জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার সঠিক নিয়ম

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন

আপনার জন্ম নিবন্ধনে কি ভুল রয়েছে? এটা কি সংশোধন করার প্রয়োজন? কিন্তু জন্মনিবন্ধন সংশোধন কোথায় করবেন, কিভাবে করবেন তা নিয়ে ভাবছেন তাই তো? তাহলে আপনি কিন্তু  একদম সঠিক জায়গায় আছেন। কারন আজকের আর্টিকেলে

আমরা আজ আপনাদের জন্য জন্ম নিবন্ধন সংশোধনকরার উপায় সম্পর্কে জানাবো বিস্তারিত সকল তথ্য। যার ফলে আপনারা খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধনের ভুল সংশোধন করতে পারবেন। তার পাশাপাশি চেষ্টা করব আনুষাঙ্গিক কিছু তথ্য দিয়ে দিতে। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক-

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার উপায় ২০২৩ এই সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি।

আরও পড়ুনঃ পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম

আজকের আলোচ্য বিষয়

জন্ম সনদ সংশোধনের কিছু প্রাথমিক শর্ত 

আমাদের দেশে অনেক মানুষেরই জন্ম নিবন্ধনে প্রায় সময় কিছু না কিছু সমস্যা থাকে। কেউ যখন প্রথম জন্ম নিবন্ধন করে তখন দেখা যায় তাদের কারো নামে সমস্যা রয়েছে। আবার কারো মা-বাবার নামের,কারো বা ঠিকানা কারো জন্ম তারিখ বা সালে, আবার কারো বা বয়সে। জন্ম সনদ যদি ভুল থাকে তবে প্রাতিষ্ঠানিক কাজ গুলোর ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা পোহাতে হয়। তবে ভুল হলেও জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবার উপায়ও আছে। তবে তার জন্য অবশ্যই কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। যেমনঃ- 

  • জন্ম নিবন্ধন সংশোধনকারীর যদি বাবা-মা এর নাম সংশোধন করার প্রয়োজন হয়, তবে বাবা-মা এর যে জন্ম নিবন্ধন আছে তার নম্বর প্রয়োজন হবে (এক্ষেত্রে বাবা মায়ের যদি জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকে, তাহলে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন করে নিতে হবে)।
  • বাবা-মা এর জন্ম নিবন্ধন নম্বর না থাকে এবং জন্ম তারিখ ০১/০১/২০০০ এর পূর্বে হয় তাহলে কিন্তু আপনার জন্ম সনদ তথ্য সংশোধন আবেদন করার সময় অবশ্যই আপনার বাবা-মা এর নামও সাথে সাথে সংশোধন করে নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কারো পিতা বা মাতার মৃত হলে মৃত্যুর প্রমাণপত্র বা ডেথ সার্টিফিকেটটি দাখিল করতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের ফি – ২০২৩  

অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত টাকা খরচ হয়। আসলে জন্ম নিবন্ধন এর সমস্যা অনুভব এর সংশোধনী কত টাকা প্রয়োজন হয় তা নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালা অনুসারে জন্ম সনদ সংশোধন করার জন্য বাংলাদেশী মুদ্রা ফি নেয়া হয়। নিচে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফি প্রদান করা হলো-

  • জন্ম নিবন্ধনে যেকোনো ধরনের তথ্য সংশোধনের জন্য বাংলাদেশী মুদ্রায় ফি হলো – ১০০ টাকা।
  • নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তথ্য সংশোধনের জন্য ফি হলো -৫০ টাকা।
  • বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় মূল সনদ সংশোধনের পর সনদের কপি সরবরাহ করতে ফি হলো – বিনামূল্যে (কোন টাকা প্রদান করতে হয় না)। 
  • বাংলা ও ইংরেজি ভাষার সনদের নকল কপি সরবরাহ করতে ফি হলো -৫০ টাকা।

জন্ম সনদ সংশোধন ফরম 

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য কিছু বিষয় পালন করতে হয়। তার মধ্যে একটি হলো ফরম ফিলআপ করা। এজন্য আপনাদের অবশ্যই একটি  ফরম পূরণ করতে হবে। এজন্য আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন এর নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে এই ফরমটি পূরণ করতে পারবেন। অথবা আপনার নিকটস্থ যে ইউনিয়ন পরিষদ,পৌরসভা কিংবা সিটি কর্পোরেশনের অফিস আছে সেখান থেকেও জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য ফরম সংগ্রহ করে ফরমটি পূরণ করতে পারবেন। এখানে আপনার ভুল হওয়া সকল তথ্য গুলো সঠিক ভাবে দিতে হবে। 

জন্ম সনদ সংশোধন ফরম 

যাদের জন্ম নিবন্ধনে কিছু ভুল আছে তা সংশোধন করার জন্য  দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। প্রথমটি হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে সংশোধন। অর্থাৎ জন্ম সনদ সম্পর্কিত সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এবং পরেরটি হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা কিংবা সিটি কর্পোরেশনের অফিসে গিয়ে। আমরা আজকে অনলাইনের মাধ্যমে আপনারা কিভাবে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে পারবেন তার নিয়ম জানিয়ে দিব।

অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম

আগেই বলে রাখি যারা অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে চান তাদের জন্ম নিবন্ধনটি কিন্তু অবশ্যই অনলাইনে থাকতে হবে। আর তারপর অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম সনদ সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর ভুল সংশোধনের জন্য সংশোধিত তথ্য সংযুক্ত করে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র আপলোড করার পরবর্তী সময়েই আবেদন সাবমিট করে দিতে হবে। 

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সংশ্লিষ্ট যে কর্তৃপক্ষ আছে তারা আপনার আবেদন যাচাই করে আপনাকে শুনানির জন্য ডাকবে। এরপর আপনার সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তাদের দেখানোর পর, আপনার আবেদন অনুমোদন করা হবে এবং আপনার জন্ম নিবন্ধনে থাকা ভুল তথ্য গুলো সংশোধন করে প্রেরণ করা হবে।

কিন্তু এখন হয়ত অনেকেই ভাবছেন যে আমরা ঠিক কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এবং কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারি? তাই আমরা আপনাদের সুবিধার্থে নিচে অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার পুরো নিয়মটি দেখিয়ে দিলাম-

আরও পড়ুনঃ জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান

ধাপ- ১ঃ 

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের বয়স সংশোধন করার জন্য ফরম পূরণ করতে ভিজিট করুন এই ওয়েবসাইটে: https://bdris.gov.bd/। এখানে নিচের ছবির মত একটি পেইজ শো করবে। এরপর মেন্যু থেকে জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদনের যে মেন্যু আছে তাতে ক্লিক করুন।

এরপর আপনার জন্ম নিবন্ধনের নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে আপনার নিবন্ধন এন্ট্রি বের করুন।

এবার এখান থেকে নির্বাচন করুন এই  বাটনে ক্লিক করুন।

এরপর নিচের ছবির মত একটি পেইজ শো করবে। এখানে আপনার যাবতীয়  তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে এবং প্রমাণপত্র আপলোড করে আবেদনটি সাবমিট করে দিতে হবে।

ধাপ- ২ঃ 

এবার উপরের তথ্যগুলো পূরণ করার পর আপনাকে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে আবেদনটি জমা দিতে হবে।

এরপর আবেদনের প্রিন্ট কপি বাহির করার জন্য প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করেন। প্রিন্ট করে নিন অথবা চাইলে পিডিএফ হিসেবেও সেভ করে নিতে পারেন। যদি আপনার কাছে প্রিন্টার না থাকে তাহলে, এলাকার যেকোন কম্পিউটার সেবার প্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাপ্লিকেশন আইডি ও জন্ম তারিখ দিয়ে ২ কপি জন্ম নিবন্ধন আবেদনপত্র প্রিন্ট করে নিন।

ধাপ- ৩ঃ 

আপনার আবেদনটি এবং সঠিক বয়স প্রমাণের আপলোড করা ডকুমেন্টের একটি ফটোকপি আপনার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা বা কাউন্সিলর অফিসে জমা দিন।

সেখানে গেলে তারা আপনার থেকে প্রয়োজনীয় ফি নিবে। এরপর আপনার আবেদনটি রিসিভ করে  উচ্চতর কর্তৃপক্ষের বিবেচনার জন্য পাঠিয়ে দিবে।

আর এই ধাপে, আপনার আবেদনের কপি ও বয়স প্রমাণের ডকুমেন্টটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় অথবা আপনার এলাকা অনুযায়ী উচ্চতর কর্তৃপক্ষের অফিসে জমা দিন।

ধাপ- ৪ঃ  

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা বা কাউন্সিলর অফিসে জমা দেওয়ার ৩/৪ দিন পর অনলাইনে আপনার জন্ম নিবন্ধন সংশোধন তথ্য যাচাই করে দেখুন যে আপনার আবেদনটি অনুমোদন পেয়েছে কিনা। যদি অনুমোদন পেয়ে যায় তবে,আবারও ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা অফিস থেকে সংশোধিত জন্ম নিবন্ধনটি সংগ্রহ করুন।

আবেদন ফি জমাদান

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় যে ফি চালান অথবা অনলাইন ফি আছে তা পরিশোধ পদ্ধতি ব্যবহার করে পরিশোধ করতে হবে। যদি আপনি অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করতে চান তবে ফি আদায় নামের যে বাটন আছে তাতে ক্লিক করুন।

যদি চালানের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করেন তাহলে- চালান নং, চালান জমা দেয়ার তারিখ, চালান পরিশোধের মাধ্যম, ব্যাংক, জেলা ও ব্যাংক ব্রাঞ্চ সঠিকভাবে এন্ট্রি করে সাবমিট নামক বাটনটিতে ক্লিক করুন।

এবার সাকসেস বা সফল ম্যাসেজ আসলেই বুঝতে হবে, আবেদন পত্রটি সফল ভাবেই সাবমিট করা হয়ে গেছে। এবার আবেদন দাখিল হওয়ার পরই প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করে নিন, আবেদনপত্রটি প্রিন্ট করে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ নির্ধারিত তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধকের কাছে (ইউনিয়ন অথবা পৌরসভায়) দাখিল করবেন।

এরপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট কার্যালয় আপনার আবেদনটি যাচাই বাছাই করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। আর নিবন্ধন সঠিক হওয়ার পর পরই আপনার অনলাইন জন্ম নিবন্ধনটি হাতে পেয়ে যাবেন।

আরও পড়ুনঃ  ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার প্রয়োজনীয়তা 

বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয় পত্রের পাশাপাশি জন্ম নিবন্ধন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করা সবার জন্যই বেশ জরুরি একটি কাজ। শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যেই শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক হয়ে পরে।

আর যদি তা না করা হয় তাহলে পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। যেমন জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী, শিশুর জন্মগ্রহণের পর পরই তার জন্ম-নিবন্ধীকরণ করার কথা বলা হয়েছে। উন্নত বিশ্বের সব দেশেই শিশু জন্মের পরই তার জন্ম নিবন্ধন করা হয়। বাংলাদেশেও প্রতিটি শিশু জন্মের পর পরই জন্ম নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার প্রয়োজনীয়তা

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, (২০০৪ সনের ২৯ নং আইন) এর আওতায় একজন মানুষের নিজের নাম, নিজের লিঙ্গ, তার জন্মের তারিখ ও স্থান, বাবা-মায়ের নাম, তাদের জাতীয়তা ও স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারিত নিবন্ধক কর্তৃক রেজিস্টারে লেখা বা কম্পিউটারে এন্ট্রি প্রদান ও জন্ম সনদ প্রদান করা।

আর একটি শিশুর জন্মের ৪৫ দিন বা দেড় মাসের মধ্যেই কিন্তু তার জন্ম নিবন্ধন করে ফেলতে হবে। তবে এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি নিবন্ধন না করা হয় তবে ১৮ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এটি করতে পারবেন। তবে ১৮ বছর পার হলেই কিন্তু ৫০ টাকা ফি দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।

মুলত জন্ম সনদ হলো একজন মানুষের জন্ম, বয়স, পরিচয় ও নাগরিকত্বের প্রমাণ। আর এই জন্ম নিবন্ধন যদি ভুল থাকে। তবে একজন মানুষকে অনেক ভোগান্ত  পোহাতে হবে। রাষ্ট্রের স্বীকৃত নাগরিকের মর্যাদা ও সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে হলেই জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদর্শন করা কিন্তু বাধ্যতামূলক। জেনে নিন কি কি কাজে জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজন হয়ে থাকে-

পাসপোর্ট ইস্যু, বিবাহ নিবন্ধন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, সরকারি-বেসরকারি বা স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায় নিয়োগদান, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যুতে, ভোটার তালিকা প্রণয়ন করতে, জমি রেজিষ্ট্রেশন করতে,  ব্যাংক হিসাব খোলার জন্য আমদানি ও রপ্তানী লাইসেন্স প্রাপ্তিতে, গ্যাস, পানি, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তিতে ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টি আই এন) প্রাপ্তিতে ঠিকাদারী লাইসেন্স প্রাপ্তিতে ইত্যাদি।

আর যদি জন্ম নিবন্ধনে ভুল তথ্য থাকে তবে এগুলোতে ভুল থাকবে। তাই জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করুন আজই। 

শেষ কথা 

আশা করি, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার উপায় সম্পর্কে। তাই আর দেরি না করে আজই আপনার ভুল হওয়া নিবন্ধনটি সংশোধন করে নিন। আপনার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি “ধন্যবাদ

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন সংক্রান্ত কিছু তথ্য প্রশ্ন ও উত্তর

১- জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে হলে কি কি কাগজ লাগে?

উত্তর :- জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য লাগবে, জাতীয় পরিচয় পত্র, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, এলাকার কাউন্সিলর বা চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে বিশেষে, হাসপাতাল অথবা ডাক্তারের সনদ, নিজের পিতা-মাতার জন্ম সনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, কখনো আবার হোল্ডিং ট্যাক্সের রসিদ প্রয়োজন হতে পারে।

২- জন্ম নিবন্ধন ঠিক কিভাবে সংশোধন করব? 

উত্তর:- আপনাত জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য প্রথমে ভিজিট করুন। এই ওয়েবসাইটে: https://bdris.gov.bd/br/correction. এরপর জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন মেন্যুতে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করুন। এপ্লিকেশন আইডি সংগ্রহ করে সংশোধনের আবেদনপত্রটি A4 সাইজের কাগজে প্রিন্ট করে নিবেন। আবেদনপত্রটি আপনার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন অফিসে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র ও ফি সহ জমা প্রদান।

৩- জন্ম সনদ সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগতে পারে?

উত্তর :- একটি জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সংশোধন করতে সাধারণত ৫ থেকে ৭ দিনের মত সময় লাগতে পারে।

৪- আমি জন্ম সনদ সংশোধন অনলাইনে আবেদন করেছি এখন বর্তমান অবস্থা কিভাবে জানব?

উত্তর :- অনলাইন আবেদন করার পর আপনার যে এপ্লিকেশন আইডি আছে ও সাথে জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন অবস্থা জানতে পারবেন। আর এজন্য ভিজিট করুন এই ওয়েবসাইটে : https://bdris.gov.bd/br/application/status

৫- জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফরমটি কোথায় জমা দিব?

উত্তর :- অনলাইনে আবেদনের পর জন্ম সনদ তথ্য সংশোধন ফরমটি আপনার এলাকার  ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুন –

ভোটার আইডি কাড সংশোধন

অনলাইনে খতিয়ান দেখার নিয়ম

Leave a Comment