ডাটা এন্ট্রি কি ? ডাটা এন্ট্রি করে কত টাকা আয় করা যায়

ডাটা এন্ট্রি কি ? (What is data entry?)

ডাটা এন্ট্রি কি? এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে তথ্য অনুপ্রবেশ‌। অর্থাৎ অগোছালো যে তথ্যগুলো থাকে তা একত্র করাকে ডাটা এন্ট্রি বলে। অর্থাৎ কোন ওয়েবসাইট থেকে এলোমেলো তথ্যগুলো সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট  ক্যাটাগরিতে,

বা প্লাটফর্মে সাজিয়ে রাখাকে ডাটা এন্ট্রি বলে।ধরুন, আমি কোন ওয়েবসাইট থেকে অনেকগুলো তথ্য, নিয়ে এসে যদি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় একত্রিত করি

তবে এটিকে ডাটা এন্ট্রি (Data entry) বলা হয়। এক কথায় অনেকগুলো ডাটা কে একসাথে সমন্বয় করাকে ডাটা এন্ট্রি বলা হয়।ডাটা এন্ট্রি (Data entry) জব কে দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। একটা হচ্ছে অনলাইন আরেকটা হচ্ছে অফলাইন জব। অনলাইন ডাটা এন্ট্রি জব গুলোর মধ্যে অনলাইন ফর্ম ফিলিং জব, ক্যাপ্চা এন্ট্রি, টাইপ করা, ট্রান্সক্রাইব করা, লিড জেনারেট ইত্যাদি।

এই ধরনের কাজগুলো আপনাকে অনলাইনে গিয়ে করতে হবে। এই কাজগুলোকে আমরা অনলাইন ডাটা এন্ট্রি জব বলতে পারি। অফলাইন ডাটা এন্ট্রি জব (Offline data entry job) গুলোর মধ্যে পিডিএফ থেকে এক্সেলে কনভার্ট করা, অর্থাৎ আপনাকে একটি পিডিএফ ফাইল দেওয়া হল সেখানে অনেক তথ্য থাকতে পারে। সেই তথ্যগুলো আপনাকে এক্সেলে গিয়ে এন্টি করে এক্সেল এর  ফাইলটা আপনার বায়েরকে দিতে হবে। 

অথবা আপনাকে একটি ছবি দেওয়া হলো যেটা, পিইজি ফরমেটে আছে সেখানে কিছু তথ্য আছে যা আপনাকে এমএস ওয়ার্ডে গিয়ে টাইপ করতে হবে। এই জবগুলো আপনি অফলাইনে সম্পাদন করবেন। এই জবগুলোকে আমরা অফলাইন ডাটা এন্ট্রি জব বলতে পারি। ডাটা এন্ট্রি কি?  তা এখন নিশ্চয় বুঝতে পারবেন। এগুলো ছাড়াও অনেক ধরনের ডাটা এন্ট্রি জব অনলাইনে পাওয়া যায়।

এখন কথা হচ্ছে এই কাজগুলো করার জন্য আপনার কি কি যোগ্যতা লাগবে এবং কি, কি, জিনিস আপনার প্রয়োজন। অনলাইন ফর্ম ফিলিং, অনলাইনে টাইপ করা, বা কম্পোজ করা, কিংবা সার্ভে করা, ট্রান্সক্রাইব করা, ওয়ার্ড থেকে এক্সেলে কনভার্ট করা ইত্যাদি এগুলো খুব বেসিক কাজ। এর জন্য আপনাদের কোন বিশেষ স্কিল  দরকার নেই।

আজকের আলোচ্য বিষয়

ডাটা এন্ট্রি কাজের প্রকারভেদ (Types of Data Entry Jobs)

ডাটা এন্ট্রি কি?  তা আমরা জানলাম এখন আমরা ডাটা এন্ট্রি (Data Entry) সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানব। ডাটা এন্ট্রির প্রধান কাজই হচ্ছে তথ্য সংগ্রহ করা এবং প্রক্রিয়াজাত করা। এই কাজে তথ্যগুলো একটি ডাটাবেসে সংযুক্ত করা হয়। তাই কাজের ধরনেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। 

চলুন জেনে নেয়া যাক ডাটা এন্ট্রির কাজের প্রকারভেদ সমূহঃ

আরও পড়ুনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন কি

১. এক্সেল ডাটা এন্ট্রি – (Excel Data Entry)

বিভিন্ন কোম্পানির ক্ষেত্রে তাদের daily sales, purchase, customer reviews, feedback ইত্যাদি তথ্যগুলোকে এক্সেল এ ইনপুট দেয়া হয়। তাই ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কোম্পানি নিয়োগ দিয়ে থাকে। কোম্পানির প্রয়োজন অনুযায়ী অপারেটর এন্ট্রি ও এডিট করে থাকে।

২. প্রুফ রিডিং ও স্পেল চেকিং – (Proofreading and Spell Checking)

এই ধরনের কাজে বায়ার তার লেখা উপন্যাস, ব্লগ, আর্টিকেল, বই, কন্টেন্টগুলোর বানান সঠিক কিনা তা যাচাই করতে হবে। গ্রামার ও শব্দের ভুলগুলো সঠিক করাই হচ্ছে কাজ।

৩. জব পোষ্টিং – (Job Posting)

বিভিন্ন ব পোষ্টিং সাইটগুলোতে জব পোষ্ট করার জন্য ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের প্রয়োজন হয়। অপারেটররা তথ্য সংগ্রহ করে জব পোর্টালে ডাটা এন্ট্রি করে থাকে।

৪. ট্রান্স্লেশন ও ট্রান্সক্রাইব – (Translation and Transcribe)

যদি আপনি বিভিন্ন ভাষার ব্যবহারে দক্ষ হয়ে থাকেন তবে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষাতে রুপান্তরের কাজ করতে পারেন। 

বিবিন্ন অডিও শুনেও তা এমএস ওয়ার্ড ডকুমেন্টে টাইপ করতে পারেন।

ডাটা এন্ট্রি কাজে সফল হবার উপায় (How to succeed in data entry work)

ডাটা এন্ট্রির (data entry) কাজ যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারন তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষন এর উপর প্রতিষ্ঠানের সফলতা অনেকটা নির্ভর করে। সুতরাং ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হবার জন্য কিছু গুণাবলি দরকার যা কাজ করতে সহায়তা করবে। প্রতিষ্ঠান মুলত এই গুনাবলি দেখেই ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিযুক্ত করে। তবে জেনেনি কি কি গুন দরকার একজন দক্ষ ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হবার জন্যঃ 

ডাটা এন্ট্রি কাজে সফল হবার উপায় (How to succeed in data entry work)

ইংরেজি ভাষার দক্ষতা – (English Language Capability)

যেহেতু ডাটা এন্ট্রির সম্পূর্ণ কাজ ইংরেজিতে হয় তাই ভাষার দক্ষতা খুবই প্রয়োজন। আপনি যত দক্ষ  হবেন ততই আপনার কাজ বুঝতে সহজ হবে। 

দ্রুত টাইপিংকরার সক্ষমতা – (High Speed Typing)

প্রতিটি প্রতিষ্ঠান চাইবে তার কর্মচারীর টাইপ করার গতি বেশি হক। যেহেতু সম্পূর্ণ কাজটি টাইপিং এর উপর নির্ভরশীল তাই টাইপিং এর গতি বেশি হলে কাজ করা সহজ হবে। 

টাইপিং এর গতি বাড়ানোর জন্য অনলাইন এ অনেক টেস্ট আছে। আপনি চাইলে এম এস ওয়ার্ড, এক্সেল এ টাইপিং প্রাকটিস করতে পারেন। 

সফটওয়্যার ব্যবহার এ দক্ষতা – (Software Proficiency)

ডাটা এন্ট্রি কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই এক্সেল ও এম এস ওয়ার্ড এর ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে। কম্পিউটারের যাবতীয় কাজ জানা থাকতে হবে। বর্তমানে সব কিছুই সফটওয়ার (software) দিয়ে হয়। তাই কম্পিউটার চালনাতে দক্ষ হতে হবে। এছারাও টাইপ ফর্ম, ফাস্ট ফিল্ড এর মত কিছু টুলস রয়েছে যা ডাটা এন্ট্রির কাজ আরও সহজ হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ দারাজ থেকে পণ্য কেনার নিয়ম

সার্চ ইঞ্জিন এর ব্যবহার – (Search Engine Usability)

সার্চ ইঞ্জিন এমন একটি টুল যার মাধ্যমে আপনি যেকোন তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। তাই ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন এ দক্ষ হতে হবে। 

লিংকডিন ও সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার – (Use of LinkedIn and Social Media)

ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের জন্য লিংকডিন ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার জানা খুবই জরুরি। বিশেষভাবে লিংকডিন এর মধ্য থেকে কোন বাক্তির তথ্য সংগ্রহ করার বিষয়টি জানা থাকতে হবে। এছারাও ক্রম এক্সটেনশন এর ব্যবহার জানাও জরুরি। 

ডাটা এন্ট্রি জব কিভাবে শুরু করতে পারি? (How to start Data Entry Job?)

ডাটা এন্ট্রি কি? এবং কিভাবে শুরু করবেন তা আপনার দক্ষতা আর কাজ শেখার উপর নির্ভর করে। জব গুলোর মধ্যে আপনি যে কোন কাজ শিখে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইন মার্কেটপ্লেস (Marketplace) গুলোর মধ্যে যে কাজটা সবচেয়ে বেশি সহজলভ্য এবং আপনি সহজে করতে পারবেন সে কাজটা হচ্ছে লিড জেনারেশন। লিড জেনারেশন (Lead generation) বলতে বুঝাচ্ছে আপনি কোন একটি প্রতিষ্ঠান বা কোন ব্যক্তির ফোন নাম্বার, ইমেইল, অথবা তার ঠিকানা এগুলো আপনি অনলাইনে গুগলে সার্চ করে সেই তথ্য বা ডাটা আপনি জেনারেট করবেন। এটাই হচ্ছে লিড  জেনারেশন। এই কাজটা শিখে আপনি অনলাইন থেকে ভালো আর্নিং (Earning) করতে পারেন। 

ডাটা এন্ট্রি জব কিভাবে শুরু করতে পারি? (How to start Data Entry Job?)

আর এই লিড জেনারেশন এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজটি হচ্ছে বি টু বি লিড জেনারেশন (B2B lead generation) মানে বিজনেস টু বিজনেস লিড জেনারেশন। এই কাজটি শিখার জন্য আপনি ইউটিউবে অনেক ভিডিও পাবেন শুধু র্সাচ করবেন- কিভাবে লিড জেনারেশন শিখতে হয়। আপনি ইউটিউবে (Youtube) থেকে দেখে এই লিড জেনারেশন শিখতে  পারেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে,  ডাটা এন্ট্রির কাজ আপন কোথায় পাবেন। অনলাইনে অনেকগুলো প্ল্যাটফর্ম আছে যেমন ফ্রিল্যান্সার, ফাইবার, আপ ওয়ার্ক, ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম অনেক জনপ্রিয়। এই সবগুলো মার্কেটপ্লেস আপনি ডাটা এন্ট্রি রিলেটেড অনেক কাজ পেয়ে যাবেন। সবচাইতে বেশি ডাটা এন্ট্রি রিলেটেড কাজ আপনি পাবেন ফাইবারে।

চলুন এখন ডাটা এন্ট্রি জব করার সেরা কয়েকটি ওয়েবসাইট সম্পর্কে আলোচনা করা যাক ‌

রেভ – (rev.com)

রেভ (Rev) ডটকম একটি জনপ্রিয় ডাটা এন্ট্রি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটে ট্রান্সক্রিপশন ও ক্যাপশনিং এর মত ডাটা এন্ট্রির কাজ পাওয়া যায়। এই ওয়েবসাইটে কাজ শুরু করার আগে কোয়ালিফায়ার টাস্ক সম্পূর্ণ করতে হবে যেখানে বিভিন্ন ধরনের অডিও ট্রান্সক্রাব করতে হয়। অডিও মিনিট এর ওপর ভিত্তি করে মেম্বারদের পেমেন্ট করে থাকে রেভ। প্রতি মিনিট অডিওর জন্য ০.৩৫ থেকে ০.৭৫ ডলার পর্যন্ত প্রদান করে থাকে রেভ। ৬০ মিনিট ট্রান্সক্রিপশন সম্পূর্ণ হলে পরবর্তী লেভেলে প্রমোট করে দেওয়া হয়। আবার এই ওয়েবসাইটে কোন ধরাবাধা সিডিউল নেই , অর্থাৎ যে কোন সময় কাজ করার সুযোগ রয়েছে। 

আপনি যদি একাধিক ভাষা জানেন , সে ক্ষেত্রে সাবটাইটেল অনুবাদ করেও আয় করতে পারেন। পেপাল এর মাধ্যমে সাপ্তাহিক পেমেন্ট করে থাকে রেভ।

আপওয়ার্ক – (upwork.com)

ডাটা এন্ট্রি কি ? কিভাবে জব পাব সে সম্পর্কে ভাল ধারণা পাওয়া যেতে পারে আপওয়ার্ক থেকে। আপওয়ার্ক বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন ডাটা এন্ট্রি জব সাইটসমূহের মধ্যে একটি । প্রায় ৫,৮৩৮ টির অধিক ধরনের ডাটা এন্ট্রি জব রয়েছে আপওয়ার্কে । আপওয়ার্কে জব ব্রাউজ করতে হলে একাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক যা বিনামূল্যে তৈরি করা যাবে। খুব সহজে নাম ও ইমেইল এড্রেস প্রদান করে আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলা যাবে। প্রোফাইল অ্যাক্টিভ হওয়ার পর  আপওয়ার্কে থাকা জব ব্রাউজ করা যাবে। কোন কাজের জন্য এপ্লাই করার আগে উক্ত কাজ করতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ,পারিশ্রমিক ,কাজের ধরন, ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন জব ডেসক্রিপশন থেকে। বিশ্বাসযোগ্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটের তালিকায় আপওয়ার্ক একটি। এমনকি মাইক্রোসফট, এয়ারবিএনবি, ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানও আপওয়ার্ক  ব্যবহার করে থাকে। আপওয়ার্ক বিশাল কাজের লাইব্রেরী থেকে নিজের পছন্দের ডাটা এন্ট্রির কাজ খুঁজে নিতে পারবে যে কেউ।

আরও পরুনঃ ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়

ফ্রিল্যান্সার – (freelancer.com)

ব্যবসাভিত্তিক ফ্রিল্যান্সারদের এক স্থানে সংযুক্ত করে ফ্রিল্যান্সার ডট কম। বিশ্বের সেরা ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে এটি একটি যেখানে কিওয়ার্ড ব্যবহার করে অসংখ্য ধরনের ডাটা এন্ট্রি জব খুঁজে পাওয়া যাবে। এছাড়াও স্কীল, ভাষা, ইত্যাদি ফিল্টার  ব্যবহার করে নিজের সুবিধামতো কাজ খুঁজে বের করা যাবে বেশ সহজে। ফ্রিল্যান্সার ওয়েবসাইটটিতে ফ্রিল্যান্সারগণ যে কোন কাজের জন্য বিড করে থাকেন। ফ্রিল্যান্সার এর দক্ষতা ও ভেকেন্সি বিবেচনা করে জব পোস্টদাতা পছন্দের ফ্রিল্যান্সার বেছে নেন উক্ত কাজের জন্য। ফ্রিল্যান্সার ওয়েবসাইটে যে কেউ ফ্রি একাউন্ট খুলে কাজ শুরু করতে পারে।

ফাইভার – (fiverr.com)

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম ফাইভার এর অসংখ্য ক্যাটাগোরির মধ্যে ডাটা এন্ট্রির জব পাওয়া যায়। ডাটা এন্ট্রি ফ্রীলান্সার হিসাবে ক্যারিয়ার গরতে চাইলে ফাইভার একটি সেরা প্ল্যাটফর্ম (Platform) হতে পারে। ফাইভার এ কাজ শুরু করতে প্রথমে একটি সেলার একাউন্ট (Seller Account) তৈরি করতে হবে এবং যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ইত্যাদি যুক্ত করতে হবে। কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে এসব বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ফাইভার এর ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সার তাদের সার্ভিস পোস্ট করেন ও কাস্টমার তাদের পছন্দের ফ্রিল্যান্সার বেচে নেন। তাই ডাটা এন্ট্রি হোক বা অন্য যেকোনো ধরনের কাজ ফাইভারে সফলতা অর্জন করতে হলে নিয়মিত প্রোফাইল আপডেট বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

পিপল পার আওয়ার – (peopleperhour.com)

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম হল পিপলস পার আওয়ার। খুব সহজে একটা একাউন্ট খুলে যে কেউ আয় শুরু করতে পারে ওয়েবসাইটে। আপওয়ার্ক বা ফাইভার এর মত ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোর মত অসংখ্য জব লিস্টেড না থাকলেও পিপলস পার আওয়ার থেকেও ডাটা এন্ট্রি করে আয় সম্ভব। প্রতিযোগিতা কিছুটা কম থাকায় এই প্লাটফর্মটিতে কাজ পাওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ।

ফ্লেক্সজব – (flexjobs.com)

ডাটা এন্ট্রি জবের ক্ষেত্রে ফ্লেক্সজব একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। ঘরে বসে বা যে কোন স্থান থেকে এই ওয়েবসাইটটি তে কাজ করা যায়। বিনামূল্যে ফ্লেক্সজব একাউন্ট খোলা গেলেও কাজ পেতে হলে অবশ্যই ফ্লেক্সজব মেম্বারশিপ কিনতে হবে। আপনি যদি ডাটা এন্ট্রি করে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার তৈরি করা নিয়ে সিরিয়াস হন তবে ফ্লেক্সজব এর মেম্বারশিপ ফি ‌প্রদান করতে পারেন। বিশ্বের সব বড় বড় প্রতিষ্ঠান ফ্লেক্সজব এ ডাটা এন্ট্রি সহ বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং জব প্রদান করে থাকে তাই কাজের জন্য এপ্লাই করার নির্দিষ্ট ফ্রি প্রদান তেমন একটা সমস্যার বিষয় নয়।

মেগাটাইপারস – (megatypers.com)

মেগাটাইপারস হল একটি ওয়ার্ক ফোর্স ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি যা বিভিন্ন সরকারি ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানকে ডাটা এন্ট্রি সেবা প্রদান করে থাকে। ইমেজ টু টেক্স, ট্রান্সক্রিপশন, ভয়েস টু টেক্সট, ইত্যাদি ধরনের ডাটা এন্ট্রি জব অফার করে ওয়েবসাইটটি। যেকেউ মেগাটাইপারস ডট কম ওয়েবসাইটে কাজ শুরু করতে পারে। ওয়েবসাইটটি স্টুডেন্টের আয়ের আদর্শ একটি প্ল্যাটফর্ম। ওয়েবসাইটটি ডেবিট কার্ড, পেপাল, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ইত্যাদি মাধ্যমে পেমেন্ট করে থাকে।

স্ক্রিবি – (scribie.com)

বিভিন্ন ব্যবসাকে সাশ্রয়ী মূল্যে অনুবাদ, ট্রান্সক্রিপশন, ও বিভিন্ন ধরনের ডাটা এন্ট্রি সেবা দিয়ে থাকে স্ক্রিবি। ডাটা এন্ট্রি প্রফেশনাল হতে চাইলে স্ক্রিবি একটি দারুন ওয়েবসাইট হতে পারে। স্ক্রিবি ওয়েবসাইটটি তে কাজ করতে হলে ইংরেজি ভাষা পারা ও ইংরেজি ভাষা কমিনেট করা দক্ষতা প্রয়োজন। স্ক্রিবি বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যাবে, যেমন: অডিও ফাইলকে টেক্সে রূপান্তর করা, ট্রান্সক্রিপশন, ট্রান্সক্রিপ্টে স্পেলিং কারেকশন, পাংচুয়েশন ও গ্রামাটিকাল মিসটেক কারেকশন ইত্যাদি। অর্থাৎ খুব সাধারন দক্ষতা থাকলে ওয়েবসাইট থেকে আয় করা যাবে।

আরও পড়ুনঃ ব্রডব্যান্ড কি এবং ব্রডব্যান্ড কিভাবে কাজ করে

শেষ কথা

ডাটা এন্ট্রি তে আর্নিং-এর কোন লিমিট নেই একেক জন একেক ধরনের  আয় করে থাকে কাজের ধরন আর কাজ করার ক্ষমতা বুঝে। প্রথম অবস্থায় তেমন আর্নিং না হলে প্রোফাইলটা যখন র‌্যাংক করবে তখন মোটামুটি ভালো টাকা উপার্জন করা যায়। মাসে কমপক্ষে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করা যায় ডাটা এন্ট্রি কাজ করে।

ডাটা এন্ট্রি কি এবং কিভাবে কাজ করে তা সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানলাম। ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে কিভাবে কাজ করবেন এবং কি কাজ করবেন সব কিছুই জানতে পারলাম। বর্তমানে প্রতিযোগিতা মুলক চাকরির বাজারে ডাটা এন্ট্রি হতে পারে একটি উপযুক্তক্ষেত্র। তাই সঠিক গাইদলাইন নিয়ে কাজ শুরু করলে সফলতা অবশ্যই একদিন আসবে। 

ডাটা এন্ট্রি কি? নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ 

১। ডাটা এন্ট্রির কাজে অ্যাপ্লাই করার আগে কোন বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে? 

উত্তরঃ- ডাটা এন্ট্রির যে কোন কাজে অ্যাপ্লাই করার আগে অবশ্যই কোম্পানির সব তথ্য জানতে হবে। অনলাইন মারকেতপ্লেসে কাজ করার আগে বায়ার এর রিভিও গুলো চেক করে নিতে হবে।

২। ডাটা এন্ট্রির কাজ কি মোবাইল বা কম্পিউটার করা যাবে? 

উত্তরঃ- ডাটা এন্ট্রির কাজ কিছুটা মোবাইল দিয়ে করা গেলেও আদতে কম্পিউটার ছাড়া অনেক কাজ করা সম্ভব নয়। এক্সেল এ এন্ট্রি করা, পি ডি এফ থেকে ওয়ার্ড এ রুপান্তর করার কাজ মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব না। 

৩। ডাটা এন্ট্রির কাজ এর পারিশ্রমিক কিভাবে নির্ধারিত হয়?

উত্তরঃ- অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এ ঘণ্টা বা দিন বা মাস হিসেবে ডলার দেয়া হয়। আবার এককালীন প্রজেক্ট হিসেবে ১০ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত চার্জ করা হয়। তবে দক্ষতাকে বিবেচনা করেই পেমেন্ট দেয়া হয়। 

৪।  প্লেসে কাজের বিষয়ে কি কি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে?

উত্তরঃ- মার্কেটপ্লেসে কাজ করার সময় কোন ভাবে নিজের পার্সোনাল ইমেইল, ফোন বা কোন কিছু শেয়ার করা যাবে না। 

আরও পড়ুন-

আউটসোর্সিং কি? আউটসোর্সিং কিভাবে শুরু করবেন

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? কেন ও কিভাবে করবেন

Leave a Comment