কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়

কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়

প্রেগনেন্সি টেস্ট কখন এবং কিভাবে করতে হয় জানেন? প্রেগনেন্সি বা গর্ভাবস্থা সংক্রান্ত এরকম কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতেই আজকের আর্টিকেলটি সাজিয়েছি। “জীবনে এমন কোন জিনিস নেই যা মাতৃত্বের চেয়ে বেশি সুন্দর এবং তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রত্যেকটি মেয়ের জীবনেই গর্ভাবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অবস্থা। মেয়েদের জীবনে এই সময়ে অনেক রকম পরিবর্তন আসে। প্রেগনেন্সি (pregnancy test) নিয়ে এই সময় মেয়েদের মধ্যে অনেক অনেক ভাবনা থাকে এবং

অনেক প্রশ্নের উদ্ভব হয়। সবচেয়ে যে প্রশ্নটি মাথায় বেশি আসে তা হলো, কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয় ? অর্থাৎ মিলনের ঠিক কত দিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট (pregnancy test) করতে হবে এটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। আবার অনেকে তো মনে করেন পিরিয়ড বন্ধ হলেই প্রেগনেন্ট হয়ে যায়। প্রেগনেন্সি টেস্ট করার জন্য রয়েছে সঠিক সময় এবং নিয়ম।

তবে, অনেক মহিলাই এই ব্যাপারে প্রকাশ্যে আলোচনা করতে সংকোচবোধ করেন। না জেনেই অনেক সময় তারা ভুল পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেন। কিন্তু প্রেগনেন্সি সম্পর্কে সবকিছু জানতে হবে এবং সচেতন হতে হবে।

আরও পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা জানা জরুরী

প্রেগনেন্সি বা গর্ভধারণ   

মেয়েদের মাসিক বা পিরিয়ড শুরু হয় ১২-১৩ বছর বয়স থেকে। পিরিয়ড শুরু হওয়ার পর থেকে প্রত্যেক মাসে একটি করে ডিম্বাণু পরিপক্ক হয়। সাধারণত এই ডিম্বাণু দুই মাসিকের মধ্যবর্তী সময়ে ডিমের থলি থেকে ডিম্ববাহি নালীতে আসে। যদি এই সময়ে যৌনমিলন করা হয়, যোনিপথ দিয়ে পুরুষের শুক্রাণু ডিম্ববাহি নালীতে গিয়ে পৌঁছায়। সেখানে শুক্রাণু ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হওয়ার ফলে অর্থাৎ, শুক্রাণু ডিম্বাণুকে নিষিক্ত (Fertilized) করলে ভ্রুনের সৃষ্টি হয়। একে বলে গর্ভধারণ। ভ্রুণ কয়েকদিন পর জরায়ুতে এসে পৌঁছায় এবং সেখানে বড় হয়ে একটি পরিণত শিশুতে পরিণত হয়।

মাতৃগর্ভে ধারণ করা শিশুটি একটি গর্ভ-ফুলের (ফুল) মাধ্যমে যুক্ত থাকে মায়ের জরায়ুর সাথে। শিশুটি গর্ভ-ফুলের মধ্য দিয়ে মায়ের কাছে থেকে পুষ্টি পায়। প্রায় ৩৮ সপ্তাহ এভাবে মায়ের জরায়ুতে কাটানোর পর প্রসব ব্যথা ওঠে মায়ের এবং যোনিপথ দিয়ে শিশু বের হয়ে আসে। এই প্রক্রিয়াকে প্রসব বা ডেলিভারি বলা হয়। তবে কখনো কখনো কিছু সমস্যার কারণে পেট কেটে বা অপারেশন করে বাচ্চা বের করতে হয়। এ পদ্ধতিকে বলে ক্রস-সেকশন (C-section) বা সিজার (Caesar)।  মা ও সন্তানের ঝুঁকির কথা ভেবে ২০ বছর বয়সের আগে মেয়েদের গর্ভবতী বা সন্তান ধারণ করা উচিত নয়। গর্ভধারণ করার জন্য আমাদেরকে জানতে হবে পিরিয়ড বা মিলনের কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট (pregnancy test) করতে হয় এবং গর্ভধারণ সংক্রান্ত সকল ব্যাপারে। 

প্রেগনেন্ট হওয়ার লক্ষণ 

আমাদের অনেকেরই ধারণা পিরিয়ড মিস হলেই প্রেগন্যান্ট হয়ে যায়। কিন্তু, গর্ভধারণ করার রয়েছে আরো কিছু লক্ষণ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মিলনের সাথে সাথেই গর্ভধারণ করা সম্ভব নয়। গর্ভধারণ করার জন্য সময় লাগে। সাধারণত জরায়ুতে শুক্রাণু পৌঁছাতে ২-৩ দিন সময় লেগে যায়। এরপর শুক্রানো ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হলে ভ্রুণ তৈরি হয়। মিলনের ৩-৪ দিনের মধ্যে গর্ভধারণ হয় । একটি শুক্রাণু মাতৃগর্ভে ৫ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এই সময়ের মধ্যে যদি শুক্রাণু ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে তাহলে মহিলাটি গর্ভবতী হবেন। গর্ভবতী হওয়ার কিছু দিনের মধ্যে নানা ধরনের লক্ষণ দেখা যায় শরীরে। প্রেগনেন্ট হওয়ার লক্ষণসমূহ (Symptoms of Pregnancy) নিচে বর্ণনা করা হলো –

মাসিক বন্ধ হওয়া

প্রেগনেন্ট হওয়ার প্রথম লক্ষণ ঋতুস্রাব বা মাসিক বন্ধ হওয়া। সন্তান ধারণক্ষমতা সম্পন্ন কোন মহিলার ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়া গর্ভধারণের লক্ষণ হতে পারে। 

স্তনের পরিবর্তন

গর্ভে সন্তান আসলে গর্ভবতী মায়ের স্তনে নানা রকম পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন – স্তনের আকার বৃদ্ধি পায়, স্তনে হালকা ব্যথা অনুভূত হয়, মোটা ও স্পষ্ট হয়ে ওঠে স্তনের উপরের ধমনীগুলো, স্তনের বোঁটায় (Nipple) পরিবর্তন দেখা যায়, স্তনের বোঁটার চারপাশের গোলাকার চামড়ার রং পরিবর্তিত হয়ে গাঢ় বাদামি বা কালো হয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ

ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া প্রেগনেন্সির আরেকটি লক্ষণ। হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে এই সময়ে শরীরে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়। রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বারবার প্রস্তাবের বেগ অনুভূত হয়। এই লক্ষণটি প্রথম ট্রিমেস্টার বা ৬ সপ্তাহে দেখা দিবে এবং বেশ কিছুদিন চলতে থাকবে। বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে এই সমস্যা আরো বেড়ে যাবে। 

খাবারের প্রতি অনীহা

গর্ভধারণের শুরুর দিকে খাবারের প্রতি অনীহা হওয়া বেশ স্বাভাবিক ঘটনা। এই সময় মুখের স্বাদ পরিবর্তন হয়। বিশেষ করে মশলা জাতীয় খাবারের প্রতি অনীহা হয়। 

স্পটিং এবং সাদাস্রাব

গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণ গুলোর মধ্যে রয়েছে স্পটিং বা রক্তপাত। এর ব্যথা পিরিয়ডের ব্যথার মত হতে পারে। এছাড়া সাদাস্রাবও হয় গর্ভবতী মহিলাদের। এক্ষেত্রে সাদাস্রাবের যদি গন্ধ থাকে এবং চুলকানি ও জ্বালাপোড়া হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। 

বমি বমি ভাব

ঘুম থেকে ওঠার পর বমি হয় বা বমি বমি ভাব হয়। প্রায় সকল গর্ভবতী মহিলাদেরই এই লক্ষণ প্রকাশ পায়। 

মাথা ব্যথা এবং ভারী হওয়া

প্রেগনেন্সির শুরু থেকেই মাথা ব্যথা বা মাথা ভারী হওয়া অনুভূত হতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে রক্ত-সঞ্চালন ও হরমোনের স্তর বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। 

ক্লান্তি অনুভব করা

গর্ভধারণ করার আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে ক্লান্তি অনুভব করা। মর্নিং সিকনেস প্রেগনেন্সির (pregnancy test) গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।  

মুড সুইং

মুড সুয়িং বা মন মেজাজ এর ওঠানামা একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ এই সময়ে। হরমোন পরিবর্তনের কারণে ব্রেনের ভিতরে মেসেজ বহনকারী নিউরোট্রান্সমিটারের পরিমাণে আসে পরিবর্তন। কখনো কখনো গর্ভবতী মা খুব বেশি আবেগী হয়ে যায়, আবার কখনো কখনো বিষন্নতা বা দুশ্চিন্তায় ভোগেন। 

কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয় – সঠিক সময় 

সঙ্গীর সাথে মিলনের পর যদি পিরিয়ড বা মাসিক বন্ধ হয় তাহলে প্রেগনেন্সি টেস্ট করা জরুরী। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয় ? HCG (Human Chorionic Gonadotropin) হরমোন গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টা বা গর্ভ-ফুল তৈরি করে । গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের রক্ত ও প্রস্রাবে সাধারণত প্রথম ত্রৈমাসিকে এই হরমোন (HCG) উচ্চ মাত্রায় পাওয়া যায়। গর্ভাবস্থায় বমি হওয়ার পেছনে এই হরমোনের ভূমিকা রয়েছে। HCG হরমোনের উপস্থিতি থাকলেই কোন মহিলা প্রেগন্যান্ট হবে। পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কয়েকদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করুন। বেশি তাড়াতাড়ি পরীক্ষা করলে রিপোর্ট কিন্তু ভুল আসতে পারে। 

প্রতিটি মহিলারই শরীর আলাদা এবং তাদের পিরিয়ড সাইকেলও (Period-Cycle) আলাদা। যে মহিলাদের মাসিক বা পিরিয়ড নিয়মিত হয় তাদের যদি পিরিয়ড হওয়ার তারিখ পার হয়ে যায়, সময় পার হয়ে যাওয়ার অন্তত এক সপ্তাহ পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হবে। মাসিক যদি অনিয়মিত হয় অথবা প্রত্যেক মাসেই একটু করে পিছিয়ে যায়, তাহলে মাসিকের শেষ দিন থেকে ৩৫ থেকে ৪০ দিন অপেক্ষা করার পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করুন। অথবা যাদের মাসিক অনিয়মিত হয় তাদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার লক্ষণসমূহ বুঝতে পারলে প্রেগনেন্সি টেস্ট করিয়ে নিন। গর্ভাবস্থার লক্ষণসমূহ ওপরে আলোচনা করা হয়েছে। 

আরও পড়ুনঃ গোল মরিচের উপকারিতা

কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয় – টেস্ট করার নিয়ম 

গর্ভধারণ করেছেন কিনা তা জানার জন্য নির্ভরযোগ্য কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। এসব পরীক্ষা কে বলা হয় “প্রেগনেন্সি টেস্ট”। গর্ভবতী নারীদের প্রস্রাবে HCG হরমোনের উপস্থিতি নির্ণয় করা হলো প্রেগনেন্সি টেস্ট। এই হরমোন কে প্রেগনেন্সি হরমোন (Pregnancy Hormone) বলা হয়। কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট (pregnancy test) করতে হয় এটা তো জানলাম কিন্তু এখন জানবো প্রেগনেন্সি টেস্ট (pregnancy test) করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। আপনি প্রেগন্যান্ট কিনা তা জানার জন্য কয়েক রকমের পরীক্ষা রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পরীক্ষা হল –

  • মূত্র পরীক্ষা (Urine Test)
  • রক্ত পরীক্ষা (Blood Test) 
  • প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ  

মূত্র পরীক্ষা

মূত্র পরীক্ষা করতে পারবেন প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট বা কাঠি দিয়ে। খুব সহজ এবং কম সময়েই ঘরে বসে প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট দিয়ে প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করা যায়। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির কিট পাওয়া যায় ৩০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে।  কিটের প্যাকেটের গায়ে টেস্ট করার নিয়ম লেখা থাকে। কিটের মাধ্যমে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার নিয়ম নিচে দেওয়া হলো – 

  • প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট সাধারণত লম্বা কাঠি বা বক্স আকৃতির।  এখানে রয়েছে দুইটি অপশন। একটিতে “S” লেখা এবং অপরটিতে “C” ও “T” লেখা থাকে। 
  • স্যাম্পল (Sample) অর্থাৎ মূত্র S এর ঘরে দিতে হবে। ২-৩ ফোঁটা প্রস্রাব দিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। কার্যকরী ফলাফল পাওয়ায় জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম প্রস্রাব ব্যবহার করুন। 
  • C ও T লেখা ঘরে লক্ষ্য করুন। শুধুমাত্র C লাইনে যদি একটি দাগ দেখা যায়,  তাহলে ফলাফল নেগেটিভ (Negative)।  অর্থাৎ আপনি গর্ভধারণ করেন নাই। 
  • C ও T উভয় লাইনেই যদি দাগ দেখা যায়, তাহলে ফলাফল পজিটিভ (Positive)। অর্থাৎ আপনি গর্ভধারণ করেছেন। 

রক্ত পরীক্ষা

প্রেগনেন্সি পরীক্ষার জন্য রক্ত পরীক্ষা বেশ নির্ভরযোগ্য। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে খুব দ্রুত প্রেগনেন্সি ফলাফল জানা যায়। রক্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগার সম্ভাবনা বেশি এবং খরচ বেশি হয়। রক্ত পরীক্ষার (Blood Test) মাধ্যমে রক্তে এইচসিজি (HCG) হরমোনের উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়। রক্ত পরীক্ষা সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। 

১. গুণগত পরীক্ষা ( Qualitative HCG Test) : এই পরীক্ষার মাধ্যমে HCG হরমোনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি দেখা হয় । 

২. পরিমাণগত পরীক্ষা (Quantitative HCG test) : এই পরীক্ষার মাধ্যমে HCG হরমোনের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। 

প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ 

মূত্র পরীক্ষা এবং রক্ত পরীক্ষা করা ছাড়াও প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারবেন। পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার দুই সপ্তাহ পর ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার আপনার জরায়ু ও গলদেশ (Cervix) পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। গর্ভধারণ করার কারণে সার্ভিক্স বা গলদেশ নরম হয় এবং জরায়ু বড় হতে থাকে। প্রেগনেন্ট কিনা জানার জন্য ডাক্তার যে পরীক্ষাগুলা করে থাকে।

  • আল্ট্রাসনোগ্রাফি 
  • রক্ত পরীক্ষা 
  • ফিতা দিয়ে জরায়ুর আকার মাপা 
  • গর্ভের শিশুটির হার্টের কার্যকলাপ নির্ণয় করার জন্য ডপলার আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। 

শেষকথা 

আশা করছি উপরের আলোচনা থেকে প্রেগনেন্সি কি, প্রেগনেন্ট হওয়ার লক্ষণ, কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয় এবং প্রেগনেন্সি (pregnancy test) পরীক্ষা করার নিয়ম সম্পর্কে ধারনা পেয়েছেন। প্রেগনেন্সি কিট দিয়ে পরীক্ষা করার সময় যদি ফলাফল নেগেটিভ আসে, তাহলে কয়েকদিন পর আবার চেষ্টা করুন। আপনার শরীরকে যথেষ্ট মাত্রায় HCG (Human Chorionic Gonadotropin) হরমোন তৈরি করার সময় দিন।

প্রেগনেন্সি কিট দিয়ে ইউরিন পরীক্ষা (Urine Test) যদি সঠিক নিয়ম মত করতে পারেন, তাহলে ফলাফল ৯৯% সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রক্ত পরীক্ষা আপনাকে একটি নির্ভরযোগ্য ফলাফল দিতে পারে। অনেক মহিলারা এখনো এসব ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করতে সংকোচবোধ করেন। কোন সমস্যা হলে বা এই ব্যাপারে জানার জন্য লজ্জা না করে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সঠিক নিয়ম মেনে আপনার মাতৃত্বকে উপভোগ করুন। 

কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয় সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর / FAQ’s

১. প্রেগনেন্সি টেস্ট কখন করতে হয় ? 

উত্তর : সহবাসের কমপক্ষে ২১ দিন পরে আপনি প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে পারেন। প্রেগন্যান্সি টেস্টে সাধারণত গর্ভবতী নারীদের প্রস্রাবে একটি হরমোনের উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়।

২. সহবাসের কত দিন পর গর্ভবতী হয় ?  

উত্তর : বিশেষজ্ঞদের মতে, মিলনের তিন থেকে চারদিনের মধ্যে গর্ভধারণ হয়। গর্ভে একটি শুক্রাণু পাঁচদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এই সময়ের মধ্যে শুক্রাণু ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করলে গর্ভবতী হন একজন মহিলা।

৩. মিলনের কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয় ? 

উত্তর : সহবাসের কমপক্ষে ২১ দিন পরে আপনি প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে পারেন। প্রেগন্যান্সি টেস্টে সাধারণত গর্ভবতী নারীদের প্রস্রাবে একটি হরমোনের উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়।

৪. মিলনের কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হয় ? 

উত্তর : সহবাস বা মিলনের কমপক্ষে ২১ দিন পর আপনি প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারবেন। 

৫. গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায় ? 

উত্তর : পিরিয়ড মিস করার আগে থেকেই প্রথম সপ্তাহে ৮০ শতাংশ মহিলা বমির সমস্যায় ভুগে থাকেন। আবার ৫০ শতাংশ মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার ৬ সপ্তাহ বা তার আগে থেকে বমি অনুভূত হতে থাকে। স্তনে ব্যথা, ফুলে যাওয়া বা ভারী হওয়া গর্ভধারণের লক্ষণ হতে পারে।

৬. প্রেগনেন্সি টেস্ট কিভাবে করতে হয়?  

উত্তর : ঘরে বসেই খুব সহজে মুত্র পরীক্ষার (Urine Test) মাধ্যমে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারবেন।  এছাড়া আরো কার্যকরী ফলাফল পেতে রক্ত পরীক্ষা (Blood Test) করতে পারেন। 

৭. প্রেগন্যান্সি টেস্ট কখন সবচেয়ে সঠিক ? 

উত্তর : অনেক ক্ষেত্রে, আপনি গর্ভধারণের 10 দিনের মধ্যে বাড়িতে একটি পরীক্ষা থেকে একটি ইতিবাচক ফলাফল পেতে পারেন। আরও সঠিক ফলাফলের জন্য, পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আপনার পিরিয়ড মিস না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

আরও পড়ুন-

সিজার অপারেশন কিভাবে করা হয়

মাসিক না হওয়ার কারণ ও মাসিকের ঔষধ

Leave a Comment