স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা ও দাম্পত্য জীবন

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা

প্রাচীন ইংরেজিতে থাকা শব্দ ওয়াএফ শব্দ থেকে এসেছে ওয়াইফ বা স্ত্রী শব্দটি। অন্যদিকে যেকোনো বৈবাহিক সম্পর্কে সমাজ, সংস্কৃতি এবং সময়ের পরিক্রমা অনুযায়ী পুরষকে বলা হয়ে থাকে স্বামী। পারস্পারিক ভালোবাসা ও মায়া-মমতার উপর

যে দাম্পত্য জীবনটি প্রতিষ্ঠিত হয় সেই জীবনটিকে আরো উপভোগ্য করে তুলতে দরকার স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা সারা জীবন একইভাবে বজায় রাখা। নতুবা বিয়ে পরবর্তী ভালোবাসা ও সুখ-শান্তিময় জীবন অল্প সময়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে।

স্বামী-স্ত্রীর এই ভালোবাসা এবং পারস্পারিক সুসম্পর্ক বজায় রাখতে প্রয়োজন সেক্রিফাইসের মন-মানসিকতা। এই সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথে থাকুন।

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা sami strir valobasa
স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা

আরও পড়ুনঃ হতাশা থেকে মুক্তির উপায় ইসলামিক

স্বামী স্ত্রীর যেসব কাজে সওয়াব হয়

ইসলাম ধর্মে স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসাকে যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। স্বয়ং আল্লাহ পাকই এই ভালোবাসা সম্পর্কিত আয়াত নাজিল করেছেন। বিভিন্ন আয়াত এবং হাদিসের ভাস্য অনুযায়ী স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা বা স্বামী স্ত্রীর যেসব কাজে সওয়াব হয় সে-সব কাজ হলো: 

১. জীবনধারা

ইসলামে উল্লেখ আছে কোনো স্বামী ও স্ত্রী যদি পরস্পরকে আল্লাহর জন্যে ভালোবাসে এবং আল্লাহর জন্য ঘৃণা করে তবে তারা আরশের ছায়ায় স্থান পাওয়া ৭ শ্রেণির অন্তর্ভূক্ত হবে। আল্লাহ পাকের জন্য সংসার জীবনে যার দ্বীনদারীতা, ইবাদত-বন্দেগি, সততা, নৈতিকতা, সচ্চরিত্র এবং সদাচার ইত্যাদি পরিচালিত হবে সেই ব্যাক্তিই কেয়ামতের দিন আরশের ছায়ায় স্থান পাওয়া ৭ শ্রেণির অন্তর্ভূক্ত হবে।

২. কথাবার্তা 

হাদিসে এসেছে স্বামী ও স্ত্রী যদি একে অপরের সঙ্গে সুন্দর ভাষায় কথা বলে তবে তা বাড়তি সাদাকা হিসাবে সওয়াব যুক্ত হবে। এমনকি কথাবার্তা না বলে মুচকি হাসি দিলেও তা সওয়াব হিসাবে কাজ করবে। 

৩. নেক আমল

আল্লাহর কাছে নেক আমল হিসাবে ইসলামে যেসব কাজ বেশ গুরুত্বের সাথেই বিবেচিত হয় সে-সব কাজের একটি হলো দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রী একে-অপরকে খুশি রাখা। কারণ হাদিস এবং কুরআনের ভাস্য অনুযায়ী আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দনীয় কাজ হলো অপর মুসলিমের হৃদয়ে খুশি সৃষ্টি করা। 

৪. উপকার

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরী হলো একে অপরের প্রতি উপকার করা বা একে অপরের প্রতি ভালো কাজ করা। এমনকি স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করাটাও একটি ভালো কাজ হিসাবে পরিগণিত হবে। তাছাড়া যেকোনো মানুষের উপকার করার অংশ হিসাবেও স্বামী বা স্ত্রীর উপকার করা যেতে পারে। 

৫. খরচ বহন

ইসলামে স্বামী স্ত্রীর মাঝে পারস্পরিক খরচ বহন করার মধ্যে রয়েছে সাদাকা অর্জনের সুযোগ। বলে রাখা ভালো সবচেয়ে শক্তিশালী হাদিস সোর্সের অংশ বুখারি ও মুসলিম হাদিসে স্ত্রীর মুখে এক লোকমা খাবার তুলে দেওয়ার বিনিময়েও সাদাকা অর্জনের সুযোগ রয়েছে। এভাবে একে অপরের ছোট ছোট খরচ বহন করার বিনিময়েও শ্রেষ্ঠ সাদকার সাওয়াব পাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে স্বয়ং কুরআনে।

আরও পড়ুনঃ তওবা করার নিয়ম ও দোয়া

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসাকে যথেষ্ট সুদৃঢ় করতে প্রয়োজন স্বামী স্ত্রীর মধুর সম্পর্ক। আর এই সম্পর্ক হতে হবে ঠিক এমন: 

গোপনীয়তা বজায় রাখা

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা বজায় রাখতে হবে গোপনীয়তার মাঝে। এক্ষেত্রে স্বামী এবং স্ত্রী উভয়কেই গোপনীয়তা বজায় রেখে চলতে হবে। বিশেষ করে স্ত্রীরা এই বিষয়টাকে এতোটুকুও গুরুত্বে নেন না। যা বেশ বড় ভুল সিদ্ধান্ত। তাছাড়া ইসলামও স্বামী-স্ত্রীর গোপনীয়তা বজায় না রাখাকে সমর্থন করে না। 

অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকা

দাম্পত্য জীবনে সুখী থাকতে হলে অধিকারের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। তবে এক্ষেত্রে নিজের অধিকারের চাইতে অন্যের অধিকার যাতে খর্ব না হয় সে ব্যাপারে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে। বাংলাদেশে সাধারণত সংসারক্ষেত্রে নারীর মতামতকে বা স্ত্রীর মতামতকে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না। যা পুরোপুরিভাবে পরিহার করে সাংসারিক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণে উভয়ের অধিকার এবং মতামত নিশ্চিত করতে হবে। 

সমস্যার সঠিক সমাধান 

পৃথিবীতে আপনি এমন কোনো দম্পতি নেই যে দম্পতি কোনোদিন কোনো সমস্যার মুখোমুখি হয়নি। সুতরাং সংসার জীবনে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হলে তা সমাধান করতে হবে ঠান্ডা মাথায়। ঝগড়াঝাঁটি করে যে কোনো সমাধান আসবে না সে ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হবে।

স্বামী স্ত্রীর মাঝে যে ব্যাক্তি যেকোনো সমস্যা সমাধানে বেশ পারদর্শী সে ব্যাক্তিকে এ ব্যাপারে প্রাধান্য দিতে হবে এবং সমাধান খুঁজে বের করে তা এপ্লাই করতে হবে। তবে সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে একা একা কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। 

মনোযোগ দেওয়া

একে অপরকে মনোযোগ দিলে যেকোনো সম্পর্কের গাঢ়ত্ব বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং স্বামী হিসাবে বা স্ত্রী হিসাবে অপরপাশের মানুষটিকে গুরুত্ব দিন। তার প্রতিটি কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। কারণ হতে পারে…অপরপাশের ব্যাক্তিকে আপনি ছাড়া মনোযোগ দেবার মতো আর কেউই নেই। অপরপক্ষের মানুষটির প্রতি আপাতত আপনার কোনো আগ্রহ নেই তা না বুঝিযে সব সময় দুজন দুজনকে গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করুন। উক্ত সম্পর্কে থেকে যেনো প্রত্যেকেই নিজেকে স্বার্থক মনে করে তা নিশ্চিত করুন।  

স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসা বেড়ে যাবার কারন

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা সৃষ্টি হয় বা বজায় থাকে বেশকিছু পিলারের উপর ভিত্তি করে। যেসব কারণে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসা বেড়ে যায় সেসব কারণ হলো: 

দ্বীনদারিতা

স্ত্রীর দ্বীনদারিতা প্রতিটি স্বামীর কাছেই গর্বের বিষয় হিসাবে কাজ করে। মনে রাখবেন যেকোনো স্ত্রীর মধ্যে দ্বীনদারিতায় এতটাই হারিয়ে যাওয়া উচিত যে স্বামীকে যেনো তাকে খুঁজে বের করার প্রয়োজন পড়ে। কোনো নারীর মাঝে দ্বীনদারিতা থাকলে তার মাঝে একইসাথে আনন্দময়িতা, শান্তিপ্রিয়তা, ধৈর্যশীলতা, সদয় মনোভাব, বিশ্বস্ততা, কোমলতার মতো পজেটিভ বৈশিষ্ট্যগুলি খুঁজে পাওয়া যায়। 

আনুগত্য

স্বামীর প্রিয় হয়ে উঠার সুযোগ সেই নারীর হয় যেই নারী স্বামীর প্রতি চরম আনুগত্য প্রকাশ করে। যদিও তা কখনোই বাড়াবাড়ি পর্যায়ের হওয়া যাবে না। আনুগত্য বলতে আমরা বোঝাতে চাচ্ছি সাংসারিক জীবনে স্বামীর কথামতো চলার মন-মানসিকতাকে।

স্বামীর দেওয়া আদেশ, উপদেশ যদি হয় পজেটিভ, সঠিক সেক্ষেত্রে মনে হয় না স্ত্রীর তা মানতে কোনো অসুবিধা হবে! পাশাপাশি মনে রাখা উচিত হাদিসেও স্বামীর আনুগত্য স্বীকার করা প্রতিটি স্ত্রীকে বিনা শর্তে জান্নাতের যেকোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছামতো প্রবেশ করার অনুমতি নিশ্চিত করা হয়েছে। 

পাশে থাকা

বিপদে স্বামীকে সান্ত্বনা দেওয়া, স্বামীর অবস্থা বিবেচনা করে তার পাশে থাকা, তার সমস্যার কথা শোনা, ভরসা দেওয়া এগুলো আদর্শ স্ত্রীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। কারণ বিপদের সময় পুরুষেরা নিজেরাই বেশ ভেঙে পড়ে। এ-সময়কার পরিস্থিতিতে তারা চাই পরিবারের সদস্যরা যেনো তার পাশে থাকে।

তবে বেশিরভাগ স্ত্রীরাই স্বামীর মন না বুঝে কথা বলা, পরিস্থিতি না বুঝে অবান্তর প্রসঙ্গ টানার মতো বিব্রতকর পরিবেশ তৈরি করে। ফলে এই ধরণের স্ত্রীরা ধীরে ধীরে স্বামীর ভালোবাসার গন্ডি থেকে ছিটকে পড়ে। সুতরাং স্বামীর মনে পেতে এবং স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসাকে পূর্বের তুলনায় আরো পাকাপোক্ত করতে স্বামীর পাশে থাকুন, তাকে বুঝুন এবং ভরসা দিন। 

কৃতজ্ঞতা 

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা বজায় রাখতে স্ত্রীর উচিত স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। যেকোনো পরিস্থিতিতেই এই কৃতজ্ঞতা বজায় রাখাটা জরুরি। জেনে রাখা উচিত ইসলামের স্বামীর অবাধ্য ও অকৃতজ্ঞ হওয়াকে কুফুরি করার সাথে তুলনা করা হয়। যদিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ঘটা করে কোনো আয়োজন করবার প্রয়োজন পড়ে না। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে স্বামীর প্রসংশা করুন, মাঝেমধ্যে সাধ্য অনুযায়ী স্পেশাল খাবার রান্না করে তা পরিবেশন করুন, ছোট খাটো গিফট করুন, স্বামীর সাধ্যের বাইরে কোনোকিছু না চাওয়ার চেষ্টা করুন এবং স্বামীকে ভালোবাসুন।

আরও পড়ুনঃ বদনজর থেকে বাঁচার দোয়া

স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া দূর করার উপায়

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসাকে পূর্বের তুলনায় কমিয়ে দিতে এবং মানসিক চাপের পাশাপাশি অন্যান্য সাংসারিক সমস্যা সৃষ্টিতে স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া ম্যাজিকের মতো কাজ। 

শ্রদ্ধাশীল হোন

দাম্পত্যজীবনে মানসিক নিরাপত্তা বজায় রাখাটা জরুরি। যা মূলত ব্যাহত হয় একে-অপরের শ্রদ্ধার অভাবে। সুতরাং যেকোনো সুস্থ সম্পর্কের একটি মৌলিক উপাদান হিসাবেই এই শ্রদ্ধাকে গুরুত্ব দিন। স্বামী বা স্ত্রীর কোনো কর্মকান্ড পছন্দ না হলে তা তুচ্ছতাচ্ছিল্যের আকারে প্রকাশ না করে তাকিয়ে বুঝিয়ে বলুন এবং সমাধান করুন। ঝগড়াঝাঁটির সময় একমাত্র এই টিপসটি ফলো করলেই অর্ধেক সমাধান পেয়ে যাবেন এবং সম্পর্ক আগের মতোই সুস্থ থাকবে। 

সহানুভূতি প্রকাশ করুন

আপনার স্ত্রী বা স্বামী যা বলছেন তা মনোযোগ সহকারে শুনুন। নিজের ক্ষোভ না ঝেড়ে খানিকটা সহানুভূতি প্রকাশ করুন। দেখবেন অপরপ্রান্তের মানুষটির রাগ কমে গেছে এবং পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিকও হয়ে এসেছে। কারণ যেকারো প্রতি প্রদর্শিত সহানুভূতি প্রায়শই যেকোনো যুক্তিকে থামিয়ে দিতে পারে, পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করতে পারে এবং ঝগড়াঝাঁটি থামিয়ে দিতে পারে। 

নেতিবাচক কর্মকান্ডকে না বলুন 

স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া হলে অনেক সময় এটা-ওটা ছুঁড়ে মারামারি বা ভেঙে ফেলার অভ্যাস থাকে অনেকের। যে বিষয়টিকে আমরা নেতিবাচক কমিউনিকেশন হিসাবে ধরে নিতে পারি। যা কখনোই করা যাবে না। বাই চান্স আপনি যদি নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে না পারেন সেক্ষেত্রে খানিকটা বিরতি নিন, পানি পান করুন, বসুন এবং সম্ভব হলে কোল্ড শাওয়ার নিন। দেখবেন রাগ পড়ে গেছে এবং যেকোনো অযাচিত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও কমে গেছে।

চিন্তা করুন

ঝগড়ার সময় মানুষ হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে। সুতরাং কে কোনটা সঠিক বলছে বা কেনোই বা বলছে তা বুঝে উঠা কঠিন হয়ে যায়। সুতরাং ঝগড়ার সময় চিন্তা করুন যে আপনার স্বামী বা স্ত্রী যা বলছে তা সঠিক হতেও পারে। 

শেষ কথা

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা সবসময় সুদৃঢ় রাখতে কম্প্রোমাইজ করা শিখুন। যে যে যার জায়গা থেকে কম্প্রোমাইজ করতে পারলে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া, তালাক, রাগারাগি ইত্যাদি সমাজে অনেকাংশে কমে আসবে। কম্প্রোমাইজের পাশাপাশি যেকোনো সম্পর্ক ধরে রাখতে প্রয়োজন ভালোবাসতে জানা এবং ধৈর্য ধরে সকল পরিস্থিতি পার করা।

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ’s 

১. স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা কেমন হওয়া উচিত?

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা হওয়া উচিত শ্রদ্ধাপূর্ণ এবং সহানুভূতিশীল। 

২. স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া হলে করণীয় কি? 

স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া হলে দুই জনের করণীয় হলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু মীমাংসা করা। 

৩. স্বামী রাগ করলে স্ত্রীর করণীয় কি? 

স্বামী রাগ করলে স্ত্রীর করণীয় হলো স্বামীকে বুঝিয়ে বলা, পছন্দের ডিশ তৈরি এবং সম্ভব হলে ছোটখাটো গিফ্ট উপহার দেওয়া। 

৪. স্ত্রী কি তালাক চাইতে পারবে?

ইসলামের দৃষ্টিতে স্ত্রী স্বামী কতৃক তালাক চাইতে পারবে। 

আরও পড়ুন-

মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

সর্দি কাশি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত

Leave a Comment