস্থিতিতে  তিনি অফিসে রিপোর্ট করবেন।
  • সবকিছু ঠিক থাকলে অবশেষে তৈরি হয়ে যাবে আপনার বহুল কাঙ্ক্ষিত চূড়ান্ত পর্যায়ের লাইসেন্স (trade licence) কপি৷ আঞ্চলিক অফিস থেকে এই কপি আপনাকে সংগ্রহ করে নিতে হবে।

ট্রেড লাইসেন্স এর ফরম পূরণ  

ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করার জন্য স্থানীয় সরকারি অফিস থেকে আপনাকে একটি ফরম দেওয়া হবে। এটি পূরণ করতে নিচের পয়েন্টগুলি দেখুন:

  • শুরুতেই আপনাকে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম দিতে হবে। 
  • এরপর আপনাকে ব্যাক্তিগত তথ্যসমূহ দিতে হবে। ব্যাক্তিগত দেবার জন্য মোট ৫ টি ঘর থাকবে। ২ নাম্বার থেকে ৬ নাম্বার ঘর পর্যন্ত ঠিকানাসহ ব্যাক্তি মালিকানা সম্পর্কিত সকল তথ্য দিতে হবে। 
  • এরপর আপনাকে ৭ নাম্বার ঘরে আপনার যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার ঠিকানা দিতে হবে। 
  • ৮ এবং ৯ নাম্বার ঘরে থাকবে আপনার জাতীয়তা সম্পর্কিত তথ্য। বিশেষ করে আপনার এনআইডি কার্ডের নাম্বার এবং আপনার জাতীয়তা দিতে হবে। 
  • এরপরের ঘরে আপনাকে আপনার ব্যবসার ধরণ বা গ্যাজেটের ধরণ দিতে হবে। সেই সাথে ১১ নাম্বার অর্থ্যাৎ এর পরবর্তী ঘরে দিতে হবে আপনি যে তারিখ থেকে উক্ত ব্যবসা শুরু করেছেন সেই তারিখটি। 
  • যাদের কোম্পানি একটি লিমিটেড কোম্পানি তাদের জন্য এই ১২ নাম্বার ঘরটি। যেখানে আপনার কোম্পানির মুলধন কত তার সঠিক সংখ্যাটি বসাতে হবে। 
  • পরবর্তী ঘরগুলিতে টিক মার্ক দিতে হবে। এখানে থাকবে প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা নিজস্ব কিনা, ব্যবসার আলাদা কোনো সাইনবোর্ড আছে কিনা, পৌর ভুমি বা সরকারি ভুমির উপর আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কিনা ইত্যাদি তথ্য প্রদানের বাক্স। 
  • এরপরে যে বক্সটি আসবে সেখানে যিনি আবেদন করছেন তার একটি সচল মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। 
  • সবশেষে থাকবে আবেদনকারীর স্বাক্ষর করার স্থান। সেখানে আবেদনকারীকে সাক্ষর করতে হবে এবং পাশেই যেদিন ফরমটি পূরণ করছেন তার তারিখটি দিতে হবে। 

ট্রেড লাইসেন্স এর খরচ

২৯৪ টি ক্যাটাগরির প্রতিটিতেই আলাদা পরিমানে ফি প্রদান করতে হয়। এই ফি ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ২৬,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। ফি ক্যাটাগরি বা ধরন অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দিতে হবে।

এছাড়া এই ২৯৪ ধরনের ব্যবসার বাইরে অন্য কোন  ব্যবসার লাইসেন্সের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত হারে ফি জমা দিতে হবে-

১) ব্যবসাতে ট্যাক্স প্রযোজ্য হবে এমন ব্যবসার ক্ষেত্রে– ১০০০ টাকা

২) ব্যবসাতে ট্যাক্স প্রযোজ্য হবে না এমন ব্যবসার ক্ষেত্রে– ৫০০ টাকা।

লাইসেন্সের ফি জমা দেওয়ার সময় ফি এর সাথে নির্ধারিত ফি এর ১৫% ভ্যাট জমা দিতে হবে।

এছাড়াও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের কোন প্রচারণামূলক সাইনবোর্ড থাকলে সাইনবোর্ড চার্জ হিসেবে সাইনবোর্ডের প্রতি বর্গফুটের জন্য ৮০ টাকা করে জমা দিতে হবে। এবং ২০০ টাকা লাইসেন্স বইয়ের মূল্য হিসেবে জমা দিতে হবে।

শেষ কথা

মনে রাখবেন ট্রেড লাইসেন্স (trade licence) করার সময় অর্থ্যাৎ আবেদনকালীন সময়ে কোনো মিথ্যা বা অসম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া যাবে না। যদি দেন সেক্ষেত্রে আপনার আবেদন নাকোচ করে দেওয়া হবে। যদিও নাকোচ করা হলে সেটি আপনাকে পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে। আর যারা সিটি কর্পোরেশন আইন না মেনে আবেদন করবেন অথবা ব্যবসা পরিচালনা করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সুতরাং আবেদন করার সময় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা জরুরি৷ 

ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন ফরম সংগ্রহে বাধা বা যেকোনো সমস্যার মুখোমুখি হলে সরকারি সিটি করপোরেশন ও মেট্রোপলিটন এলাকায় বা এর বাইরে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা বা জেলা পরিষদের স্থানীয়া অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে আপনার ব্যবসা যে অঞ্চলে পরিচালিত হবে বা প্রতিষ্ঠিত হবে আপনাকে ঠিক সেই অঞ্চলের অফিসের সাথেই যোগাযোগ করতে হবে।

ট্রেড লাইসেন্স সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ’s

১। কি কি ধরনের ট্রেড লাইসেন্স হয়?

উত্তরঃ মূলত দুই ধরণের ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে।

২। ট্রেড লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে?

উত্তরঃ ট্রেড লাইসেন্স করতে ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ২৬ হাজার টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। 

৩। ট্রেড লাইসেন্স পেতে কতদিন লাগে? 

উত্তরঃ ট্রেড লাইসেন্স পেতে ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। 

আরও পড়ুন- 

ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ও সুবিধা

ক্রেডিট কার্ড কি? ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম

Leave a Comment