চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় 

আপনি কি চুল পড়া নিয়ে চিন্তিত? মাথায় টাক পড়ছে (ছেলেদের ক্ষেত্রে)? চুল পড়া বন্ধ করার উপায় খুজছেন? তাহলে আজকের লেখাটি আপনার জন্য। চুল আমাদের সৌন্দর্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। অযত্ন, অবহেলা এবং আরো কিছু কারণে চুল ঝরে যায়। চুল পড়া সমস্যায় কমবেশি আমরা সবাই ভুগে থাকি।

চুল পড়ার প্রধান কারণ গুলো হলো – পুষ্টির অভাব, মানসিক চাপ, স্কাল্পে  ইনফেকশন,  হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, থাইরয়েডের সমস্যা, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন, দূষিত পরিবেশ, চুল অপরিষ্কার রাখা, ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করা,

এলার্জি জনিত সমস্যা, হেয়ার স্টাইল করার জন্য বিভিন্ন টুলের অত্যাধিক ব্যবহার ইত্যাদি। স্বাস্থ্যকর এবং মজবুত চুল আমাদের সবারই কাম্য। চুলকে শক্ত ও মজবুত করতে এবং চুল পড়া বন্ধ (hair fall solution) করতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ টি চুল পড়া স্বাভাবিক।

কিন্তু এর বেশি পড়লেই বিপদ। আজকে আলোচনা করা হবে চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে। তবে জেনেটিক কারণে অনেকের চুল পড়ে। আজকে আলোচনা করব চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে এবং কিছু প্রাকৃতিক তেল, এসেনশিয়াল তেল এবং তেলের ব্যবহার সম্পর্কে। 

আজকের আলোচ্য বিষয়

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় – বদভ্যাসের পরিবর্তন 

আমাদের জীবনযাপনের কিছু বদভ্যাস চুল পড়ার (hair fall) অন্যতম কারণ। তাই চুল পড়া রোধ করতে অবশ্যই বদভ্যাসগুলো দূর করতে হবে। চুল পড়া রোধ করার উপায় হিসেবে নিম্নে কিছু বদভ্যাসের পরিবর্তন সম্পর্কে দেয়া হল –

স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ

জাঙ্ক ফুড এবং তেলেভাজা খাবার খেতে আমরা কম বেশি সবাই পছন্দ করি। কিন্তু এগুলো শরীরের জন্য একদমই ভালো না এবং চুল পড়াতেও প্রভাব ফেলে। তাই চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাবার রাখতে হবে। তাজা ফল এবং সবুজ শাকসবজি বেশি খাবেন। ভিটামিন এ, ই ও সি এবং বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার খুবই উপকারী।

আরও পড়ুনঃ হেয়ার সিরাম ব্যবহার করার নিয়ম

পর্যাপ্ত পানি পান করা 

শরীরের পানিশূন্যতার কারণেও চুল পড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। চুল পড়া (hair fall) বন্ধ করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার পানি অবশ্যই পান করুন। 

দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা

মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা অতিরিক্ত চুল পড়ার আরেকটি কারণ। মানসিক চাপ দূর করার জন্য ব্যায়াম, যোগব্যায়াম, ধ্যান বা আপনার পছন্দের কোন অভ্যাসে জড়িত থাকুন। 

মাথায় স্বাভাবিক পানি ব্যবহার 

আমরা অনেকেই গোসল করার সময় গরম পানি ব্যবহার করি এবং সেই পানি মাথাতেও দেই। কিন্তু গরম পানি মাথায় দিবেন না। এতে চুল পড়া (hair fall) বৃদ্ধি পায়। 

ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার না করা

ক্ষতিকর কেমিক্যাল রয়েছে এমন কোন প্রোডাক্ট ব্যবহার করা বন্ধ করুন। সালফেট ও প্যারাবিনমুক্ত শ্যাম্পু মাথায় ব্যবহার করতে হবে। অ্যালোভেরা ও নিম যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করলে মাথা থাকবে ঠান্ডা এবং ঘামবেও কম। ভালো পরিমাণে ময়শ্চারাইজার রয়েছে এমন কোন কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

চুলে হিট ব্যবহার না করা

অনেক রকম হেয়ার স্টাইল করতে গিয়ে আমরা চুলে হিট দেই। এছাড়া চুল শুকানোর জন্যও হেয়ার ড্রায়ার (Hair Drier) ব্যবহার করি। কিন্তু এটি চুলের জন্য একদমই ভালো না। এতে চুল শুষ্ক হয়ে যায়। চুল শুকানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে প্রাকৃতিক বাতাস। 

পর্যাপ্ত ঘুম 

রাত জাগা আমাদের একটি বদভ্যাস। এটি আমাদের শরীরের ওপরেও যেমন প্রভাব পড়ে তেমনি চুলের উপরেও প্রভাব পড়ে। তাই রাত না জেগে নিয়মিত সাত-আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে। 

ধূমপান ত্যাগ 

ধূমপান আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ধূমপান করার কারণে মাথার ত্বকে প্রবাহিত রক্তের পরিমাণ কমে যায়। অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে চুল পড়াও (hair fall) বৃদ্ধি পায়। তাই ধুমপান ত্যাগ করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ বিবি ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম

নিয়মিত শরীরচর্চা 

প্রতিদিন শরীরচর্চা করার অভ্যাস করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০ মিনিট হাটাহাটি, সাঁতার কাটা অথবা সাইকেলও চালাতে পারেন। এতে করে স্ট্রেসের মাত্রা কমবে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে। ফলে চুল পড়ার (hair fall) সমস্যাও কমে যাবে। 

চুল পরিষ্কার রাখা

অপরিষ্কার চুলে খুশকি এবং মাথার ত্বকে সংক্রমণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তাই নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। এতে করে চুলের গোড়ায় জমে থাকা ময়লা সহজেই দূর হয়। চুল পড়া (hair fall) সমস্যাও কমে যায়। 

প্রাকৃতিক তেল এবং তেলের ব্যবহার 

চুলকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে চাইলে তেলের কোন বিকল্প নেই। চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই আসবে তেলের কথা। তেল সঠিকভাবে ব্যবহার করলে চুলের সুস্বাস্থ্য, রঙ, উজ্জ্বলতা, দৈর্ঘ্য সবই ঠিক থাকবে । চুল পড়া বন্ধ (hair fall) করে এমন কয়েকটি তেলের নাম নিচে দেওয়া হল –

  • নারিকেল তেল (Coconut oil) 
  • ক্যাস্টর অয়েল (Castor oil) 
  • আমন্ড অয়েল (Almond oil) 
  • অলিভ অয়েল (Olive oil) 
  • নিম তেল (Neem Ayurvedic oil) 
  • পেঁয়াজ তেল ( Onion oil)
  • আমলকি তেল (Amla oil)
  • আরগান তেল (Argan oil)
  • সরিষার তেল (Mustard oil) 
  • ভিটামিন ই তেল (Vitamin-E oil)

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় – তেল ব্যবহারের নিয়ম

১. তেল ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য কোল্ড প্রেসডকৃত উচ্চমানের তেল বাছাই করুন। 

২. তেল ব্যবহার করার পূর্বে কুসুম গরম পানি অথবা মাইক্রোওয়েভে কিছুক্ষণ রেখে গরম করে নিন। 

৩. মাথার ত্বকে এবং চুলে তেল লাগানোর পর আঙুলের ডগা দিয়ে আলতো ভাবে মাসাজ করুন। এতে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। 

৪. তেল দেওয়ার পর কমপক্ষে ৩০ মিনিটের মতো অপেক্ষা করুন। সম্ভব হলে পুরা রাত তেল দিয়ে রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুল পরিষ্কার করে ফেলুন। শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন।

আরও পড়ুনঃ গোল মরিচের উপকারিতা

চুল পড়া বন্ধ করার তেল – এসেনশিয়াল ওয়েল 

এসেনসিয়াল অয়েল তৈরি করা হয় গাছের বিভিন্ন অংশের (ফুল, পাতা, শেকড়) নির্যাস থেকে । এই ধরনের তেল সাধারণত ৪/৫ ফোটা নিয়ে অন্য কোন  তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়। এসেনসিয়াল অয়েল (Essential oil) অন্য যে তেলের সাথে মেশানো হয় সেগুলো কে ক্যারিয়ার অয়েল (Carrier oil) বলে। যেমন – আমন্ড তেল, জোজোবা তেল ইত্যাদি। 

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে এসেনশিয়াল ওয়েল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চুল পড়ার সমস্যা (hair fall solution) লক্ষণীয়ভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব এই তেলের ব্যবহারে। চুল পড়া রোধ করতে কয়েকটি এসেনশিয়াল তেলের নাম দেয়া হলো –

  • রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল 
  • ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল 
  • টি ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল (চা এর এসেনশিয়াল অয়েল) 
  • পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল 
  • সিডারউড এসেনশিয়াল অয়েল 
  • ক্যামোমাইল এসেনশিয়াল অয়েল 

চুল পড়া বন্ধে এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহারের নিয়ম 

১. এসেনসিয়াল তেলগুলি অত্যন্ত ঘনীভূত অবস্থায় থাকে। তাই ব্যবহার করার পূর্বে পাতলা করে ব্যবহার করা উচিত। পাতলা করার জন্য ক্যারিয়ার তেলের (বাদাম তেল, নারকেল তেল, জোজোবা তেল ইত্যাদি) সাথে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল তেল মিশিয়ে নিতে হবে। 

২. পাতলা করা এসেনশিয়াল ওয়েল মিশ্রণ আঙুলের ডগায় লাগিয়ে কয়েক মিনিটের জন্য স্কাল্পে আলতো করে মাসাজ করুন। মাসাজ করার ফলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। 

৩. ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় এসেনশিয়াল ওয়েল মাথায় লাগিয়ে রাখতে পারেন। পাতলা এসেনসিয়াল ওয়েলের মিশ্রণটি কয়েক ঘণ্টা বা সারারাত লাগিয়ে রেখে দিন। 

৪. মাথার ত্বকের সংবেদনশীলতা এবং আপনার পছন্দের ওপর নির্ভর করে প্রতি সপ্তাহে ২/৩ বার মাথার ত্বকে ও চুলে এই তেলের পাতলা মিশ্রণ ব্যবহার করুন। 

বিশেষ দ্রষ্টব্য : যেকোনো প্রকার সম্ভাব্য এলার্জির প্রতিক্রিয়া এবং সংবেদনশীলতা পরীক্ষা করার জন্য তেল ব্যবহার করার পূর্বে একটি প্যাচ পরীক্ষা করুন। 

চুল পড়া বন্ধ করতে ঘরোয়া উপায় 

ঘরোয়া উপায় বা হেয়ার প্যাক আপনার চুল পড়া (hair fall solution) কমিয়ে দিতে পারে। চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে কিছু ঘরোয়া টোটকা বা হেয়ার প্যাক নিম্নে বর্ণনা করা হলো –

 মেহেদী এবং সরিষার তেল

২৫০ মিলি সরিষার তেল এবং ২০/২৫ টি মেহেদি পাতা একসঙ্গে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হওয়ার পর চুলের গোড়ায় মাসাজ করুন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একদিন ব্যবহার করুন এই তেল। 

এলোভেরা জেল

এলোভেরার পাতা থেকে জেল সংগ্রহ করে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগান। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ফলে চুল পড়া বন্ধের পাশাপাশি চুল হবে ঝলমলে এবং উজ্জ্বল। সপ্তাহে দুইদিন লাগান এই জেল।

মেথি

আধা কাপ নারিকেল তেলের মধ্যে ১ চামচ মেথি দিয়ে কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হওয়ার পর এই মিশ্রণ চুলের গোড়ায় ব্যবহার করুন। ১ ঘন্টা অপেক্ষা করার পর মাইল্ড কোনো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ২০২৩

মধু, দই এবং লেবুর প্যাক

পরিমাণমত মধু, লেবু এবং দই দিয়ে বানিয়ে ফেলুন হেয়ার প্যাক। এই হেয়ার প্যাক আপনার চুলের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আনবে। ভিটামিন বি এবং প্রোটিনের জোগানও বাড়াবে। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন  এবং প্যাকটি শুকিয়ে যাওয়ার পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

নিমপাতার নির্যাস

এক লিটার পানিতে ২০/২৫ টা নিমপাতা খুব ভালো করে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন। শ্যাম্পু করার পর এই মিশ্রণ দিয়ে মাথার ত্বক এবং চুল ধুয়ে ফেলুন।  মাথার ত্বকের ইনফেকশন এবং খুশকি দূর করে। চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল পড়া কমায়। সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করুন নিমপাতার নির্যাস। 

পেঁয়াজের রস

 চুল পড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  পেঁয়াজের রস সরাসরি চুলের গোড়ায় ঘসে ঘসে লাগাতে হবে। এর ঝাঁঝালো গন্ধ দূর করতে চাইলে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল ওয়েল মিশান। ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।  

অলিভ ওয়েল, জিরা এবং মধু

অলিভ ওয়েল (১/৪ কাপ) এবং জিরা (১ চা চামচ) ভিজিয়ে রাখুন প্রায় ৫ ঘন্টা। মিশ্রণটি ছেঁকে তেল আলাদা করে নিন। ছেঁকে রাখা তেলে কিছুটা মধু মিশান। এরপর চুলের গোড়ায় মাসাজ করুন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।  সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করুন এই প্যাক। 

ডিমের কুসুম এবং মধু

ডিমের কুসুম ফেটিয়ে এর মধ্যে মধু মিশ্রণ করে তৈরি করুন হেয়ার প্যাক। চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে অপেক্ষা করুন। আধা ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন মাথা। 

গ্রিন টি

গ্রিন টি ব্যবহার করলে চুল পড়ার (hair fall) সমস্যা (hair fall solution) অনেক কমে যায়। এক কাপ গরম পানিতে দুটি গ্রিন টি ব্যাগ মিশিয়ে নিন। এটি ঠান্ডা করার পর চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ব্যবহার করুন। এক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি ৭ থেকে ১০ দিন একটানা ব্যবহার করলে চুল পড়ার সমস্যা কমে যাবে।  

শেষকথা 

সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে আমাদের মাথার চুল। চুলকে শক্তিশালী, মজবুত ও উজ্জ্বল করতে এর সঠিক যত্ন নিতে হবে। চুল পড়া বন্ধ করার উপায় নিয়ে ওপরে আলোচনা করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব নিয়ম মেনে চলার। নিয়ম করে অয়েল মেসেজ করার চেষ্টা করবেন। আমাদের প্রত্যেকেরই চুলের ধরন আলাদা আলাদা। চুলের ধরনভেদে বিভিন্ন রকম প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন। যেমন- শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, তেল ইত্যাদি। হিট প্রয়োগ এবং ক্ষতিকর কেমিক্যাল থেকে চুলকে মুক্ত রাখুন।

স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন এবং জাঙ্ক ফুড ও তৈলাক্ত খাবার থেকে বিরত থাকুন। প্রতিদিনের রুটিনে কিছু বদভ্যাস পরিবর্তন করুন। আশা করছি সব নিয়মকানুন মেনে চললে, আপনার চুল পড়া (hair fall) বন্ধ হবে এবং চুল হবে স্বাস্থ্যজ্জল, মজবুত এবং মসৃণ। 

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ’s

১. ছেলেদের চুলের জন্য কোন শ্যাম্পু সবচেয়ে ভালো? 

উত্তর : ডাভ কন্ডিশনার এর সাথে ডাভ শ্যাম্পু ব্যবহার করে আপনি পাবেন উজ্জল ও ঝলমলে চুল। 

২. চুল পড়া রোধে কোন শ্যাম্পু ভালো?

উত্তর: সেরা প্রাকৃতিক শ্যাম্পু হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত ডাভ শ্যাম্পু শুষ্ক এবং স্বাভাবিক সব ধরনের চুলের জন্যই কার্যকরী। 

৩. ছেলেদের চুলের জন্য কোন শ্যাম্পু সবচেয়ে ভালো? 

উত্তর : ডাভ কন্ডিশনার এর সাথে ডাভ শ্যাম্পু ব্যবহার করে আপনি পাবেন উজ্জল ও ঝলমলে চুল।

৪. চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম? 

উত্তর : চুল পড়া বন্ধ করতে কার্যকরী তেলের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকম প্রাকৃতিক তেল (নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, বাদাম তেল, সরিষার তেল, জোজোবা অয়েল , আমলকি তেল ইত্যাদি) এবং এসেনশিয়াল ওয়েল (রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল, টি ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল ইত্যাদি) । 

৫. চুল পড়া রোধে কোন তেল ভালো

উত্তর : স্ক্যাল্পে যখন পুষ্টি অভাব দেখা দেয় তখন চুল পড়া শুরু করে। চুল পড়া বন্ধ করার জন্য এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করা ভালো। চুলের যত্নে সাধারণত নারিকেল তেল ব্যবহার করা ভালো এবং চুল পড়ার বন্ধ করার জন্য আমলকি তেল ব্যবহার করতে পারেন।

আরও পড়ুন- 

তিসি খাওয়ার নিয়ম উপকারিতা ও অপকারিতা

কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা

Leave a Comment