থাইরয়েড কমানোর ঘরোয়া উপায়

থাইরয়েড কমানোর উপায় 

থাইরয়েড (Thyroid) একটি ছোট আকারের গ্রন্থি। এটি ভয়েস বক্সের নিচে বা গলার মাঝখানে এবং শ্বাসনালীর চারপাশে আবৃত। এটি একধরনের অন্তক্ষরা গ্রন্থি।  থাইরয়েড গ্রন্থি হরমোন তৈরি করার মাধ্যমে শরীরের প্রায় সব বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে থাকে।

থাইরয়েড (Thyroid) সমস্যার পিছনে বিভিন্ন ধরনের ব্যাধি থাকে ফলে থাইরয়েড গ্রন্থিটি খুব বেশি যা হলে হাইপারথাইরয়েডিজম আবার খুব কম হলে হাইপোথাইরয়েডিজম তৈরি করে। থাইরয়েডের সমস্যা হলে শরীরের বিভিন্ন কার্যাবলীকে প্রভাবিত করে। আজ এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব থাইরয়েড কমানোর উপায়

আরও পড়ুনঃ ওজন কমানোর উপায়

থাইরয়েড রোগ কি

থাইরয়েড (Thyroid) এমন একটি রোগ যা থাইরয়েড গ্রন্থিকে পরিমাণ মতো হরমোন তৈরি হতে বিরত রাখে। থাইরয়েড সাধারণত হরমোন তৈরির কাজ করে যা আপনার শরীরকে স্বাভাবিক ও সুস্থভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। এই থাইরয়েড গ্রন্থিতে অনেক বেশি থাইরয়েড হরমোন উৎপাদিত হওয়ার কারণে শারীরিক বিপাকীয় প্রক্রিয়া প্রভাবিত হয়ে থাকে। এছাড়াও দ্রুত ওজন কমা, হৃদস্পন্দনের হার বেড়ে যাবে, নার্ভাসনেস উপসর্গ দেখা যাবে। আর থাইরয়েড গ্রন্থিতে হরমোনের পরিমাণ কম তৈরি হলে হাইপোথাইরয়েডিজম তৈরি করে এতে শরীরে ক্রান্তি আসবে, ওজন বেড়ে যাবে, ঠান্ডা তাপমাত্রা সহ্য হবে না, ডিপ্রেশন হতে পারে, ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে ইত্যাদির লক্ষণ গুলি দেখা দিবে।

এই প্রধান দুটি সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে এর মধ্যে একটি হল পারিবারিক সূত্রে বা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হওয়া। এছাড়াও হাশিমোটো, গ্রেভস রোগ, হাইপারফাংশানিং থাইরয়েড নডিউল ইত্যাদি থাইরয়েড গ্রন্থি সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে।

থাইরয়েড রোগের লক্ষণ গুলি কি 

থাইরয়েড কমানোর উপায় হলো এই রোগের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া। রোগে কোন ব্যাক্তি আক্রান্ত হলে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ অনুভূত হবে। তবে দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো থাইরয়েড (Thyroid) রোগের জন্য যে লক্ষণ গুলি দেখা দেয় সেগুলি প্রায় চিকিৎসাধীন এবং জীবনের অন্যান্য পর্যায়ের লক্ষণগুলির সাথে মিলে যায়। ফলে এগুলি অন্যান্য কোন সমস্যা কিনা বা সত্যিকারের থাইরয়েড সমস্যা তা জানা ও বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে। থাইরয়েড রোগের লক্ষণ গুলিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় প্রথমটি হাইপার থাইরয়েডিজম বা খুব বেশি থাইরয়েড হরমোন এবং দ্বিতীয় টি হল হাইপোথাইরয়েডিজম বা কম পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন। 

হাইপারথাইরয়েডিজম এর লক্ষণ গুলি:

  • ঘুমোতে সমস্যা হওয়া 
  • ওজন কমে যেতে পারে 
  • বিরক্তি, উদ্বেগ এবং স্নায়ু দুর্বল্য অনুভব করা 
  • পেশী দুর্বল হতে পারে এবং কম্পন থাকা
  • চোখের জ্বালা বা দৃষ্টি সমস্যা 
  • তাপের প্রতি সমবেদনশীল অনুভূত হওয়া 
  • মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিক অনিয়ত হওয়া বা মাসিক চক্র বন্ধ হয়ে যাওয়া 
  • থাইরয়েড গ্রন্থি বৃদ্ধি পাওয়া বা গলগন্ড 

আরও পড়ুনঃ কোলেস্টেরল কমানোর উপায়

হাইপোথাইরয়েডিজম এর লক্ষণ গুলি:

  • ওজন বেড়ে যেতে পারে 
  • ক্লান্ত বোধ হবে 
  • শ্রান্তি  অনুভূত হওয়া 
  • মহিলাদের বেশি পরিমাণে মাসিক হওয়া বা ঘনঘন মাসিক হওয়া 
  • চুল শুষ্ক হয়ে পড়া 
  • গলার স্বর কর্কশ হয়ে যাওয়া
  • ঠান্ডা তাপ  মাত্রায় অসহিষ্ণুতা অনুভূত হওয়া

থাইরয়েড রোগ হওয়ার সম্ভাবনা

থাইরয়েড রোগ (Thyroid) যেকোন মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে যেমন মহিলা পুরুষ কিশোর শিশু এবং বয়স্ক। আবার এটি অনেক সময় জন্মের সময়ও হতে পারে যা বয়স হওয়ার সাথে সাথে বিকাশ হতে পারে (প্রায় মহিলাদের মেনোপদের পরে)।

এটি খুবই সাধারণ একটি রোগ। আনুমানিক ইউনাইটেড স্টেটস ২০ মিলিয়ন এর মত মানুষ থাইরয়েড সংক্রান্ত  রোগে আক্রান্ত হয়েছে। রিসার্চের মাধ্যমে জানা গিয়েছে যে, পুরুষদের তুলনায় মহিলারা থাইরয়েড রোগে বেশি আক্রান্ত হন। তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি পুরুষদের তুলনায় প্রায় পাঁচ থেকে আট গুণ। 

যেসব কারণে থাইরয়েড রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি 

রোগীর পরিবারের থাইরয়েড (Thyroid) হওয়ার ইতিহাস আছে অর্থাৎ উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস, রক্ত স্বল্পতা এগুলোর মধ্যে একটি মেডিকেল অবস্থা থাকতে পারে। প্রাথমিক এড্রিনাল অপ্রতুলতা, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, তারনার সিনড্রোম এবং সজোড্রেনের সিনড্রোম। 

  • ৬০ বছরের বেশি হলে অথবা সাত বছর বয়স হলে। 
  • আয়োডিন বেশি আছে এমন ধরনের ওষুধ সেবন করলে যেমন- আ্যমিওডারোন। অতীতে ক্যান্সারের জন্য বা থাইরয়েড অবস্থার ( রেডিয়েশন বা থাইরয়েডেকটমি) জন্য চিকিৎসা হয়েছে এমন। 

থাইরয়েড রোগের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা 

থাইরয়েড রোগের (Thyroid) চিকিৎসা সফল হয় এতে কোন সমস্যা হয় না। এই রোগের চিকিৎসায় রেডিও আ্যক্টিভ আয়োডিন,  অ্যান্টি থাইরয়েড ওষুধ প্রক্রিয়ার ব্যবহার এবং সার্জারি বা অস্ত্রপাচার করা হয়। 

যে যে উপসর্গ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে 

থাইরয়েড কমানোর উপায় হিসেবে নিম্নে উল্লেখিত উপসর্গগুলি দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে জরুরীভাবে-

  • নার্ভাস অনুভব করা 
  • হতাশা মেজাজ পরিবর্তন বা ডিপ্রেশন 
  • অনেক বেশি শ্রান্তি অনুভূত হওয়া 
  • হঠাৎ করে ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস পেলে 
  • অনেকক্ষণ ধরে শীত অনুভূত বা গরম অনুভূত হওয়া।
  • গলার ভয়েস বক্স এর দুই দিকে ফোলা ও পিন্ডের মতো অনুভব করা।

আরও পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা জানা জরুরী

থাইরয়েড কমানোর উপায় 

প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এড়িয়ে চলুন 

প্রক্রিয়াজাত খাবারে এমন অনেক রাসায়নিক থাকে যাহার থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে প্রভাবিত করতে পারে। তাই যে কোন প্রকারের প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এই খাবারগুলিতে তেল চিনি ও লবণের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে ফলে দ্রুত ওজন বাড়ে। প্রক্রিয়াজাত খাবারের মধ্যে রয়েছে বার্গার, ডোনাট, কেক, ভাজাপোড়া খাবার এছাড়াও সোডা পানীয় ইত্যাদি।

সোয়াপণ্য এড়িয়ে চলুন 

আপনি যদি সোয়াপণ্য খেয়ে থাকেন তবে সেটিকে সীমিত করুন কেননা এটি থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে প্রভাব ফেলে। 

ডাক্তার চাওলা পরিমিত পরিমান সোয়া খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সয়াভিত্তিক খাবারের মধ্যে রয়েছে এডামেম, সয়া দুধ, টফু, সয়া সস ইত্যাদি। 

ধূমপান খাওয়া থেকে বিরত থাকুন 

ধূমপান করার সময় টক্সিন নির্গত হয় যা থাইরয়েড (Thyroid) গ্রন্থিকে অনেক বেশি সংবেদনশীল করে তুলতে পারে। ফলে থাইরয়েড রোগ হতে পারে। 

ক্রুসীফেরাস সবজি খাবেন না

থাইরয়েড (Thyroid) থাকলে বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি, পালং শাক ইত্যাদি শাক সবজি এড়িয়ে চলতে হবে। কেননা এই সবজিগুলোতে থাকে গয়ট্রোজেন যা থাইরয়েড গ্রন্থির আয়োডিন শোষণ করতে বাধা দেয়। এছাড়াও হাইপারথাইরয়েডিজমকে বাড়িয়ে দেয়। থাইরয়েড কমানোর উপায় হিসেবে এই শাকসব্জিগুলোকে না বলা দরকার।

মানসিক চাপ কম করুন 

শুধুমাত্র থাইরয়েড Thyroid) রোগের জন্য নয় বরং সব রোগের জন্য মানসিক চাপের অবদানটা অন্যতম থাকে। তাই থাইরয়েড মুক্ত হওয়ার জন্য অবশ্যই মানসিক চাপ কমাতে হবে। এছাড়াও যোগব্যায়াম করার চেষ্টা করুন, ধ্যান করুন এবং প্রতিদিন অন্তত ৮ থেকে ১০ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। 

থাইরয়েডে ওষুধ গ্রহণে পরামর্শ 

শরীরে সম্পূর্ণ শোষণের জন্য ওষুধ খালি পেটে খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। রাতের খাবার খাওয়ার পর কমপক্ষে তিন থেকে চার ঘন্টা পরে অথবা নাস্তা করার ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা পূর্বে এই ওষুধ খাওয়া উপকারী। 

ক্যালসিয়াম বা আয়রন ধরনের ওষুধ খেলে খাবার খাওয়ার অন্তত চার ঘন্টা সময়ের মধ্যে এ ওষুধ না খাওয়াই ভালো। সেই পরামর্শই ডাক্তাররা দিয়ে থাকেন। এছাড়াও পুষ্টিকর ও ওষুধ সম্পূরক গ্রহণ শরীরকে থাইরয়েডের ওষুধ যেমন ক্যালসিয়াম সম্পূরক ও দুধ এসিড নিউট্রালাইজার বা  এন্টাসিড, উচ্চ আঁশ জাতীয় খাবার যেমন – ফাইবার বার, ফাইবার পানীয়, তিসি ও লোহের যৌগ শোষণ করতে বাধা দিতে পারে যা ডা. চাওলা জানান।

আরও পড়ুনঃ কালোজিরার উপকারিতা

থাইরয়েড কমানোর ঘরোয়া পদ্ধতি 

  • খাবার খাওয়ার সময় মনোযোগ দিয়ে ধীরে ধীরে চিবাইয়ে খাওয়া। এটি মন এবং থাইরয়েড Thyroid) এর মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলে। তাই খাওয়ার সময় তাড়াহুড়া করে না খেয়ে সময় নিয়ে ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে। কেননা শরীরের বিপাক নিয়ন্ত্রণ করার জন্য থাইরয়েড গ্রন্থি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে ।
  • নারিকেল তেল ব্যবহার করা তবে গরম করে ব্যবহার করা যাবে না। এটি ওজন কমাতে এবং বিপাকীয় ক্রীয়া বাড়াতে  সাহায্য করে। কারণ নারিকেল তেল থাইরয়েড (Thyroid) গ্রন্থের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতেও এই তেল খুব কার্যকরী। 
  • থাইরয়েড কমানোর উপায় হিসেবে আদা খুবই উপকারী একটি দ্রব্য। আদায় রয়েছে বিভিন্ন খনিজ যেমন ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম। থাইরয়েডের সমস্যা দূর করার জন্য নিয়মিত আদা চা পান করতে পারেন অথবা আদা গরম পানির সাথে খেতে পারেন। 
  • ভিটামিন ডি এর অভাবে থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে। সূর্যের আলোতে শরীরে ভিটামিন ডি প্রস্তুত হবে। দিনে অন্তত ১৫ মিনিট সূর্যের আলোয় থাকবেন। এটি আপনার শরীরে ভিটামিন ডি উৎপন্ন করবে। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার বেশি খেতে পারেন যেমন ম্যাকারেল, দুগ্ধ জাতীয় খাবার, ডিমের কুসুম, স্যালমন কমলালেবুর রস ইত্যাদি। 
  • ভিটামিন বি খুবই সহায়ক থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে। বিশেষ করে হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য ভিটামিন বি ১২  খুবই উপকারী। যেই খাবার গুলিতে ভিটামিন বেশি থাকে যেমন মাছ ডিম দুধ মাংস বাদাম নিয়মিত খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করবেন। এইসব খাবারগুলি ভিটামিন বি আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ করবে। 
  • খনিজ ও আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার থাইরয়েড (Thyroid) এর জন্য অনেক উপকারী। তাই যে খাবারগুলিতে এই উপাদানগুলি রয়েছে সেগুলি বেশি বেশি খাবেন। আয়োডিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার গুলি হল দুধ, পনির, দই ইত্যাদি দুগ্ধ জাতীয় খাবার। এছাড়া আয়োডিন সাপ্লিমেন্টও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

উপসংহার 

বর্তমানে থাইরয়েডের (Thyroid) সমস্যা একটু অতি পরিচিত সমস্যা। বাংলাদেশের থাইরয়েড সমস্যার সব রকমের ধরন একসঙ্গে করলে জনসংখ্যার প্রায় ৩০% এই রোগে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি। ভ্রুণ অবস্থা হতে আমৃত্যু থাইরয়েড হরমোনের প্রয়োজন অপরিসীম। এই হরমোনের কমবেশির কারণে মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধি তো মোটা মাসিকের সমস্যা হার্টের সমস্যা এছাড়াও চোখের সমস্যা ও বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখা দেয়। তবে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য থাইরয়েড Thyroid) সমস্যার চিকিৎসা অনেক সফল। যারা এই সমস্যায় ভোগেন তারা যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করেন তাহলে সুস্থ হয়ে যাবেন খুব বেশি হতাশ বা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। থাইরয়েড কমানোর উপায় হল  ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার জীবন ব্যবস্থা ও খাবারের ডায়েট মেনে চলা। এতে আপনার থাইরয়েড হরমোনের ব্যালেন্স ঠিক থাকবে এবং আপনি সুস্থ থাকবেন।

থাইরয়েড কমানোর উপায় বহুল সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর /  

১. থাইরয়েড কি?

উত্তর: থাইরয়েড এমন একটি রোগ যা থাইরয়েড গ্রন্থিকে পরিমাণ মতো হরমোন তৈরি হতে বিরত রাখে। থাইরয়েড সাধারণত হরমোন তৈরির কাজ করে যা আপনার শরীরকে স্বাভাবিক ও সুস্থভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। এই থাইরয়েড গ্রন্থিতে অনেক বেশি থাইরয়েড হরমোন উৎপাদিত হওয়ার কারণে শারীরিক বিপাকীয় প্রক্রিয়া প্রভাবিত হয়ে থাকে। 

২. থাইরয়েড হরমোন এর দ্বারা কোন বিপাকীয় প্রক্রিয়াগুলি প্রভাবিত হয়? 

উত্তর: হৃদস্পন্দনের হার, কোলেস্টরেলের মাত্রা, পেশির বল, শারীরিক তাপমাত্রা, মৌল বিপাকীয় হার, শরীরের ওজন। 

৩. থাইরয়েড রোগের উপসর্গগুলি কি কি?

উত্তর: নার্ভাস অনুভব করা, হতাশা মেজাজ পরিবর্তন বা ডিপ্রেশন, অনেক বেশি শ্রান্তি অনুভূত হওয়া, হঠাৎ করে ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস পেলে, অনেকক্ষণ ধরে শীত অনুভূত বা গরম অনুভূত হওয়া, গলার ভয়েস বক্স এর দুই দিকে ফোলা ও পিন্ডের মতো অনুভব করা।

৪. কাদের থাইরয়েড রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি? 

উত্তর: রিসার্চের মাধ্যমে জানা গিয়েছে যে, পুরুষদের তুলনায় মহিলারা থাইরয়েড রোগে বেশি আক্রান্ত হন এবং তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি পুরুষদের তুলনায় প্রায় পাঁচ থেকে আট গুণ।

আরও পড়ুন-

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা

ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম

Leave a Comment