tofen syrup এর কাজ কি, এর ব্যাবহার ও নির্দেশনা

tofen syrup এর কাজ কি 

টোফেন সিরাপ ঠান্ডা জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করা হয়। যাদের সাধারণত ঠান্ডা-কাশি, সর্দি লাগার সমস্যা আছে তাদেরকে ডাক্তারেরা এই সিরাপ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে।

বিশেষ করে শীতের সময় মানুষ সর্দি কাশির সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়। টোফেন সিরাপ বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানির একটি পণ্য।

আজকের আর্টিকেলে আমরা tofen syrup এর কাজ কি, কিভাবে tofen syrup সেবন করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

বিভিন্ন বয়সী লোকেদের বুকে কফ জমা, এলার্জি জনিত সমস্যা যেমন রাইনাইটিস, হাঁপানি জনিত সমস্যা, সর্দি-কাশি, এলার্জি যেমন হে ফিভার ইত্যাদি সমস্যা নিরাময়ে টোফেন সিরাপ বেশ উপকারী।

কিটোটিফেন একটি নন-ব্রস্কোডাইরেটর হাঁপানিরোধী ওষুধ হিসাবে ব্যাবহৃত হয়। কিটোটিফেনের ভেতর কার্যকারী এ্যালার্জিবিরোধী উপাদান রয়েছে যা শক্তিশালী এবং দীর্ঘমেয়াদী হিস্টামিন হিসাবে কাজ করে।

কিটোটিফেন অন্যান্য হাঁপানীরোধী চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। কিটোটিফেন এর প্রতিরোধী কার্যকারিতা শুরু হতে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সময লাগে। 

আরও পড়ুনঃ নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম ও প্রয়োজনীয় তথ্য

tofen syrup এর ব্যবহার নির্দেশনা 

tofen syrup এর কাজ কি

টোফেন নিম্নলিখিত সমস্যায় নির্দেশিত-

১। হাঁপানী রোগের প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা হিসাবে ব্যাবহৃত হয়।

২। এলার্জিক অবস্থা যেমন, কনজাংটিভাইটিস এবং রাইনাইটিস- এর লক্ষণযুক্ত চিকিৎসায়, 

৩। নিউরোফাইব্রোমা জনিত চুলকানী, স্পর্শ অসহিষ্ণুতা, ব্যাথা ইত্যাদি উপসর্গে উপশমে,

৪। এলার্জি যেমন, আর্টিকারিয়ার ইত্যাদিতে ব্যাবহৃত হয়। 

ফার্মাকোলজি

কিটোটিফেন এর মধ্যে গুণাবলি রয়েছে এন্টি- এলার্জিক। সোডিয়াম ক্রোমোগ্লাইকেট এর মত কিটোটিফেন ব্যবহৃত হয় হাঁপানী রোগ প্রতিরোধ  চিকিৎসায়। কিটোটিফেন প্রদর্শন করে এন্টিহিস্টামিনের কার্যকারিতা।

এন্টি- এ্যানাফাইল্যাকটিক গুণাবলি রয়েছে কিটোটিফেন এর ভেতর। কিটোটিফেন সাহায্য করে থাকে হাঁপানির সংক্রমণ প্রতিরোধে। পরীক্ষামূলক গবেষণায় দেখা গেছে মাস্ট কোষ স্তিমিতকারী ইনহেলারের মতো কার্যকারী হয়ে থাকে কিটোটিফেন মুখে সেবন করলেও। কিটোটিফেন ব্যাবহারে হাঁপানীর স্থায়িত্ব, তীব্রতা এবং আক্রমণের সংখ্যা কমে যায়।

মাত্রা ও সেবনবিধি 

পূর্ণবয়স্ক: দিনে ২ বার খাবারের  সাখে সাধারণভাবে ১ মি.গ্রা. করে সেবন করতে হবে। ক্ষেত্রে বিশেষে দিনে ২ বার করে ২ মি.গ্রা. সেবন করতে হবে। 

৩ বছরের অধিক বয়স্ক শিশু: দিনে ২ বার আহারের সাথে ১ মি.গ্রা. করে সেবন করতে হয়। চিকিৎসকের পরমর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে তবে খুব বেশি বাচ্চাদের ঘুম পেলে রাতের বেলা খাবারের সাতে ০.৫ থেকে ১ মি.গ্রা. কিটোফিন সেবন করতে পারে। 

বাধ্যক্য: চিকিৎসকের পরমর্শ অনুযায়ী অথবা পূর্ণবয়স্কদের অনুরুপ সেবন করতে হবে। 

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া 

এলকোহল, ঘুমের ওষধ, এলার্জিবিরোধী ওষুধ এর প্রতিক্রিয়া বাড়িয়ে দিতে পারে। রক্তে প্ল্যাটিলেট স্বল্পতা দেখা দিতে পারে ডায়াবেটিক বিরোধী ওষুধগুলোর সাথে কিটোফিনের ব্যাবহার করলে। এই ওষুধ দুটো কখোনই এক সাথে সেবন করা উচিত নয়। 

প্রতিনির্দেশনা

রক্তে প্ল্যাটিলেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যদি কেউ ডায়াবেটিস ওষুধের সাথে কিটোটিফেন সেবন করে। অতএব এই দুইটি ওষুধ আলাদা আলাদা সময় সেবন করতে হবে।

এখন পর্যন্ত কোন প্রমাণ পাওয়া যায় ‍নি গর্ভস্থ ভ্রুণের উপর কিটোটিফেনের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার। অন্যান্য ওষুদের মতো কিটোটিফেন এর ব্যাবহারে গর্ভাবস্থা ও মাতৃদুগ্ধ দানকালে সর্তকতা প্রয়োজন। 

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া 

চিকিৎসা শুরুর প্রথম কয়েক দিন সামান্য মাথা ঘোরা ভাব, মুখ গহ্বরের শুষ্কতা এবং তন্দ্রাচ্ছন্নতা ভাব হতে পারে। এইসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিলিন হয়ে যায় ওষুধ ব্যাবহারের কিছুদিন পরে। 

tofen syrup এর কাজ কি – সতর্কতা 

১। পূর্ববতী চিকিৎসা অনুসরণ জরুরী হাঁপানীর জটিলতা ‍নিরসনে কিটোটিফেন এর চিকিৎসা শুরুর কমপক্ষে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত

২। পূববর্তী চিকিৎসা অনুসরণ আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ্য সম্ভব্য এড্রোনোকটিক্যাল স্বল্পতার কারণে স্টেরয়েড নির্ভরশীল রোগীদের বেলায়

৩। সুনির্দিষ্ট জীবানুবিরোধী চিকিৎসা গ্রহণ অপরিহার্য চিকিৎসা চলাকালীন সংক্রমণের জন্য, স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া বিঘ্নত হতে পারে চিকিৎসা শুরুর প্রথম কয়েকদিন।

৪। যানবহন ও যন্ত্রপাতি চালানো সর্ম্পকে সতর্ক করে দেওয়া উচিত ব্যাক্তি বিশেষের উপর  কিটোটিফেন এর ক্রিয়া সর্ম্পকে সুনিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত

৫। রোগীদের পরামর্শ দেওয়া উচিত এলকোহল জাতীয় পানীয় পরিহারে। কিটোটিফেন এলকোহল, এন্টি-এলার্জিক ওষুধেএর প্রতিক্রিয়া বাড়িয়ে দিতে পারে। 

মাত্রাধিক্যতা

কিটোটিফেন প্রয়োগে মাথাব্যাথা, শ্বাস- প্রশ্বাসের অবনমতা, নাড়ির নিম্নগতি, তন্দ্রচ্ছান্নতা এবং দ্বিধাগ্রস্থতা ইত্যাদি দেখা যায়। ওষুধের মাত্রাধিক্যের চিকিৎসা করার সুপারিশ করা হয় পাকস্তলি পরিষ্কার বা বমির মাধ্যমে অথবা সাধারণভাবে প্রচালিত অন্যান্ন চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে। 

থেরাপিউটিক ক্লাস 

Cromoglycate and related drugs.

সংরক্ষণ 

শুষ্ক ও ঠান্ডা স্থানে এবং আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখতে হবে। ওষুধটি শিশুদের কাছ থেকে দূরে রাখতে হবে। 

শেষ কথা 

উপরুক্ত আলোচনার মাধ্যমে বাচ্চাদের টোফেন সিরাপের কাজ সর্ম্পকে আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন। এই ওসুধটি ব্যাবহার করা হয় মূলত সকল বয়সী লোকেদের জন্য। এই ওষুধ ব্যবহারযোগ্য ১ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য। এই ওষুধটি অবশ্যই চিকিৎসকের পরমর্শ অনুযায়ী  সেবন করাতে হবে। 

tofen syrup সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর / FAQ

১। Tofen কেন খায়?

উত্তরঃ এটি একটি অ স্টেরয়েডাল বিরোধী-প্রদাহী ড্রাগ (নসাইড) হিসাবে কাজ করে যা শরীরের হরমোনগুলি নিয়ন্ত্রণ করে যা ব্যথা ও প্রদাহ সৃষ্টি করে। এটির ফলে টুথ্যাশ , মাথা ব্যাথা, আর্থারটিস , পিছনে ব্যথা, অন্যান্য ছোট ছোট আঘাতের এবং মাসিক ক্র্যাম্পস হতে পারে ।

২। তোফেন খেলে কি ঘুম আসে?

উত্তরঃ টোফেনের ওভারডোজের প্রভাব 1 মিগ্রা

উপসর্গ: তন্দ্রা, বিভ্রান্তি, ডিসপনিয়া, ব্র্যাডিকার্ডিয়া বা টাকাইকার্ডিয়া, বিভ্রান্তি, খিঁচুনি, গুরুতর হাইপোটেনশন, বিপরীতমুখী কোমা।

৩। টোফেন সিরাপ কিসের জন্য ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ ব্রঙ্কিয়াল হাঁপানির রোগ প্রতিরোধী চিকিত্সার জন্য । রাইনাইটিস এবং কনজেক্টিভাইটিস সহ অ্যালার্জির অবস্থার লক্ষণীয় চিকিত্সা। নিউরোফাইব্রোমার সাথে সম্পর্কিত চুলকানি, ব্যথা এবং কোমলতার জটিলতাগুলি উপশম করার জন্য।

আরও পড়ুন-

নাকের সর্দি দূর করার উপায় ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা

সর্দি কাশির ট্যাবলেট এর নাম, ব্যাবহার ও সতর্কতা

Leave a Comment