পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ, সেবনবিধি ও চিকিৎসা

পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ

পাইলস একটি অত্যন্ত পরিচিত চিকিৎসা সমস্যা। এটি অর্শ রোগ হিসেবেও পরিচিত। অনেকেই এই সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে অভিজ্ঞতা অর্জন করে তবে এই সমস্যার সাথে সাথে পরামর্শ বা ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে অনিচ্ছুক হন।

বিশেষত, পাইলসের সঠিক চিকিৎসার পরিবর্তে হোমিওপ্যাথি, কবিরাজি ঔষধ এবং অন্যান্য প্রকৃতির চিকিৎসা গ্রহণ করা হয়। পায়ুপথ বা পায়খানার রাস্তার মুখ যদি কোনো কারণে ফুলে যায় এবং সেখান থেকে রক্ত পড়ে কিংবা পায়খানার রাস্তায় যদি গোটার মত হয় তখন একে বলা হয় পাইলস। 

চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম হেমোরয়েড। জটিল আকার ধারণ করার আগে অপারেশন ছাড়া পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ দ্বারা সম্ভব। আজকের আর্টিকেলে পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ, পাইলস এর এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম, পাইলস এর ব্যাথা কমানোর ঔষধ ইত্যাদি বিষয় বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

আরও পড়ুনঃ মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 

পাইলস এর এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম

পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ

পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পাইলসের এলোপ্যাথিক ঔষধের নামগুলি নিম্নে উল্লিখিত হলো:

■ Daflon 1000 mg

■ Normanal 500mg

■ Osmolax

■ Lignocaine gel

■ Erian

■ পাইলোস্প্রে 

Daflon 1000 mg

Daflon 1000 mg হলো রক্তনালীর স্বাস্থ্য উন্নত করতে এবং শিরায়ু  ও অর্শরোগের  চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি ওষুধ। এটি ডায়োসমিন 900 মিলিগ্রাম এবং হেস্পেরিডিন 100 মিলিগ্রাম নামক দুটি সক্রিয় উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি।

এটি শিরার দেয়ালগুলিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করতে পারে, রক্ত ​​প্রবাহ উন্নত করতে পারে এবং সেগুলির মধ্যে চাপ কমাতে পারে। Daflon শিরায় প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে, যা ব্যথা এবং ফোলাভাবের কারণ হতে পারে। এটি ছোট রক্তনালীগুলিকে কিছুটা সুরক্ষা প্রদান করতে পারে, যা রক্ত ​​প্রবাহ উন্নত করে।

Normanal 500mg

পাইলস এর এলোপ্যাথিক ঔষধ গুলোর মধ্যে এই ওষুধটি খুবই কার্যকারী একটি ঔষধ। এই ঔষধটি মূলত যাদের হঠাৎ করে পাইলসের সমস্যা দেখা দেয় আর যাদের দীর্ঘদিনের পাইলসের সমস্যা আছে তাদের জন্য। এছাড়াও যাদের দীর্ঘস্থায়ী শিরার সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়।

পাইলস হওয়ার পর প্রথম ৪ দিন এই ঔষধটি ৩ টি করে দিনে তিনবার অর্থাৎ সকালে তিনটা, দুপুরে তিনটা, রাতে তিনটা খেতে হবে। এবং এর পরের ৩ দিন এই ওষুধটি ২ টি করে দিনে দুইবার অর্থাৎ সকালে দুইটা, রাতে দুইটা খেতে হবে। এবং পরের ২৩ দিন এই ঔষধটি ১ টি করে দিনে দুইবার অর্থাৎ সকালে একটা এবং রাতে একটা খেতে হবে। এভাবে মোট এক মাস এই ওষুধটি খেতে হবে। আর যাদের দীর্ঘদিনব্যাপী পাইলস রোগটি রয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে এই ঔষধটি খাওয়ার নিয়ম হলো। ১টি করে ঔষধ দৈনিক দুইবার ২ থেকে ৩ মাস খেতে হবে।

Osmolax

Osmolax এই ঔষধটি মূলত একটি সিরাপ জাতীয় ঔষধ। এই ওষুধটিও পাইলস রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তিন চামচ খেয়ে ঘুমাতে হবে। তাহলে খুব তাড়াতাড়ি পাইলসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

Lignocaine gel

লিগনোকেইন জেল হল যে ঔষধ যেটি মূলত ব্যবহার করা হয় যে সকল পাইলস রোগীদের মলত্যাগ করার সময় মলদ্বারে অনেক জ্বালাপোড়া করে তাদের জন্য। মলদ্বারের জ্বালাপোড়া কমিয়ে দেওয়া হয় এই ঔষধটি। পায়খানা করার 10 থেকে 15 মিনিট আগে এই ওষুধ খেতে হবে একটি করে।

Erian

পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ Erian এই ওষুধটি মূলত একটি মলম জাতীয় ঔষধ। এই ঔষধটি পাইলস রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধটি আপনারা ক্রিম ও সাপোজিটরি এই দুই ভাবে পাবেন। কিন্তু বাংলাদেশে Erian এই ওষুধটির ক্রিমটি বেশি ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয় মূলত মলদ্বারে ব্যথা, জ্বালাপোড়া, অস্বস্তি বোধ, রক্তক্ষরণ এই সমস্যা গুলো দূর করার জন্য। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় এই ঔষধটি পাইলস রোগীদের লাগিয়ে নিতে হবে। লাগানোর আগে অবশ্যই পায়খানা করে নেবেন।

পাইলোস্প্রে 

অনেক লোক থাকেন যারা পাইলসে আক্রান্ত হলে পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ খাবার বা মলম লাগানোর দ্বারা ভয় পান। তারা পাইলসপ্রে ব্যবহার করতে পারেন। এই স্প্রে মূলত পাইলস রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হয়। পাইলসপ্রে ব্যবহারে মলদ্বারের ব্যাথা, জ্বালাপোড়া, চুলকানি, রক্তপাত এবং ফোলা হওয়ার সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

এই প্রোডাক্টটি ব্যবহারের পূর্বে নির্দিষ্ট হারে সঠিকভাবে ঝাকানো উচিত। তারপর, ৪ থেকে ৫ সেন্টিমিটার দূরত্ব থেকে পায়ু অঞ্চলের আক্রান্ত স্থানে দুই থেকে চার সেকেন্ডের জন্য স্প্রে করতে হবে। এটি সব সময় মলত্যাগের পূর্বে এবং পরে ব্যবহার করা উচিত, এবং রাতে ব্যবহার করা যাবে।

পাইলসের হোমিওপ্যাথি ঔষধের নাম

পাইলসের এলোপ্যাথিক ঔষধের নামের পাশা পাশি হোমিও প্যাথি ঔষধ ও রয়েছে। পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ এর মধ্যে কিছু হোমিও প্যাথি ঔষধ।

অ্যাসিড নাইট্রিক 200

যদি আপনার পাইলসে অনেক রক্তক্ষরণ এবং জ্বালাপোড়া হয়, তবে আপনি এই অ্যাসিড নাইট্রিক হোমিওপ্যাথি ঔষধটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহার করে এই ঔষধটি আপনার পাইলসের রক্তক্ষরণ এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সহায়তা করতে পারে। এটি প্রতিদিন দুইবার সেবন করতে হবে।

বায়োকেমিক্যাল ক্যালক্যালেরিয়া ফ্লুরিকা 30

যারা পাইলসের সমস্যার কারণে মলদ্বারে ব্যথার সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন না অথবা মলদ্বারে ও বাইরে বোটের মত কিছু হয়ে থাকে। এই অবস্থায়, আপনারা এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহারে ভালো ফলাফল প্রাপ্ত করতে পারেন। এই ঔষধটি দিনে তিনবার সেবন করতে হবে।

এ্যাডেল 2

এই ঔষধটি একটি জার্মান কোম্পানির পণ্য। পাইলসের জন্য এটি খুবই কার্যকরী একটি ঔষধ। আপনি যদি পাইলসের সমস্যায় ভুগতেন, তাহলে এই ঔষধটি আপনি চেষ্টা করতে পারেন। এটি একটি প্রত্যাশিত প্রতিফলনের সাথে মিশ্রিত হয়েছে, যা এটিকে খুবই কার্যকর করে।

সালফার

সালফার ঔষধটি একটি খুবই কার্যকরী পাইলস রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি পাইলসের লক্ষণগুলি, যেমন মলদ্বারে চুলকানি বা অত্যাধিক জ্বালাপোড়া সহ অন্যান্য অসুখের নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ব্যবহারে প্রকৃতপক্ষে ভাল ফলাফল প্রদান করে।

আর্সেনিক অ্যালবাম

এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধটি মূলত সেসব পাইলস রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হয় যারা মলদ্বারের রাস্তায় বসতে অথবা দাড়িয়ে অনেকটা ব্যথা ও জ্বালাপোড়া অনুভব করেন। এছাড়াও, পাইলসের ফলে মলদ্বারের অংশটুকু ফুলে যেতে পারে, তাদের জন্যও এই ঔষধটি ব্যবহার করা হয়। এবং এই ঔষধটি খুবই কার্যকর।

পাইলস কি?

পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ জানার পূর্বে জানতে হবে পাইলস কি অস্বাভাবিক জৈব রাসায়নিক পরিবর্তন দ্বারা সৃষ্ট অতিরিক্ত মাংসপেশি যা মলদ্বারের ভেতরে বা বাইরে মাংসপেশির মধ্যে হয়ে থাকে, তাকেই আমরা পাইলস বলে থাকি।

অসস্তি কোমরে ব্যথা খাদ্যে অরুচি মলদ্বারে ব্যথা এবং মলদ্বার ফোলা জ্বালা-যন্ত্রণা টানাটানি অনিদ্রা সহ আরো বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে পাইলসের সমস্যা থাকলে। আপনার শরীর যদি কষা হয়ে কষ্টকাটিন না দেখা দেয় তাহলে এই যন্ত্রটি আরও তীব্রতর হয়ে ওঠে।

মলদ্বারের ভেতরে হেমোরয়েড নামক রক্তনালীতে কখনো কখনো স্ফীতি ঘটে।  এই হেমোরয়েড আবার মলত্যাগের সময় চাপ প্রয়োগ করলে ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বা ফেটে যায়, তখন শুরু হয় রক্তক্ষরণ। 

বেশিরভাগ সময় দেখা যায় কষা পায়খানা হলে এর জ্বালা যন্ত্রণা আরও বেড়ে যায়।  মাত্রা অতিরিক্ত রক্তপাত যখন হয় তখন রোগীর শারীরিক এবং মানসিক ভাবে যথেষ্ট ভেঙ্গে পড়ে।  আবার অনেক সময় রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে।

পোইলস এর ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা

শুধু পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ দিয়েই যে রোগ ভালো হয়, তা না কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা রয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় পাইলস রোগটি কিছু পরামর্শ মেনে চললেই ভাল হয়ে যাওয়া সম্ভব। 

তাই নিজের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রা পরিবর্তন করে ফেলুন।  এলার্জি হয় এমন খাবার, গুরুপাক খাবার, তেল, ঝাল ভাজাপোড়া, এমন খাবার পরিহার করুন মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা একেবারেই ছেড়ে দিন। 

বিশেষ করে যাদের ফিস্টুলা রোগ আছে বা যাদের বংশে পাইলস ফিস্টুলা রোগ আছে তারা গরুর মাংস খাওয়া সম্পূর্ণভাবেই বন্ধ করে দিন।  পাইলস রোগে আক্রান্ত রোগীদের সাইকেল চালানোটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।  আপনার শরীর থেকে রক্তপাত হচ্ছে এই অবস্থায় কোনোভাবেই দীর্ঘ পথে ভ্রমণ করবেন না,  মাত্রা অতিরিক্ত পরিশ্রম এবং খেলাধুলা এই সময় বন্ধ রাখুন। 

যতটুকু সম্ভব বিশ্রামে থাকুন এবং নরম জাতীয় খাবার খান।  যাতে কোনোভাবেই আপনার পায়খানা কষা বা কোষ্ঠকাঠিন্য না হয়।  তা না হলে যন্ত্রণা কমবে না বরং আরো বেশী খারাপ অবস্থা হয়ে যেতে পারে।  মাছ মাংসের তুলনায় শাকসবজির থেকে বেশি মনোযোগ দিন। 

পর্যাপ্ত পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন যেমন ঘুম থেকে উঠে দুই গ্লাস পানি খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস করুন।  ইসুবগুলের ভুষি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন গরম দুধের ভিতর ২ চা চামচ ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে অতএব দুধ না থাকলে পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।

সঠিক সময়ে রোগটি নির্ধারিত হলে একটি সুষ্ঠু চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব, এবং এতে রোগী দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে পারে।  কারণ পাইলসের বেশিভাগ চিকিৎসা পদ্ধতি গুলি হয় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি।

পাইলসের কিছু সঠিক চিকিৎসা

অনেক সময় পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ দিয়েও কাজ হয়না, সেক্ষেত্রে সার্জারী করাতে হয়। এখন পাইলস চিকিৎসা অনেক উন্নত হয়েছে লেজার সার্জারির মাধ্যমে ও খুব ভালো পাইলসের চিকিৎসা করা সম্ভব।

তবে একথা সত্য যে পাইলসের যেভাবে অস্ত্রোপচার করা হয় সে ক্ষেত্রে লেজার সার্জারির মত ব্যয়বহুল অপারেশন করাটাও অনেকের ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়, লেজার সার্জারি ছাড়াও অন্যান্য অবস্থায় মোবাইল সার্জারি করা হয় সেটাও সম্পূর্ণ ক্ষতি মুক্ত বলেই জানা যায়।

এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যে লেজারের মাধ্যমে পাইলস চিকিৎসায় কোন বেশি সুবিধা নেই বা অতিরিক্ত কোন সুবিধা পাওয়া যায় না নরমাল অপারেশনের তুলনায়।  কোনরকম কাটাছেঁড়া ছাড়াই রিংলাইগেশন এবং লোরান অপারেশন  এর মাধ্যমে ১০০%  রোগী মলদ্বারের চিকিৎসা সম্ভব করা  যাচ্ছে, এতে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা একেবারে নেই বললেই চলে।

কিছু অপারেশনে মলদ্বারের তিনটি মাংসপিণ্ড কাটতে হয়। যারা  রিংলাইগেশন জন্য উপযুক্ত নয় এবং     লোরান অপারেশন  এর যন্ত্র কিনতে অক্ষম শুধু তাদের জন্যই এই অপারেশন করা হয়। প্রচলিত অপারেশনের মতোই লেজার সার্জারি।  লেজার সার্জারিতে  আলোক রশ্মী  দিয়ে কাটা হয় এবং সাধারণ সার্জারিতে সার্জিক্যাল নাইফ দিয়ে কাটা হয় এতটুকুই পার্থক্য।

সাধারণ অপারেশনের মতোই লেজার সার্জারিতে ও তিনটি জায়গায় কত হবে। সাধারণ অপারেশনের মতোই লেজার অপারেশনের ব্যথা হয় এবং ঘা শুকাতে ও ১-২ মাস লেগে যেতে পারে।  লেজার অপারেশনের যে জটিলতা নেই তা নয় সাধারণ অপারেশনের মতই লেজার অপারেশনের বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে।

পরিশেষে

সব সময় পেট পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবেন পায়খানা নরম হয়। এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।  শাকসবজি ,আঁশ জাতীয় খাবার ,ফলমূল বেশি খাবেন এবং ইসবগুলের সরবত খাওয়ার চেষ্টা করবেন।  প্রতিদিন অন্তত  ৬ থেকে ৮  গ্লাস পানি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। 

ভাজাপোড়া ,গুরুপাক খাবার, বেশি ঝাল মসলা ওয়ালা খাবার, তৈলাক্ত খাবার ত্যাগ করুন। কোনভাবেই দুশ্চিন্তা করবেন না দুশ্চিন্তা পাইলসের সমস্যা  বাড়ানোর একটি কারণ, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, প্রতিদিন কিছুক্ষণ হাটা পাইলসের জন্য বড় একটি ব্যায়াম।

আশা করি আজকের আর্টিকেলে পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ সম্পর্কিত বিস্তারিত বোঝাতে পেরেছি। ধন্যবাদ।

পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর / FAQ

১। পাইলস অপারেশনের পর রক্তপাত বন্ধ করার উপায়?

উত্তরঃ একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন বা গজ মলদ্বারের খোলার উপর পরা যেতে পারে যাতে আন্ডারক্লোথিং পরিষ্কার থাকে । যদি জমাট বাঁধার সাথে দীর্ঘস্থায়ী বা প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় তবে একবারে অফিসে কল করুন। কিছু রোগীর অস্ত্রোপচারের শেষে মলদ্বারে একটি প্যাকিং স্থাপন করা হবে। পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ এর বিকল্প চিকিৎসা।

২। পাইলস রোগ কি?

উত্তরঃ পাইলস, ববাশির বা অর্শ্বরোগ কি! আমাদের নিম্ন মলদ্বারের শিরা ফুলে যাওয়া এবং তৎসম্মন্ধিত বিভিন্ন শারীরিক জতিলতা কে পাইলস বা অর্শ্বরোগ বলে। শিরার এই ফুলে যাওয়া মলদ্বার বা পায়ুর ভিতরে (ইন্টারনাল ) এবং বাইরে (এক্সটারনাল) – দুই জায়গাতেই হতে পারে।

৩। পাইলস কত প্রকার?

উত্তরঃ পাইলসের প্রকারভেদ (হেমোরয়েডস) হেমোরয়েডগুলিকে চারটি প্রধান প্রকারে বিভক্ত করা যেতে পারে: অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েড, প্রল্যাপ্সড হেমোরয়েড, বাহ্যিক হেমোরয়েড এবং থ্রম্বোজড হেমোরয়েড।

আরও পড়ুন- 

চর্মরোগ থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিন

Leave a Comment