মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়

মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়

আপনি যদি একটি মেয়ে হন তাহলে আজকে আমাদের এই পোষ্টটি  থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ  তথ্য পেতে চলেছেন আপনি। আপনাদের আজ শেখাবো মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়।  যে ব্যায়ামগুলো ঘরে বসেই আপনি করতে পারবেন। তাহলে চলুন ব্যায়াম শেখার পাশাপাশি  কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেই।

দিন যত যাচ্ছে মানুষের ব্যস্ততা ততটাই বাড়ছে, নিজের প্রতি খেয়াল নেওয়ার বিন্দুমাত্র সময় টুকুও যেন আমাদের নেই। আগের যুগের মেয়েরা শুধু ঘর সংসার নিয়ে পড়ে থাকলেও বর্তমানে ছেলেদের পাশাপাশি এখন মেয়েরাও বিভিন্ন কর্মসংস্থানের সাথে জড়িত।

শত  ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও হয়তো নারীরা ছেলেদের মত বাহিরে গিয়ে বা জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করতে পারেনা, কেননা কর্মসংস্থানের পাশাপাশি তাদেরকে সংসার সামলাতে হয়। এদিকে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে মেয়েদের শরীর  বেশ মুটিয়ে যাচ্ছে, ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে, ধীরে ধীরে শুরু হচ্ছে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা। তাইতো আজ  জিজ্ঞেস করছি আছে কি একটু সময় নিজের জন্য আপনার?

আপনার স্ট্রেস দিন দিন যত বাড়বে,নিঃসরণ হবে কর্টিসোল হরমোন তত বেশি। আর আপনার শরীরে যত বেশি কর্টিসোল থাকবে ততবেশি শরীর থেকে সাইটোকাইন  কেমিক্যাল নিঃসৃত হতে থাকবে। এর ফলে আপনার শরীরে ইনফ্লামেশন  বেড়ে যাবে। আর এর সবচেয়ে ক্ষতিকারক দিক হলো আপনার ঠিকমতো ঘুম হবে না, ডিপ্রেশন বেড়ে যাবে, আপনার চিন্তা ভাবনা গুলো এলোমেলো হয়ে যাবে, আপনার রক্তচাপের সমস্যা থাকলে সেটি বাড়বে। আর নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার স্ট্রেস যখন কমতে থাকবে তখন আপনার অ্যাংজাইটি ও কমতে শুরু করবে।

আজকের আলোচ্য বিষয়

আরও পড়ুনঃ দৈনন্দিন জীবনে পানি খাওয়ার উপকারিতা

ওজন কমানোর উপায়

কিছু কিছু ব্যায়াম আছে যা দীর্ঘদিন ধরেই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে আসছে। এই ব্যায়ামগুলো জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হল এই ব্যায়ামগুলো করতে আপনাকে জিমে যেতে হবে না কোনো ট্রেইনারের কাছে ট্রেনিং ও  নিতে হবে না। এবং অল্প দিনের মধ্যে বেশ ভালো একটি ফলাফল বুঝতে পারবেন।  অনেক বেশি সময় ধরে এই ব্যায়ামগুলো করতে হয় না এবং খুব সহজেই এই ব্যায়াম গুলো নিজে নিজেই করা যায়।  আপনি কি জানতে আগ্রহী এগুলো সম্পর্কে? 

কিন্তু যারা ব্যায়াম এ অভ্যস্ত নয়, বা এর আগে কখনো ব্যায়াম করেন নি, তাদের শরীর কিছুটা ব্যথা করতে পারে ব্যায়াম শুরু করলে। তবে এটি স্বাভাবিক ভয় পাওয়ার কিছু নেই।  মনে রাখবেন আপনি যখন ব্যায়াম করবেন তখন খুব ভালো মানের একটি জুতো আপনার প্রয়োজন। তার সাথে আপনাকে কিছু ডায়েট প্ল্যান মেনে চলতে হবে।

মেয়েদের ওজন কমানোর তালিকায় সর্বপ্রথমেই আছে হাঁটা

আপনি যেভাবে হাঁটা চলাফেরা করেন সেই হাঁটার গতি কে একটু বাড়িয়ে দিলেই হয়ে যাবে ব্যায়াম। যে গতিতে প্রতিদিন হাটতেন আজ থেকে চিন্তা করুন তার থেকে একটু জোরে হাঁটার চেষ্টা করবেন, এভাবে ধীরে ধীরে আপনার হাঁটার গতি বাড়িয়ে ফেলুন, এবং তার পাশাপাশি কিছুক্ষণ জগিং করুন। 

প্রথমেই হয়তো এতে আপনার জন্য সম্ভব হবে না, তবে ধীরে ধীরে চেষ্টা করলে অবশ্যই এটি সম্ভব। প্রথমে শুরুর দিকে 20 মিনিট হাঁটুন, কিছুদিন পরে দাঁড়িয়ে আধা ঘন্টা করে দিন। এরপরে যদি পারেন তাহলে ধীরে ধীরে সময়টা আরেকটু বাড়িয়ে দেবেন। এতে আপনার ওজন তো কমবেই সাথে, ফুসফুস দ্বিগুণ শক্তিশালী হবে আগের তুলনায়।

মেয়েদের ওজন কমানোর ব্যায়ামের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে দৌড়ানো

আপনার শরীর যখন কিছুদিনের মধ্যেই হাঁটার রুটিং এর সাথে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে, ঠিক তখনই শুরু করুন হাঁটার মাঝামাঝি কিছুক্ষণ দৌড়ানো।  এর নাম শর্ট ডিসটেন্স দৌড়, হাটার মাঝামাঝি 100 মিটার  দৌড়ানোর চেষ্টা করুন। এর পরে পুনরায় আবার হাঁটা শুরু করুন। কিছুক্ষণ পরে আবার একটু দৌড়ান। এর জন্য একটি ভালো মানের জুতো আপনার জন্য খুবই জরুরী। প্রথমের দিকে 10 মিনিট দৌড়ানো দিয়ে দৌড়ানোর অভ্যাস করে নিন, এরপর আস্তে আস্তে সময় বাড়ান। 

প্রথমের দিকে বেশ কয়েকদিন পায়ে ব্যথা হতে পারে, এতে ভয়ের কিছু নেই। আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করতে থাকুন এতে আপনার শরীর একসময় অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। দীর্ঘদিন এভাবে  দৌড়াতে থাকলে আপনার শরীর এবং পা অধিক শক্তিশালী হবে।

আরও পড়ুনঃ ডুমুর ফল এর উপকারিতা

মেয়েদের ওজন কমানোর ব্যায়ামের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে দড়ি লাফানো

হাঁটা এবং দৌড়ানোর পাশাপাশি দড়ি লাফানো একটি অনেক উপকারী ব্যায়াম এবং এই ব্যায়াম নিয়মিত করতে পারলে শরীর থেকে অনেক তাড়াতাড়ি মেদ ঝরে যায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।প্রতিদিন নিয়ম করে যদি  আপনি ৩০ বার করে মোট ৩ সেট দড়ি লাফান তাহলে আপনি দিনে অন্তত পক্ষে ৫০ থেকে ১০০ ক্যালোরি ক্ষয় করতে পারবেন এবং আপনার পক্ষে এটা করা সম্ভব। 

আপনি এটা নিয়মিত করতে পারলে  আপনার  শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ ঝরে যাবে খুব সহজেই আপনি হবেন সতেজ এবং তরতাজা যার ফলে  আপনি হয়ে উঠবেন প্রাণবন্ত  এবং আপনাকে দেখাবে অনেকটাই স্লিম বা চিকন। এই পদ্ধতিতে  নিয়মিত ব্যায়াম করে আপনি আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ এর পাশাপাশি  অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে নিজেকে করতে পারেন আরো অনেক আকর্ষণীয়  এবং শারীরিক ভাবে ফিট। 

মেয়েদের ওজন কমানোর ব্যায়ামের তালিকায়  চতুর্থ স্থানে আছে  বুকডাউন

পুশ আপ বা বুকডাউন  যাই বলেন  এই ব্যায়ামটি আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে এবং  মেদ ঝরাতে অত্যন্ত কার্যকর ঘরোয়া উপায় এবং নিয়ম মেনে প্রতিদিন সকালে অথবা অবসর সময়ে সেট  করে প্রাথমিকভাবে যদি  আপনি ৯০ বার পুশ আপ করতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরার পাশাপাশি আপনার কাঁধ এবং ট্রাইসেপ হবে শক্তিশালী ।

তবে এই ব্যায়াম শুরু করার আগে আপনাকে কিছু নিয়ম মানতে হবে তাছাড়া যদি ভুলভাবে আপনি  এই ব্যায়াম  শুরু করেন তাহলে এটা আপনার জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে।  এই ব্যায়ামের ক্ষেত্রে  প্রথমেই উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন মাটিতে  তারপর কাঁধের পাশে হাত থাকবে  এবং পা থাকবে জোড়া। 

এবার হাতের উপর ভর দিয়ে শরীরটাকে উপরের দিকে তুলে ধরুন এবং একইভাবে শরীরটাকে মাটির দিকে নামিয়ে আনুন, আবার উপরে তুলুন। পুরো পদ্ধতির সময় নিঃশ্বাস কিছুটা ভিতর দিকে টেনে রাখতে হবে  এর ফলে কাঁধ, ছাতি, পেট আর ট্রাইসেপস যেমন শক্তিশালী হয়ে উঠবে সেই সাথে ঝরে পড়বে শরীরের অতিরিক্ত মেদ এবং কমতে থাকবে আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন।

মেয়েদের ওজন কমানোর ব্যায়ামের তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে ক্রাঞ্চেস

ক্রাঞ্চেস এমন একটি ব্যায়াম যা আপনার  কোর মাসেল কে অত্যন্ত শক্তিশালী করে তোলে যার ফলে আপনার কোমর এবং পেট থেকে খুব তারাতারি  মেদ ঝরে যায় এবং যার ফলে এটা আপনার ওজন কমাতেও অত্যন্ত কার্যকর। এই  ব্যায়াম করতে  আপনাকে মাটিতে টান হয়ে শুয়ে  বা পা ভাজ করে অথবা পুরো পা ছড়িয়ে ও করতে পারেন। তাছাড়া বিছানা বা চেয়ারের উপরে পা তুলে দিয়ে ক্রাঞ্চেস এর অভ্যাস  করতে পারেন।

মেয়েদের ওজন কমানোর ব্যায়ামের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে আছে  স্কোয়াটস

স্কোয়াটস হচ্ছে  উঠ-বস ব্যায়াম। উঠ-বস ব্যায়াম পেটের মেদ ঝরাতে  এবং ওজন কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী এবং শক্তিশালী একটি ঘরোয়া উপায়। আপনি এই ব্যায়ামটি আপনার সুবিধামতো সময়ে যখন তখন  যেকোনো সময় করতে পারেন তবে এ ক্ষেত্রে কিছুটা নিয়ম মানলে খুব তাড়াতাড়ি এর উপকারিতা আপনি পাবেন। 

ব্যায়াম করতে প্রথমে সোজা হয়ে  সামান্য পা ফাক করে দাঁড়ান। এবার শরীরটাকে সোজা রেখে যতটা পারেন নিচে নেমে বসুন  এবং একইভাবে উঠে দাঁড়ান এবং খেয়াল রাখবেন পিঠ যেন বেঁকে না যায়।  নাক দিয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিন এবং তা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন এভাবে একসঙ্গে  টানা ২০ বার উঠ-বস করার চেষ্টা করুন । কিছুটা বিশ্রাম নিন আবার শুরু করুন। দিনে অন্তত  একবার হলেও এই ব্যায়ামটি করার চেষ্টা করুন দেখবেন পেটের অতিরিক্ত মেদ ঝরার সাথে সাথে আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ কলা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কোন কোন ব্যয়াম করা যায়

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করা যায় কিনা। গর্ভাবস্থায় অবশ্যই ব্যায়াম করা যায় তবে তা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং বাড়তি কোন ব্যায়াম করা যাবে না। যেমন যারা মোটামোটি সারাবছরই একটিভ থাকেন তাদের গর্ভাবস্থায় কিছু না কিছু ব্যায়াম অবশ্যই করা উচিত যদি কোনো বিশেষ শারীরিক সমস্যা না থাকে। 

তবে এই সময়টাতে নিজেকে সচল  রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ গর্ভ অবস্থায় শুধু  খাওয়া-দাওয়া করলে এবং শুয়ে-বসে থাকলে কোন শারিরীক পরিশ্রম না করলে দ্রুত ওজন বাড়ে এবং এ ক্ষেত্রে শারীরিক নানা জটিলতা দেখা দেয়। এসব নানা জটিলতা এড়ানোর জন্য  এবং নিজেকে  ফিট রাখতে হালকা কিছু ব্যায়াম করতে পারেন।

তবে যাদের আগে গর্ভপাত, একটোপিক প্রেগনেন্সি অথবা গর্ভকালীন সময়ে অন্যান্য সমস্যার ইতিহাস আছে সে ক্ষেত্রে তারা ডাক্তারের পরামর্শ এবং পেশাদার প্রশিক্ষিতদের সাহায্য নিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্যায়াম করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এ সময় সুস্থ গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্যায়াম কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয় তারপরও একজন ভাল ট্রেইনার থাকলে  খুবই উপকার হয় সেটা হতে পারে এ্যারোবিক্স অথবা ওয়েট ট্রেনিং। 

বিশেষ করে যাদের এই ব্যায়ামগুলোর অভ্যাস আছে , জোরে হাঁটা, সাঁতার কাটা, যোগব্যায়াম, ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম এসবের ক্ষেত্রে সাধারণত কোন অসুবিধা হয় না। এ সময়ে আস্তে-ধীরে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে পারেন তবে সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং যেটাই করুন না কেন অবশ্যই আপনি আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই করবেন। সেইসাথে আপনার সঠিক পোশাক এবং জুতা পড়াটাও আবশ্যক। 

আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো পরামর্শ দাতা হচ্ছে আপনার চিকিৎসক, কারণ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া আপনি কখনোই এমন কোন ব্যায়াম করবেন না যাতে হাঁপিয়ে ওঠে অথবা আপনার দম বন্ধ হয়ে যায় কারণ দম হারানো গর্ভস্থ ভ্রূণের জন্য মোটেও ভালো নয়।

গর্ভাবস্থায় যে নিয়মগুলি মেনে চলা একান্ত প্রয়োজনীয়

কখনোই ভরা পেটে ব্যায়াম করবেন না। ব্যায়াম করার অন্তত এক ঘন্টা আগে খাবার খেয়ে নিতে হবে  এবং ব্যায়াম করার সময়ে পিপাসা পেলে অবশ্যই পানি খাবেন।

বাস্কেটবল, ফুটবল, ভলিবল এসব খেলা থেকে দূরে থাকুন কারণ খেলতে খেলতে আনমনে অনেকেই আপনাকে ধাক্কা দিতে পারে অথবা হঠাৎ আপনি মাথা ঘুরে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন তাই এরকম রিক্স নেওয়ার প্রয়োজন নেই।

খুব বেশি জোরে লাফালাফি জোরে দৌড়ানোর প্রয়োজন নেই এবং দয়া করে কোন অবস্থাতেই কোমর  বাঁকাবেন না। এমন কোন ব্যায়াম করবেন না যাতে সরাসরি পেটে চাপ পড়ে। গর্ভাবস্থায় এসব নিয়ম মেনে চলা অত্যান্ত জরুরী এবং সব সময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।

শেষ কিছু

বাড়তি ওজন কারোই পছন্দ নয়। অনেক সময় মেয়েরা বাড়তি ওজনের কারণে অনেক জায়গা থেকে পিছিয়ে পড়ে। অনেক সময় কর্মস্থলেও বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হতে হয়।  কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনি ভুল পথ অবলম্বন করে আপনার ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন, যেমন-ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন মেডিসিন গ্রহণ করবেন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া। এটি কখনোই করবেন না। তাই মেয়েদের ওজন কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে সম্পুর্ন পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন।


আপনার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।

 

আরও পড়ুনঃ

মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কমলা খাওয়ার উপকারিতা

Leave a Comment