টাইফয়েড লক্ষণ
শীতের শেষ এবং গরমের শুরু এই সময় নানা রকম অসুখ বিসুখ দেখা যায়। এই সময় জ্বর অনেক বেশি হয়। তাই জ্বরের নানা রকম লক্ষণ দেখা দেয়। কোন জ্বরের কোন লক্ষণ তা সর্ম্পকে জানা থাকলে টাইফয়েড লক্ষণ সর্ম্পকে সতর্ক হওয়া যায়। এ সময় টাইফয়েড হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
পানিবাহিত রোগ হলো টাইফয়েড। টাইফয়েডের জীবাণু সাধারণত অনিরাপদ পানি এবং অস্বাস্থকর খাবারের কারণে হয়ে থাকে। সাধারণত টাইফয়েড সালমনেলা টাইফি ও প্যারাটাইফি জীবাণু থেকে হয়ে থাকে। আক্রান্ত ব্যাক্তি খোলা জায়গায় মল ত্যাগ করলে এই জীবাণু পরিবেশে ছড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
অসাস্থকর খাবারের মাধ্যমেও মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকে। কারণ অধিকাংশ রেস্টুরেন্টে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার প্রস্তুত করা হয় না। টাইফয়েড জ্বর থেকে সুস্থ হওয়ার পরও কারও কারও শরীরে র্দীঘদীন পর্যন্ত এ রোগের জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এই রোগটি অত্যান্ত সংক্রামক।
আক্রান্ত ব্যাক্তির মল ও প্রসাবের মাধ্যমে এই রোগ সংক্রামিত হয়ে থাকে। আজকের আর্টিকেলে টাইফয়েড লক্ষণ, কীভাবে ছড়ায়, টাইফয়েড প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
আরও পড়ুনঃ ঘুমের ঔষধ নাম, দাম ও চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ
টাইফয়েড কীভাবে ছড়ায়
টাইফয়েড লক্ষণ জানার পূর্বে জানতে হবে এটি কিভাবে ছড়ায়। টাইফয়েড জ্বর খুব সহজেই সংক্রামিত হয় এক ব্যাক্তির শরীর থেকে অন্য ব্যাক্তির শরীরে। এন এইচ এম তথ্য অনুসারে সংক্রমিত ব্যাক্তির মলের মাধ্যমে সালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে।
সংক্রমিত ব্যাক্তি যদি মলত্যাগের পর সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার না করে কারও সাথে হাত মিলায়, খাবার স্পর্শ করে তাহলে ওই ব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন স্থানে ছড়াতে পারে।
দূষিত পানি পান করলে বা দূষিত পানিতে খাবার ধুয়ে খেলে যে কোন ব্যাক্তির টাইফয়েড হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই প্রসাব পাইখানার পর ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করা উচিৎ।
যে সকল কারণে টাইফয়েড ছড়ায় তা নিম্নে আলোচনা করা হলো:
১। প্রসাব পাইখানা করার পর ভালোভাবে সবোন দিয়ে হাত পরিষ্কার না করে মুখ স্পর্শ করা ।
২। সামুদ্রিক খাবার খাওয়া দূষিত পানি থেকে।
৩। মানুষের ব্যাবহৃত বজ্য দিয়ে নিষক্ত হওয়া সাকসবজি খাওয়ার ফলে
৪। দূষিত দুধ জাতীয় খাদ্য খাওয়ার কারণে
৫। টাইফয়েডের ব্যাকটেরিয়া আছে এমন ব্যক্তির সঙ্গে সহবাস করলে।
৬। জীবনযাএর অস্বাস্থকর অবস্থা
৭। দুর্বল স্যানিটেশন ব্যাবস্থা
৮। আক্রান্ত এলাকাই বার বার ভ্রমণ
৯। টাইফয়েড আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শে থাকা
১০। উড়ান্ত পোকার মল শরীরে স্পর্শ করা
টাইফয়েড এড়াতে উপরে দেওয়া ঝঁকি এড়িয়ে চলতে ডাক্তারো পরমর্শ দিয়ে থোকে।
টাইফয়েড জ্বরের উপসর্গগুলো
টাইফয়েডের রোগ জীবাণু শরীরে প্রবেশের ১০ থেকে ১৪ দিন পর টাইফয়েড লক্ষণ শরীরে প্রকাশ পেতে শুরু করে। টাইফয়েডের লক্ষণগুলো বৃদ্ধি পেতে থাকে প্রথম ১ থেকে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত।
অনেক সময় এ রোগের স্থায়িত্ব ৩-৪ সপ্তাহ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রথম ৪- ৫ দিন জ্বর আসা যাওয়া করে তবে কখনও সর্ম্পন্ন জ্বর ছাড়ে না। টাইফয়েডের লক্ষণ সর্ম্পকে আমাদের সমলকে জানা উচিৎ। টাইফয়েডের লক্ষণ গুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো:
টাইফয়েড লক্ষণ কে ৩ টি স্তরে ভাগ করা হয়েছে-
প্রথম স্তর – প্রাথমিক অবস্থায় শরীর গরম হতে শুরু করে এবং শরীরে জ্বর চলে আসে। রোগীর হাত-পা-গা ব্যাথা, পেট ব্যাথা, মাথা ব্যাথা শুরু হয়।
দ্বিতীয় স্তর – দ্বতীয় স্তরে রোগীর জ্বর বাড়তে থাকে। অনেক সময় রোগীর জ্বর ১০৪ ডিগ্রী পর্যন্ত বাড়তে পারে। এতে শরীর অলস এবং দুর্বল হয়ে যায়।
তিতীয় স্তর – তৃতীয় স্তরে রোগীর শাররিক অবস্থা আরো অবনতি হয়। শরীরের তাপমাএা প্রচন্ড বেড়ে যায় এবং শরীর দুর্বলতা বেড়ে যায়। জ্বর বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেক সময় নি :শ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
নিম্নে জ্বরের লক্ষণগুলো আলোচনা করা হলো
১। টানা জ্বর
২। মাথাব্যথা
৩। শরীর ব্যাথা
৪। শারীরিক দুর্বলতা
৫। ক্ষুধামন্দা
৬। বমি
৭। কফ বা কাশি
৮। প্রচন্ড পেটে ব্যথা
৯। পিঠে বা পেটে দানা দেখা দিতে পারে
১০।তাপমাএার তুলনায় হৃদস্পন্দন কমতে পারে
১১। ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য
১২। পেশি ব্যথা
১৩। ঘাম
১৪। পেট ব্যাথা
১৫। ফুসকুড়ি
১৬। পেট ফোলাভাব ইত্যাদি
টাইফয়েড জ্বর শনাক্তকরন
একজন চিকিৎসক বলতে পারবে আপনি টাইফয়েড আক্রান্ত কিনা। টাইফয়েড লক্ষণ দেখা দিলে আমাদের চিকিৎসকের নিকটে যাওয়া উচিৎ। নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে বুঝাা যায় রুগীর টাইফয়েড সনাক্ত করা যায়। প্রথমে ডাক্তারেরা ব্লাড কালচার নামক পরীক্ষা করে।
রক্তের নমুনার ভেতরে স্যালমোনিয়া নামক ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেলে বুঝতে হবে রুগী টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত হয়েছে। জ্বর যদি ২য় সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে থাকে তাহলে রুগীকে ডাউন টেস্ট নামে একটি ননস্পেসিফিক ব্লাড টেস্ট করে তার শরীরের টাইটার দেখে টাইফয়েড তার শরীরে আছে কি না তা সনাক্ত করা হয়।
টাইফয়েড জ্বর নির্ণয়ের পদ্ধতি গুলো আলোচনা করা হলো:
১।সালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে শরীরের এন্টিবডি পরীক্ষা করা হয়।
২। ল্যাবরেটরি পরীক্ষা করা হয় জ্বর পরীক্ষার জন্য।
৩। রক্ত,প্রস্রাব এবং মলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
৪। অস্থি মজ্জা পরীক্ষা
৫।রক্তের সংস্কৃতি পরীক্ষা
জটিলতা
টাইফয়েডে আক্রান্ত ব্যাক্তির অনেক সময় বিভিন্ন রকম শরীরে জটিলতা দেখা দেয়।যেমন: অঘন্যাশয় প্রদাহ, মস্তিস্কে প্রদাহ, পরিপাকতন্ত্র থেকে রক্তক্ষরণ, নিউমোনিয়া, মেরুদন্ড সংক্রামণ, নিউমোনিয়া, পিত্তথলিতে পাথর, স্নায়বিক সমস্যা, শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোঁড়া অনেক সময় কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
টাইফয়েড বড়দের তুলনায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তাদের শরীরে সংক্রামণ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তবে শররে যদি এইচআইভি ও এইডস রোগ থাকে তবে তাদের শরীরে টাইফয়েড হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
টাইফয়েড থেকে কী কী সমস্যা হতে পারে
টাইফয়েড লক্ষণ দেখা দেওয়ার পর চিকিৎসা করতে দেরি করলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। রোগীকে চিকিৎসা করাতে বিলম্ব করার কারণে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
১। ক্ষুদ্রান্ত্র ফুটো হয়ে যাওয়া কিংবা রক্তক্ষরণ হতে পারে
২। মেনিনজাইটিস
৩। অস্থি ও অস্থিসন্ধিতে ইনফেকশন
৪। পিত্তথলির প্রদাহ
৫। কিডনির প্রদাহ
৬। হৃৎপিন্ডের পেশির প্রদাহ
টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা পদ্ধতি
টাইফয়েড লক্ষণ দেখার পর সাধারণত ডাক্তারেরা এন্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসা করে থাকেন। পাঁচদিন পযন্ত অনেক এন্টিবায়টিক খাওয়ার পরও জ্বর থাকে। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা নিতে দেরি করলে অনেক সময় জ্বর সপ্তাহ বা মাসব্যাপী খাকতে পারে।
টাইফয়েড জ্বরের রোগীদের জ্বর এবং ডায়রিয়ার কারণে শরীরে পানির সল্পতা দেখা দেয় তাই রোগীকে অধিক পরিমাণ তরল খাবার খাওয়াতে হবে। রোগীর ডায়রিয়ার কারণে পানি স্বল্পতা দেখা দিলে শিরাপথে ওষুধ প্রদান করে তরল জাতীয় খাবার শরীরে দেওয়া হয়।
টাইফয়েড রোগীকে ৩ সপ্তাহ পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হয়। রোগীর শরীর তোয়ালা বা গামছা পানিতে ভিজিয়ে মাঝে মাঝে মুছে দিতে হবে এতে রোগী আরাম পায়।
ডায়রিয়ার রোগীদেরকে উচ্চ ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার প্রদান করতে হবে। মল মূএ ত্যাগ করার পর রোগীর হাত সাবান পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। চিকিৎসকের পরমর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।
টাইফয়েড জ্বর সারানোর ঘরোয়া উপায়
টাইফয়েড লক্ষণ দেখা দেওয়ার পর চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পূর্বে ঘরোয়া উপায়ে এর সমাধান করার চেষ্টা করতে পারেন। নিমেন ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো:
১। জল পান করুন
টাইফয়েড রোগীদেরকে অধিক পরিমাণ জল পান করাতে হবে। জল বাদে ও যে কোন প্রকার তরল খাবার খাওয়াতে পারেন। টাইফয়েডের কারণে অনেক রোগীর ডায়রিয়া পর্যন্ত হয়ে থাকে। তরল খাবার বেশি পরিমাণ খাওয়াতে হবে এতে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়। রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।
২। আদা
আদা শরীরে জন্য খুব উপকারী । আদার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি -অক্সাইড । অ্যান্টি অক্যাইড রক্তকে বিশুদ্ধ করতে গুরুত্বপূণ্য ভুমিকা পালন করে। কাঁচা বা অর্ধেক রান্না করা আদা গুণাগুণ বেশি থাকে। আদা কিডনি থেকে অযাচিত খাদ্য বের করে শরীর পরিষ্কার করে। তাই আদা খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
৩। তুলসী
তুলসি অনেক রোগের ওষুধ হিসাবে পরিচিত । আয়ুবেদিক ওষুধ তৈরিতে তুলসির রস ব্যাবহার করা হয়। তুলসী পাতা ফুটিয়ে তার সাথে মধু ,আদার রস বা গোলমরিচ দিয়ে খেলে পারলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এটি টাইফয়েডের ব্যাকটেরিয়াকে নষ্ট করতে সাহায্য করে।
৪। অ্যাপেল ভিনেগার
অ্যাপেল ভিনেগারের অ্যাসিডিক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকে। অ্যাপেল ভিনেগার শরীর থেকে উত্তাব বের করে। অ্যাপেল ভিনেগার দেহের পুষ্টি বৃদিাধ করে থাকে। জ্বরে কারণে শরীরের তাপ কমাতে রোগীকে ভিনেগার খাওয়ানো যেতে পারে।
৫। ঠান্ডা জল
জ্বর বেশি হলে রুগীকে মাথায় জল পট্রি দিতে হবে। ঠান্ডা জলে কাপড় ভিজিয়ে শরীর মুছিয়ে দেওয়া যেতে পারে। ঠান্ডা পানি দিয়ে রুগীর মাথায় ধুয়ে দিলে জ্বর দ্রুত কমে যায়।
টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে করনীয়
১। বাহির থেকে বাসায় আসার পর ভালোভাবে হাত ধোত করতে হবে।
২। বিশুদ্ধ এবং নিরাপদ পানি পান করতে হবে।
৩। স্বাস্থ সম্মত পায়খানা বা স্যানিটেশন ব্যাবস্থা থাকতে হবে।
৪। মল মুত্র ত্যাগ করার পর এবং খাবার তৈরি এবং গ্রহণের পূর্বে সাবান দিয়ে হাত ধৌত করতে হবে।
৫। শাক-সবজি এবং ফলমূল কাঁচা অথবা অপষ্কিার অবস্থায় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৬। খাবার গরম করে খেতে হবে।
৭। ঘরের আসবাপপএ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
৮। টাইফয়েড আক্রান্ত ব্যাক্তি সুস্থ ব্যাক্তির খাবার তৈরি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৯। টাইফয়েড আক্রান্ত ব্যাক্তির ব্যাবহৃত দ্রব্যাদি সুস্থ ব্যাক্তির থেকে আলাদা রাখতে হবে।
পরিশেষে
টাইফয়েড লক্ষণ দেখা দিলে মোটেও অবহেলা করা উচিৎ নয়। রেজিস্টার ডাক্তারে কাছে চিকিৎসার জন্য যেতে হবে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে। তারপর ওষুধ সেবন করতে হবে।
আশা করি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে টাইফয়েড লক্ষণ সম্পর্কিত বিস্তারিত বোঝাতে পেরেছি। ধন্যবাদ
টাইফয়েড লক্ষণ সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর / FAQ
১। টাইফয়েড কখন ও কেন হয়?
উত্তরঃ টাইফয়েড জ্বর বাংলাদেশে খুবই সচরাচর একটি রোগ। টাইফয়েড জ্বর স্যালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণে হয়ে থাকে। দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে প্রধানত দেহে এই জীবাণু ছড়ায়।
২। টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে?
উত্তরঃ টাইফয়েড জ্বর সাত থেকে ১০ দিন স্থায়ী হয় যখন উপসর্গ শুরু হওয়ার পরপরই চিকিৎসা করা হয় । যদি চিকিত্সা না করা হয় বা পরে চিকিত্সা শুরু হয় তবে এটি তিন সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে চলতে পারে।
৩। টাইফয়েড হলে কি কি সমস্যা হয়?
উত্তরঃ পরিপাকতন্ত্র থেকে রক্তক্ষরণ, অগ্ন্যাশয়ে প্রদাহ, মেরুদণ্ডে সংক্রমণ, মস্তিষ্কে প্রদাহ, পিত্তথলিতে সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোড়া, স্নায়বিক সমস্যা এমনকি কিডনিতেও বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন-
টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে, চিকিৎসা ও প্রতিকার
ঠান্ডার ওষুধের নামসমুহের তালিকা ও ব্যবহারবিধি