এক কালার জামার ডিজাইন
আপনাদের মধ্যে যারা এক কালার জামা পড়তে অনেক বেশি পছন্দ করে থাকেন এবং এক কালার জামার উপরে নতুন নতুন ডিজাইন ও হাতের কাজ করতে পছন্দ করেন তারা বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন
খুঁজে পেতে চাইলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি খুবই মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। এক কালার জামাতে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করা যায়।
এক কালার কাপড় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জামা তৈরি করা যায়, আর এই জামা গুলোতে একটু ভিন্ন ডিজাইন করে দিলেই জামা দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এক কালার জামার ডিজাইন সম্পর্কে।
আরও পরুনঃ গজ কাপড়ের জামার ডিজাইন
আগে থেকে ডিজাইন নির্ধারণ করবেন যেভাবে
সব সময় সবার মাথায় এরকম ভিন্ন ধরণের ডিজাইন আসে না যার জন্য তারা সাধারণ ভাবে জামা তৈরি করেন। কিন্তু জামাগুলো একটু গর্জিয়াস তৈরি করতে হলে জামার ডিজাইন একটু আলাদা করতে হয়।
এক কালার জামার উপরে আপনি কি ধরনের ডিজাইন করবেন এবং কোন সুতার কাজ করলে সেই জামাটি দেখতে ভালো লাগবে সবকিছুই বুঝতে পারবেন আমাদের আর্টিকেলটি পড়লে।
তবে যখন আপনি ঘরে বসেই অনেক বেশি সময় ধরে ডিজাইন পছন্দ করবেন এবং এক কালার কাপড়ের উপর কোন ডিজাইন দিয়ে ডিজাইন করলে ভালো লাগবে, কোন ডিজাইনটি হাতায় দিতে হবে এবং কোনটা গলায় দিতে হবে সেটা পছন্দ করে রাখেন তাহলে যেকোনো সময় টেইলার্সে গিয়ে আপনি একবার ছবি দেখালে তারা সেভাবে জামা তৈরি করতে পারবে।
যদি আপনার কাছে জামার ডিজাইন থেকে থাকে তাহলে বেশি হয়রানি হতে হবে না ।যখন আপনি শপিং করতে বাজারে যান তখন অনেক দামি দামি জামা দেখতে পান এবং এইসব দামি জামা গুলোর দামও অনেক বেশি কিন্তু খুবই সাধারণ মানের হয় জামাগুলো।
আবার অনেক সময় কোনো জামার ডিজাইন পছন্দ হয়ে গেলে আপনার পরিবারের অন্য কারো সেই ডিজাইনটি ভালো নাও লাগতে পারে। কিন্তু আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইটে এসে ঘরে বসে এই ডিজাইনগুলো পছন্দ করতে থাকেন তাহলে পরিবারের সবাই মিলে খুঁজে খুঁজে বের করতে পারবেন কোন ডিজাইনটি বেশি সুন্দর।
তখন আপনি খুব সহজে জামা তৈরি করে পড়তে পারবেন আর জামা যদি আপনার পছন্দমত না হয় তাহলে সেটা পড়তে আপনার ভালো না লাগার ই কথা। নিজের পছন্দমত জামা হলে আপনি যেকোনাে জায়গায় যে কোনো সময় হঠাৎ করে পড়ে যেতে পারবেন আর যদি জামাটি আপনার অপছন্দের হয় তাহলে আপনার ভালো লাগবে না।
বিভিন্ন ধরনের এক কালার জামার ডিজাইন
আপনাদের সুবিধার জন্য এক কালার জামার ডিজাইন এর কিছু ছবিগুলো দেওয়া হলো:-
তরুণীদের পছন্দনীয় বিভিন্ন ডিজাইনের জামার ধারণা
ঈদের আনন্দ অনেকটাই রঙিন হয়ে ওঠে তরুণীদের বাহারি রঙ আর নকশা করা পোশাকে। ডিজাইন আর কাটিংয়ে থাকে হাজারও বৈচিত্র্য। সেখান থেকেই বেঁছে বেঁছে ঠিক নিজের মনের মতো পোশাকটিই কিনে নেন তারা। এই না হলে তারুণ্য!
ঈদে ভারি পোশাক পরার থেকে বেশি আরাম আর স্বস্তির দিকেই বেশি নজর দিচ্ছেন ফ্যাশন সচেতন তরুণীরা। তাই ঈদের মতো উৎসবেও তাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে কুর্তি বা কামিজ।
তরুণীরা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করছেন লং কামিজের মতো লম্বা কিংবা ফ্রক স্টাইলে একটু ছোট আকারের কুর্তি।জাঁকজমক কম আর পরতেও আরাম। তবে রঙে আছে ভিন্নতা।
পাশাপাশি সেই সঙ্গে পরুন রঙিন লেগিংস। এসব কুর্তি তৈরিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কটন কাপড় প্রাধান্য পাচ্ছে। এছাড়া সুতি কাপড়ের ওপর ব্লক প্রিন্ট, অ্যামব্রয়ডারি, ফেব্রিক্স ও হালকা সুতার কাজ থাকছে। কোথাও লেস, বোতাম দিয়ে বাড়তি বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করা হয়। লম্বা কামিজ আর ঢিলেঢালা কুর্তিও এখন অনেকেরই পছন্দ।
এক কালার জামার ডিজাইন এবং কাপড়ের কোয়ালিটি
সুতি অথবা লিনেন
সুতি বা লিনেন কাপড়ের হওয়ায় কুর্তিগুলো খুবই আরামদায়ক। এগুলোর সামনের দিকটায় থাকে এক রঙের কোনো কাপড় আর পেছনের দিকটায় জল প্রিন্টের কাপড়। উঁচুগলার কলার ও ফুল হাতা থ্রি-কোয়ার্টার হাতার কুর্তিগুলোর পড়েও আরাম।
শর্ট ও হাতা ছাড়া কুর্তিরও বেশ চল রয়েছে। আলাদা করে চোখে পড়ে বোতামের ব্যবহার যা খুবই সুন্দর। নিচের অংশের কাটও আলাদা। গোলাকার, নৌকা, ভি ইত্যাদি কাট ব্যবহার করা হয়েছে। আবার গোলাকার হলেও সামনের অংশের চেয়ে পেছনের অংশ কিছুটা নামানো কাটিংও আছে।
কিছু কিছু কুর্তির ঘেরে ব্যবহার করা হয়েছে লেস। এই প্রকার কুর্তিও পরা হচ্ছে লেগিংস দিয়ে। এমন কুর্তির সঙ্গে পরতে পারেন এক রঙের অথবা শেডের কোনো ওড়না। কুর্তির বা কামিজের কাপড়ের রঙের সাথে মিলিয়ে বাছাই করুন ওড়না।
সিল্ক বা মসলিন
সাজ-পোশাকে জমকালো ভাব আনতে সিল্ক কিংবা মসলিনের তুলনা নেই ঠিকই, কিন্তু এই গরমে সারাদিন এসব কাপড় পরে থাকা সম্ভব হয় না। আরাম আর রোদবৃষ্টির কথা মাথায় রেখে লিনেন, জর্জেট কিংবা সুতিই বেঁছে নেন বেশিরভাগ ক্রেতা। অনেকের ভাবনা সুতি কিংবা লিনেন কাপড়ে জমকালো ভাবটা আসে না।
আবার ঈদে সাধারণ কাপড় পরতে চায় না অনেকেই। সে ক্ষেত্রে রঙ বাছাই এ সমস্যার সমাধান দিতে পারে। বেগুনি ,মেরুন, গোলাপি, সবুজ,লাল, কমলা, হলুদ যে উজ্জ্বল গাঢ় রঙ গর্জিয়াস ভাব আনবে, তবে চেষ্টা করবেন এসব রঙের তুলনায় হালকা শেড বেঁছে নিতে।
জামার ভিন্ন ধরণের ডিজাইন
- এক কালার জামার ডিজাইন ও নকশায় এসেছে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন পরিবর্তন। শেরওয়ানি কলার,হাইনেক কলার,ছোট করে গোল গলা, বোট গলা বা একেবারে গলা আটকানো। কামিজের হাতায়ও এবার বিভিন্ন নতুনত্ব দেখা যাচ্ছে।সোজা কোনী হাতা, থ্রি কোয়ার্টার হাতা,ফুল হাতা,কোল্ড শোল্ডার,কোনী হাতা দিয়ে নিচে গোলাকার ছাতার মতো, টাই স্লিভ হাতা যা দুই তিন জায়গা দিয়ে কাটা থাকে আর মাঝে পুঁথি দেয়া থাকে।
- এছাড়াও রয়েছে ফ্রক এর মত কামিজ। যা এক কাটের বা কুঁচি দেয়া দুই রকমেরই হয়। গরমের এ সময় সালোয়ার-কামিজের কাপড় হিসেবেও সুতিই বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। এছাড়া হাফসিল্ক,অ্যান্ডি কটন, সিল্ক, আর কাতানটাও চলছে বেশি।
- পোশাকের চমক বাড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে ব্লক,লেইস, চুমকি, স্ক্রিন প্রিন্ট, গ্লাস, পুঁতি,এমব্রয়ডারি, কারচুপি, অ্যাপ্লিক আর কুচি। কামিজের গলায়, বুকে ও হাতায় ভারি কাজ করে নিয়ে আসা হচ্ছে নান্দনিকতা।সাধারণ এক ছাঁটের কামিজের চাহিদাও রয়েছে অনেক।
- এসব কুর্তি-কামিজ পাবেন দেশীয় ফ্যাশনআড়ং, কে-ক্র্যাফট, অঞ্জন’স,বাংলার মেলা, প্রবর্তনা,সাদাকালো,বিবিয়ানা,নগরদোলা,অন্যমেলা,দেশালের,শোরুমগুলোতে। এছাড়াইনফিনিটি মেগা মল, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স, গাউছিয়া, চাঁদনি চক বা আপনার বাড়ির পাশের কোনো বড় মার্কেটে খুঁজে নিতে পারেন।
- ঈদের আনন্দ অনেকটাই রঙিন হয়ে ওঠে তরুণীদের বাহারি রং আর নকশা করা পোশাকে।ডিজাইন আর কাটিংয়ে থাকে হাজারও বৈচিত্র্য। সেখান থেকেই বেঁছে বেঁছে ঠিক নিজের মনের মতো পোশাকটিই কিনে নেন তারা।
- তরুণীরা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করছে লং কামিজের মতো লম্বা কিংবা ফ্রক একটু ছোট আকারের কুর্তি। পরতে আরাম । তবে রঙে আছে পার্থক্য। সাদার পাশাপাশি গোলাপি, জলপাই সবুজ, আকাশি, হালকা হলুদ, হালকা ম্যাজেন্টা, ফিরোজা, হালকা সবুজ, পেস্ট ধরনের উজ্জ্বল কিন্তু হালকা রংগুলো নিতে পারেন। সেই সঙ্গে পরতে পারেন রঙিন লেগিংস। এসব কুর্তি তৈরি করতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কটন কাপড়ই ব্যবহার করা হচ্ছে।
পরিশেষে
সময় এবং পরিশ্রম বাঁচিয়ে খুব সহজে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি নিজেদের জামা তৈরি করতে পারবেন। আর জামার সাথে সাথে নিজে হয়ে উঠতে পারবেন আরো স্মার্ট এবং সৌন্দর্যের অধিকারী।
তাই আর দেরি না করে এখনি আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনার পছন্দনীয় ডিজাইনটি বেঁছে নিন আর নিজের জামা তৈরি করুন এইভাবে। আশা করি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হবেন।এতক্ষণ ধৈর্য্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন-
ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম
মেয়েদের জন্য ৬টি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাশন টিপস