হরমোন কি? হরমোনের সমস্যা বোঝার উপায়

হরমোন কি

আমরা হরমোনের সমস্যা বুঝতে না পারার কারনে অনেক সমস্যায় পড়ি যার জন্য আমাদের জানা উচিৎ হরমোন কি? হরমোনের সমস্যা বোঝার উপায় সম্পর্কে। বয়স যত বাড়তে থাকে শারীরিক জটিলতা গুলো আস্তে আস্তে বেড়ে যায়।

আর এর অন্যতম কারণ হচ্ছে হরমোন সমস্যা।  আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের হরমোন গুলো পরিবর্তন হতে থাকে, অন্তক্ষরা গ্রন্থি  থেকে নিঃসরণ হয় তাহাই হরমোন। আমরা হরমোনের সমস্যা বোঝার উপায় জানিনা বলেই নিজের অজান্তে অনেক রোগ আমাদের শরীরে খুব সহজেই বাসা বাঁধে।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরে থাকা  হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তবে তুলনামূলক ভাবে মেয়েদের শরীরে হরমোনের পরিবর্তন  বেশ লক্ষণীয়। অনেক সময় দেখা যায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ  বছরের মহিলাদের হরমোনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আমরা কি জানি হরমোন কি? হরমোন কেন হয়। এবং কত জটিল জটিল কাজকর্ম চলে আমাদের শরীরের মধ্যে? আমরা কিন্তু কখনোই এগুলো চিন্তা করে দেখি না। এই সবকিছুই হয় আমাদের হরমোনের কারণে। অন্তক্ষরা গ্রন্থি  থেকে নিঃসরণ হয় হরমোন।

আজকের আর্টিকেলে হরমোন কি, হরমোন সমস্যা কেন হয়, টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

হরমোন কত প্রকার ও কি কি

হরমোন কি hormone ki
হরমোন কি

হরমোন কি জানার সাথে সাথে হরমোন কত প্রকার জানতে হবে। মানবদেহে বিভিন্ন ধরণের হরমোন রয়েছে, যাদের প্রধান শ্রেণীগুলি হল:

  • পেপটাইড হরমোন
  • স্টেরয়েড হরমোন
  • অ্যামাইন হরমোন
  • ইকোসানয়েড
  • পলিপেপটাইড হরমোন

এই প্রধান শ্রেণীগুলি ছাড়াও আরও অনেক ধরণের হরমোন রয়েছে। প্রতিটি হরমোনের নিজস্ব নির্দিষ্ট কাজ এবং প্রভাব রয়েছে, এবং তারা একসাথে কাজ করে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

হরমোনের সমস্যা হলে কি কি লক্ষণ দেখা যায়

হরমোন কি ও হরমোনের সমস্যার লক্ষণ সম্পর্কে জানতে হবে।

পুরুষদের ক্ষেত্রে

  • লিবিডো হ্রাস: যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া।
  • ক্ষুধা পরিবর্তন: অতিরিক্ত খাওয়া বা ক্ষুধা হ্রাস।
  • ওজন পরিবর্তন: ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস।
  • মানসিক সমস্যা: বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, চিড়চিড়ে ভাব।
  • শক্তি হ্রাস: দুর্বলতা, ক্লান্তি।
  • ঘুমের সমস্যা: ঘুমাতে অসুবিধা বা অতিরিক্ত ঘুম।
  • স্পার্মের সংখ্যা কমে যাওয়া: বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে।
  • মাসপেশী হ্রাস: পেশীবহুলতা হ্রাস।
  • হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া: অস্টিপরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • চুল পড়া: মাথার চুল পাতলা হয়ে যাওয়া।

মহিলাদের ক্ষেত্রে

  • অনিয়মিত মাসিক: মাসিকের সময়কাল, প্রবাহ বা অনিয়মিততার পরিবর্তন।
  • প্রি-মেস্ট্রুয়াল সিনড্রোম (PMS): বিষণ্ণতা, মাথাব্যথা, ফোলাভাব, ব্রণ, চিড়চিড়ে ভাবের মতো লক্ষণগুলি।
  • মেনোপজের লক্ষণ: গরম ঝড়, ঘাম, রাতের বেলা ঘুমের সমস্যা, যোনিশুষ্কতা, মেজাজের পরিবর্তন।
  • বন্ধ্যাত্ব: গর্ভধারণে অসুবিধা।
  • অস্টিওপরোসিস: হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া।
  • পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS): অনিয়মিত মাসিক, অতিরিক্ত পুরুষ হরমোন, অতিরিক্ত চুলের বৃদ্ধি, ব্রণ।
  • এন্ডোমেট্রিওসিস: জরায়ুর আস্তরণের টিস্যু শরীরের অন্যান্য অংশে বৃদ্ধি পেলে ব্যথা, বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বৃদ্ধি।

উভয় লিঙ্গের জন্য

  • চুল পড়া: মাথার চুল পাতলা হয়ে যাওয়া।
  • ত্বকের সমস্যা: শুষ্ক ত্বক, ব্রণ, ত্বকের রঙ পরিবর্তন।
  • ক্লান্তি: দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি বা দুর্বলতা।
  • মনোযোগের সমস্যা: মনোযোগ ধরে রাখতে অসুবিধা।
  • স্মৃতিশক্তি হ্রাস: জিনিস মনে রাখতে অসুবিধা।
  • মানসিক সমস্যা: বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, চিড়চিড়ে ভাব।

মেয়েদের হরমোনের সমস্যা বোঝার উপায়

হরমোন কি? মেয়েদের হরমোনের সমস্যা বোঝার উপায়। মেয়েদের হরমোনের সমস্যা বোঝা কঠিন হতে পারে কারণ লক্ষণগুলি বিভিন্ন হতে পারে এবং অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থার সাথে মিল থাকতে পারে।

তবে, কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে যা হরমোনের সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • অনিয়মিত মাসিক
  • অতিরিক্ত রক্তপাত
  • হালকা রক্তপাত
  • মাসিকের সময় ব্যথা
  • মাসিকের সময় বমি বমি ভাব
  • মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া (এমেনোরিয়া)
  • বন্ধ্যাত্ব
  • গর্ভপাত
  • পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS)
  • এন্ডোমেট্রিওসিস
  • মেজাজের পরিবর্তন
  • বিষণ্ণতা
  • উদ্বেগ
  • চিড়চিড়ে ভাব
  • ক্লান্তি
  • ঘুমের সমস্যা
  • মাথাব্যথা
  • যৌন সমস্যা
  • ত্বকের সমস্যা
  • ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস
  • চুল পড়া

যদি আপনি এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি অনুভব করেন তবে আপনার একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত। ডাক্তার আপনার লক্ষণগুলির মূল্যায়ন করতে এবং আপনার হরমোনের সমস্যা আছে কিনা তা নির্ধারণ করতে পরীক্ষা করতে পারেন।

হরমোনের সমস্যা কেন হয়

হরমোন কি? হরমোনের সমস্যা কেন হয় যদি জানতে চায়। হরমোনের সমস্যা হওয়ার অনেক কারণ আছে। কিছু সাধারণ কারণ হল:

জীবনধারার কারণ

  • চাপ: দীর্ঘস্থায়ী চাপ কর্টিসল নামক হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে, যা অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্যহীনতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
  • অস্বাস্থ্যকর খাদ্য: প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাদ্য হরমোনের ভারসাম্যহীনতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • অপর্যাপ্ত ঘুম: ঘুমের অভাব কর্টিসলের মাত্রা বৃদ্ধি এবং অন্যান্য হরমোনের মাত্রা হ্রাস করতে পারে।
  • অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে, যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
  • ব্যায়ামের অভাব: নিয়মিত ব্যায়াম হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।

চিকিৎসাগত অবস্থা

  • থাইরয়েড সমস্যা: হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম উভয়ই হরমোনের ভারসাম্যহীনতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
  • পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS): PCOS হল একটি এমন অবস্থা যা ডিম্বাশয়ে সিস্ট তৈরি করে এবং এটি মাসিক চক্রের সমস্যা এবং প্রজনন সমস্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
  • এন্ডোমেট্রিওসিস: এন্ডোমেট্রিওসিস হল একটি এমন অবস্থা যেখানে জরায়ুর আস্তরণের টিস্যু শরীরের অন্যান্য অংশে বৃদ্ধি পায়। এটি ব্যথা, বন্ধ্যাত্ব এবং অন্যান্য সমস্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
  • মধুমেহ: টাইপ 2 ডায়াবেটিস হরমোনের ভারসাম্যহীনতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির সমস্যা: অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি কর্টিসল এবং অ্যাল্ডোস্টেরন সহ গুরুত্বপূর্ণ হরমোন উৎপন্ন করে। অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির সমস্যা এই হরমোনগুলির মাত্রার ভারসাম্যহীনতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

ওষুধ

  • কিছু জন্ম নিয়ন্ত্রণের ঔষধ: কিছু জন্ম নিয়ন্ত্রণের ঔষধ ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে, যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
  • অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট: কিছু অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট সেরোটোনিন এবং ডোপামিনের মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে, যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
  • স্টেরয়েড: স্টেরয়েডগুলি কর্টিসল এবং অন্যান্য হরমোনের মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে।

টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়

হরমোন কি ও টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় গুলো জানতে হবে।

  • নিয়মিত ব্যায়াম: বিশেষ করে শক্তি প্রশিক্ষণ, টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে।
  • পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতি রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুম টেস্টোস্টেরন মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্য: প্রচুর ফল, শাকসবজি, সারা শস্য এবং লিন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। অস্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। 
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন টেস্টোস্টেরন মাত্রা কমাতে পারে। সুস্থ ওজন বজায় রাখা টেস্টোস্টেরন স্তর উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
  • স্ট্রেস কমান: দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ টেস্টোস্টেরন মাত্রা কমাতে পারে। যোগব্যায়াম, ধ্যান বা গভীর শ্বাসের ব্যায়ামের মাধ্যমে স্ট্রেস কমাতে চেষ্টা করুন।
  • সূর্যের আলো: প্রতিদিন কিছুক্ষণ সূর্যের আলোতে থাকা টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে।
  • পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি: ভিটামিন ডি টেস্টোস্টেরন উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খান বা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন।
  • মদ্যপান ও ধূমপান পরিহার: মদ্যপান এবং ধূমপান টেস্টোস্টেরন মাত্রা কমাতে পারে।
  • টেস্টোস্টেরন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (TRT): যারা নিম্ন টেস্টোস্টেরন মাত্রা নিয়ে লড়াই করছেন তাদের জন্য এটি একটি বিকল্প। TRT বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে ইনজেকশন, জেল এবং প্যাচ।

অন্যান্য ঔষধ

কিছু ঔষধ, যেমন অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট এবং স্ট্যাটিন, টেস্টোস্টেরন মাত্রা কমাতে পারে। আপনার যদি এই ঔষধগুলির কোনটি গ্রহণ করার প্রয়োজন হয় তবে আপনার ডাক্তারের সাথে টেস্টোস্টেরন মাত্রার উপর প্রভাব সম্পর্কে কথা বলুন।

পরিশেষে

পুরুষের তুলনায় নারীরাই হরমোনের সমস্যায় বেশি ভোগেন। কেননা বয়সের সাথে সাথে নারীদের শরীরে বেশকিছু হরমোনের পরিবর্তন হয়। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে থাইরয়েডের সমস্যা সহ  শারীরিক আরো অনেক ধরনের  সমস্যা দেখা দেয়। শুধু নির্দিষ্ট কোনো বয়স নয় যেকোনো বয়সেই হরমোনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে পড়ে আমরা হয়তো এইটুকু জানতে পারলাম যে  হরমোনের সমস্যা বোঝার উপায় কি কি?  আমাদের শরীরে এরকম কোন সমস্যা যদি দেখা দিয়ে থাকে তাহলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রিয় পাঠক আশা করি আপনি হরমোন কি? হরমোনের সমস্যা বোঝার উপায় কি? সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ।

হরমোন কি সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর / FAQ

১। হরমোন বলতে কী বোঝায় / হরমোন কি?

উত্তরঃ হরমোন হচ্ছে এক প্রকার জৈব-রাসায়নিক তরল যা শরীরের কোনো কোষ বা গ্রন্থি থেকে শরীরের একটি নির্দিষ্ট অংশে নিঃসরিত হয় এবং রক্তের মাধ্যমে দূরবর্তী নির্দিষ্ট স্থানে বাহিত হয় এবং কাজ শেষে ধ্বংস হয়ে যায়। হরমোন হল একটি আভ্যন্তরীন উদ্দীপক। হরমোনের মাধ্যমে শরীরের অন্যান্য অংশের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পরিবর্তনের সংকেত পাঠানো হয়।

২। হরমোন কে আবিষ্কার করেন?

উত্তরঃ হরমোন: যে রাসায়নিক বস্তু কোনো কোষে উত্পন্ন হয়ে উত্পত্তিস্থল থেকে বাহিত হয়ে দূরবর্তী স্থানের কোষের কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে তাকে হরমোন বলে। খ. উদ্ভিদে অক্সিনের ভূমিকা: অক্সিন উদ্ভিদের বৃদ্ধি সহায়ক হরমোন। চার্লস ডারউইন এ হরমোন প্রথম আবিষ্কার করেন। হরমোন কি জানাটা প্রয়োজন।

৩। অ্যালডোস্টেরন হরমোন এর কাজ কি?

উত্তরঃ এটি একটি স্টেরয়েড। বৃক্ক, লালা গ্রন্থি, ঘাম গ্রন্থি এবং কোলনে সোডিয়াম সংরক্ষণের জন্য অ্যালডোস্টেরন অপরিহার্য। এটি রক্তচাপ, প্লাজমা সোডিয়াম (Na + ), এবং পটাশিয়াম (K + ) স্তরের হোমিওস্ট্যাটিস নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে।

আরও পড়ুন-

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা

Leave a Comment