হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার, খাবার তালিকা

হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার

হার্ট অ্যাটাকের অনেক কারণের মধ্যে করোনারি হার্ট ডিজিজ অথবা ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এই অবস্থাতে হার্টের মাংশপেশীগুলির রক্ত সরবরাহে বিঘটন ঘটে যা হার্ট অ্যাটাকের জন্য একটি প্রধান কারণ হতে পারে।

হার্টের স্বাভাবিক কাজের জন্য দুইটি রক্তনালী রয়েছে যাকে করোনারি আর্টারি বলা হয়। এই রক্তনালীগুলির মাধ্যমে হার্টের মাংশপেশী প্রতিনিয়ত অক্সিজেন ও খাবার পায়। যখন কোন একটি করোনারি আর্টারি চোখে জমে যায় তখন এই অঞ্চলটির রক্ত পাইলে হার্টের মাংশপেশীগুলির অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

এই কারণে হার্টের কাজের ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং হার্ট অ্যাটাক ঘটে। এই কারণে সঠিকভাবে হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে হবে।

হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে মৃত্যুর হার খুব উচ্চ এবং প্রথম ঘণ্টার মধ্যেই বেশির ভাগ মৃত্যু ঘটে। অতিসত্বর চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত ঘাম, মুখ দ্বারা নিঃশ্বাস নেওয়া এবং অস্বাভাবিক বুক ব্যাথা সহ লক্ষণগুলি খুঁজে বেড়ে এসে মূল্যায়নের জন্য তা কার্ডিয়ালজিস্ট অথবা অন্য চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

হার্ট অ্যাটাক হলে সময় নষ্ট করা না করে দ্রুত চিকিৎসা ও মেডিকেশনের সাথে যোগাযোগ করা উচিত যাতে মৃত্যু হতে পারে সেটা আগে হতে না পারে। আজকের আর্টিকেলে হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার, হার্টের সমস্যা বোঝার উপায়, হার্টের ব্লক কয়টি ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

হার্টের সমস্যার লক্ষণ

হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার heart block treatment
হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার

হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার এর মধ্যে হার্ট ব্লক হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ তুলে ধরা হলো।

  • অতিরিক্ত ওজন আপনার হৃদরোগের কারণ হতে পারে।
  • দীর্ঘদিন শরীরে ডায়াবেটিস রোগ থাকলে।
  • উচ্চরক্তচাপ দীর্ঘদিন থাকলে।
  • পরিবারে কারও  হৃদরোগ থাকলেও ( বংশগতভাবে) হৃদরোগের সম্ভাবনা থাকে।
  • অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণে হৃদরোগের সম্ভাবনা থাকে।
  • অতিরিক্ত  মাত্রায় মদ্যপানের অভ্যাস আছে, এমন ব্যক্তির হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেক বেশি।
  • খাবারের সাথে যদি অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের অভ্যাস থাকে।
  •  অতিরিক্ত উৎকণ্ঠা হৃদরোগের কারণ হতে পারে।
  • অতিরিক্ত অলস জীবন যাপন করা ও হৃদরোগের কারণ।
  • অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষদের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

হার্টের সমস্যা বোঝার উপায়

হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার এর মধ্যে হৃদরোগের লক্ষণগুলি ব্যক্তিভেদে এবং রোগের তীব্রতার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

  • বুকে ব্যথা, চাপ, অস্বস্তি বা ব্যথা: এটি হৃদরোগের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। ব্যথাটি বুকে, কাঁধে, বাহুতে, চিবুকে বা গলায় অনুভূত হতে পারে। এটি তীব্র বা ধীর হতে পারে এবং এটি আসতে এবং যেতে পারে।
  • শ্বাসকষ্ট: হৃদরোগের কারণে শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে, বিশেষ করে শারীরিক পরিশ্রমের সময় বা শুয়ে থাকার সময়।
  • হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন: হৃদস্পন্দন খুব দ্রুত বা খুব ধীর বোধ করা, বা এটি ছন্দহীন মনে হওয়া।
  • চড়চড়ে ভাব বা মাথা ঘোরা: হৃদরোগের কারণে মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত ক্লান্তি: সামান্য পরিশ্রমেও অস্বাভাবিকভাবে ক্লান্ত বোধ করা।
  • মিলন: হৃদরোগের কারণে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
  • ঠান্ডা ঘাম: হৃদরোগের কারণে অস্বাভাবিকভাবে ঘাম হতে পারে।
  • জব্বা বা দুর্বলতা: হাত, পা বা মুখের একপাশে জব্বা বা দুর্বলতা অনুভব করা।
  • গলার ব্যথা: গলার ব্যথা যা চলে না।
  • নিম্ন চোয়ালে ব্যথা: নিম্ন চোয়ালে ব্যথা যা বুকে ব্যথার সাথে হতে পারে।

যদি আপনি এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি অনুভব করেন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত।

হার্টের ব্লক কয়টি

হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার এর সাথে জানতে হবে হার্ট ব্লক তিন ধরণের হয়।

  • প্রথম-ডিগ্রী হার্ট ব্লক: এটি হৃদরোগের সবচেয়ে হালকা রূপ। এটিতে, হৃদস্পন্দনের বিদ্যুৎ সংকেতগুলি হৃৎপিণ্ডের এট্রিয়াম থেকে ভেন্ট্রিকলে সামান্য ধীর গতিতে চলে। প্রথম-ডিগ্রী হার্ট ব্লকের সাধারণত কোন লক্ষণ থাকে না এবং চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।
  • দ্বিতীয়-ডিগ্রী হার্ট ব্লক: এটি হৃদরোগের আরও গুরুতর রূপ। এটিতে, কিছু হৃদস্পন্দনের বিদ্যুৎ সংকেতগুলি হৃৎপিণ্ডের ভেন্ট্রিকলে সম্পূর্ণরূপে পৌঁছায় না। দ্বিতীয়-ডিগ্রী হার্ট ব্লকের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মাথা ঘোরা, জ্বালা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
  • তৃতীয়-ডিগ্রী হার্ট ব্লক: এটি হৃদরোগের সবচেয়ে গুরুতর রূপ। এটিতে, হৃৎপিণ্ডের এট্রিয়াম থেকে ভেন্ট্রিকলে বিদ্যুৎ সংকেতগুলি সম্পূর্ণরূপে ব্লক হয়ে যায়। তৃতীয়-ডিগ্রী হার্ট ব্লকের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে গুরুতর মাথা ঘোরা, জ্বালা এবং হৃদরোগ। একটি পেসমেকারের সাথে চিকিৎসা প্রয়োজন।

হার্টের রোগীর খাবার তালিকা

হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার জানার পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং হৃদ স্বাস্থ্য উন্নত করতে আপনি কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

ফল এবং শাকসবজি

  • প্রচুর পরিমাণে ফল এবং শাকসবজি খান, বিশেষ করে গাঢ় সবুজ শাকসবজি, লাল, কমলা এবং হলুদ ফল।
  • ফল এবং শাকসবজি ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

সম্পূর্ণ শস্য

  • সম্পূর্ণ শস্য, যেমন বাদামী ভাত, ওটমিল, এবং বারলি খান।
  • সম্পূর্ণ শস্য ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

চর্বিহীন প্রোটিন

  • মাছ, মুরগির মাংস, শিম, এবং ডালের মতো চর্বিহীন প্রোটিনের উৎস খান।
  • চর্বিহীন প্রোটিন স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম থাকে।

স্বাস্থ্যকর চর্বি

  • অলিভ অয়েল, এভোকাডো, বাদাম এবং বীজের মতো স্বাস্থ্যকর চর্বি খান।
  • স্বাস্থ্যকর চর্বি অস্বাস্থ্যকর চর্বির পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট।

ডেইরি

  • কম চর্বিযুক্ত বা চর্বিহীন দুধ, দই এবং পনির খান।
  • ডেইরি ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর ভাল উৎস, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

পানি

  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
  • জল হাইড্রেটেড থাকতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

সীমাবদ্ধ খাবার

  • স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট: লাল মাংস, পূর্ণ-চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার, ভাজা খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে পাওয়া যায়।
  • সোডিয়াম: প্রক্রিয়াজাত খাবার, রেস্তোরাঁয় তৈরি খাবার এবং লবণাক্ত খাবারে পাওয়া যায়।
  • চিনি: মিষ্টি পানীয়, মিষ্টি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে পাওয়া যায়।
  • অ্যালকোহল: অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন রক্তচাপ বাড়াতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার উপায় 

হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার এর সাথে বাাঁচার উপাায় জানতে হবে। একটি সুস্থ স্বাভাবিক জীবন পরিচালনার জন্য অবশ্যই জরুরি একটি সুস্থ হার্ট। কিন্তু এই হার্টকে সুস্থ রাখা টা যে কতটুকু চ্যালেঞ্জিং তা কি আমরা জানি? আমাদের প্রতিদিনের  জীবন যাপনে কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের হার্ট তা কি আমরা জানি?  সুস্থ-সুন্দর এবং আনন্দপূর্ণ স্বাভাবিক জীবনের জন্য দরকার একটি সুস্থ হার্ট অথবা হৃদযন্ত্র  কিন্তু এই হার্টটি কে সুস্থ রাখাই এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

আধুনিক যুগে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় আমাদের নানামুখী পরিবর্তন এবং কর্ম পরিবেশ সবকিছুই যেন প্রতিনিয়ত একটু একটু করে আমাদের হার্ট কে প্রতিকূলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তার পরেও আমাদের হার্ট কে ভালো রাখতে হবে এবং ভালো রাখার উপায় জানতে হবে। আর হার্ট ভালো রাখার প্রধান উপায় হচ্ছে সুশৃংখল জীবনযাপন এবং সুশৃংখল জীবনযাপনের কোনো বিকল্প নেই।

হার্টের সমস্যা সমাধানের উপায়

হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার সঠিকভাবে জানার সাথে সাথে সমাধান জানতে হবে। হৃদরোগের সমস্যা সমাধানের উপায় নির্ভর করে সমস্যার ধরণ, তীব্রতা এবং রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর।

জীবনধারার পরিবর্তন

  • ধূমপান ত্যাগ: ধূমপান হৃদরোগের একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ। ধূমপান ত্যাগ করলে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ: একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য যা ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিনে সমৃদ্ধ হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম, সপ্তাহে অন্তত 150 মিনিট মাঝারি-তীব্রতার ব্যায়াম, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • স্ট্রেস পরিচালনা: স্ট্রেস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। স্ট্রেস পরিচালনা করার কৌশলগুলি অনুশীলন করা, যেমন যোগব্যায়াম বা ধ্যান, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ওষুধ

  • কোলেস্টেরল-কমিয়ে দেওয়া ওষুধ: স্ট্যাটিনগুলি এমন ওষুধ যা রক্তে “খারাপ” (LDL) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
  • রক্তচাপের ওষুধ: উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ। রক্তচাপের ওষুধ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
  • ডায়াবেটিসের ওষুধ: ডায়াবেটিস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ডায়াবেটিসের ওষুধ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
  • রক্ত পাতলাকারক ওষুধ: অ্যাসপিরিন এবং ক্লোপিডোগ্রেলের মতো রক্ত পাতলাকারক ওষুধ রক্ত ​​জমাট বাঁধা রোধ করতে সাহায্য করতে পারে, যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে।

পরিশেষে

আমরা আগেও বলেছি আবারো বলছি হার্ট ব্লক খুবই জটিল একটি সমস্যা। আমাদের সকলের হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার জানা প্রয়োজন। তবে প্রাথমিক অবস্থায় রোগটি ধরা পড়লে অনেকটাই ঝুকিমুক্ত থাকা যায়।

তাই আপনার ছোট ছোট শারীরিক পরিবর্তন গুলো কেউ কখনো অবহেলা করবেন না ছোট ছোট পরিবর্তনগুলোর দিকে খেয়াল রাখুন এবং লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

মনে রাখবেন আপনার সঠিক জীবন যাপন আপনার হার্টকে সুস্থ রাখবে। কথায় আছে, ‘প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম’। তাই আপনার হার্ট ব্লক হবার আগেই আপনার হার্টের যত্ন নিন। তাই হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে সম্পুর্ন পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ

১। হার্টের ভাল্ব নষ্ট হলে কি কি সমস্যা হয়?

উত্তরঃ যদি হার্টের একটি বা একাধিক ভাল্ভ রোগাক্রান্ত হয়, তবে হৃৎপিণ্ড কার্যকরভাবে সারা শরীরে রক্ত ​​পাম্প করতে পারে না। পাম্প করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। এতে হৃদপিণ্ডের কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। এর ফলে হার্ট ফেইলিউর, হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (যখন হার্ট স্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়), এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার এর একটি অংশ।

২। কি ভাবে বুঝবেন আপনার হার্ট ভালো আছে?

উত্তরঃ যদি সহজে আঙ্গুল দিয়ে পাগুলি ছুঁতে পারেন, তাহলে আপনার হার্টের স্বাস্থ্য একেবারে ঠিক আছে তা বুঝে নিতে হবে। আর যদি না পারেন, তাহলে বুঝবেন যে আপনার রক্তপ্রবাহে কোনো সমস্যা আছে বা আপনার ব্লাড ভেসেল ঠিক নেই। আর যদি এমন হয়, তাহলে আর দেরি করবেন না, তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং সেদিকে যত্ন নেয়া শুরু করুন। হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন।

৩। হার্টের সমস্যা হলে কি কাশি হয়?

উত্তরঃ অতিরিক্ত ঘাম হওয়া: অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা হওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত ঘাম, বুক ধড়ফড়, হঠাৎ শরীর খারাপ লাগতে শুরু করলে অব্যশই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। কাশি: আপনার যদি দীর্ঘ দিন কাশির সমস্যা থাকে, এবং তার সঙ্গে সাদা বা কিছুটা ঘোলাটে কফ বের হয়। হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার এর মধ্যে নিহিত।

আরও পড়ুন-

ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

Leave a Comment