ডায়াবেটিস কি? ডায়বেটিস কমানোর উপায়?

ডায়বেটিস কমানোর উপায়

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় ডায়াবেটিস কি? ডায়বেটিস কমানোর উপায় চলুন তাহলে আজকের আলোচনাটি শুরু করা যাক। প্রথমে ডায়াবেটিস সম্পর্কে খুব ছোট করে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চাই।

আমরা যখন খাবার গ্রহণ করি, তখন আমাদের প্যানক্রিয়াস বা পাকস্থলী থেকে ইনসুলিন বের হয়।  আমরা যে খাবার খাচ্ছি তার অতিরিক্ত গ্লুকোজ কমে দেওয়াই ইনসুলিনের কাজ। যখন আমাদের শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন কমে যায় অথবা ইনসুলিন উৎপাদন হয় কিন্তু তা পরিমাণে কম, তখন শরীরে অতিরিক্ত গ্লুকোজ থেকে যায়।

আর এই অতিরিক্ত গ্লুকোজ  মানবদেহে থাকাকে আমরা ডায়াবেটিস বলি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণায় দেখা গেছে ১৯৮০ সালের ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয় প্রায় ১১ কোটি মানুষ। ৪২কোটিরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয় ২০১৪ সালে। ১৮ বছরের বেশি বয়সী মানুষের ডায়াবেটিস হওয়ার হার ছিল ৫ শতাংশেরও কম ১৯৮০ সালে কিন্তু ৮ দশকি ৫ শতাংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে ২০১৪ সালে। তাই আগে জানতে হবে ডায়বেটিস কমানোর উপায়।

আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা

প্রতি বছর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কত?

প্রতি বছর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা পরিবর্তিত হওয়ায় এই প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। যাইহোক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আনুমানিক ৪২২ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক ২০১৪ সালে ডায়াবেটিস নিয়ে বসবাস করছিলেন। এই সংখ্যা ২০৪০ সালের মধ্যে ৪২ মিলিয়নে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।বর্তমানে মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।

ডায়াবেটিস কি

সবসময় শোনা যায় ডায়াবেটিসের নাম তবে জানেন কি ডায়াবেটিস রোগ টা কি? এবং কেন এই রোগ হয়?  একটি বিপাকজনিত রোগ এর নাম হল ডায়াবেটিস।  ইনসুলিন নামক হরমোন টি যখন আমাদের শরীরের ঘাটতি দেখা দেয় তখন বিপাকজনিত গোলযোগ সৃষ্টি হয় গ্লুকোজের পরিমাণ রক্তে তখন অনেক বেড়ে যায় এবং প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে থাকে।  এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া এবং শরীরের এই পরিবর্তনকে ডায়াবেটিকস বলে।  ডায়াবেটিস রোগের সংক্রমণ বা ছোঁয়াচে রোগ নয়। 

ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যা রক্তে চিনির উচ্চ মাত্রা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যা শরীরের চিনির বিপাককে প্রভাবিত করে। শরীর হয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন উত্পাদন করে না, বা কোষগুলি ইনসুলিনের জন্য সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় না, যা উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা সৃষ্টি করে। সময়ের সাথে সাথে, উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনির ক্ষতি সহ গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়

ডায়াবেটিস এর লক্ষণ

আপনি ডায়াবেটিস হলে আপনার শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। কিছু সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে-

  •  ঘন ঘন প্রসাব হবে
  •  খুব বেশি পিপাসা বা তৃষ্ণা লাগবে এবং বারবার গলা শুকিয়ে যাবে।
  •  সব সময় ক্লান্তি, দুর্বলতা অনুভব হবে এবং খিদা লাগলে মাথা ঘুরাবে।
  •  কিছুক্ষণ পরপর ক্ষুধা লাগবে।
  •  প্রতিদিন যথেষ্ট খাবার খাওয়ার পরেও ওজন হ্রাস পেতে থাকবে।
  •  শরীরে কোথাও ক্ষত হলে তা সহজে শুকাবে না অনেক দেরি  হবে। কিছু সময় এন্টিবায়োটিক  ঔষধ সেবন করতে হতে পারে ক্ষত শুকানোর জন্য।
  •  শরীরে বিভিন্ন চর্মরোগ দেখা দিবে।
  •  চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাবে।
  •  শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া।
  •  মুখ ও ত্বক শুষ্ক হওয়া।

আপনার যদি এই উপসর্গগুলির কোনটি থাকে, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনি সঠিকভাবে নির্ণয় এবং চিকিত্সা করতে পারেন।

ডায়াবেটিসের প্রকারভেদ

তিন ধরনের ডায়াবেটিস আছে: টাইপ ডায়াবেটিস হল যেখানে শরীর ইনসুলিন তৈরি করতে অক্ষম এবং টাইপ 2 ডায়াবেটিস হল যেখানে শরীর সঠিকভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করতে অক্ষম।

টাইপ ১ ডায়াবেটিস

টাইপ ডায়াবেটিস হল যেখানে শরীর ইনসুলিন তৈরি করতে অক্ষম। হরমোন যা রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে। ফলস্বরূপ, তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ইনসুলিন ইনজেকশন নিতে হবে বা ইনসুলিন পাম্প ব্যবহার করতে হবে। একটি অটোইমিউন প্রতিক্রিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয় যেখানে শরীরের নিজস্ব ইমিউন সিস্টেম অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন উত্পাদনকারী বিটা কোষকে আক্রমণ করে। এর ফলে ইনসুলিন উৎপাদন কমে যায়, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।

টাইপ ২ ডায়াবেটিস

টাইপ ২ ডায়াবেটিস হল যেখানে শরীর সঠিকভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করতে অক্ষম। টাইপ ২ ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যা শরীরের রক্তে শর্করা (গ্লুকোজ) প্রক্রিয়া করার পদ্ধতিকে প্রভাবিত করে।

টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ইনসুলিন প্রতিরোধের এবং অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষের কর্মহীনতার সংমিশ্রণের কারণে উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা থাকে।

টাইপ ২ ডায়াবেটিস হল ডায়াবেটিসের সবচেয়ে সাধারণ রূপ, এবং এটি প্রায়শই ৪০ বছরের বেশি বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে নির্ণয় করা হয়।

টাইপ ২ ডায়াবেটিস মেলিটাস একটি বিপাকীয় ব্যাধি যা উচ্চ রক্তে শর্করা, ইনসুলিন প্রতিরোধের এবং ইনসুলিনের আপেক্ষিক অভাব দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে তৃষ্ণা বৃদ্ধি, ঘন ঘন প্রস্রাব এবং অস্বাভাবিক ক্লান্তি। উপসর্গগুলির মধ্যে ক্ষুধা বৃদ্ধি, বমি বমি ভাব, বমি, পেটে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, দ্রুত বা তীব্র হৃদস্পন্দনের অনুভূতি এবং চরম ক্ষুধার অনুভূতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। চিকিত্সা না করা হলে, ডায়াবেটিস মেটাবলিক সিনড্রোম, আল্জ্হেইমের রোগ, অন্ধত্ব, কিডনি ব্যর্থতা এবং নিম্ন অঙ্গবিচ্ছেদ সহ অনেক গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

টাইপ ২ ডায়াবেটিস হল ডায়াবেটিসের সবচেয়ে সাধারণ রূপ। এটি অনুমান করা হয় যে ডায়াবেটিস সহ 0% এরও বেশি লোকের টাইপ 2 রয়েছে। এটি প্রায়শই ৪০ বছরের বেশি বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ঘটে, যদিও এটি শিশু, কিশোর এবং অল্প বয়স্কদের মধ্যে ক্রমবর্ধমানভাবে নির্ণয় করা হচ্ছে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, ২০১০ সালের হিসাবে, ২৫.৮ মিলিয়ন

আমেরিকান – জনসংখ্যার ৮.৩% – মানুষের ডায়াবেটিস আছে। এর মধ্যে ৭ মিলিয়ন জানে না তাদের কাছে এটি আছে। টাইপ ২ ডায়াবেটিস টাইপ ১ ডায়াবেটিসের চেয়ে অনেক বেশি সাধারণ। 

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস

গর্ভকালীন সময়ে অনেক নারীরই ডায়াবেটিকস দেখা দিতে পারে। আবার সন্তান প্রসবের পর একা একাই এই ডায়াবেটিকস চলে যায়। ডায়াবেটিকসের এই লক্ষণকে এই গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বলা হয়।

গর্ভবতী মা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে মা এবং শিশুর দুইজনের জন্য বিপদজনক হতে পারে। এই বিপদ থেকে মুক্তি পাবার জন্য ইনসুলিন ব্যবহারের মাধ্যমে এই সমস্যা  নিয়ন্ত্রনে রাখা যেতে পারে। এই ধরনের রোগীদের প্রসব অবশ্যই হাসপাতালে হওয়া প্রয়োজন।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত প্রসূতি নারীকে নরমালে বাচ্চা হওয়া সম্ভব হয় না এক্ষেত্রে সিজারের ব্যবস্থা থাকতে হবে। অন্যান্য গর্ভকালীন মহিলাদের থেকে ডায়াবেটিস আক্রান্ত প্রসূতি মাকে বিশেষ যত্নে রাখা প্রয়োজন

 এই তিনটি কারণ ছাড়াও আরো যে কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে

  1.  জেনেটিক কারণ বা বংশগত কারণে ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে এবং ইনসুলিন তৈরি কম  হতে পারে।
  2.  জেনেটিক কারণে বা বংশগত কারণে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  3.  আমাদের শরীরের অগ্নাশয় বিভিন্ন রোগ থাকলে ডায়াবেটিস এর সংক্রমণ হতে পারে।
  4.  শরীরের অপ্রয়োজনীয় হরমোন বৃদ্ধি পেলে।
  5.  অতিরিক্ত ঔষধ সেবন এবং রাসায়নিক দ্রব্যের সংস্পর্শে থাকলে।
  6.  বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধির কারণেও হতে পারে।
  7.  রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার কিছু জটিলতার কারণে ও  ডায়াবেটিস হতে পারে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শারীরিক গঠন ক্ষীণকায় এবং অপুষ্টির শিকার হয়ে থাকে এই ধরনের রোগী। এবং ইনসুলিন ছাড়াও অনেকদিন ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রনে রেখে বেঁচে থাকতে পারে। এই ধরনের রোগীরা সাধারণত ৩০ বছরের নিচে হয়ে থাকে।

আরও পড়ুনঃ ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ ও চিকিৎসা

ডায়াবেটিস কেন হয়

জেনেটিক্স, ভাইরাস এবং অন্যান্য পরিবেশগত কারণ সহ ডায়াবেটিসের অনেক সম্ভাব্য কারণ রয়েছে। আমরা যখন খাদ্য গ্রহণ করি তখন আমাদের শরীর শর্করাকে ভেঙে গ্লুকোজের রূপান্তর করে।  অগ্নাশয় থেকে একটি হরমোন নিঃসৃত হয় যার নাম ইনসুলিন,  যার নির্দেশে আমাদের শরীর  গ্লুকোজ গ্রহণ করে।  এই গ্লুকোজ কাজ করে শরীরের শক্তি হিসেবে। যখন ইনসুলিন শরীরে তৈরি হতে না পারে এবং সঠিকভাবে কাজ না করে তখনই ডায়াবেটিস হয়।  এর ফলে রক্তে গ্লুকোজ জমা হতে শুরু করে।

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়

৪২ কোটিরও বেশি মানুষ বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ৩০ বছর আগের তুলনায় চারগুণ বেশি। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী কখনো ডায়াবেটিস নিরাময় করতে পারে না নিজের শরীর থেকে তবে চিকিৎসার মাধ্যমে এবং নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমে এটা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। সম্প্রতি খুব ভালো চিকিৎসা প্রদান করছেন অর্গান ফার্মাসিটিক্যাল।

যে চারটি নিয়ম মেনে চললে ডায়াবেটিস থেকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব

  •  পরিমাণমতো খাদ্য গ্রহণ, অধিক খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকা।
  •  শারীরিক পরিশ্রম এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা।
  •  ডাক্তারের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন করা।
  •  ডায়াবেটিক সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংগ্রহ করে তা সঠিকভাবে মেনে চলা।

ডায়াবেটিস এ খাবার গ্রহণের সর্তকতা

  •  শাক সবজি, ডাল, টক ফল জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। এগুলো আঁশবহুল খাবার।
  •  সব ধরনের ছোট মাছ,  উদ্ভিদ থেকে নিষ্কৃত তেল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে যেমন সরিষার তেল, বাদামের তেল।
  • সব সময় ওর দিকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে ওজন বৃদ্ধি পায়। 
  • যেকোনো মিষ্টিজাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে খাবার তালিকা থেকে।
  • মিষ্টি জাতীয় ফল এবং চাল আটা দিয়ে তৈরি খাবার কিছুটা কমিয়ে দিতে হবে।
  • আঁশ জাতীয় মাংস যেমন গরুর মাংস, খাসির মাংস, ঘি, মাখন, চুরি, ডালডা খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে।
  • ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী অন্য রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য তালিকা গ্রহণ করবে।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী যেসব বিষয় খেয়াল রাখবে

  •  প্রতিদিন পরিমাণমতো খাবার গ্রহণ করতে হবে। অতিরিক্ত তেলজাতীয় খাবার না খাওয়া ভাল।
  •  শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম করতে হবে প্রতিদিন।
  •  ডাক্তারের পরামর্শ সুষ্ঠুভাবে মেনে চলতে হবে। 
  •  সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
  •  শরীরের সমস্ত অঙ্গের ভিতরে পায়ের ওপর বিশেষ যত্নশীল হতে হবে।
  •  নিয়মিত ডায়াবেটিকস টেস্ট করাতে হবে প্রসাব পরীক্ষা করতে হবে এবং নির্দিষ্ট বিষয় তা তালিকাভুক্ত করতে হবে।
  •  যেসব খাবারে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি এইসব খাবার সম্পূর্ণরূপে বাদ দিতে হবে।
  •  ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • শারীরিক কোন অসুবিধা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। উপযুক্ত চিকিৎসা নিতে হবে। 
  •  কোন সময় নিজের চিকিৎসা বন্ধ রাখা যাবে না।
  •  ডায়াবেটিস মাপার যন্ত্র নিজে কিনে প্রতিনিয়ত নিজের ডায়াবেটিকস টেস্ট করে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে সব থেকে ভালো।
  •  রক্তে শর্করার পরিমাণ কতটুকু আছে বিশেষ কাঠি দাঁড়াও তা পরিমাণ করা সম্ভব।

শেষ কিছু কথা

ডায়াবেটিকস নীরব ঘাতক বলেই পরিচিত, আগের দিনে একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর মানুষের ডায়াবেটিস ধরা পড়লেও এখন ডায়াবেটিকস এর কোন বয়স সীমা নাই অনেক ছোট বাচ্চাকে ও অনেক সময় দেখা যায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাই নিজের শরীর নিয়ে সব সময় সচেতন থাকুন নিজের শরীরে সামান্য কিছু পরিবর্তনেও ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন অবহেলা না করে

প্রিয় পাঠক আশা করি আপনি ডায়াবেটিস কি এবং ডায়বেটিস কমানোর উপায় এই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আজ আমরা ডায়াবেটিস কি এবং ডায়াবেটিস হলে করনীয় কি? এই সম্পর্কে জানলাম।
আপনি যদি এই সম্পর্কের না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই ভাল হবে জেনে নিন। এই সম্পর্কে জানতে সম্পুর্ন পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আপনার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন-

ওজন কমানোর উপায়

কোলেস্টেরল কমানোর উপায়

Leave a Comment