সিজার অপারেশন কিভাবে করা হয়

সিজার অপারেশন

যে সকল নারীরা গর্ভবতী রয়েছেন কিংবা প্রথম সন্তান জন্ম দিতে যাচ্ছেন, তাদের অনেকের মনেই সিজার (cesarean section) নিয়ে নানান প্রশ্ন রয়েছে। অনেকে এই সিজার সেকশন নিয়ে বেশ কৌতুহলী। আবার অনেকেই সিজার সেকশন কেন করা হয, কিভাবে করা হয়, খরচ কত হবে কিছুই জানে না।

আজকের আর্টিকেলটি আমি ঠিকই তাদের জন্যই সাজিয়েছি। আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরব সিজার বা সি-সেকশন মানে কি, সিজার অপারেশন কিভাবে করা হয়, সিজার করতে কত খরচ হয়, সিজার (c section) করার উপযুক্ত সময়,

সিজার করার কারন, সিজার করার অসুবিধা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য। চলুন শুরু করি। 

সিজার অপারেশন বা সি সেকশন মানে কি

অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে সি-সেকশন মানে কি। মূলত আমাদের দেশে কথিত সিজারই হলো সি-সেকশন (c section) বা সিজার অপারেশন। যা আবার সিজারিয়ান ডেলিভারি নামেও পরিচিত। সি-সেকশন (cesarean section) হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে একজন ডাক্তার যোনিপথের মাধ্যমে প্রসবের পরিবর্তে মায়ের পেটে এবং জরায়ু কেটে বা  ছেদের মাধ্যমে শিশুর জন্ম দেন।

কিছু ক্ষেত্রে, গর্ভাবস্থার সময় একজন গর্ভবতী মহিলার বেশ কিছু জটিলতা দেখা দেয়, আর তা দেখা দিলে সি-সেকশন (c section) পূর্ব-পরিকল্পিত হতে পারে। আর মা এবং শিশু উভয়ের জন্যই ঝুঁকি কমাতে ডাক্তার আগাম জানিয়ে দিতে পারেন। সাধারণত ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার 39 সপ্তাহ বা পূর্ণ মেয়াদের আগেই সিজারিয়ান ডেলিভারি করার চিন্তা করা হয় না।  তবে মা ও গর্ভের বাচ্চার বেশ কিছু জটিলতা দেখা দিলে ৩৯ সপ্তাহের আগেই সিজারিয়ান ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করা হয়।

আরও পড়ুন: মাসিক না হওয়ার কারণ ও অনিয়মিত মাসিকের ঔষধ

সি- সেকশন/ সিজার অপারেশন কেন করা হয়

অনেক সময় দেখা যায় একজন গর্ভবতী মহিলাদের স্বাভাবিক প্রসবের ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়ে থাকে,অর্থাৎ মা কিংবা শিশুর জীবনের যদি কোন ঝুঁকি থাকে, তাহলে একজন ডাক্তার সিজারিয়ান অপারেশনের আশ্রয় নিয়ে থাকেন। তাছাড়া অনেক সময় প্রসবকালীন বা বাচ্চা হওয়ার সময় নানান জটিলতার কারণেও সিজারিয়ান অপারেশন করা হতে পারে। একে বলা হয় জরুরী সি সেকশন (c section)। এছাড়াও একজন গর্ভবতী মহিলার যোনি যদি  প্রসবের উপযুক্ত না হয়, তাহলে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়ে থাকে।

এই কারণ গুলো ছাড়াও একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ  ডাক্তার সিজারিয়ান অপারেশন করে থাকেন। যেমন:

  1. শিশুর মাথা যদি অনেক বড় হয়ে যায় (ম্যাক্রোসেফালি)।
  2. শিশুর বিকাশের অবস্থা ভালো না থাকলে
  3. গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা যেমন বিপি, সুগার অথবা হৃদরোগ ইত্যাদি থাকলে।
  4. মহিলাটির ইতিমধ্যেই একটি বা দুটি সিজারিয়ান অপারেশন (cesarean section) করা থাকলে৷
  5. যদি মায়ের জন্ম কালে একটি সক্রিয় সংক্রমণ থাকে যা তার গর্ভের বাচ্চার মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
  6. গর্ভে যদি একাধিক বা জমজ সন্তান থাকে। 
  7. শিশুর পা যদি আগে বের হয়।
  8. মায়ের গর্ভে শিশুর অক্সিজেন সরবরাহ কমে গেলে।
  9. যদি একজন মায়ের একটি বড় ফাইব্রয়েড জন্মের খালকে বাধা প্রদান করে 
  10. বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সময় প্রেসার দিতে না পারলে। 

সিজার অপারেশন কিভাবে করা হয় 

সিজার অপারেশন এর সময়ে গর্ভের শিশু অনেকগুলো স্তর ভেদ করার পর এই পৃথিবীর আলো দেখতে পায়। এর মধ্যে একজন  মায়ের পেটের ত্বক, ত্বকের নিচের চর্বি, পেটের পেশি, পেটের ভেতরের পর্দা (পেরিটোনিয়াম), জরায়ু ও প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল ভেদ করে বাচ্চাটিকে বার করা হয়। অনেকেরই ইচ্ছা থাকে জানতে যে সিজারের অপারেশনটি কিভাবে করা হয়। আমি কিছুটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছি।  

  1. প্রথমে আপনাকে সিজার (c section) এর জন্য অপারেশনের টেবিলে সোজা করে শুইয়ে দেওয়া হবে।
  2. আপনার পেট ও বুকের মাঝে একটি পর্দা দিয়ে দেওয়া হবে। 
  3. আপনাকে পুরোপুরি কিংবা আংশিক ভাবে  অচেতন করার পর পেটের ত্বকে অপারেশনের ছুরি দিয়ে ১০–২০ সেমি লম্বা করে কাটা হবে।  আর ত্বক ও ত্বকের নিচের টিস্যু কাটার পর পেশি আসলে সেটি কাটার পরিবর্তে ছড়িয়ে ছড়িয়ে আলাদা করে রাখা হয়।
  4. এরপর আপনার পেটের ভেতরের পর্দা ও জরায়ুটি কাটা হয়। উল্লেখ্য যে, পেটের ত্বকের কাটা ও জরায়ুর কাটা সবসময় একই রকম হতে নাও পারে।
  5. এরপর অবশেষে কাটা অংশগুলো মিলে তৈরি হয় রাস্তা, আর সে রাস্তা দিয়ে আপনার শিশুকে বের করা আনা হয়। 
  6. শিশুটিকে পেট থেকে বের করার পর পরই আপনাকে অক্সিটোসিন নামক একটি ঔষধ ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হবে। যেটি রক্তপাত কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
  7. শিশুর ডেলিভারির প্রায় ১ মিনিট পরে আম্বিলিকাল কর্ড বা নাড়ি ক্ল্যাম্প করা হয়। এরপর ক্ল্যাম্পের পরের অংশ কেটে শিশুকে আলাদা করা হয় এবং শিশুকে পরিষ্কার, ওজন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। 
  8.  আর যদি সম্ভব হয়, তাহলে শিশুকে পরিষ্কার করে মায়ের বুকের ওপরে শুইয়ে দেওয়া হবে। এতে একজন মায়ের ত্বকের সাথেশিশুর ত্বক লেগে থাকবে। 
  9. এরপর ধাপে ধাপে একজন মায়ের পেট ভেতর থেকে বাইরে স্তর অনুযায়ী সবগুলো কাটা সেলাই করা হবে।

সিজার অপারেশন খরচ 

মানব শরীরের অন্য যেকোনো অপারেশনের মতোই সিজারিয়ান অপারেশন করাতেও বেশ কিছু খরচ রয়েছে। তাই হাসপাতালে যাওয়ার পূর্বেই এর জন্য প্রস্তুতি থাকা ভালো। সাধারণত সিজারের খরচ সরকারি হাসপাতাল গুলোতে এক রকম, আর বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে আরেক রকম হয়ে থাকে। বেসরকারি হাসপাতাল বা চেম্বার গুলোতে কোন ডাক্তার অপারেশন করছেন সেই চিকিৎসক এর চাহিদার ভিত্তিতেও খরচ কম-বেশি হতে পারে।

বর্তমানে সরকারি হাসপাতাল গুলোতে সিজারিয়ান সেকশন (c section) করতে যাবতীয় সব খরচ মিলিয়ে ২ থেকে ১২ হাজার টাকার মতো লেগে যেতে পারে। তবে ধরে নিন গড়ে ৭ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। 

আর বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে সিজার করাতে সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়ে যায়। তবে রোগীর কোনো জটিলতার কারণে রোগীকে আইসিইউ অথবা HDUতে রাখতে হলে সেক্ষেত্রে খরচ আবার বেড়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুনঃ খালি পেটে ঘি খাওয়ার নিয়ম

সিজার অপারেশন করতে কত সময় লাগে 

যারা নতুন গর্ভবতী আছেন, প্রথম মা হবেন, কিংবা যাদের আগে নরমাল ডেলিভারি হয়েছে তারা নিশ্চয়ই ভাবছেন আপনার যদি সিজার অপারেশন করা লাগে তাহলে তার জন্য কত সময় লাগতে পারে।

সিজার (cesarean delivery) করতে প্রায় ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টার মত সময় লাগতে লারে। আসলে এটি নির্ভর করে বাচ্চার পজিশন কেমন আছে, মায়ের রক্তচাপ, মায়ের প্রেসার এর উপরে।

গর্ভাবস্থায় কোন প্রসব নিরাপদ 

বাচ্চা জন্মদানের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মহিলাদের জন্য, যোনিপথে প্রসব বা নরমাল ডেলিভারি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। কারন নরমাল ডেলিভারি বা যোনিপথে জন্ম অনেক জটিলতার ঝুঁকি কমায়। যদিও নরমাল ডেলিভারিতে একজন গর্ভবতী মাকে অনেক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। তবুও যন্ত্রণা সহ্য করে বাচ্চা জন্ম দিলে পরবর্তীতে তার আর তেমন কোন সমস্যা হয় না। তিনি স্বাভাবিক ভাবেই হাঁটাচলা কর‍তে পারে, যেকোনো ভারি জিনিস ও বহন করতে পারে। অর্থাৎ স্বাভাবিক ভাবেই তিনি সব কাজ কর‍তে পারেন। 

অন্য দিকে যিনি সিজার অপারেশন (cesarean delivery) করান সন্তান জন্ম দানের সময় তিনি ব্যথা অনুভব না করলেও পরবর্তী সময়ে তার অনেক সমস্যা হয়। কোমরে ব্যাথা, সেলাইয়ের জায়গায় ব্যাথা আরও অনেক সমস্যা। তাছাড়া তার প্রথম সন্তান সিজারে হলে পরবর্তী বাচ্চাটি হলেও সিজার করার সম্ভাবনা থেকে যায়। 

তাই সব দিক বিবেচনা করলে  নরমাল ডেলিভারিই একজন মহিলার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ। 

সিজার অপারেশন এর অসুবিধা 

যদিও নরমাল ডেলিভারি করলে যে প্রসব বেদনা সহ্য করতে হয়। সিজারিয়ান অপারেশনের (cesarean section) ক্ষেত্রে তেমনটি হয় না। তবে সিজারিয়ান অপারেশনের ক্ষেত্রে মা ও বাচ্চাকে বেশ কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন: 

মায়ের অসুবিধা 

এই অপারেশনের সময় মায়ের জরায়ু বা ত্বকের ভিতরের কোন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় সংক্রমণ বা প্রদাহের জন্য প্রসূতির সুস্থ হতে অনেক সময় লাগতে পারে। তাছাড়া অচেতন অবস্থা সৃষ্টি করতে যে সমস্ত ড্রাগ বা অচেতন নাশক ঔষধ ব্যবহার করা হয় সেগুলো অনেক সময় পাশ্বপ্রতিক্রিয়ারও সৃষ্টি করে। তাছাড়া এই অপারেশনের পর প্রজনন ক্ষমতাও হ্রাস পেতে পারে। স্বাভাবিক ডেলিভারিতে অক্ষম হওয়ায় মানসিক অবসাদও তৈরী হতে পারে। এবং সিজারিয়ান অপারেশন (cesarean section) করতে গেলে আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সিজার পরবর্তীকালীন সময়ে কোমর ব্যথা, ভারী জিনিস বহন না করা ও শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

শিশুর অসুবিধা 

এই অপারেশনের পর শিশুর অবস্থা অনেক সময় স্বাভাবিক নাও থাকতে পারে। এই সময় অধিকাংশ  শিশুর শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তাছাড়া মাকে অচেতনকারী ওষুধের দ্বারা অজ্ঞান করার কারনে তার প্রভাব শিশুর দেহে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার কারণে বাচ্চার মৃত্যুও ঘটতে পারে।

সিজারে মৃত্যুর কারন

সিজার অপারেশন করার সময় মাতৃমৃত্যু হয়েছে এমন ঘটনা খুব বিরল হলেও কিছু মহিলা সিজারিয়ান (c section) ডেলিভারির সাথে জটিলতার কারণে মারা যান। সেক্ষেত্রে এক বা একাধিক জটিলতার কারণে মৃত্যু প্রায় সবসময়ই ঘটতে দেখা যায়, যেমন অনিয়ন্ত্রিত সংক্রমণ, ফুসফুসে রক্ত ​​জমাট বাঁধা, বা খুব বেশি রক্তক্ষরণ হলে। আবার কখনো কখনো চিকিৎসক এর ভুল চিকিৎসার কারনেও সিজার অপারেশন করা রুগী মৃত্যুবরণ করে। 

তবে শুধু সিজারই নয়, বরং নরমাল ডেলিভারি করার সময় অনেক মায়ের মৃত্যু ঘটে। 

বিশেষ পরামর্শ ও শেষ কথা 

সিজার অপারেশন এর ক্ষেত্রে অবশ্যই বেশ কিছু বিষয় আপনাদের লক্ষ্য রাখা উচিত। হাসপাতাল থেকে যখন ছুটি দেওয়ার সময় হবে তখন একটা ছাড়পত্র বা ডিসচার্জ লেটার দেওয়া হয়। এতে সিজার (c section) পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া থাকে। হাসপাতাল থেকে ছুটি নেওয়ার সময়ে অবশ্যই ছাড়পত্রে নিচের বিষয়গুলো নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরামর্শগুলো দেওয়া আছে কি না সেটা দেখে নিবেন—

  • মায়ের পেট ও জরায়ু কীভাবে কাটা হয়েছে।
  • পেট কাটার পর কোন ধরনের সেলাই দেওয়া হয়েছে।
  • কাটা স্থানে কোনো ধরনের ড্রেসিং লাগবে কি না। আর যদি লাগেও তাহলে সেটার পদ্ধতি কী।
  • সেলাই কাটাতে হবে কি না, বা কত দিন পর কাটবে। 
  • আর যদি কাটাতেও হয় তাহলে কোথায় এসে কাটাতে হবে।
  • পেটের সেলাই নিয়ে গোসল করতে কোনো প্রকার বাধা আছে কি না
  • ভারী কোন কাজ ও সহবাসের বিষয়ে বিশেষ ধরনের কোন নিষেধাজ্ঞা আছে কি না

উপরোক্ত বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল করবেন এবং সিজারের (c section) পরে যথেষ্ট পরিমাণ বিশ্রামে থাকার চেষ্টা করবেন। যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। 

সিজার অপারেশন সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ’s

১। সর্বনিম্ন কত সপ্তাহে সিজার করা যায় ?

উত্তরঃ  সাধারণত গর্ভাবস্থার ৩৯তম সপ্তাহের পর সিজার অপারেশন করার পরিকল্পনা করা হয়।

২। সিজারের পর ব্যথা কতদিন থাকে ?

উত্তরঃ অপারেশনের জায়গায় কয়েকদিন বেশ ব্যথা থাকবে। কারও কারও ক্ষেত্রে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যথা থাকতে পারে।

৩। বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয়?

উত্তরঃ সাধারণত জন্মের সময়ে একটি সুস্থ বাচ্চার ওজন ২.৫ থেকে ৪ কেজির মধ্যে হয়ে থাকে। মায়ের প্রসবের রাস্তা যথেষ্ট প্রশস্ত হলে এবং কোনো জটিলতা না থাকলে এই ওজনের শিশুর নরমাল ডেলিভারি করা যায়।

৪। সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায়?

উত্তরঃ শরীরের সাথে মিশে যায় না—এমন সুতা দিয়ে পেট সেলাই করলে তা সাধারণত অপারেশনের ৫–৭ দিন পর খুলে ফেলা হয়।

৫। ২য় সিজার কত সপ্তাহে করা যায়?

উত্তরঃ গর্ভাবস্থার ৩৯তম সপ্তাহের পর সিজার অপারেশন করার পরিকল্পনা করা হয়। এর কারণ হলো, ৩৯ সপ্তাহের আগে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন-

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার 

পিরিয়ডের ব্যাথা কমানোর উপায় 

Leave a Comment