ডায়রিয়া হলে করণীয় কি ও প্রতিকার

ডায়রিয়া হলে করণীয় কি

ডায়রিয়া একটি পানি বাহিত রোগ। ডায়রিয়ার জন্য শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডায়রিয়া হলে করণীয় কিও প্রতিকারের উপায়। সকলের কাছে পরিচিত একটি রোগ ডায়রিয়া।দিনে তিন থেকে চারবারের বেশি পাতলা

পায়খানা হলে ডায়রিয়া বলে ধরা হয়। বাংলাদেশ একটি ঘনবস্তুতিপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশ  প্রায় ১৭ কোটি মানুষ বসবাস করে। যা এদেশের আয়তনের তুলনায় অনেক বেশি। ঘনবসতির কারণে, রোগ জীবাণুর সৃষ্টি হয়।

এ রোগের জীবাণু খাদ্যের মাধ্যমে মানব দেহে প্রবেশ করে। যার ফলে ডায়রিয়া হয়। গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে ডায়রিয়ার প্রভাব বেশি দেখা যায়। কারণে, গ্রীষ্মের সময় তাপমাত্রা  বেশি হওয়ায় বিভিন্ন রোগজীবন আক্রমণ হয়। এবং বর্ষাকালে ছড়ায় পানি মধ্যমে। পানির মাধ্যমে রোগ জীবাণু ভেসে আসে। ডায়রিয়া হলে করণীয় কিও প্রতিকারের উপায় ও ডায়রিয়ায় কী ওষুধ খাবেন? এই সম্পর্কে সকলেরই ধারণা থাকা প্রয়োজন। ডায়রিয়ার হওয়ার ফলে পানি শূন্যতা দেখা যায়।

ডায়রিয়া হলে পায়খানার এবং বমির সাথে পানি বের হয়ে যায়। যে কারণে, শরীরে পানির ঘাটতিহয়। পানি শূন্যতার ফলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। যেখানে মানুষের ঘনত্ব অনেক বেশি সে সব এলাকায় জীবাণু ছড়াই বেশি। এসব কারণে বাংলাদেশের ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি।। এ কারণে ডাইরিয়া রোগ চিকিৎসা সম্পর্কে সকলের ধারণা থাকা প্রয়োজন। সঠিকভাবে চলাফেরা করলে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।   চলুন জেনে নেই ডায়রিয়া কেন হয় এবং ডায়রিয়া হলে কি ধরনের চিকিৎসা নিবেন।

ডায়রিয়া

ডায়রিয়া একটি পানিবাহিত রোগ। এই রোগটি  বিশেষ করে পানির মাধ্যমে ছড়ায়। পানি থাকা জীবাণু  আমাদের পাকস্থলীতে গিয়ে বিক্রিয়া ঘটায়। এই ভাবেই ডায়রিয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও খাবারের মাধ্যমেও ডায়রিয়া হয়ে থাকে। বাসি খাবার খেলে ডায়রিয়া হয়। কারণ বাসি খাবারের ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুয়ে  থাকে।

যা খাওয়ার ফলে আমাদের পাকস্থলীতে গিয়ে বিক্রিয়া ঘটায়। যার ফলে পেটে অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে পেটে ব্যথা এবং ঘন ঘন পায়খানা হয়। এইভাবে আস্তে আস্তে ডায়রিয়ার রূপ ধারণ করে। ডায়রিয়া পরিচিতি  রোগ হলেও এ রোগের রোগীর মৃত্যু হয়ে থাকে। এ কারণে সচেতন ভাবে চলাফেরা করতে হবে।

আরও জানুনঃ জরায়ু টিউমারের লক্ষণ ও চিকিৎসা

ডায়রিয়ার ভাইরাসের নাম

ডায়রিয়া একটি ভাইরাস জাতীয় রোগ। এ রোগটি বিশেষ করে দেখা যায় ঘনবসতি এলাকায়। যেসব এলাকা অপরিষ্কার থাকে। ডায়রিয়ার ভাইরাস গুলো খুব শক্তিশালী হয়ে থাকে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ভাইরাস গুলো হল নরোভাইরাস,  এন্টারিক অ্যাডেনোভাইরাস, অ্যাস্ট্রোভাইরাস,হেপাটাইটিস ও সাইটোমেগালোভাইরাস। বাচ্চাদের ডায়রিয়ার জন্য দায়ী রোটাভাইরাস। বর্তমান সময়ে করনা ভাইরাস এর কারনেও ডায়রিয়া হচ্ছে।

নরোভাইরাস, অ্যাস্ট্রোভাইরাস, হেপাটাইটিস ভাইরাস এবং স্যাপোভাইরস এর বড় উৎস দূষিত পানি। হেপাটাইটিস ভাইরাস এর বড় উৎসব হিমায়িত শাকসবজি। এই ভাইরাস গুলোর আক্রমণে ডায়রিয়া হয়ে থাকে

ডায়রিয়া কেন হয়

ডায়রিয়া সংক্রমণ জাতীয় রোগ। এই রোগটি হয়ে থাকে পেটের সমস্যা থেকে। রোগ জীবাণুযুক্ত পানি অথবা রোগ জীবাণু যুক্ত খাবার খেলে ডায়রিয়া হয়ে থাকে। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যখন জীবাণুর সাথে লড়াই করে হার মানে তখনই আমরা অসুস্থ হই। ডায়রিয়া ও ঠিক একই ভাবে হয়ে থাকে। খাবারের সাথে যেসব জীবাণু আমাদের পাকস্থলীতে যায় সেসব রোগ জীবাণু আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সাথে লড়াই করে।

লড়াই যদি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হার মানে তাহলে পেটের সমস্যা হয়। পেটের সমস্যা হলে পেটে ব্যথা এবং পাতলা পায়খানা হয়। পাতলা পায়খানা অতিরিক্ত মাত্রায় হলে সেটা ডায়রিয়া বলে ধরা হয়। অতিরিক্ত গরমের ফলেও ডায়রিয়া হয়ে থাকে। ডায়রিয়া হওয়ার ফলে আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা দেখা যায়। পানি শূন্যতার কারণে রোগীর মৃত্যু হতে পারে।

ডায়রিয়া রোগের লক্ষণ

ডায়রিয়া একটু পরিচিত রোগ। এই রোগটি হলে রোগীকে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এই রোগের কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ রয়েছে। নিম্নে ডায়রিয়া রোগের লক্ষণ গুলো তুলে ধরা হলো:

  •  হঠাৎ করে পেটে ব্যথা।
  •  পেটে ব্যথার কিছুক্ষণের মধ্যে পাতলা পায়খানা হওয়া।
  •  পায়খানার সাথে পানি বের হওয়া।
  •  বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া।
  •  তলপেট কামড়ানো এবং তীব্র ব্যথা অনুভব করা।
  •  শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়া।
  •  পায়খানার চাপ তীব্র হয়ে যাওয়া। অনেক সময় পোশাক নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
  •  সংক্রমণের জন্য ডায়রিয়া হলে পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া।
  •  জ্বর হওয়া এবং মাঝে মাঝে ঠান্ডা লাগা।
  •  পানি শূন্যতা দেখা দেওয়া।
  •  মাঝে মাঝে মাথা ব্যাথা করা।

পানি শূন্যতা

ডায়রিয়া হলে পানি শূন্যতা দেখা যায়। কারণ, ডায়রিয়া হলে ঘন ঘন পাতলা পায়খানা ও বমি হয়। যার ফলে শরীর থেকে প্রতিরুক্ত মাত্রায় পানি বের হয়ে যায়। অতিরিক্ত মাত্রায় পানি বের হওয়ার ফলে যতটুকু পানির প্রয়োজন সেটার ঘাটতি দেখা যায় যার ফলে পানি শূন্যতার সৃষ্টি হয়। পানি শূন্যতা হলে রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। পানি শূন্যতার হলে আমরা অনেকে বুঝতে পারি না। চলুন জেনে নেই শূন্যতা হলে কি কি লক্ষণ দেখা যায়।

  •  ঘন ঘন পিপাসা লাগা।
  •  মুখ,  জিহ্বা ও গলা  শুকিয়ে থাকা।
  •  তুলনামূলক  কম প্রস্রাব হয়া এবং অনেক সময়  প্রস্রাব নাও হতে পারে।
  •  চোখের নিচে কালো দাগ এবং চোখ বসে যাওয়া।
  •   শারীরিক ভাবে ক্লান্ত বোধ করা।
  •  প্রস্রাব হলুদ হয়ে যাওয়া।
  •  শরীর খুব দুর্বল হয়ে যায় ।
  •  পানি শূন্যতা বেশি হলে অনেক সময় রোগী জ্ঞান হারায়।

ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা

ডায়রিয়া হলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এই রোগের রোগের মৃত্যুর হার অনেক বেশি। ডায়রিয়া হলে সর্বপ্রথম রোগীর শরীরে পানি শূন্যতা দেখা যায়। যার ফলে রোগী পানি শূন্যতায় ভোগে। অনেক সময়  রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে।  এ কারণে, যতদূর সম্ভব চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

ডায়রিয়া রোগের সাধারণ চিকিৎসা করতে হয় স্যালাইন এর মাধ্যমে। রোগী যতবার পায়খানা করবে ততবার একটি করে স্যালাইন খেতে হবে।  অনেক সময় বমি বমি ভাব এবং বমি হয়।  বমি হওয়ার পরেও স্যালাইন খেতে হবে। তার সাথে এন্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া রোগের জীবাণু ধ্বংস করে। এর পাশাপাশি  পায়খানা ঘন করার ওষুধ খেতে হবে। কারণ, ডায়রিয়া হলে পায়খানা পাতলা থাকে যার ফলে একটু পরপর হতেই থাকে। ডায়েরির মাত্রা অতিরিক্ত হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ডায়রার ঘরোয়া চিকিৎসা

ডায়রিয়া সকলের কাছে পরিচিত রোগ। এই রোগটি প্রায় সকলেরই কম বেশি হয়ে থাকে। এ রোগের চিকিৎসা ঘরোয়া ভাবে করা সম্ভব। চলুন জেনে নেই ডায়রিয়া রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে। ডায়রিয়া রোগীকে ডাবের পানি খাওয়াতে পারে। ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম ও এন্টিবায়োটিক থাকে। যা ডায়রিয়া রোগের জীবাণু ধ্বংস করে এবং পানি শূন্যতা দূর করে।

ডায়রিয়া রোগীর সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধ হচ্ছে স্যালাইন। স্যালাইন খাওয়ার ফলে পানি শূন্যতা দূর করে এবং পেট থেকে জীবাণু ধ্বংস করে। ঘরে বসেই স্যালাইন তৈরি করা সম্ভব।ঘরোয়াভাবে স্যালাইন তৈরি করতে সর্বপ্রথম  তিনটি উপকরণ লাগে। উপকরণ দুইটি হলো পানি,  লবণ এবং গুড়।  গুড় না থাকলে এর পরিবর্তে চিনি ব্যবহার করতে পারেন। স্যালাইন তৈরি করতে হলে পরিষ্কার পানি নিতে হবে।

পরিষ্কার পানি না থাকলে পানি ফুটিয়ে নিতে পারেন। পানির পরিমাণ হাফ লিটার হতে হবে। তার সাথে এক মুঠো পরিমাণ  গুড় নিতে হবে। তার সাথে তিন আঙ্গুলের এক চিমটি লবণ নিতে হবে। তারপর ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এইভাবে রোগী যতবার পায়খানা করবে ঠিক ততবার খাওয়াতে হবে। নিয়মিত খাওয়ানোর ফলে ডায়রিয়া ভালো হয়ে যাবে। 

এছাড়াও  চিড়া ধোয়া পানি খেলেও ডায়রিয়া ভালো হয়ে যায়। চিড়া ডায়রিয়া প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ডায়রিয়ার মাত্রা অতিরিক্ত হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ডায়রিয়ার ওষুধের নাম

বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। যার ফলে সকল ধরনের চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে। অতীত কালে ডায়রিয়া হলে মানুষ মারা যেত। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসার ফলে মানুষ নিজে নিজেই চিকিৎসা করে ডায়রিয়া ভালো করতে পারছে। ডায়রিয়া রোগের কিছু পরিচিত  ওষুধ রয়েছে। চলুন জেনে নেই ডায়রিয়া হলে কি কি ওষুধ খাবেন।

  •  স্যালাইন
  •   সিপ্রসিন
  •  জিম্যাক্স
  •   এমোডিস
  •   মেট্রিল

সাধারণভাবে ডায়রিয়া চিকিৎসার জন্য এসব ওষুধ ব্যবহার করা হয়।  ডায়রিয়ার মাত্রা অতিরিক্ত হলে শরীরে স্যালাইন ঢুকাতে হবে।  যেসব ওষুধের কথা উল্লেখ করা হলো  সেই ওষুধগুলো খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ, সব সময় সব ধরনের ব্যবহার করা ঠিক নয়। ওষুধের প্রতিক্রিয়ার ফলে  রোগীর মৃত্যু হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ নরমাল ডেলিভারি হওয়ার কার্যকারী টিপস?

ডায়রিয়া থেকে বাঁচার উপায়

ডায়রিয়ার রোগের কারণ

দিনে তিন থেকে চার বার এর বেশি পাতলা পায়খানা হলে ডায়রিয়া বলা হয়। ডায়রিয়া হওয়ার ফলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণপানি বের হয়ে যায়। যার ফলে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। অনেক সময় ডায়রিয়ার কারণে রোগীর মুক্ত হয়ে থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য কিছু উপায় রয়েছে। ডায়রিয়া থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে নিম্ন আলোচনা করা হলো:

 নিয়মিত হাত ধোঁয়া

বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস এবং  ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে ডায়রিয়া হয়ে থাকে। ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে প্রবেশ করে হাতের মাধ্যমে। কারণ, খাবারের মাধ্যমে পাকস্থলীতে জীবন প্রবেশ করে। আর খাবার খেতে আমরা হাত ব্যবহার করে থাকি।  এ কারণে আজ সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে, রান্না করা, টয়লেট ব্যবহার,  হাঁচি, কাশি, বাচ্চাদের ডাইভার পরিবর্তন এবং নাক পরিষ্কার করার পর অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে।

সাধারণভাবে হাত ধুতে হলে সাবান লাগানোর কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ভালোভাবে  দুই হাত এক সঙ্গে ঘষতে হবে। তারপর ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুতে হবে। পানি দিয়ে হাত দেওয়া হলে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে হাতের পানি মুছে ফেলতে হবে। এভাবে হাত পরিষ্কার করে সব সময় খাবার খেতে হবে। তাহলে  ডায়রিয়া থেকে দূরে থাকা 

ভ্রমণের ক্ষেত্রে সর্তকতা

বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি বা ভ্রমণ করলে ডায়রিয়া হয়ে থাকে। এর কারণ হচ্ছে  ভ্রমণের সময় পরিষ্কার  টয়লেট পাওয়া যায় না। সবাই ব্যবহার করার ফলে ওইসব টয়লেটে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু থাকে। যার ফলে ডায়রিয়া হয়ে থাকে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে নিজেকে পার্সোনাল ভাবে স্যানিটাইজার সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। এবং খাবার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন বাসি পচা খাবার না হয়। এবং কিছুক্ষণ পর পর সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। তাহলে, ভ্রমণের সময়  ডায়রিয়া থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

নতুন জায়গায় খাবারের সতর্কতা

নতুন জায়গায় খাবার সময় অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। কারণ অপরিষ্কার খাবার খেলে ডায়রিয়া হয়ে থাকে। নতুন জায়গায় খাবার সময় গরম এবং ভালোভাবে রান্না করা খাবার খাবেন। অবশ্যই কাঁচা ফল এবং শাকসবজি ফিরিয়ে চলার চেষ্টা করবেন। যদি এইসব খাবার খান তাহলে অবশ্যই ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। নতুন জায়গায় কম পরিমাণ খাবার খাবেন। মাংস  এবং দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।

অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ

দীর্ঘ সময় ভ্রমণের সময় আমাদের শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এই সময় কোন ধরনের রোগ জীবাণু শরীরে প্রবেশ করলে ডায়রিয়ার সমস্যা হয়ে থাকে। এর কারণে,  ভ্রমণের সময় অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে পারেন। যার ফলে কোন ধরনের রোগ জীবাণু আপনাকে আক্রমণ করতে পারবে না। তাহলে ডায়রিয়ার পাশাপাশি সকল ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

উপরে যেসব বিষয় আলোচনা করা হলো, ঠিকমতো মেনে চললে ডায়রিয়া থেকে দূরে থাকা সম্ভব। ডায়রিয়া হওয়া ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। এ কারণে, সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে যাতে করে ডায়রিয়ার ভাইরাস আমাদের দেহের প্রবেশ করতে না পারে।

শেষ কথা

বাংলাদেশ একটি ঘনবস্তুতিপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশ  প্রায় ১৭ কোটি মানুষ বসবাস করে। যা এদেশের আয়তনের তুলনায় অনেক বেশি। ঘনবসতির কারণে, বিভিন্ন জায়গায় ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকে। এসব কারণে রোগ জীবাণুর সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির বাড়িতে এসব রোগ জীবাণু নদীর পানিতে মিশে যায়। এসব পানি ব্যবহার করার ফলে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশের মানুষের কাছে ডায়রিয়া একটি সাধারণ রোগ।

বাংলাদেশে বসবাস করে কিন্তু ডায়রিয়া হয়নি এমন লোক খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। বাংলাদেশের আবহাওয়া ডায়রিয়া এটি সাধারণ রোগ। এ রোগটি বছরের প্রতিটি সময়ে হয়ে থাকে। উপরে ডায়রিয়ার রোগের কারণ ও প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস সম্পূর্ণ লেখাটি পড়লে ডায়রিয়া হলে করণীয় কি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পাবেন। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন-

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়

জরায়ু টিউমারের লক্ষণ ও চিকিৎসা

Leave a Comment