ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
বর্তমানে ডায়াবেটিস (diabetes) রোগের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশেপাশের দেখলে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে অন্তত একজন করে ডায়াবেটিসের রোগী পাওয়া যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ডায়াবেটিস এক ধরনের অসংক্রামক রোগ এবং
দিন দিন এই রোগের পরিমাণ মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়ছে। তাই সঠিক নিয়মে খাওয়া দাওয়া খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও এই রোগ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও সিস্টেমকে সংক্রমণ করে থাকে।
তবে সফল ডায়েটের মাধ্যমে এই রোগকে অনেকাংশ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা নির্ধারিত হয় ওজন, বয়স,উচ্চতা, জীবনযাপন পদ্ধতি, কাজের ধরন, আর্থিক অবস্থা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে।
আরও পড়ুনঃ মুখে ব্রণ কমানোর উপায়
টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস কি
টাইপ- ১ ডায়াবেটিস হলো এমন একটি রোগ যা বাচ্চাদের বা অপ্রাপ্তবয়স্কদের ডায়াবেটিস (diabetes)। ইংরেজিতে একে জুভেনাইল ডায়াবেটিস বলে (Juvenile Diabetes)। ডায়াবেটিস রোগের ধরন হলো এটি শরীর থেকে খুব সামান্য কোন ধরনের ইনসুলিন উৎপন্ন করে না
টাইপ-২ ডায়াবেটিস কি
টাইপ টু ডায়াবেটিস মেলিটাস যা ইংরেজিতে Diabetes mellitus type 2 নামেও পরিচিত এবং এটি একটি বিপাকীয় রোগ। এর মাধ্যমে ইনসুলিনের কর্ম ক্ষমতা হ্রাস পায়, রক্তে শর্করার আধিক্য থাকে এছাড়াও শরীরে ইনসুলিনের ঘাটতি ইত্যাদি এই রোগের বৈশিষ্ট্য।
ডায়াবেটিসের রোগীর খাদ্য তালিকা- খাবার
- সুস্থতা, স্বাস্থ্যকর ও সাছন্দ নয় জীবন পেতে যে ধরনের খাবার খাওয়া প্রয়োজন সেগুলি নিচে উল্লেখ করা হলো :
- লাল চাউলের ভাত, লাল আটার রুটি যা শ্বেতসার যুক্ত খাবার।
- শাকসবজি ও ফলমূল প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, মাংস, ডাল, মাছ, বাদাম ইত্যাদি দুগ্ধজাত জাতীয় খাবার যেমন দই, ছানা, পনির এছাড়াও মাখন, তেল, ঘি ইত্যাদি খাবার।
ডায়াবেটিস রোগীরা যেসব শাকসবজি ও ফলমূল খেতে পারেন
- খেজুর, আলুবোখারা ইত্যাদি খাদ্য আপনার দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় রাখুন।
- মটরশুটি, গাজর, সিম, বরবটি খেতে পারেন
- ফুলকপি, ব্রকলি, বাঁধাকপি, লেটুস ইত্যাদি কম শর্করা জাতীয় খাবার খান এতে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
- জাম্বুরা বা বাঙ্গি খেতে পারেন চাইলে এই ফলগুলোর সঙ্গে কিছু টক দই মিশেও খাওয়া যেতে পারে।
- এছাড়াও এভোকেড, বরইসহ বিভিন্ন বেরি জাতীয় ফল খেতে পারবেন।
ডায়াবেটিস রোগীরা যেসব ফল খাবেন না
কিছু খাবার রয়েছে যা ডায়াবেটিস (diabetes) রোগীদের মারাত্মক ক্ষতি করে। যে ফলগুলি রোগীর শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তোলে সেসব ফল অবশ্যই ডায়াবেটিস রোগীদের এড়িয়ে চলতে হবে। ফলগুলি হল আঙ্গুর, তরমুজ, আম, কলা, আনারস ইত্যাদি।
কিভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে ডায়াবেটিস
এখন আমরা জানবো একজন পুষ্টিবিদ এর মতামত যেভাবে খাবার খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসবে –
ডায়াবেটিস (diabetes) রোগের প্রধান চিকিৎসা হল রক্তের শর্করার পরিমাণ কমিয়ে আনা। এতে অন্যান্য সব জটিলতার সম্ভাবনা কমে যায়। ইনসুলিনের ওপর নির্ভর না হয়ে ডায়াবেটিস (diabetes) রোগীর উত্তম উপায় হলো খাদ্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে চিকিৎসা নির্ভর হওয়া। এজন্য ডায়াবেটিস (diabetes) রোগীর খাদ্য তালিকা সুষম হতে হবে। যেসব ব্যক্তিরা মাঝারি শ্রমে নিয়োজিত তাদের প্রতি কেজি ওজনে ৩০ ক্যালরি খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। শর্করাযুক্ত খাবার খেতে হবে যা মোট ক্যালরির ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। শর্করা জাতীয় খাবার যেমন ঢেঁকি ছাটা চাল, ভূসিসহ আটা, বাদাম, শিমের বিচি, ছোলা ইত্যাদি খাবার নির্বাচন করা উচিত।
আরও পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা জানা জরুরী
সারাদিনের খাবার তিন ভাগ করা লাগবে। খাবার পাঁচ ভাগের এক ভাগ খেতে হবে সকালের নাস্তায়, দুপুরে দুই ভাগ এবং রাতে দুই ভাগ। এছাড়াও এগারোটা ও বিকেল চারটায় হালকা নাস্তা করা যায়। টাটকা খাবার সঙ্গে কিছু ফল রাখতে হবে। বিশেষ করে কামরাঙ্গা, আমড়া, জাম্বুরা ইত্যাদি ফল দৈনিক দেড়শ থেকে দুইশো গ্রাম পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে। কারণ এই ফলগুলোতে তেমন ক্যালরি থাকে না। ডায়াবেটিস (diabetes) রোগীদের মধু, মিষ্টি, গুড়, দুধের সর, আইসক্রিম, পেস্ট্রি, মিষ্টি বিস্কুট, মিষ্টি দই, গলদা চিংড়ি, পাকা কলা, আঙুর, আখের রস ইত্যাদি খাওয়া উচিত নয়। তবে নোনতা বিস্কুট, বাদাম, নুডুলস, চরবিহীন মাংস, ননীতলা দুধ, ছানা ও ডিম ইত্যাদি খাবার খাবেন।
সকালের নাস্তায় তিনটি ছোট ও পাতলা আটার রুটি বা পাউরুটি খাওয়া যেতে পারে। এর সঙ্গে একটি ডিম, এক বাটি ডাল, সবজি ও ফল খেলেন। দুপুরে অল্প ভাতের সঙ্গে মাছ বা মাংস সবুজ সবজি সঙ্গে ইচ্ছামত সালাত ও লেবু খেতে পারেন। বিকেলের নাস্তায় এক কাপ দুধের সঙ্গে ৩০ গ্রাম যেকোনো ধরনের বাদাম খেতে পারেন। রাতের খাবারেও চারটা আটার রুটি বা এক টুকরো মাছ আর সবজি ইচ্ছামতো খাবেন।
ডক্টর জাহাঙ্গীর কবিরের কিটো ডায়েট চার্ট
শরীরের ওজন, মেদ বা চর্বি কমানোর জন্য ডায়েটিং বা ব্যায়াম সহ চেষ্টার অন্ত থাকে না। কিন্তু ফলাফল পাওয়া যায়? এ সকল সমস্যা সমাধান করতে ডক্টর জাহাঙ্গীর কবিরের একটি জনপ্রিয় ও সফল ডায়েটিং পদ্ধতি রয়েছে। এই ডায়েটিং পদ্ধতির মাধ্যমে খুব কম সময়ে সফল হয়েছেন। এই ডায়েটিং পদ্ধতিটি হল কিটো ডায়েট যার অর্থ সুপার লো-কার্ব ডায়েট। এই ডায়েটের মাধ্যমে কার্ভো এক্সট্রিম লেভেল অল্প থাকবে, প্রোটিন মিড লেভেল ও ফ্যাট থাকবে হাই। সাধারণ যেগুলো ডায়েট রয়েছে সেগুলোতে প্রোটিন থাকে ২০%, ফ্যাট ৩০% পার্সেন্ট ও কার্বোহাইড্রেট ৫০%। কিন্তু কিটো ডায়েটে টোটাল ক্যালরির কার্বোহাইড্রেট থাকে ৫ %, প্রোটিন ২৫ % ও ফ্যাট থাকে ৭০%। এখন জেনে নেব ডক্টর জাহাঙ্গীর কবিরের ডায়েট চার্ট থেকে ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা যেমন হয় :
ডায়াবেটিস রোগী যা খাবেন –
- যেকোনো ধরনের সবুজ শাকসবজি যেমন গাজর, পালং শাকসবুজ মিষ্টি কুমড়া তবে অল্প পরিমাণে।
- টক জাতীয় যেকোনো ফল যেমন আমলকি,জলপাই, বরই কচি ডাবের পানি ইত্যাদি।
- গরু এবং খাসির মাংস তবে যে সব গরু বা খাসি ইনজেকশন মুক্ত।
- যে কোন প্রকার মাছ খেতে পারেন তবে সামুদ্রিক মাছ বা তৈলাক্ত মাছ হলে বেশি ভালো হয়। এছাড়াও দেশী তৈলাক্ত মাছ যেমন পাঙ্গাস, বোয়াল, ব্রিগেড, সরপুটি, বাইম ইত্যাদি খাওয়া যায়।
- যেকোনো প্রকারের বাদাম খেতে পারবেন। কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম, চিনা বাদাম ইত্যাদি একসঙ্গে ব্লেন্ড করে এক্সট্রা ভার্জিন কোল্ড প্রেসড কোকোনাট অয়েল দিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও পিনা বেটার খেতে পারেন অল্প পরিমাণ।
- মুরগির ডিম অবশ্যই খাবেন ফার্মের হলেও সমস্যা নেই। দেশি মুরগি বা হাঁসের ডিম হলে বেশি ভালো হয়। এছাড়াও মাছের ডিম খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- চা বা কফি খেতে পারেন তবে সেটি দুধ ও চিনি ছাড়া। এছাড়াও লেবু, আদা ও সামান্য লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন।
ডায়াবেটিস হলে যে খাবার খাওয়া যাবেনা –
- চালের তৈরি কিছু খাওয়া যাবে না যেমন চাউলের রুটি, ভাত ইত্যাদি।
- ডাল খাওয়া উচিত নয়।
- শর্করা যুক্ত খাবার যেমন মিষ্টি আলু মূলা হ্যালো ইত্যাদি খাওয়া যাবে না।
- চিনি দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়া যাবেনা।
- দুধের তৈরি খাবার মালাই দ্ টক দই ইত্যাদি,।
- গমের তৈরি খাবার যেমন রুটি, পাউরুটি, বিস্কুট যে কোন প্রকার গমের তৈরি অন্য খাবার।
- যেকোনো প্রকারের মিষ্টি ফল ও মধু খাওয়া যাবে না।
- যেসব মুরগি বর্জ্য থেকে উৎপাদিত খাদ্য খায়, সয়া খায় অর্থাৎ ফার্মের মুরগি খাওয়া যাবে না।
ডায়াবেটিস হলে খাবার সময়সূচী –
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা হবে রোগীর জীবনযাপন ও রোগের ধরন অনুসারে। এখন আমরা আলোচনা করব ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা অনুযায়ী প্রত্যেক বেলার খাবার কেমন হওয়া উচিত –
- সকালের খাবার – প্রথমে রোগীকে সাপ্তাহিকভাবে করতে হবে। সকালের নাস্তা হবে ডিম এবং সবজি দিয়ে। চাইলে দুই থেকে তিনটি ডিমও খেতে পারে। এতে কোন সমস্যা হবে না। নাস্তার সঙ্গে এক কাপ চা ও খেতে পারেন। তবে সেটি অবশ্যই ও চিনি ছাড়া। সকালে ওষুধ খাওয়া যাবে না।
- দুপুরের খাবার – দুপুরে অল্প পরিমাণে একটু ভাত খেতে পারে। ভাতের সঙ্গে বেশি করে শাকসবজি থাকবে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল দিয়ে রান্না করতে হবে। ভাত কম কিন্তু সবজি বেশি খেতে হবে। সঙ্গে মাছ ,সালাদ, গাজর, মাছের তেল খেতে পারেন। দুপুরে ওষুধ চলমান থাকলে এক বেলাই খাওয়া যাবে। তবে চেষ্টা করতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাদ দিতে।
- নাস্তা – বিকেলে শুধু আপনার নাস্তা হবে মাখন এবং বাদাম।
- রাতের খাবার – অবশ্যই সন্ধ্যা সাতটা থেকে আটটার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। রাতে রুটি বা ভাত খাওয়া যাবেনা। খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে সবজি এবং সালাদ। কয়েক টুকরো মাছ অথবা অল্প পরিমাণে মাংস।
নিয়মমাফিক আপনি গ্লুকোজ টেস্ট করাবেন এবং ধীরে ধীরে ওষুধ বাদ দিতে হবে। প্রতিদিন ইয়োগা এক্সারসাইজ ও খালি পায়ে হাঁটা আপনার শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর। এরপর ওয়াটার ফাস্টিং করতে হবে যা ক্রমে আপনার খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে নিয়ে আসবে। ওয়াটার ফাস্টিং শুরু করলে ইনসুলিন রেসিসট্রান্ট ঠিক হয়ে যাবে এবং আপনার শরীর ধীরে ধীরে পরিপূর্ণভাবে ফিট হবে। একই সাথে আরও দুটো বিষয় করার চেষ্টা করতে হবে কোয়ালিটি স্লিপ দ্বিতীয়টি হল নামাজ বা ধ্যান।
আরও পড়ুনঃ কমলা খাওয়ার উপকারিতা
যে বিষয়গুলো অবশ্যই মানতে হবে –
- সাতটা থেকে আটটার মধ্যে রাতে খাবার খেয়ে নিতে হবে এবং ১০ টা থেকে ১১ টার মধ্যে ঘুমোতে হবে। কেননা রাত দশটা থেকে দুইটার মধ্যেই শরীরে গ্রোথ হরমোন নিঃসরণ হয় যা ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে।
- ভোরে ওঠার চেষ্টা করতে হবে এবং করে হাঁটতে হবে। ৪০ এর নিচে বয়স হলে জগিং করুন অথবা ৪০ থেকে ৬০ মিনিট জোরে জোরে হাঁটুন। আর যদি চল্লিশের ওপরে বয়স হয় , ৪০ থেকে ৬০ মিনিট হাঁটুন স্বাভাবিক গতিতে।
- দ্বিতীয় ধাপের ডায়েটিং এ শুরু করতে পারেন রোজা দিয়ে। সেক্ষেত্রে সেহরিতে পানি খেতে হবে।
- স্বাভাবিক রোজার মতো যে ভারি খাবার আমরা ইফতারে খাই সেটা করা যাবে না। ইফতারের শুধু বাদাম মাখন সহ সালাদ ও বিভিন্ন ফল। ইফতারের এক ঘন্টার ভিতরে রাতের খাবার খেতে হবে।
- রোজা রাখার ফলে অনেক সময় মাথা ঘুরতে পারে। এ সমস্যা দূর করার জন্য প্রতিদিন লবণ মিশ্রিত পানি খাবেন।
- একটানা যতগুলি রোজা সম্ভব ততগুলি রাখবেন। তবে ৭ দিন পর দুটি দিন বিরতি দিবেন।এই দুই দিনে দুই বেলা খাবার খাবেন চার ঘন্টার ব্যবধানে এবং বাকি সময়টুকু ওয়াটার ফাস্টিং করবেন। যেমন লেবু, গ্রিনটি, লবণ মিশ্রিত পানি ইত্যাদি।
- যাদের একটানা রোজা রাখতে কষ্ট হবে তারা অন্তত সপ্তাহে দুইটি রোজা রাখুন। আর যাদের রোজা রাখতে সমস্যা তারা উপরে উল্লেখিত খাবার গুলো নিয়ম করে খাবেন এবং ফাস্টিং করবেন।
- রান্নায় অবশ্যই সয়াবিন তেল খাবেন না। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করবেন।
- ফাস্টফুড খাবার থেকে দূরে থাকুন।
- মুসলিম হলে বেশি বেশি নফল ইবাদত নামাজ পড়বেন। কেননা ইবাদতের সঙ্গে সঙ্গে আপনার শারীরিক ব্যায়ামও হবে।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় যে ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা অবশ্যই পরিকল্পনা মাফিক হতে হবে। উপরে উল্লেখিত খাদ্য তালিকা অনুযায়ী একজন ডায়াবেটিস (diabetes) রোগী তার খাদ্য তালিকা সাজালে অবশ্যই তিনি খুব দ্রুত ডায়াবেটিস কমাতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন খাদ্য তালিকাটি স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্য দিয়ে পূর্ণ থাকে। আজ এই আর্টিকেলে আমরা চেষ্টা করেছি ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা পরিপূর্ণ কেমন হওয়া উচিত। আশা করি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে ডায়াবেটিস সম্পর্কিত তথ্য দিতে পেরেছি যা আপনার ডায়াবেটিস (diabetes) নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। কেননা আপনার সুস্থতা আমাদের কাম্য।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
১. ডায়েবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকায় কি কি খাবার থাকতে হবে?
উত্তর: ফলমূল, শাকসব্জি, ডিম, মাছ, মাংস ইত্যাদি।
২.ডায়েবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাদ্যতালিকা কি?
উত্তর: কলা, মিষ্টি, মধু, জেলি, পেস্ট্রি, দুধের সর, আইসক্রিম ইত্যাদি।
৩. দ্রুত ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়?
উত্তর: শরীর সচল রাখা, ধূমপান না করা, গ্লুকোজ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখা।
৪. চিনির বিকল্প কি খাবেন?
উত্তর: নাশপাতি, বেরিজাতীয় ফল, ডার্ক চকোলেট ইত্যাদি।
৫. ভাত খেলে কি ডায়েবেটিস বাড়ে?
উত্তর: ভাতে কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালরি রয়েছে যা রক্তে শর্করার পরিমান বাড়ায়।
আরও পড়ুন-
চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
এলার্জি দূর করার উপায় ও ঔষধের নাম