দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি ও করনীয়

দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি

মহান আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার সকল নিয়ামতের মধ্যে অন্যতম একটি নিয়ামত হলো স্বামী-স্ত্রী। একজন ভালো স্বামী-স্ত্রীর সবচেয়ে আনন্দের মূহুর্ত হলো যৌন মিলন। ইসলাম যৌন মিলন শুধুমাত্র স্বামী- স্ত্রীর জন্য বৈধ্য করেছে।  

ইসলামিক যৌন মিলন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সংযম, সম্মান এবং পারস্পরিক সম্মতির নীতিগুলোকে উৎসাহিত করে। স্বামী স্ত্রী সহবাসের ইসলামিক নিয়ম আছে যা আমাদের অনেকেই অজানা। এছাড়াও সহবাসের পূর্বে এবং পরে কিছু কাজ থাকে যা আমরা করি না। সমাজে স্বামী স্ত্রী সহবাসের কিছু কুসংস্কার আছে। আজকে আমরা স্বামী-স্ত্রী সহবাসের  

ইসলামিক নিয়ম সহ সকল বিষয় বিস্তারিত জানবো। স্বামী স্ত্রীর সাথে যৌনমিলন করা যেমনি একটি মহান আল্লাহ তা’য়ালা প্রদত্ত নিয়ামত তেমনি এটি একটি ইবাদত। তাছাড়া স্ত্রী সহবাস সকল প্রকার অনৈতিকতা ও পাপাচারে এবং বিশেষ করে আমাদের চরিত্র রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তো চলুন আর দেরি না করে আমাদের মূল বিষয় দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি। 

আরও পড়ুনঃ তওবা করার নিয়ম ও দোয়া

দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি

দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি

স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করা ইসলামে যেমনি হালাল তেমনি সহবাসের সময় স্বামী পরিপূর্ণ কামশক্তি দিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে মিলন করে স্ত্রীর যৌন চাহিদা পূরণ করবে এটা তার একটি অপরিহার্য কর্তব্য। দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি, অপরদিকে স্ত্রী তার সৌন্দর্য, রুপ,যৌবন,সমস্ত শরীর তথা যৌনাঙ্গ স্বামীকে বিলিয়ে দিয়ে স্বামীকে তার চাহিদা মোতাবেক যৌন তৃপ্তি দেওয়া স্ত্রীর একটি পবিত্র দায়িত্ব। 

এই যৌন ইচ্ছা পূরণের জন্য অনেক সময় দেখা যায় স্বামীর দ্রুত বীর্যপাত হয় আবার অনেক সময় স্ত্রীও স্বামীকে যৌনমিলনে স্বামীর মন জয় করতে পারেন না। ইসলাম এমন একটি জীবন বিধান যেখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌন মিলনের সঠিক নিয়ম লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। কিভাবে সেক্স করতে হয়। কিভাবে সহবাস করা হারাম। 

কখন সহবাস নিষিদ্ধ? দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি বা নিয়ম ইত্যাদি কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত আছে। তাই আমরা ইসলামের বিধান অনুযায়ী সহবাস করব যেন যৌনমিলন হালাল থেকে হারাম হয়ে না যায়।

সহবাসের সময় দু’আ পাঠ করা

সহবাসের সময় দু’আ পাঠ করা। সহবাসের আগে, আল্লাহর নাম নিয়ে সহবাসের জন্য প্রার্থনা করুন এবং তারপর স্ত্রীর সাথে সহবাসে যান, আশা করি এটি সহবাসে আল্লাহর রহমত ও বরকত নিয়ে আসবে অবশ্যই, ইনশাআল্লাহ।

স্বামী-স্ত্রীর মিলনের আগে এই দোয়া পড়তে হয়-

بِسْمِ اللّهِ اللّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَ جَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا

উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবিনাশ শায়ত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শায়ত্বানা মা রাযাক্বতানা।

পবিত্রতা

পবিত্রতা, ইসলামিক নিয়মে স্বামী স্ত্রী দুজনকেই সবসময় পবিত্র থাকতে হবে। পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ।দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি, সমসময় পবিত্র থাকলে সব কাজে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয় যৌনমিলনে দীর্ঘ সময় সহবাস করা যায়।

কালোজিরা খাওয়া

কালো জিরা খাওয়া, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কালোজিরা মৃত্যু ছাড়া সব রোগের সেরা ওষুধ। তাই যাদের সহবাসের সময় দ্রুত বীর্য বের হয় তারা নিয়মিত কালোজিরা খেতে পারেন। দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি আশা করি, এটি আপনার সহবাসের স্থায়িত্ব অনেকাংশ বাড়িয়ে দেবে।

মধু খাওয়া

মধু খাওয়ার ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন মধুতে আরোগ্য রয়েছে! যাদের সহবাসের সময় তাড়াতাড়ি বীর্যপাত হয়। তারা প্রতিদিন নিয়মিত খাঁটি মধু খেলে পুরুষাঙ্গ মোটা ও শক্ত হয় এবং অধিক সময় ধরে সহবাস করতে পারে।

টেনশন না করা

সহবাসে কখনো কোন ধরনের টেনশন এবং হতাশা হবেন না। সর্বদা আল্লাহকে স্বরন করুন। আশা করি এতে করে আপনার উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে এবং আপনি বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ। এতে করে দীর্ঘ সময় নিয়ে সহবাসে স্ত্রীকে তৃপ্তি দিতে পারবেন।

দীর্ঘ সময় মিলনে স্বামী-স্ত্রীর গভীর ভালবাসা

দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি বা দীর্ঘ সময় মিলন স্বামী-স্ত্রীর গভীর ভালবাসা, হাদিসে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে ভালবাসতে উৎসাহিত করে। দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি, সহবাস মধুর করার জন্য,যতটা সম্ভব উপায় করা যেতে পারে। 

স্বামী চুম্বন, আলিঙ্গন ইত্যাদির মাধ্যমে স্ত্রীকে আদর করবে, একইভাবে, স্ত্রী তার স্বামীকে আদর করবে, চুম্বন করবে। এই ক্ষেত্রে,প্রতিক্রিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একে অপরকে সহবাসের জন্য আগ্রহী করে তুলবে। দাম্পত্য জীবনে একটি রোমান্টিক যৌন সম্পর্ক অপরিহার্য। 

এতে সম্পর্ক আরও গভীর হয়। অন্যথায় শয়তান খারাপ পথে নিয়ে যায়। যা বিবাহবিচ্ছেদেরও কারণ হতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে মিলনের জন্য স্বামী-স্ত্রীর গভীর ভালবাসা থাকা একান্ত প্রয়োজন।

এই পয়েন্টে আলোচনার মূল বিষয় হলো – দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি।

১. স্বামী স্ত্রী সর্বদা পবিত্র থাকতে হবে

পবিত্রতা হলো ইসলাম এবং ঈমানদারদের জন্য আবশ্যিক। সহবাসে আনন্দ পাওয়ার উপায় হলো পবিত্রতা বজায় রাখা। যে সমস্ত ঈমানদার বান্দা এবং বান্দিরা সদা সর্বদা পবিত্র থাকে, আল্লাহর রহমত তাদের উপর বর্ষণ হয়। তাদের মনে শান্তি থাকে। স্বামী যেমন স্ত্রীর জন্য বড়ো নেয়ামত, ঠিক তেমনি স্ত্রী ও স্বামীর জন্য বড়ো নেয়ামত। 

দুজনেই পবিত্রতা বজায় রেখে একে অন্যের মনের আকাঙ্খা, সুপ্ত বাসনা, চাহিদা পূরণ করলে সহবাসে পরিপূর্ণ আনন্দ লাভ করে। তাই দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি হলো পবিত্রতা সবসময় বজায় রাখা।

২. সহবাসের আগে আকর্ষণীয় সাজসজ্জা পরিধান করা

সহবাসের জন্য ইসলামিক নিয়ম রীতি রয়েছে, ইসলামে স্বামীর মন জয় করার জন্য স্ত্রীর সাজগোজ করতে হয়।  এমনকি সুগন্ধি কোনো পারফিউম বা সেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। স্বামীর যেমন স্ত্রীর জন্য পরিষ্কার পরিছন্ন হ্যান্ডসাম সাজে থাকতে হবে যাতে তার স্ত্রী আকর্ষণ বোধ করে। 

ঠিক তেমনি স্ত্রীর ও স্বামীর জন্য সেক্সি পোশাকে সুগন্ধি ব্যবহার করে স্বামীর কাছে উপস্থাপন করা যাতে স্বামী তার প্রতি আকর্ষণ বোধ করে। দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি হলো সহবাসের আগে আকর্ষণীয় করার জন্য সাজসজ্জা পরিধান করা।

৩.সহবাসের দোয়া পাঠ করা – স্ত্রী সহবাসের দোয়া

সহবাসের পূর্বে পাক পবিত্র হয়ে ওযু করে সহবাসের দোয়া পাঠ করতে হয়। যার ফলে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না। আল্লাহর রহমত থাকার কারণে সহবাসে অনেক শান্তি আসে। দীর্ঘ সময় ধরে স্বামী স্ত্রী উভয়ে যৌন আকাঙ্খা পরিপূর্ণ করে। সহবাসের আগে যে দোয়া পাঠ করতে হয় – সহবাসের দোয়া

সহবাসের দোয়া আরবী : بِسْمِ اللّهِ اللّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَ جَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا

সহবাসের দোয়া – বিসমিল্লাহী  আল্লাহুম্মা জান্নিবিনাশ শায়ত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শায়ত্বানা মা রাযাক্বতানা। 

এই দোয়া পড়লে সহবাসের মনের খায়ের বাসনা, যৌন চাহিদা পরিপূর্ণ হয়। সহবাসের শুরুতে যদি এই দোয়া পড়তে ভুলে যান।  তাহলে বীর্য বের হওয়ার আগে পর্যন্ত পড়ে নেবেন। তাহলে আল্লাহর ইচ্ছায় আপনার স্ত্রীর গর্ভে যে সন্তান আসবে সে নেককার সু সন্তান হিসেবে পয়দা হবে।

৪. সহবাসের আগে ফোরপ্লে করা ইসলামে অত্যন্ত বাঞ্ছনীয়

স্বামী ও স্ত্রী সহবাসের আগে, উভয়ের  মধ্যে অবশ্যই ফোরপ্লে করতে হবে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ (বিশেষত মহিলার জন্য) এবং একটি সুখী এবং সফল বিবাহের একটি অপরিহার্য উপাদান যা কখনই উপেক্ষা করা উচিত নয়। 

অনেক হাদিস আছে যে সহবাসের আগে ফোরপ্লেতে জোর দেওয়া হয়েছে কারণ এভাবেই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি হলো-মহিলাদের সম্মতি এবং স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করা

দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি হলো  স্ত্রীদের চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষার প্রতিও খেয়াল রাখা। অতএব, পুরুষদের এটি জেনে রাখা উচিত যে যখন তারা যৌন মিলন করতে অনুভব করেন, তখন তাদের স্ত্রীরাও একই জিনিস অনুভব করেন তা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ নয়। 

পাশাপাশি মহিলাদের চাহিদা বিবেচনা করে, পুরুষদের প্রথমে মহিলাদের জিজ্ঞাসা করার চেষ্টা করা উচিত এবং তারপরে পারস্পরিকভাবে যৌন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এটি কখনই একতরফা সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত নয়।

ইসলামে সহবাসের নিয়ম ও পদ্ধতি, স্বামীকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে একজন মহিলার যৌন ইচ্ছা প্রকাশ পেতে অনেক বেশি সময় নেয়, তবে এটি একবার হয়ে গেলে এটি বেশ শক্তিশালী, যেখানে একজন পুরুষ দ্রুত উদ্দীপিত হয় এবং সহজেই খুশি হতে পারে।

ইসলামে মিলনের নিষিদ্ধ সময়

১. হায়েজ-নেফাস চলাকালীন সহবাস করা হারাম। 

২. প্রকাশ্যে অর্থাৎ অন্নান্য ব্যাক্তিদের সামনে সহবাসে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়।

৩.মাগরিবের ওয়াক্ত হলে সহবাসের থেকে বিরত থাকুন।

৪. নাবালেগ অবস্থায়  ইসলামে সহবাস নিষিদ্ধ।

৫. মসজিদ একটি পবিত্র সালাত আদায় করার যায়গা এখানে  সহবাস করা  নিষেধ।

৬. ফলবান গাছের নীচে সহবাস না করা উত্তম।

৭. কেবলা মুখী হয়ে  মাথা কিংবা পা রেখে ইসলামে সহবাস না করা  উত্তম।

৮. যদি শরীর দুর্বল থাকে সহবাস না করা উত্তম।

৯. মলদ্বার দিয়ে সহবাস করা হারাম।

১০. রোযা অবস্থায় সহবাসে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়। কারন সহবাসে লিপ্ত হওয়ার ফলে  আপনার রোজা নষ্ট হয়ে যাবে।

শেষকথা

মহান আল্লাহ তায়ালা বিয়ের মাধ্যমে নারী পুরুষদের একত্রিত করেছে এবং তারা দুজন স্বামী স্ত্রীতে পরিনত হয়েছে। স্বামী স্ত্রী উভয়ের যৌন মিলনের জন্য অনুমতি দিয়েছে। আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে ইচ্ছে হলেই সহবাস করতে পারবেন। তবে ইসলামে সহবাসের কিছু নিয়ম নীতি বলে দিয়েছে যেটা আমাদের মঙ্গলের জন্য। দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো। আশা করি আপনি কিছুটা হলে উপকৃত হবেন। 

আমাদের এই পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা যদি ইসলামিক নিয়মে সহবাস করি তাহলে যৌন মিলন যেমন মধুর হবে তেমনি যৌন মিলনের ফলে যে সন্তান আসবে তা নেক সন্তান হবে। স্ত্রীর সহবাসের ইসলামিক নিয়ম গুলো আল্লাহ আমাদের মেনে চলার তৌফিক দান করুক আমিন। 

দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর / FAQ

১. মাসিক হওয়ার কতদিন পর সহবাস করা যায়? 

উত্তর :- মাসিক শুরুর প্রথম ৭দিন ও শেষের প্রথম ৭দিন সহবাস করা নিরাপদ। তবে অবশ্যই মাসিক নিয়মিত না হলে এই পদ্ধতি কার্যকর হবে না। সতর্কতার বিষয় হচ্ছে, কনডম ছাড়া সহবাস করা মোটেও নিরাপদ নয়। 

২. কত সময় সহবাস করা উচিত? 

উত্তর :- সর্বোত্তম যৌন মিলনের সময় ব্যপ্তি ৭ থেকে ১৩ মিনিট পর্যন্ত হওয়া উচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিশেষজ্ঞ বিশেষ কিছু তথ্য দিয়েছেন যে, বেস্ট সহবাস ৭-১৩ মিনিটের ভিতরে হয়। তিন মিনিটের সহবাস হচ্ছে পর্যাপ্ত সময়। 

৩. কতদিনে গর্ভবতী হওয়া যায়? 

উত্তর :- ডিম্ব স্ফোটনের সময় আপনি সবচেয়ে উর্বর হন (যখন আপনার ডিম্বাশয় থেকে একটি ডিম নিঃসৃত হয়),যা সাধারণত আপনার পরবর্তী মাসিক শুরু হওয়ার ১২ থেকে ১৪ দিন আগে ঘটে থাকে। 

৪. ডিম্ব স্ফোটন না হলে কি গর্ভবতী হওয়া যায়? 

উত্তর :- ঋতুচক্রের যেকোন সময় আপনি গর্ভবতী হতে পারেন, এমনকি যখন আপনি ডিম্ব স্ফোটন করছেন না তখনও আপনার গর্ভধারণের সবচেয়ে বেশি সুযোগ থাকে। আপনার মাসিকের ঠিক পরে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রক্তপাত বন্ধ হওয়ার পর প্রতিদিন বৃদ্ধি পায়। 

৫. মাসিকের ৫ দিন পর কি গর্ভবতী হওয়া যায়? 

উত্তর :- অবশ্যই, চক্রের দৈর্ঘ্য নির্বিশেষে প্রতিটি চক্র মাত্র ৬-১০ দিন গর্ভাবস্থা সম্ভব। আপনি যদি সুস্থ থাকেন এবং ডিম্ব স্ফোটন করেন,তবে আপনি প্রতি চক্রে গড়ে ৬ থেকে ১০ দিন উর্বর হন। আপনার মাসিক শেষ হওয়ার পর যেকোন সময় আপনার উর্বর উইন্ডো শুরু হতে পারে। 

আরও পড়ুন- 

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম

ফিতরা দেওয়ার নিয়ম ও পদ্ধতি

Leave a Comment