পাইলস এর প্রাথমিক চিকিৎসা piles er prothomik cikitsha

পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ

আজ খুব জরুরী একটি  বিষয় নিয়ে কথা বলব আপনাদের সাথে। সে বিষয়টি হলো পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ। পাইলস এর চিকিৎসা ও ঔষধ নিয়ে বিস্তারিত কিছু আলোচনা করব কিছু জানা অজানা কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। তো চলুন আজকের আলোচনাটি শুরু করা যাক। মোটামুটি আমরা সবাই জানি যে পাইলস কি তার পরেও একটু সহজ করে বুঝিয়ে বলিআবন

মলদ্বারের খুব জটিল কিছু রোগের মধ্যে পাইলস ফিস্টুলা এনাল ফিসার অন্যতম।   অনেকের ধারণা এই তিনটি রোগ হয় তো একই, যা সম্পূর্ণ ভুল।  প্রায় সময় মলদ্বার থেকে রক্ত যায় এ রোগে।  কখনো কখনো বেশি পরিমাণে এবং কখনো কিছুটা কম। 

বিশেষ করে এবং তাকে সময় অনেকের মলদ্বার দিয়ে রক্ত ঝরে মলদ্বার ফুলে ওঠে আবার অনেক সময় দেখা যায় কিছুটা মাংস পেয়েছি বাহিরের দিকে ঝুলে পড়েছে যা আপনি হাতের আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিয়ে আবার ভিতরে ঢুকিয়ে দিতে পারবেন।



 ভুল চিকিৎসা হতে সাবধান

পাইলস রোগ নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন বিভ্রান্তি কাজ করে।  এর আবার বেশ কিছু কারণ আছে। অপচিকিৎসা অপপ্রচার কুসংস্কার অজ্ঞতা এ রোগের বিভ্রান্তি থেকে আরও বাড়িয়ে দেয়।  আসলে আমরা চাই সুস্থ স্বাভাবিক এবং কষ্ট মুক্ত চিকিৎসা। তাই আজ জানব, পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ সম্পরকে।

আমাদের কষ্টটুকু কমানোর জন্য আমরা দেখা যায় অনেক সময় ডাক্তারের কাছে না যে যার চিকিৎসা সহজ মনে  হয় তার কাছে যাই, এতে কতটুকু আমাদের রোগটা কমে তা আমার জানা নেই তবে এতে ইনফেকশনের ঝুঁকি থেকে যায় এবং মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আক্রান্ত রোগী।

এ ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক বিশেষজ্ঞ আছেন যারা নিজেকে পাইলসের বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করেন আসলে তারা চিকিৎসকই নন।  দুঃখজনক হলেও সত্যি এরমধ্যে কে কেউ মূর্খ এবং চিকিৎসা জ্ঞানের ন্যূনতম জ্ঞান টুকুও তাদের মত নাই। 

এনাদের বোকামির মাশুল দিতে হয় রোগীদের, এনাদের ভুল চিকিৎসার কারণে অনেক সময় রোগীরা আরো বড় মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হন এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকি পর্যন্ত থাকে। মনে রাখবেন কোন কোন  চিকিৎসক দ্বারা রোগীর রোগ নিরাময় না করতে পারলেও রোগী চিকিৎসকের দ্বারা কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম সময় থাকে।


আরও পড়ুনঃ মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা


অর্শরোগ/পাইলস কি?

অস্বাভাবিক জৈব রাসায়নিক পরিবর্তন দ্বারা সৃষ্ট অতিরিক্ত মাংসপেশি যা মলদ্বারের ভেতরে বা বাইরে মাংসপেশির মধ্যে হয়ে থাকে, তাকেই আমরা পাইলস বলে থাকি। অসস্তি কোমরে ব্যথা খাদ্যে অরুচি মলদ্বারে ব্যথা এবং মলদ্বার ফোলা জ্বালা-যন্ত্রণা টানাটানি অনিদ্রা সহ আরো বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে পাইলসের সমস্যা থাকলে।  

আপনার শরীর যদি কষা হয়ে কষ্টকাটিন না দেখা দেয় তাহলে এই যন্ত্রটি আরও তীব্রতর হয়ে ওঠে।  মলদ্বারের ভেতরে হেমোরয়েড নামক রক্তনালীতে কখনো কখনো স্ফীতি ঘটে।  এই হেমোরয়েড আবার মলত্যাগের সময় চাপ প্রয়োগ করলে ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বা ফেটে যায়, তখন শুরু হয় রক্তক্ষরণ।  বেশিরভাগ সময় দেখা যায় কষা পায়খানা হলে এর জ্বালা যন্ত্রণা আরও বেড়ে যায়।  মাত্রা অতিরিক্ত রক্তপাত যখন হয় তখন রোগীর শারীরিক এবং মানসিক ভাবে যথেষ্ট ভেঙ্গে পড়ে।  আবার অনেক সময় রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে।

অর্শরোগ/পাইলস এর কারণ

 চলুন জেনে নেওয়া যাক পাইলস রোগের কারণ কি।  সর্বপ্রথম বলি অনিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন যারা করেন তারাই এই রোগের বেশি ভোগেন,  অতিরিক্ত বেশি বাহিরের খাবার খাওয়া যেমন ভাজাপোড়া তৈলাক্ত খাবার গ্রহণ আবার অনেকের মদ্যপানের নেশার কারণে এ রোগে ভুগতে পারেন।

আবার কেউ কেউ কিছু বদভ্যাসের কারণে ও পাইলস রোগ হতে পারে যেমন হাতের আংগুল দিয়ে মলদ্বারের মল পরিষ্কার করার চেষ্টা,  গর্ভকালীন সময়ে মহিলারা মলদ্বারে অধিক চাপ দিয়ে মলত্যাগ করে বা করার চেষ্টা করেন,  বিশেষ করে আমাশয় কোষ্ঠকাঠিন্য গুড়া কৃমি যকৃতের গোলযোগ যান্ত্রিক গোলযোগ  এই সকল বিষয় ও পাইলস রোগের জন্য দায়ী।  অনেক সময় দেখা যায় বংশগত কারণেও পাইলস হতে পারে।

 মনে রাখবেন যে কোন বয়সের মানুষই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে ২৫ বছরের বেশি মানুষের মধ্যে এ রোগের বিস্তার বেশি করে।  মহিলাদের থেকে পুরুষের ফিস্টুলা বেশি হয়।  এতে ঘাবড়াবার কিছু নেই আক্রান্ত হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

 ঘরোয়া উপায়ে অর্শরোগ এর চিকিৎসা ঔষধ

প্রাথমিক অবস্থায় পাইলস রোগটি কিছু পরামর্শ মেনে চললেই ভাল হয়ে যাওয়া সম্ভব।  তাই নিজের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রা পরিবর্তন করে ফেলুন।  এলার্জি হয় এমন খাবার, গুরুপাক খাবার, তেল, ঝাল ভাজাপোড়া, এমন খাবার পরিহার করুন মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা একেবারেই ছেড়ে দিন। 

বিশেষ করে যাদের ফিস্টুলা রোগ আছে বা যাদের বংশে পাইলস ফিস্টুলা রোগ আছে তারা গরুর মাংস খাওয়া সম্পূর্ণভাবেই বন্ধ করে দিন।  পাইলস রোগে আক্রান্ত রোগীদের সাইকেল চালানোটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।  আপনার শরীর থেকে রক্তপাত হচ্ছে এই অবস্থায় কোনোভাবেই দীর্ঘ পথে ভ্রমণ করবেন না,  মাত্রা অতিরিক্ত পরিশ্রম এবং খেলাধুলা এই সময় বন্ধ রাখুন। 

যতটুকু সম্ভব বিশ্রামে থাকুন এবং নরম জাতীয় খাবার খান।  যাতে কোনোভাবেই আপনার পায়খানা কষা বা কোষ্ঠকাঠিন্য না হয়।  তা না হলে যন্ত্রণা কমবে না বরং আরো বেশী খারাপ অবস্থা হয়ে যেতে পারে।  মাছ মাংসের তুলনায় শাকসবজির থেকে বেশি মনোযোগ দিন। 

পর্যাপ্ত পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন যেমন ঘুম থেকে উঠে দুই গ্লাস পানি খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস করুন।  ইসুবগুলের ভুষি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন গরম দুধের ভিতর ২ চা চামচ ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে অতএব দুধ না থাকলে পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।

সঠিক সময়ে রোগটি নির্ধারিত হলে একটি সুষ্ঠু চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব, এবং এতে রোগী দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে পারে।  কারণ পাইলসের বেশিভাগ চিকিৎসা পদ্ধতি গুলি হয় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি।


আরও পড়ুনঃ কাঠবাদাম এর উপকারিতা


পাইলসের চিকিৎসা ঔষধ এবং এর প্রতিকার কি?

পাইলস রোগের সবচেয়ে বড় সমস্যার মধ্যে একটি  হল আমরা এই  রোগটি সম্পর্কে ভুল বিভ্রান্তি থাকার কারণে বিভিন্ন সময়ে প্রতারণার শিকার হয়ে যাচ্ছি। কোলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক বৃহদন্ত্র ও পায়ুপথ সার্জারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক  যিনি কিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক অধ্যাপক পাইলস রোগ নিয়ে বিশেষ আলোচনা করেছেন।

 তিনি খুব দুঃখের সাথে জানিয়েছেন যে মলদ্বারে বিষাক্ত কেমিক্যাল ইনজেকশন দিচ্ছে অনেকেই না জেনে যার কারণে ব্যথা হয় মলদ্বারে আশেপাশে পচন ধরে এবং রোগীর দুঃখ-দুর্দশা সহ্য করতে হয় চরমভাবে, যা কিনা এই রোগের সঠিক সমাধান নয়।

এর ফলাফল এতটাই ভয়াবহ যে, কারো মলদ্বার সরু হয়ে যা্ওয়া এবং বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।  মলত্যাগের সঠিক পথ মলদ্বার বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বিকল্প পথ হিসেবে ব্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয় যেটা খুবই দুঃখজনক এবং কষ্টদায়ক ও বটে। 

আরও দুঃখজনক ব্যাপার হলো কিছু কিছু হাতুড়ে ডাক্তার বিষাক্ত কেমিক্যাল পাউডার ব্যবহার করেন মলদ্বারে লাগানোর জন্য এতে মলদ্বারে ঘা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং রোগীর এক খুবই খারাপ পরিণতি হয়।  বিনা অপারেশনে পাইলস  ভালো করার উপায় এই কথাটি শুনলেই রোগীরা দৌড়ে তার কাছে যান যিনি অপারেশন ছাড়া এই অসুখটি ভালো করতে পারেন এবং এর সাথে সাথে শিকার হন ভুল চিকিৎসার।

পাইলসের কিছু সঠিক চিকিৎসা

এখন পাইলস চিকিৎসা অনেক উন্নত হয়েছে লেজার সার্জারির মাধ্যমে ও খুব ভালো পাইলসের চিকিৎসা করা সম্ভব। তবে একথা সত্য যে পাইলসের যেভাবে অস্ত্রোপচার করা হয় সে ক্ষেত্রে লেজার সার্জারির মত ব্যয়বহুল অপারেশন করাটাও অনেকের ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়, লেজার সার্জারি ছাড়াও অন্যান্য অবস্থায় মোবাইল সার্জারি করা হয় সেটাও সম্পূর্ণ ক্ষতি মুক্ত বলেই জানা যায়।

এটি মোহাম্মদ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যে লেজারের মাধ্যমে পাইলস চিকিৎসায় কোন বেশি সুবিধা নেই বা অতিরিক্ত কোন সুবিধা পাওয়া যায় না নরমাল অপারেশনের তুলনায়।  কোনরকম কাটাছেঁড়া ছাড়াই রিংলাইগেশন এবং লোরান অপারেশন  এর মাধ্যমে ১০০%  রোগী মলদ্বারের চিকিৎসা সম্ভব করা  যাচ্ছে, এতে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা একেবারে নেই বললেই চলে।

কিছু অপারেশনে মলদ্বারের তিনটি মাংসপিণ্ড কাটতে হয়। যারা  রিংলাইগেশন জন্য উপযুক্ত নয় এবং     লোরান অপারেশন  এর যন্ত্র কিনতে অক্ষম শুধু তাদের জন্যই এই অপারেশন করা হয়।

প্রচলিত অপারেশনের মতোই লেজার সার্জারি।  লেজার সার্জারিতে  আলোক রশ্মী  দিয়ে কাটা হয় এবং সাধারণ সার্জারিতে সার্জিক্যাল নাইফ দিয়ে কাটা হয় এতটুকুই পার্থক্য।  সাধারণ অপারেশনের মতোই লেজার সার্জারিতে ও তিনটি জায়গায় কত হবে। সাধারণ অপারেশনের মতোই লেজার অপারেশনের ব্যথা হয় এবং ঘা শুকাতে ও ১-২ মাস লেগে যেতে পারে।  লেজার অপারেশনের যে জটিলতা নেই তা নয় সাধারণ অপারেশনের মতই লেজার অপারেশনের বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে।

 পাইলসের চিকিৎসার জন্য আরও যে যে পদ্ধতি রয়েছে তা একবার জেনে নেই। যেমনঃ-

  •  ইনজেকশন,
  •  রিংলাইগেশন,
  •  ইলেকট্রোকোয়াগুলেশন,
  •  আল্ট্রয়েড, ক্রায়োথেরাপি,
  •  ইনফ্রারেড ফটোকোয়াগুলেশন, 
  • এনাল ডাইলেটেশন,
  •  লেজার থেরাপি,
  •  প্রচলিত অপারেশন এবং লংগো অপারেশন।

সার্জনদের মতামত অনুসারে এবং প্র্যাকটিস বিবেচনা করলে যে তিনটি পদ্ধতি বেশি প্রচলিত তা হচ্ছে। রিংলাইগেশন, লংগো অপারেশন ও প্রচলিত অপারেশন। রিংলাইগেশন ও লংগো অপারেশনে ৯০-৯৫% পাইলসের রোগী মলদ্বারে কোনরকম কাটাছেঁড়া ছাড়াই এই রোগের সমাধান করা সম্ভব।


আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা


পাইলস কোন অবস্থায় থাকলে হোমিওপ্যাথির মাধ্যমেও চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব

অনেক সময় দেখা যায় অনেক পাইলস বড় এবং বাহিরে বেশি বেরিয়ে এসেছে সেই সময়ও হোমিওপ্যাথির মাধ্যমেও কিছুটা আশানুরূপ ফল পাওয়া সম্ভব।  হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার কারণে আমরা অনেক সময় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কে  তেমন গ্রাহ্য দেই না, অনেক সময় দেখা যায় অনেক বড় বড় অসুখ হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে ভালো করা সম্ভব।

আবার এদিকে অপারেশন করলেও মলদ্বারের চতুর্দিক থেকে কিছু অংশও মাংস কেটে ফেলতে হয়। এতে মলদ্বারে প্রচন্ড ব্যথা হয় এবং মলত্যাগের সময় প্রচন্ড কষ্ট হয়।  অনেক সময় দেখা যায় দীর্ঘদিন যাবৎ কিছুটা রক্ত এবং পুঁজ বের হতেই থাকে।  এদিকে যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তারা পারতপক্ষে অপারেশন তাকে এড়িয়ে চলেন, কেননা তাদের ক্ষতস্থান শুকাতে অনেক দেরি হয়।

সেক্ষেত্রে বলা চলে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য অপারেশন ছাড়া হোমিওপ্যাথি একটি ভালো চিকিৎসা।  অফার জানার পরেও অনেক সময় মলদ্বারে ছোট ছোট সংকুচিত হয় যা জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।  প্রবল সম্ভাবনা থাকে পায়খানা আটকে রাখার ক্ষমতা কে হারিয়ে ফেলা। ভালো হোমিও চিকিৎসক পারেন পাইলস রোগের আরোগ্য লাভ সম্ভব করতে। 

একজন হোমিও চিকিৎসক রোগীর শারীরিক মানসিক ও দৈহিক সহ সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করেই ঔষধ নির্বাচন করেন এবং এটি আশানুরূপ ফল প্রদান করে, যদিও এটি দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা। সেক্ষেত্রে কিছু কার্যকরী হোমিও ওষুধের নাম বলব।

  • নাক্স ভূমিকা,
  •  সালফার, 
  • পডোফাইলাম,
  •  পালসেটিলা,
  •  ইস্কিউলাস,
  •  কলিনসোনিয়া, 
  • কার্বোভেজ, 
  • কলিনসোনিয়া, 
  • হ্যামামেলিস, 
  • অ্যাসিড মিউর,
  •  অ্যালো, 
  • ইগনেসিয়া,
  • হ্যামামেলিস,
  •  পিওনিয়া,
  •  এব্রোটেনাম, 
  • ক্যাপসিকাম, 
  • এসিড নাইট্রিক, 
  • এমন কার্ব, 
  • আর্সেনিক এল্ব,
  •  একোনাইট ন্যাপ,
  •  ইস্কুইলাস হিপ, 
  • এসিড মিউর, 
  • এমন মিউর, 
  • প্লান্টেগো,
  •  ক্যালিকার্ব, 
  • এন্টিম ক্রড,
  •  হিসার সালফ,
  •  লাইকোপডিয়াম  

হোমিওপ্যাথি ওষুধ গুলো খুব সফল ভাবেই অর্শরোগ এর ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। যে কোন ওষুধের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনই গ্রহণ করবেন না। পাইলসের খুব মারাত্মক অবস্থা দেখা দিলে  তখন আরহোমিওপ্যাথি খাবার সিদ্ধান্ত না নিয়ে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি

অর্শরোগ এর চিকিৎসা  ওষুধ নিয়ে শেষ কিছু কথা

সব সময় পেট পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবেন পায়খানা নরম হয়। এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।  শাকসবজি ,আঁশ জাতীয় খাবার ,ফলমূল বেশি খাবেন এবং ইসবগুলের সরবত খাওয়ার চেষ্টা করবেন।  প্রতিদিন অন্তত  ৬ থেকে ৮  গ্লাস পানি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। 

ভাজাপোড়া ,গুরুপাক খাবার, বেশি ঝাল মসলা ওয়ালা খাবার, তৈলাক্ত খাবার ত্যাগ করুন। কোনভাবেই দুশ্চিন্তা করবেন না দুশ্চিন্তা পাইলসের সমস্যা  বাড়ানোর একটি কারণ, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, প্রতিদিন কিছুক্ষণ হাটা পাইলসের জন্য বড় একটি ব্যায়াম।]

তাহলে আজ আমরা জানলাম, পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ সম্পকে আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি  পরে অনেক উপকিত হয়েছেন। এর আমাদের পাসে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ…।

 

আরও পড়ুন- 

সর্দি কাশি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।