ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম
ফেমিকন পিল একটি সহনীয় এবং আধুনিক জন্মবিরতিকরন পদ্ধতি। তাই আজ আমরা জানব, এই ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। চলুন তাহলে যেনে নেওয়া যাক- বিস্তারিত সকল কিছু। বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির জন্য বিভিন্ন ধরণের পিল ব্যবহার করা হয়।
কম মাত্রায় জন্ম বিরতিকরনের জন্য ফেমিকন পিলের বেশ সুনাম রয়েছে বাংলাদেশে এবং অধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। প্রায় সকল ফার্মেসীতেই এই পিল পাওয়া যায়।
বর্তমান বিশ্বে লক্ষ্য লক্ষ্য মহিলারা জন্ম বিরতিকরন পিল ব্যাবহার করে পরিবার পরিকল্পনা করছেন। তাই যারা জন্ম বিরতিকরন নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য এই আর্টিকেল। এই আর্টিকেলে ফেমিকন পিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, দাম উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পিল খেতে ভুলে গেলে করণীয় কি ইত্যাদি সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অনেকেই রয়েছেন যারা নিয়ম অনুযায়ি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খেতে ভুলে যান।
এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারন আমাদের দেশে ব্যবহৃত মেথড হচ্ছে পিল। কিন্তু প্রথম সাইড এফেক্ট হচ্ছে পিল খেতে ভুলে যাওয়া বা মিসড পিল। আজকের আমরা আপনাদের সাথে আলােচনা করবাে, ফেমিকন পিল কি? ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম, পিল কিভাবে কাজ করে, ফেমিকন পিলের উপকারিতা ও অপকারিতা, ঝুঁকি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, এবং এই পিল কখন খাওয়া উচিত না এই সম্পর্কে বিস্তারতি।
ফেমিকন (What is femicon pill?)
ফেমিকন (Femicon Pill) হচ্ছে বাংলাদেশের এস এম সি কম্পানির একটি ব্র্যান্ড। ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম এটি একটি কম ডোজের গর্ভনিরােধক পিল যা মহিলাদের শরীরের সাথে নমনীয়ভাবে মানিয়ে নেয় এবং পরিবার পরিকল্পনা করতে সহায়ক হয়। সল্পমাত্রায় জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের মধ্যে ফেমিকন অন্যতম।
একটি সাদা ফেমিকন পিলে রয়েছে নরজেস্ট্রেল ০.৩০ মিগ্রা, ইথালিন ইস্ট্রাডিওল ০.০৩ মিগ্রা। এছারা এক একটি বাদামি পিলে রয়েছে ফেরাস ফিউমারেট ৭৫.০ মিগ্রা।
আরও পড়ুনঃ মাাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে সন্তান হয়
পিল খাওয়ার নিয়ম
একটি ফেমিকন পিলের পাতায় মোট ২৮ টি ট্যাবলেট থাকে যেখানে ২১ টি সাদা বড়ি এবং ৭ টি লাল বড়ি থাকে। মেয়েদের মাসিক শুরু হওয়ার ১ম বা ২য় দিন থেকে শুরু করে প্রতিদিন ১ টি করে টানা ২১ দিন সাদা বড়ি খেতে হবে। ২১ দিন শেষে ২২তম দিন থেকে লাল রঙের বড়ি খাওয়া শুরু করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত আপনার সন্তান নিতে না চান তাতাে দিন পর্যন্ত নিয়মিত বড়ি খেতে হবে। সহবাস না করলেও নিয়মিত ফেমিকন পিল খেতে হবে। যখন আপনারা বাচ্চা নিতে চাইবেন তখন থেকে এই পিল বা বড়ি খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। কোন দিন যদি আপনি পিল খেতে ভুলে যান তাহলে পরের দিন দুইটি বড়ি একসঙ্গে খেয়ে নিন।
ডা. মোছা. আফরোজা সরকার জলি বলেন, মাসিকের প্রথম সাত দিনের মধ্যে যদি একটা পিল মিস হয়, তাহলে যে কোনো সময় খেতে পারবেন। কিন্তু কারো যদি দুইটা পিল বাদ পড়ে এবং তা যদি মাসিকের ৭ম থেকে ১৪তম দিন অথবা ২১তম দিনে হয়, তাহলে যখন মনে হবে তখন খাবে। আর তা না হলে পরবর্তী দ্বিতীয় দিনে দুইটা পিল একসঙ্গে খাবে এবং পরবর্তী সাত দিন অথবা ১৪ দিন পর্যন্ত সে অন্য কন্ট্রাসেপটিভ বেরিয়ার মেথড বা কনডম ব্যবহার করতে হবে। আর এটা যদি না করা হয় তাহলে অনিয়ন্ত্রিত গর্ভ সঞ্চালনের সম্ভাবনা রয়ে যায়।
ফেমিকন খাওয়ার উপকারিতা
প্রতিনিয়ত ফেমিকন পিল ব্যবহার করলে নারি দেহে বিভিন্ন ঝুঁকির অবসন ঘটে। এই ফেমিকন পিল ব্যহার করলে নারি দেহের ওয়ারিয়ান সিস্ট, অ্যানিমিয়া, আথারাইটিস, একটোপিক, যৌনাঙ্গে প্রদাহজনিত রোগ ইত্যাদি। এই ধরনের রোগের সম্ভাবনা কমে যায়। এছাড়াও মাসিক চলাকালিন অস্বস্তি, খিঁচুনি, যন্ত্রণা লাঘব করে। তবে এই ফেমিকন পিল খাওয়া বন্ধ করে দিলেই স্বাভাবিক নিয়মে গর্ভধারণ করা সম্ভব।
ফেমিকন খাওয়ার অপকারিতা
ফেমিকন পিলের তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে এই ফেমিকন পিল নিয়মিত না খেলে স্বাভাবিক নিয়মে গর্ভধারণ হয়ে যাবে। তবে এক এক ধরনের খাবার পিল এক এক নারীর শরীরের সাথে মানিয়ে যায়। কিছু কিছু নারীর ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যয়ে এই ফেমিকন পিল খেলে কিছু অসুবিধা দেখা দিতে পারে তাহলো- মাথা ঘোড়া, মাথা ব্যাথা, বমি বমি ভাব, পেট ব্যাথা, মাসিকের রাস্তা দিয়ে ফোটা ফোটা রক্ত বের হয় ইত্যাদি। তবে নিয়মিত এই পিল খেতে থাকলে ২/৩ মাসের মধেই এই সমস্ত উপসর্গ স্বাভাবিক ভাবেই দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও ২/৩ মাসের বেশি দিন ধরে যদি এই অবস্থায় থেকে যাই, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এবং সেটি মেনে চলতে হবে।
যে সকল কারনে ফেমিকন পিল খাবেন
ফেমিকন পিল খাওয়ার ফলে যেসকল উপকারিতা পাওয়া যায় তাহল- ফেমিকন খাওয়ার উপকারিতা
- খাবার পিল একটি সহনীয় ও কার্যকরী (৯৯.৯%) জন্মবিরতিকরন পদ্ধতি।
- খাবার পিল অস্থায়ী এবং পরিবর্তনশীল পদ্ধতি।
- আপনি যত দিন সন্তান গর্ভধারণ করতে না চান ততদিন পিল খেতে থাকুন। তারপর সন্তান গর্ভধারণ করতে চাইলে পিল খাওয়া বন্ধ করলেই আপনার গর্ভধারণ ক্ষমতা ফিরে আসবে।
- খাবার পিল খেলে নিয়মিত মাসিক হয় এবং মাসিকের অসুবিধা কমে যায়।
- নিয়মিত পিল ব্যাবহারে ওভারিয়ান শিষ্ট ,অ্যানিমিয়া, এটপিক প্রেগনেন্সি যৌনাঙ্গে প্রদাহ জনিত রোগ ইত্যাদির সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
- যাদের ব্রন তাদের জন্য ওরাল কনট্রাসেপটিভ পিল অনেক উপকারি।
- গর্ভধারণ থেকে বিরত রাখা ছাড়াও এই খাবার ফেমিকন পিল অনেক ক্ষেত্রে শরীরের অনেক উপকার করে থাকেন।
আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় সহবাস করার সঠিক নিয়ম
ফেমিকন পিল খেতে ভুলে গেলে করণীয়
১-২ দিনের পিল খেতে ভুলে গেলে যখন মনে পড়বে তখনই পিল খেয়ে নিতে হবে এবং পরের পিলগুলো নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। এবং পাশাপাশি ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপ্টিভ বার্থ কন্ট্রোল ব্যবহার করতে হবে। আর ৫-৬ দিন যদি মিস হয় তাহলে নতুন করে পিল আর খেতে হবে না কিন্তু পুরো মাসের জন্য তাকে এবং তার স্বামীকে অন্য বার্থ কন্ট্রোল মেথড ব্যবহার করতে হবে।
কিছু কিছু পিলের একই প্যাকেটের মধ্যে কয়েক লেভেলের হরমোন সমৃদ্ধ পিল থাকে। একেক সময়ে একেকটা খেতে হয়। কোন পিল আপনি মিস করেছেন তার ওপর নির্ভর করে সমাধান একেক হয়ে থাকে। এখানে দেখে নিতে হবে কম্বিনেশন পিল খাওয়া মিস করলে কী করতে হবে সেই সকল তথ্য।
Planned Parenthood এর মত অনুযায়ি একটানা সাতদিন বা তার বেশি পিল না খেলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে। একটা প্যাকেট শেষ হবার পর নতুন একটা প্যাকেট শুরু করতে ভুলে গেলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেরে যায়। এর জন্য চার্টটা দেখে নিতে পারেন।
প্যাকের শুরুতে একটা বা দুইটা পিল খেতে ভুলে গেলে যখন মনে পড়বে তখনই খেয়ে নিতে হবে। এর পর থেকে মনে করে সময়মত খেয়ে নিতে হবে। তবে আপনার একটানা সাতদিনব্যাপি ব্যাকআপ বার্থ কন্ট্রোল মেথড ব্যাবহার করতে হতে পারে।
৩দিন থেকে শুরু করে ২১ দিনের মধ্যে ২/১ টা পিল খেতে ভুলে যান তাহলেও আগের নিয়মের মতই মনে পড়ার সাথে সাথে পিল খেয়ে নিতে হবে এবং পরেরটা নিয়ম মত খেতে হবে। এক্ষেত্রে সাধারণত কোন ব্যাকআপ লাগবে না।
এরপর প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে তিনটা বা তার বেশি পিল মিস করলে এক্ষেত্রেও মনে পড়ার সাথে সাথে একটা পিল খেয়ে নিতে হবে। এবং সময় মত খেতে হবে এক্ষেত্রে সাত দিনের ব্যাকআপ বার্থ কন্ট্রোল প্রয়জন হবে।
৩য় সপ্তাহেও যদি তিনটা বা তার বেশি পিল মিস করেন তাহলে ওই প্যাক থেকে ওষুধ খাবেন না, প্যাকের ওষুধ সব ফেলে দিয়ে নতুন প্যাক শুরু করবেন। এক্ষেত্রে সাতদিনের ব্যাকআপ ব্যাবহার করা লাগবে।
যে সকল কারনে ফেমিকন পিল খাওয়া নিষিদ্ধ
- বয়স যদি ৪৫ এর বেশি হয়।
- যদি আপনি গর্ভবতী হয়ে থাকেন।
- যদি আপনার হৃদ রোগ ও ধমনীতে রক্ত জমাট রোগ থাকে।
- যদি লিভারের কোন সমস্যা থাকে অথবা আপনি জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
- যাদের ডায়াবেটিস আছে।
- উচ্চ রক্ত চাপে ভুগছেন এমন মহিলা।
- যাদের স্ট্রোকের ঝুকি আছে।
- যে সকল মহিলাদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে।
ফেমিকন পিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
এক এক ধরনের খাবার ফেমিকন পিল এক এক মহিলার শরীরের সাথে মানিয়ে যায়। তবে কোন কোন মাহিলার ক্ষেত্রে প্রথমিক পর্যায়ে ফেমিকন পিল খেলে কিছু অসুবিধা দেখা দিতে পারে। সেটা হচ্ছে- মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা অথবা ফেমিকন পিল খাওয়ার পর পরে মাসিকের রাস্তা দিয়ে ফোটা ফোটা রক্ত বের হতে পারে। তবে নিয়মিত এই ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম খেতে থাকলে দুই তিন মাসের মধ্যে এ সমস্ত উপসর্গ স্বাভাবিকভাবেই দূর হয়ে যায়। এছাড়াও যেসব মাহিলাদের এই ধরনের উপসর্গ দুই তিন মাসের পরেও থেকে যায়, তাদেরকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামশ নিতে হবে। এবং ডাক্তারের নিদেশমত পরবতী মাসিক শুরু থেকে অন্য কোন পদ্ধতি নিতে হবে।
ফেমিকনের দাম কত?
বর্তমান সময়ে ফেমিকন পিল আপনি বাজারের যেকোনো ফামেসির দোকানে পেয়ে যাবেন। এক পাতা ফেমিকন ট্যাবলেট এর মুল্য ৩০ থেকে ৩৫ টাকা হয়ে থাকে। আর সেখানে মোট ২৮ টি বড়ি থাকে, যার মধ্যে ২১ টি বড়ি সাদা আর ৭ টি বড়ি লাল রঙ্গের মতো হয়র থাকে।
ফেমিকন খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়
নিয়ম অনুযায়ী ফেমিকন ট্যাবলেটি খাওয়ার শুরু সাধারণত ২১ তম দিন থেকে ২৮ তম দিনের মধ্যেই মাসিক শুরু হয়। মানে যখুন থেকে আপনি লাল বনের বরি গুলি খাওয়া শুরু করবেন।
ফেমিকন খেলে যে সকল সমস্যা হতে পারে
- মাথা ব্যাথা হওয়া।
- মেজাজ খিটখিটে হওয়া।
- বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
- ওজন বেড়ে যাওয়া।
- চোখে ঝাপসা দেখা।
- মাসিক বিহীন ব্লিডিং।
- মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া।
- সেক্স সুয়াল আগ্রহ কমে যাওয়া।
- তলপেটে ব্যাথা।
- ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকা।
ফেমিকন পিল খাওয়ার পরেও যে কারনে গর্ভধারণ হতে পারে
- নিয়ম মত পিল না খেলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে।
- প্রতি দিন সঠিক সময়ে পিল না খেলে পিলে কার্যক্ষমতা কম হয়ে যায়।
- বিশেষ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য পিল কাজ করে না। যেমন- টিউবার কুলোসিসের জন্য রিফাডিন চিকিৎসা, গ্রিসেওফালভিনের জন্য অ্যান্টি ফাঙ্গাল ড্রাগ ইত্যাদির জন্য পিলের কার্যক্ষমতা কমে যায় ।
- কোনো হার্বাল সাপ্লিমেন্টের কারণে গর্ভনিরোধক পিলের গুনাগুন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
শেষ কথা
পিল ব্যাবহারকারীদের মধ্যে নানা রকম গুরুতর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উল্লেখ করা হয়েছে। ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম আপনি যদি পিল খাওয়া শুরু করার পর কোন প্রকার অসুবিধা হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া প্রথম সন্তান নেয়ার আগে পিল না খাওয়াই উত্তম। এতে করে পরবর্তী সন্তান গর্ভধারণে মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। একটি সন্তানের পর অনেক দিন পিল খেলে পরবর্তীতেও সন্তান ধারণে নানা রকম জটিলতা দেখা দিতে পারে। এছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে নানা রকম শারীরিক সমস্যার দেখা দিতে পারে।
ফেমিকন পিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম নিয়ে যদি আপনাদের কোন মতামত বা প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদের নির্দ্বিধায় করতে পারেন আমরা চেষ্টা করবো আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে।
ফেমিকন পিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ
প্রশ্নঃ ফেমিকন এর দাম কত?
উত্তরঃ বর্তমান সময়ে এক পাতা ফেমিকন ট্যাবলেট এর মূল্য ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।
প্রশ্নঃ ফেমকন খেলে কি হয়?
উত্তরঃ ফেমিকন ট্যাবলেটি খেলে সময়িক সময়ের জন্য জন্মবিরতিকরন কিংবা গর্ভধারন থেকে বিরত থাকা যায়।
প্রশ্নঃ ফেমকন কিসের ঔষধ?
উত্তরঃ ফেমিকন ট্যাবলেটি হল বাচ্চা না হাওয়ার ঔষধ, আপনারা যে বা যারা কিছু সময়ের জন্য বাচ্চা নিতে চাচ্ছেনা তাদের জন্য এই ঔষধটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
প্রশ্নঃ ফেমিকন পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়?
উত্তরঃ ফেমিকন পিল ট্যাবলেটি খাওয়ার সাধারণত ২১ থেকে ২৮ তম দিনের মধ্যেই মাসিক শুরু হয়।
প্রশ্নঃ ফেমিকন এর কাজ কি? ও ফেমিকন কি কাজ করে?
উত্তরঃ এটি স্বল্পমাত্রায় জন্মবিরতিকরন পিল, যে সকল দম্পতি বিয়ের পর বেশ কয়েক মাস বা কয়েক বছর বাচ্চা নিতে চান্না তারা নিয়মিত এটি সেবন করুন।
প্রশ্নঃ লাল পিল খাওয়ার নিয়ম?
উত্তরঃ প্রথমত আপনাকে আগে সাদা ২১ টি পিল খেতে হবে, তার পর নিয়ম অনুযায়ী ২২ দিনের দিন থেকে শুরু করে ২৮ তম দিন পয়ন্ত লাল বর্ণের ট্যাবলেটি খেতে হবে।
প্রশ্নঃ ফেমিকন পিল খাওয়ার কতদিন পর সহবাস করা যায়?
উত্তরঃ যেহেতু আমরা সকলেই জানি, মাসিক অবস্থায় সহবাস করা ইসলামিক কিংবা মেডিকেল সাইন্সে অনুযায়ী নিষিদ্ধ। সেহেতু মাসিক শেষ হলেই সহবাস শুরু করতে পারেন। এখানে ধরা বাধা কোন নিয়ম নাই।
আরও পড়ুন-
ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম
মাসিক না হওয়ার কারণ ও মাসিকের ঔষধ