ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম

ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা 

ই ক্যাপ ক্যাপসুল মূলত ভিটামিন ই মুখে খাওয়া হয় এবং প্রয়োজনে বাহ্যিকভাবেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের তথ্য অনুযায়ী ই-ক্যাপ ক্যাপসুল এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। 

আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ই এর অভাব দেখা যায়। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ই ক্যাপ ক্যাপসুল খেতে হবে। তবে আপনার ভিটামিন ই জনিত সকল সমস্যা দূর হবে। তবে ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি খেতে হলে আপনাকে

অবশ্যই এর সঠিক নিয়ম জানতে হবে। ভিটামিন ই শরীরের কোষগুলিকে সতেজ রাখতে সবচেয়ে বেশি কাজ করে থাকে। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটির মূল বিষয় ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পুরো পোস্টটির সাথেই থাকুন। তো চলুন আর দেরি না করে জেনে আসি, ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

আরও পড়ুনঃ  এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় ও ঘরোয়া পদ্ধতি

ই-ক্যাপ এর উপকারিতা

ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রত্যেক ওষুধের ওই উপকারিতা এবং অপকারিতা রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করলে তেমন কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। চলুন জেনে নেওয়া যাক ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। 

উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি

ই-ক্যাপ আমাদের শরীরকে সতেজ রাখতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এতে এমন এক ধরণের এন্টি-অক্সিডেন্ট হয়েছে যা আমাদের ত্বক এবং মুখের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সৌন্দর্য চর্চার ক্ষেত্রে ই-ক্যাপ মুখে খাওয়া যেতে পারে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বাহ্যিক ভাবে ব্যবহার করা যায়। 

চুলের যত্নে

ভিটামিন ই চুল পড়া বন্ধ করতে এবং নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে। যারা চুল পড়া সমস্যা ভুগে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে এটি জাদুর মত কাজ করে। ই ক্যাপ চুলে ব্যবহারের নিয়ম হল এই ক্যাপসুল মুখে খাওয়ার পাশাপাশি নিত্যদিনের ব্যবহার্য তেলের সাথে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করা যেতে পারে। চুলে ব্যবহার করার ২ থেকে ৩ ঘন্টা পর মাথা শ্যাম্পু করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হয়। এভাবে সপ্তাহে ২ দিন করে এক মাস ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

বয়সের ছাপ দূর করতে

বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের ত্বক কুঁচকে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বলিরেখা দেখা দিতে শুরু করে। এক্ষেত্রে ই ক্যাপ ক্যাপসুল এন্টি এজিং ক্রিম হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত যদি ঝুলে যাওয়া এবং কুঁচকে যাওয়া ত্বকে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল মালিশ করা হয় তাহলে উজ্জ্বলতা বাড়ার পাশাপাশি সব ধরনের বলিরেখা দূর হয়। 

ক্রিম হিসেবে

যারা নাইট ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন তাদের জন্য ভিটামিন-ই মশ্চারাইজিং হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। নিয়মিত ব্যবহৃত ক্রীম কিংবা লোশনের সাথে কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তরল মিশিয়ে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। 

ই ক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ই ক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যাদের প্রতিদিনের তালিকায় ই ক্যাপ রয়েছে তাদের জন্য ই ক্যাপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে জানা খুবই জরুরি। সব ঔষধেরই কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে।  

ই-ক্যাপ এর পাঁচ ব্যবহার

নখের যত্নে

হাত দিয়ে সারাদিন কত কাজই না করা হয়। আর প্রায় সব কাজই হাতের নখের ওপর কিছু না কিছু প্রভাব রেখে যায়। বিশেষ করে রান্নার বিভিন্ন কাজ, থালা-বাসন ও কাপড় ধোয়া, বাগান পরিচর্যা ইত্যাদি কাজে নখের ওপর যথেষ্ট ধকল যায়।

তাই নখের পর্যাপ্ত যত্ন নেওয়াটাও জরুরি। অন্যথায় তা হলুদ হয়ে যেতে পারে, ভেঙে যেতে পারে। আর সেই কাজের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল আদর্শ।

ক্যাপসুল খুলে তার ভেতরের তেল নখ ও এর চারপাশে ভালোভাবে মাখাতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে কাজটি করা ভালো। এতে সারারাত নখ ‘ময়েশ্চার’ পাবে।

ওভারনাইট ক্রিম

ভিটামিন ই ক্যাপসুল তার ‘ময়েশ্চারাইজিং’ গুণের জন্য বেশ সমাদৃত। তাই ওভারনাইট ক্রিম হিসেবেও তা বেশ কার্যকর। যে ওভারনাইট ক্রিম বর্তমানে ব্যবহার করছেন তাতে কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল মিশিয়ে দিলেও উপকার পাবেন। তবে আগে অবশ্যই মুখ ধুয়ে নিতে হবে। তেলটি সেরাম হিসেবে কাজ করবে এবং রাতভর ত্বকে আর্দ্রতা যোগাবে।

মনে রাখতে হবে রাতে ঘুমানোর কমপক্ষে আধা ঘণ্টা আগে তা ত্বকে প্রয়োগ করতে হবে। এতে ত্বক ই ক্যাপসুলের তেল শোষিত হওয়ার সুযোগ পাবে এবং বালিশে লেগে যাবে না।

চুলের যত্নে

ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুল পড়া রুখতে এবং নতুন চুল গজাতে অত্যন্ত উপকারী। সাধারণত চুলে যে তেল ব্যবহার করেন তাতেই মিশিয়ে নিতে হবে ক্যাপসুলে থাকা তেল। এবার তা চুল ও মাথার ত্বকের প্রয়োগ করে দুতিন ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে, কুসুম গরম পানি ব্যবহার করলে বেশি ভালো। সপ্তাহে দুদিন এই তেল ব্যবহার করা উচিত। আর সুফল চোখের পড়বে দুতিনবার ব্যবহারেই।

বলিরেখা দূর করতে

ত্বকের বিভিন্ন বলিরেখা, কুঁচকে যাওয়া ত্বক ও অন্যান্য দাগ দূর করতেও উপকারী ভিটামিন ই ক্যাপসুল। ‘অ্যান্টি-এইজিং’ ক্রিম হিসেবেও এটি ব্যবহারযোগ্য। প্রচুর ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে এতে যা ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ত্বকে ভিটামিন ই তেল মালিশ করলে ত্বকের গঠন স্বাস্থ্যকর হয়, উজ্জলতা বাড়বে।

রোদপোড়া ঠেকাতে

অল্পতেই যাদের ত্বক রোদে পুড়ে যায় তাদের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল অত্যন্ত জরুরি। এর ‘ময়েশ্চারাইজিং’ গুণ ত্বকের শুষ্কতা দূর করার মাধ্যমে রোদপোড়া থেকে সুরক্ষা দেয়।

রোদপোড়ার কারণে ত্বকে জ্বালাপোড়া বা চুলকানি হলে ‘কুলিং ক্রিম’য়ের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।

ই-ক্যাপ এর কাজ 

এটি মুলত ভিটামিন ই ক্যাপসুল, এটি ভিটামিন ই-র সকল অভাব পুরন করতে সাহায্য করে, যেমন রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। পেশীর দুর্বলতা দুর করে, ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে সাহায্য করে, চুলের ও পশমের রক্ত চলাচল ঠিক রেখে পুষ্টি সরবরাহ করে।

ই-ক্যাপ এর দাম ও খাওয়ার নিয়ম 

বাজারে ই ক্যাপ এর দাম হচ্ছে, 

  • ই ক্যাপ ২০০ mg সাধারণত প্রতি পিসের দাম ৪.৫০ টাকা। এক পাতায় ই ক্যাপ ঔষধ থাকে ১০ টি ক্যাপসুল,এক পাতার দাম ৪০ টাকা।
  • ই ক্যাপ ৪০০ mg সাধারণত প্রতি পিস এর দাম ৬.৫০ টাকা। এক পাতায় ১০টি ক্যাপসুল থাকে,এক পাতার দাম ৬০ টাকা।
  • ই ক্যাপ ৬০০ mg প্রতি পিসের মূল্য ৮ টাকা। এক পাতায় ১০টি ক্যাপসুল থাকে, এক পাতার দাম ৮০ টাকা।

ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই তার নিয়ম জেনে সেবন করতে হবে। ই ক্যাপ সাধারণত তিন ধরনের ঔষধ বাজার জাত হয়। এই তিন ধরনের ই ক্যাপ খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে, 

  • ই ক্যাপ ২০০ mg, সকালেও রাতে অর্থাৎ দুই বার খাবেন।
  • ই ক্যাপ ৪০০ mg, দিনে যেকোনো একবার খেতে পারবেন হয় রাতে না হয় সকালে। 
  • ই ক্যাপ ৬০০ mg, দিনে একবার খাবেন। 

অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম মেনে ওষুধ খাবেন।

  • তাছাড়াও হার্টের সমস্যায়ঃ ৪০০-৮০০/ প্রতিদিন
  •  প্রাপ্তবয়স্কদের ভিটামিন-ই এর অভাবেঃ ২০০-৪০০/ প্রতিদিন
  •  শিশুদের ভিতামিন-ই এর অভাবেঃ ২০০ আই ইউ/ প্রতিদিন
  •  থ্যালাসেমিয়াঃ ৮০০ আই ইউ/ প্রতিদিন
  •  সিকল সেল এনিমিয়াঃ ৪০০ আই ইউ/ প্রতিদিন
  •  চুল ও ত্বকের জন্যঃ ২০০-৪০০/ প্রতিদিন
  •  বয়স্কদের ঠান্ডাজনিত সমস্যাঃ ২০০ ই ইউ/প্রতিদিন

চুল পড়ার সমস্যায় ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা

ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতার মধ্যে নিম্নলিখিত হল চুল পড়ার সমস্যায় ই ক্যাপ (E Cap) 400 এর কিছু উপকারিতা:

  •  চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে
  •  চুল পড়া রোধ করে
  •  মাথার তালুতে রক্ত সরবরাহ বাড়ায়।
  •  মাথার চামড়ায় তেলের ব্যালান্স রক্ষা করে।
  •  চুলের উজ্জলতা বাড়ায় ও গোড়া মজবুত করে।

ভিটামিন ই ক্যাপ এর কাজ কি

রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল কীভাবে ব্যবহার করবেন?

(১) ভিটামিন ই স্কিন সিরাম

(২) ভিটামিন ই হেয়ার সিরাম

(৩) ভিটামিন ই নাইট ক্রিম

(৪) কনুই আর হাঁটুর জেদি কালো দাগ দূর করতে

(৫) মসৃণ, গোলাপি ঠোঁট পেতে

(৬) চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে

(৭) অনেক পুরনো কাটা দাগ অথবা ব্রনের দাগ দূর করতে

শেষ কথা

ই ক্যাপ আমাদের শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ করে। আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে ই ক্যাপ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করা যায় যে ই ক্যাপ (E Cap) 400 এর উপকারিতা, ই ক্যাপ 400 এর কাজ ও দাম বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝতে পারছেন। 

তাই পরবর্তীতে নিজেদের প্রয়োজনে ক্যাপসুলটি ব্যবহারে কিংবা দাম নিয়ে কোনরকম অসুবিধায় পড়তে হবে বলে মনে হয় না। তারপরও আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা সর্বক্ষণ আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত। পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর / FAQ

১. ই ক্যাপ ৪০০ কত দিন খেতে হয়?

উত্তর :- অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করবেন। ই ক্যাপ ৪০০ mg ক্যাপসুল আপনি দৈনিক একবার সেবন করতে পারবেন,দিনে অথবা রাতে। তবে রাতে খাওয়াটাই ভালো।

২. Vitamin E cap 400 এর কাজ কি?

উত্তর :- ত্বকের বিভিন্ন বলিরেখা দূর করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই উপকারি। কুঁচকে যাওয়া ত্বক ও অন্যান্য দাগ দূর করতে ব্যবহার করা হয় ভিটামিন ই ক্যাপসুল। অ্যান্টি-এইজিং ক্রিম হিসেবেও এটি ব্যবহারযোগ্য। এতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। 

৩. অতিরিক্ত ই ক্যাপ খেলে কি হয়? 

উত্তর :- অতিরিক্ত কোন ঔষধই শরীরের জন্য ভালো নয়। ই ক্যাপ ভিটামিন অতিরিক্ত সেবন করলে, শরীরে ক্লান্তি বাড়ে, মাথাব্যথা ও ত্বকে ফুসকুড়ি হয়। দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হওয়া এবং প্রচুর পেট ব্যাথা ও হতে পারে। এছাড়াও রয়েছে মাথা ঘুরানো এবং শ্বাসকষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা। সৌন্দর্যের জন্যও ত্বকে ব্যবহার করা হয় তবে অতিরিক্ত ব্যবহার করা ভালো না। 

৪. প্রতিদিন ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া যাবে কি? 

উত্তর :- প্রতিদিন 540 mg বা তার কম ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আপনি যদি ভিটামিন ই পরিপূরক গ্রহণ করেন, তবে খুব বেশি বা অতিরিক্ত গ্রহণ করবেন না। কারণ বেশি ব্যবহারের ফলে এটা ক্ষতিকারক হতে পারে। 

৫. ভিটামিন ই এর কাজ কি? 

উত্তর :- ভিটামিন ই এর প্রধান ভূমিকা হচ্ছে, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করা। আলগা ইলেকট্রন তথাকথিত ফ্রী রেডিক্যাল যা কোষের ক্ষতি করতে পারে। এবং এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও হৃদপিন্ডের ধমনিতে জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। 

আরও পড়ুন- 

থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয়

ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম

Leave a Comment