মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা যায়

মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা যায় 

মাসিক (periods) মেয়েদের শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মেয়েদের একটি নির্দিষ্ট বয়স পর শরীরে মাসিক বা পিরিয়ড চক্র শুরু হয়। আমরা সবাই জানি মাসিক চলাকালীন সময়ে সহবাস করা যায় না। কিন্তু এই ব্যাপারে একটু দ্বিধায় থাকি যে মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা যায়? সহবাস হলো স্বামী স্ত্রী মিলনের একটি বৈধ প্রক্রিয়া।

স্বামী স্ত্রীর যৌন চাহিদা পূরণ করার জন্য সহবাস করা হয়। সহবাসের ফলে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কও ভালো থাকে। এছাড়া বাচ্চা নেওয়ার একমাত্র প্রক্রিয়া হলো স্বামী স্ত্রী সহবাস করা। যাদের নতুন বিয়ে হয়েছে

তাদের মনে সহবাস সম্পর্কে অনেক রকম প্রশ্ন আসে। এসব ব্যাপারে সবাইকে বলতেও সংকোচবোধ করেন। মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা যায় যদি জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। 

আরও পড়ুনঃ কোলেস্টেরল কমানোর উপায়

মাসিক কি 

মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা যায়

আজকের আলোচনার বিষয় মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা যায়। কিন্তু তার আগে চলুন জেনে নেই মাসিক কি এবং কেন মেয়েদের শরীরে মাসিক (periods) হয় এই সম্পর্কে। মাসিক বলতে বুঝায় নারী দেহের ২৮ দিনের একটি পর্যায়ক্রমিক শরীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়া। মাসিক নামটি পিরিয়ড, রজ:চক্র, ঋতুচক্র, ঋতুস্রাব ইত্যাদি নামেও পরিচিত। ইংরেজিতে মাসিক কে বলা হয় Menstrual cycle। পিরিয়ড ১০ থেকে ১৬ বছর বয়সের মধ্যে প্রথম শুরু হয়।

তবে ৯ বছর বয়স থেকেও হতে পারে। কেননা মাসিক সাধারণত ভৌগলিক আবহাওয়া এবং শারীরিক শক্তির ওপর নির্ভর করে হয়ে থাকে। মাসিক শুরু হওয়ার পর থেকে প্রত্যেক মাসে নিয়মিতভাবে হতেই থাকে। মাসিকের এই চক্র ২৮ দিন পর পর অথবা এর সামান্য আগে বা পরেও হতে পারে। একটা নির্দিষ্ট বয়সে এসে মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। একে বলে মেনোপজ (Menopause)।  

মাসিক বা পিরিয়ড (periods) হওয়া  মানে একটি মেয়ের মা হওয়ার সক্ষমতা অর্জন করা। মাসিক চক্র নারীদের প্রজনন ব্যবস্থার জরায়ু এবং ডিম্বাশয় এর গঠন যা গর্ভাবস্থাকে সম্ভব করে তোলে। মাসিক ডিম্বাশয় চক্র ডিমের উৎপাদন ও মুক্তি এবং ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোনের চক্রাকার মুক্তি নিয়ন্ত্রণ করে। চারটি প্রধান ধাপে ভাগ করা হয় ২৮ দিনের এই মাসিক চক্রকে। ধাপ গুলো হল : 

১. ফলিকিউলার দশা / Follicular phase 

২. ডিম্বানু নিঃসরণ দশা / Ovulation phase 

৩. লিউটিয়াল দশা / Luteal phase 

৪. মেন্সস্ট্রুয়েশন দশা / Menstruation phase

মাসিক অবস্থায় করণীয় কি 

মাসিক (periods) চলাকালীন সময় মেয়েদের মানসিক এবং শারীরিক অনেক পরিবর্তন হয়। মাসিকের সময় মেয়েদের মুড সুইং খুব বেশি লক্ষ্য করা যায়। ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন নামক স্ত্রী হরমোন মাসিক প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। মাসিক চক্র হয় বলেই নারীরা সন্তান ধারণ করতে সক্ষম। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মাসিকের সময় করণীয় কি কি –

  • মাসিকের সময় অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে । 
  • এই সময়ে স্যানিটারী ন্যাপকিন ব্যবহার করুন। অনেকে কাপড় ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে ভালোভাবে কাপড়টি সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে রোদ্রে শুকিয়ে নিবেন। তবে এক কাপড় বেশি দিন ব্যবহার না করাই ভালো। 
  • মাসিক চলাকালীন সময়ে হালকা গরম পানিতে গোসল করা ভালো। 
  • তলপেটে ব্যথার ক্ষেত্রে গরম ছ্যাঁক দিলে উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে হট ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। 
  • আয়রনসমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। 
  • অধিক পরিশ্রমের কাজ যেমন ভারী জিনিস তোলা থেকে বিরত থাকতে হবে। 
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে। 

আরও পড়ুনঃ বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময়

সহবাস কি 

সহবাস হলো স্বামী ও স্ত্রীর শারীরিক মিলন। সহবাস আরো অনেক নামে পরিচিত যেমন- যৌনসঙ্গম, যৌনমিলন, সঙ্গম, যৌন সংসর্গ, মৈথুন, রতিক্রিয়া, রতিমিলন, যৌন সহবাস ইত্যাদি। সহবাস একটি জৈবিক ক্রিয়া যার মাধ্যমে যৌনআনন্দ বা প্রজনন অথবা উভয় প্রকার ক্রিয়ার জন্য একজন পুরুষের উত্থিত শিশ্ন একজন নারীর যোনিপথে প্রবেশ করানো এবং সঞ্চালনা করানো হয়।

সহবাস একমাত্র প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি মেয়ের গর্ভে বাচ্চা জন্ম নেয়। তবে যৌনমিলন বা সহবাসের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র বাচ্চা জন্মদান করা নয়। বৈধভাবে বিপরীত লিঙ্গের মানুষের সাথে প্রেম ভালোবাসার মাধ্যম হচ্ছে সহবাস। মাসিকের সময় সহবাস করা যায় না। অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা যায় এই প্রসঙ্গে। সহবাস করার নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। স্বামী তার স্ত্রীর সাথে যে কোন ভাবে সহবাস করতে পারে। হাদিসে আছে –

আল্লাহ তায়ালা বলেন – “তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র, তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। ” (সূরা বাকারা : ২২৩) 

এই আয়াত দ্বারা বোঝা যাচ্ছে, মুসলিম দম্পতিরা যেকোনো সময় সহবাস করতে পারবেন। মাসিক বা ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ব্যতীত যেকোনো সময় এবং যেকোনো ভাবে সহবাস করার জায়েজ রয়েছে ইসলামে। আশা করছি সহবাস সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা পেয়েছেন। 

সহবাস করার উপকারিতা 

সহবাস শুধুমাত্র সন্তান জন্মদানের পদ্ধতি নয়। শারীরিক এবং মানসিক উভয় প্রকার তৃপ্তি দেয় সহবাস। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালো সম্পর্ক করার জন্য সহবাসের উপকারিতার শেষ নেই। সহবাস বা যৌনমিলনের রয়েছে আরো অনেক রকম উপকারিতা। নিচে উপকারিতাগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো –

১. বাচ্চার জন্ম এবং বংশবৃদ্ধি

সহবাসই একমাত্র বৈধ উপায়, যার মাধ্যমে বাচ্চা জন্মদান করা সম্ভব। বাচ্চা জন্মদানের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করার জন্য এটি একটি অপরিহার্য বিষয়। 

২. যৌন চাহিদা মেটায়

একটি বয়সের পর নারী এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই যৌন চাহিদার সৃষ্টি হয়। নারী এবং পুরুষের এই যৌন চাহিদা পূরণ করে সহবাস। 

৩. শারীরিক ও মানসিক আনন্দ

সহবাস নারী এবং পুরুষ উভয়েরই শারীরিক এবং মানসিক আনন্দের কারণ হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, মানসিক চাপ দূর করার জন্য দুর্দান্ত মাধ্যম হচ্ছে যৌনমিলন। কাজের ক্ষেত্রে মনোযোগ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে এটি। 

৪. মানসিক বন্ধন

একটি দম্পতির পরস্পরের মধ্যে মানসিক বন্ধন (Emotional bonding) গড়ে তোলার জন্য সহবাস সাহায্য করে। স্বামী স্ত্রীর একে অপরের প্রতি বিশ্বাস এবং ভালোবাসা বেড়ে যায়। 

৫. প্রজনন স্বাস্থ্যের উন্নতি

নিয়মিত সহবাস আপনার প্রজনন স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে। যার ফলে গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকিও কমে যাবে। 

৫. মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি

মানসিক চাপ (Stress) কমাতে সাহায্য করে সহবাস। নিয়মিত সহবাস আপনাকে আক্ষেপ, হতাশা এসব থেকে দূরে রাখবে। 

৬. আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি 

যৌন চাহিদা পূরণের পাশাপাশি স্বামী স্ত্রীর একে অপরের প্রতি আকর্ষণ সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে সহবাস। 

৭. শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি

নিয়মিত সহবাস আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে। রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় সহবাস। 

আরও পড়ুনঃ চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা যায় 

মেয়েদের শরীরে মাসিক (periods) চক্রাকারে ঘটতে থাকে প্রতি মাসে। মাসিকের সময়কালে সহবাস করা যায় না। কিন্তু প্রশ্ন হল মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা যায় ? হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সহবাসের দুইটি ক্রিয়াকে  নিষেধ করেছেন- 

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন – ” যে ব্যক্তি ঋতুস্রাবগ্রস্ত স্ত্রীর সাথে বা স্ত্রীর পায়ুপথে সহবাস করলো বা গণকের কাছে এসে তার কথা বিশ্বাস করে নিলো, সে প্রকৃতপক্ষে মুহাম্মাদের উপর অবতীর্ণ সবকিছু অস্বীকার করলো। ” (তিরমিযী – ১৩৫) 

মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা যায় এই বিষয়ে অনেকেরই ধারণা নেই। মাসিক বা পিরিয়ড (periods) শেষ হলে আপনি সহবাস করতে পারবেন। মুসলমানদের ক্ষেত্রে মাসিক শেষে ফরজ গোসল করার পর যেকোনো সময় আপনি সহবাস করতে পারবেন। কিন্তু মাসিকের দিনগুলোর সাথে নিরাপদ সহবাস এবং জন্মনিয়ন্ত্রণের সম্পর্ক আছে। গবেষণা অনুযায়ী, ডিম্বাণু তৈরি হয় মাসিকের ৯ম দিন থেকে ১৯ তম দিনের মধ্যে।

অর্থাৎ এই ১০ দিনের যেকোনো দিন জরায়ুতে যদি শুক্রানু থাকে তাহলে শুক্রানুটি নিষিক্ত হতে পারে। ডিম্বানু উর্বর হয় ১৪ তম দিনে। ১২ থেকে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ ডিম্বাণু জড়ায়ুতে কার্যকর থাকে। তাই গর্ভধারণ করার জন্য সবচেয়ে উর্বর সময় এটা। 

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই ১০ দিন ব্যতীত কি অন্য সময় সহবাস করা নিরাপদ? এর উত্তর হচ্ছে : অবশ্যই নিরাপদ না। এই সময় ব্যতীত অন্য সময় সহবাস করলে গর্ভধারণ করার সম্ভাবনা কম থাকে। তবে ১০০% নিরাপদ এটা একদমই বলা যাবে না। আমরা জানি, পুরুষের শুক্রাণু নারীর জড়ায়ুতে ৫ দিন পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে।

তাই শুক্রানু কর্তৃক ডিম্বাণু নিষিক্ত (fertilized)  হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায় এক্ষেত্রে। মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, খাদ্যাভ্যাস, ভারী শরীরচর্চা এসব বিষয় ডিম্বাশয়কে ডিম্বাণু উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রভাবিত করে। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভাবস্থা এড়ানোর জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির কোন বিকল্প নেই। 

সহবাস সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা এবং কুসংস্কার 

সহবাস একটি বৈধ জৈবিক প্রক্রিয়া। ইসলাম সহবাসকে জায়েজ করে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের সমাজে সহবাস সম্পর্কে রয়েছে বেশ কিছু ভুল ধারণা এবং কুসংস্কার। নিচে আলোচনা করা হলো এসব ভুল ধারণা এবং কুসংস্কার সম্পর্কে – 

  • প্রথম ভুল ধারণাটি হল রাত্রি দ্বি-প্রহরের আগে সহবাস বা যৌনমিলন করা যাবে না। 
  • রবিবারে সহবাস করা যাবে না। 
  • ফলবান গাছের নিচে যৌনমিলন করা যাবে না। 
  • বুধবার রাত্রে সহবাস করা যাবে না। 
  • চন্দ্র মাসের প্রথম ও ১৫ তারিখ রাত্রে সহবাস করা যাবে না। 
  • কেউ বিদেশে যেতে চাইলে সেক্ষেত্রে বিদেশে যাওয়ার আগের রাত্রে স্ত্রী সহবাস করা যাবে না। 
  • স্ত্রীর জরায়ুর দিকে তাকিয়ে সহবাস করলে চোখের জ্যোতি নষ্ট হয়ে যাবে। 
  • উলঙ্গ হয়ে যৌনমিলন করা যাবে না। 
  • ভরা পেটে সহবাস করা যাবে না। 
  • জোহরের নামাজের পর সহবাস করা যাবে না। 
  • উল্টো হয়ে সহবাস করা যাবে না। 
  • স্বপ্নদোষের পর গোসল না করলে সহবাস জায়েজ হবে না। 
  • পূর্ব-পশ্চিম দিকে শুয়ে যৌনমিলন করা যাবে না। 

উপরে আলোচিত কুসংস্কার গুলো ছাড়াও আরো অনেক অনেক ভুল ধারণা রয়েছে সহবাস সম্পর্কে। এসবের কোন ভিত্তি নাই এবং সবই ভ্রান্ত ধারণা। কুরআন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয় এসব কুসংস্কার। আমরা চেষ্টা করব এসব কুসংস্কারকে বিশ্বাস না করার। 

শেষকথা 

সহবাস একটি বৈধ জৈবিক প্রক্রিয়া। সহবাসের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর যৌন পরিতৃপ্তির পাশাপাশি একমাত্র সন্তান জন্মদানের উপায়। আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছেন, মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা যায়। মাসিক (periods) বা ঋতুস্রাব শেষ হলে আপনি সহবাস করতে পারবেন। তবে অনেকেই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন না করে সহবাস করে। যার ফলে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ হয়। যেটা কিনা একদমই কাম্য নয়।

যদি বাচ্চা নিতে চান সেক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি না নিয়ে আপনি সহবাস করতে পারেন। কিন্তু বাচ্চা নিতে না চাইলে অবশ্যই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করুন। জন্ম নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি হলো কনডম ব্যবহার করা। এছাড়াও আরো অনেক রকম পদ্ধতি আছে। এক্ষেত্রে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন। সঠিক নিয়ম মেনে সহবাস করুন। আপনার সঙ্গী বা সাথীর সাথে সহবাসের মাধ্যমে ভালো একটি সম্পর্ক হোক এই কামনা করছি।

মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা যায় সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর / FAQ’s 

১. অনিয়মিত ঋতুস্রাব কি? 

উত্তর : নারীদের মাসিক বা ঋতুস্রাব সাধারণত ২৮ দিন পর পর হয়। এই ২৮ দিনের ৭ দিন আগে অথবা ৭ দিন পরে অর্থাৎ ২১ থেকে ৩৫ দিন পরপর যদি হয় নিয়মিত ব্যবধানে ঋতুস্রাব হয়, তাহলে একে স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু ২১ দিন আগে অথবা ৩৫ দিন পরে যদি ঋতুস্রাব হয় এবং ৩ দিনের কম অথবা ৭ দিনের বেশি স্থায়ী হলে একে অনিয়মিত ঋতুস্রাব বলে। 

২. কোন কোন ক্ষেত্রে মাসিক হয় না?  

উত্তর : মাসিক প্রক্রিয়াটি নারীদের শরীরে চক্রাকারে সংঘটিত হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাসিক হয় না। 

  • গর্ভধারণ করলে মাসিক বন্ধ হয়ে যায় এবং বাচ্চা জন্মদানের বেশ কিছুদিন পর প্রক্রিয়াটি পুনরায় শুরু হয়। 
  • স্তন্যদানকারী মায়েদের শরীরে প্রোল্যাকটিন হরমোনের আধিক্যের কারণে মাসিক বা পিরিয়ড বন্ধ থাকে অথবা কম মাত্রায় অনিয়মিত হয়। 
  • ৪৫ থেকে ৫০ বছর বয়স্ক মহিলাদের অনিয়মিতভাবে হতে থাকে । মেনোপজ (Menopause) হলে একদম মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। 

৩. মাসিকের ১০ দিন পর কি গর্ভবতী হওয়া সম্ভাবনা আছে? 

উত্তর : হ্যাঁ, সম্ভাবনা আছে। আপনার মাসিক চক্র যদি ২৮ দিনের হয় সেক্ষেত্রে ডিম্বাণু তৈরি হবে মাসিকের ৯ থেকে ১৯ দিনের মধ্যে। এই সময় সহবাস করলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 

৪. পিরিয়ডের সময় সহবাস করলে কি সমস্যা হয়?  

উত্তর : ইসলাম ধর্মে পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে সহবাস করা একদম নিষিদ্ধ। এই সময় সহবাস করলে যোনিতে ইনফেকশন হতে পারে। এছাড়াও শরীর থেকে প্রভাবিত রক্ত পেটের অন্য কোন অংশে ঢুকে যেতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরাও পিরিয়ড চলাকালীন সময় সহবাসকে নিষিদ্ধ করেছেন। 

আরও পড়ুন-

ওজন কমানোর উপায়

কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়

Leave a Comment