পায়খানা নরম করার উপায় ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা

পায়খানা নরম করার উপায়

সাধারণত চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় পায়খানা অনেক বেশি শক্ত হয়ে গেলে তা কোষ্ঠকাঠিন্যের (constipation) লক্ষ্মণ হতে পারে। এতে মলত্যাগ করতে বেশি বেদনা সহ্য করতে হয়। পাশাপাশি শরীরে দেখা দেয় বিভিন্ন রোগের আবির্ভাব।

কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ ছাড়াও ডিহাইড্রেশন বা বিভিন্ন ঔষুধের কারণেও কঠিন মলত্যাগ বা শক্ত পায়খানাজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধরণের সমস্যা ছাড়া ভোগ করছেন তারা চাইলে ঘরে বসেই পায়খানা নরম করার উপায় মেনে চলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

তবে অত্যন্ত জটিল পর্যায়ে চলে গেলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা

পায়খানা কেনো শক্ত হয়

পায়খানা নরম করার উপায়

বেশকিছু নির্দিষ্ট কারণে পায়খানা শক্ত হতে পারে। আবার অনেক সমস্যা বা জটিলতার সংমিশ্রণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে৷  সাধারণত অপাচ্য খাদ্য উপাদান গ্রহণ করার কারণে অধিকাংশ ব্যাক্তিই এই সমস্যায় পড়ে। পরবর্তীতে পায়খানা নরম করার উপায় খুঁজে বেড়ায়। তাছাড়া অনেকসময় বিভিন্ন ঔষধও পায়খানা শক্ত হওয়ার কারণ হিসাবে কাজ করে।

এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসাবে খিঁচুনি প্রতিরোধ করার জন্য ব্যবহৃত anticonvulsants মেডিসিনের কথা বলা যেতে পারে৷ পাশাপাশি এই লিষ্টে ক্যালসিয়ামযুক্ত অ্যান্টাসিড, অ্যান্টিকোলিনার্জিক টাইপের ঔষধও রাখা যায়। যেকোনো মানসিক রোগ প্রতিরোধে ব্যবহৃত ঔষধ, পার্কিনসন রোগের জন্য ব্যবহৃত ঔষধ, নেশা তৈরি করে এমন ঔষধ ইত্যাদি। তাছাড়া লাইফস্টাইল বিশেষ করে অতিরিক্ত ডায়েটের কারণেও পায়খানা শক্ত হতে পারে। 

বাচ্চাদের পায়খানা শক্ত হওয়ার কারণ ও লক্ষ্মণ 

বাচ্চাদের মল ত্যাগ করতে সমস্যা হলে বা শক্ত মলের সমস্যা দেখা দিলেই ধরে নিতে হবে তা কোষ্ঠকাঠিন্যের (constipation) লক্ষ্মণ। সাধারণত শিশুদের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা নেতিবাচকভাবে পরিবর্তিত হলে এই রোগের সৃষ্টি করে। এছাড়াও ১ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের মধু বা কোনো ধরনের সিরাপ খেতে দিলেও দেখা দিতে পারে এই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেওয়ার বা পায়খানা অতিরিক্ত শক্ত হবার লক্ষ্মণগুলি কি কি:

  • মলত্যাগের সময় বাচ্চার তিন থেকে চার দিন ধরে শক্ত কমপ্যাক্ট মল বের হতে পারে
  • যেকোনো বয়সের বাচ্ছাদেরই এই ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে
  • মলত্যাগের পূর্বে পেটে প্রচুর ব্যাথা হতে পারে
  • মলত্যাগের সময় মলের পাশাপাশি ময়লাও বের হতে পারে

বাচ্চাদের পায়খানা নরম করার উপায়

শিশুরা অনেক কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণ রোগীদের চাইতে এই রোগের কারণে শিশুরা বেশ জটিলতার মধ্যে পড়ে। বাচ্চাদের পায়খানা নরম করতে:

পেটের এক্স রে করুন

কোষ্ঠকাঠিন্য (constipation) দূর করতে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি। এক্ষেত্রে বাচ্চার কি রোগ দেখা দিয়েছে বা কি কি সমস্যা হয়েছে তা পেটের এক্স রে করলে বেরিয়ে আসবে। এক্স রে এর পাশাপাশি অ্যানোরেক্টাল ম্যানোমেট্রি টেস্টও করিয়ে নিতে পারেন। 

পেটে ম্যাসেজ করুন

শক্ত বের হওয়ার আগে পায়খানা নরম করার উপায় হিসাবে এবং বাচ্চাকে খানিকটা স্বস্তি দিতে তার পেটে ম্যাসেজ করুন। কারণ পেটে আলতোভাবে ম্যাসেজ করলে মূত্রাশয় এবং অন্ত্রের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারে। 

গ্লিসারিন সাপোজিটরি ব্যবহার করুন

যেসব বাচ্চারা বড়ি বা টেবলেট খেতে পারবে না পায়খানা নরম করার উপায় হিসাবে গ্লিসারিন সাপোজিটরি ব্যবহার করতে দিন। এটি কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আরও পড়ুনঃ কোলেস্টেরল কমানোর উপায়

ফাইবার সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে দিন 

যেসব বাচ্চার প্রচুর পরিমাণে বা প্রয়োজন অনুসারে ফাইবার গ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে না তাদের ফাইবার সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে দিন। যেকোনো ফার্মেসিতে সাশ্রয়ী মূল্যে এই ফাইবার সাপ্লিমেন্ট পেয়ে যাবেন৷ এটি কত বছরের বাচ্চারা খেতে পারবে এবং কতটুকু খেতে পারবে তা প্যাকেটের গায়েই লেখা থাকবে। 

ডাক্তারের পরামর্শ নিন

যদি আপনার সন্তানের কোষ্ঠকাঠিন্যের (constipation) সমস্যা বা এই রোগের ব্যাথা ২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় সেক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দিন। মনে রাখবেন এই ধরণের রোগের চিকিৎসা সাধারণত গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্টদের কাছ থেকে করিয়ে নিতে হয়। 

গর্ভবতী নারীদের পায়খানা শক্ত হওয়ার কারণ ও লক্ষ্মণ 

মনে রাখবেন গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেওয়াটা খুবই সাধারণ বিষয়। এসময় স্বাভাবিকের চেয়ে কম কিন্তু ঘন ঘন মলত্যাগের বেগ আসতে পারে। এই সমস্যা সাধারণত তখনই বেড়ে যেতে পারে যখন আপনি পর্যাপ্ত পানি পান করবেন না, পর্যাপ্ত ফাইবার খাবেন না। গর্ভাবস্থায় যখন হরমোনের তারতম্য দেখা দিবে এবং আপনার অন্ত্রের কার্যক্রম যখন বিঘ্নিত হবে। গর্ভবতী নারীদের কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেওয়ার লক্ষ্মণগুলি হলো:

  • মল ত্যাগের পূর্বের পেটের ব্যাথায় সবকিছু অস্থির লাগবে
  • কম মল বের হবে কিন্তু ঘন ঘন মলত্যাগের বেগ উঠবে
  • মলত্যাগে সময় আপনার অন্ত্রের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়বে
  • মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত কষ্ট লাগবে

গর্ভাবস্থায় পায়খানা নরম করার উপায়

গর্ভাবস্থায় পায়খানা নরম করার উপায় হিসাবে বেশ কিছু টিপস ফলো করতে পারেন। যেমন: 

পানি ও উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন

প্রতিদিন উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া মানেই পায়খানা নরম হয়ে যাওয়া। এক্ষেত্রে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় শাকসবজি, আটার রুটি, ফল, শুকনো ফল, শাকসবজি, মটরশুটি এবং মসুর ডাল রাখতে পারেন। সেই সাথে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গ্লাস অর্থ্যাৎ ২.৩ লিটার পানি পান করার চেষ্টা করুন। 

সবসময় এক্টিভ থাকুন 

মাঝেমধ্যে নড়াচড়া করা, হাঁটা, সাঁতার কাটার মতো অভ্যাসগুলি গর্ভাবস্থায় আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে মুক্তি দেবে। পায়খানা নরম হবে এবং মাঝেমধ্যেই দেখা দেওয়া পেটের ব্যাথা অনেকাংশেই লঘব হবে। 

প্রস্তুতি নিন 

মলত্যাগের সময় প্রস্তুতি নিতে পারলে পায়খানা শক্ত হবার কারণে যে কষ্টটা হয় তা অনেকটা কম মনে হবে। প্রথমবার মলত্যাগ করার তাগিদ অনুভব করলে সেসময় নিজেকে প্রচুর সময় দিন। প্রয়োজন মেঝেতে খানিকটা বসে থাকুন৷ কারণ গর্ভাবস্থায় টয়লেটে অনেকক্ষণ বসে থাকলে আপনার মারাত্মক কষ্ট হতে পারে৷ ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন এবং নিজেকে পুশ করুন। 

নিজেকে কষ্ট দেবেন না

গর্ভবতীরা পায়খানা শক্ত হলে মলত্যাগের সময় নিজেকে অনেক বেশি চাপ দিতে থাকে। নিজের এবং অনাগত সন্তানের মঙ্গল চাইলে এসময় অতিরিক্ত চাপ দেবেন না এবং আপনার শ্বাস আটকে রাখবেন না। 

স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন

গর্ভবতী নারীসহ যেকোনো ক্যাটাগরির রোগীর পায়খানা নরম করার উপায় হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর উপায় হলো স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা৷ বেশি বেশি ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণ করলে দ্রুত এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করার পাশাপাশি বেশি বেশি আয়রন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন। 

চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

যদি আপনার লাইফস্টাইল, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি পরিবর্তন করার পরও পায়খানা নরম না হয় সেক্ষেত্রে আপনার জিপি, মিডওয়াইফ বা প্রসূতি বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন। বিশেষ করে এ-সময় যাদের অনেক বেশি পেটে ব্যথা করে, মলদ্বারে রক্ত দেখা দেয় কিংবা অনেক বেশি বমি আসে বা বমি বমি ফিল হয় তাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করাটা জরুরি।

আরও পড়ুনঃ প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

পায়খানা নরম করার ঘরোয়া উপায়

মনে রাখবেন, বিভিন্ন ঘরোয়া চিকিৎসা কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এক্ষেত্রে জানতে হবে পায়খানা নরম করার উপায়। যেমন: 

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন

নিয়মিত পানিশূন্যতায় ভোগা ব্যাক্তিরা দিনশেষে কোষ্ঠকাঠিন্য (constipation) রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যা প্রতিরোধ করার জন্য, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। বদহজম, বা ডিসপেপসিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী ইডিওপ্যাথিক কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে চেষ্টা করুন কলের পানি ইগনোর করার। এছাড়্ও বিভিন্ন কোল্ড ড্রিংকস পান করার পরামর্শ রইলো। 

ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন

কোষ্ঠকাঠিন্যের (constipation) চিকিৎসা হিসাবে ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। কারণ এই ধরণের খাবার গ্রহণে লিভার এবং এর কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। পাশাপাশি দ্রুত যেকোনো খাবার সহজেই হজম করার ক্ষেত্রে ফাইবারযুক্ত খাবারের বিকল্প নেই। একটি গবেষণায় দেখা গেছে কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগে ভোগা প্রায় ৭৭% ব্যাক্তি ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণ করে দারুণ উপকৃত হয়েছে। গমের ভুসি, শাকসবজ, ভাত, বাদাম, মটরশুটি, মসুর ডাল এবং মটরজাতীয় খাবার হলো ফাইবারযুক্ত খাবারের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। 

নিয়মিত ব্যায়াম করুন

পায়খানা নরম করার উপায় হিসাবে নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন। এতে করে আপনার লিভার ভালো থাকবে এবং পরিপাকতন্ত্র সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ পাবে। সুতরাং নিজেকে সবদিক দিয়েই সুস্থ রাখতে নিয়মিত হাঁটা, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো বা জগিংয়ের মতো সিম্পল ব্যায়ামগুলি করুন। 

কফি পান করতে পারেন 

পায়খানা নরম করার উপায় হিসাবে কফি পান করতে পারেন। বিশেষ করে ক্যাফেইনযুক্ত কফি পাযখানা নরম হতে সাহায্য করে। তাছাড়া কফি গেলে বাথরুমে যাওয়ার তাড়া সৃষ্টি হয়। গবেষণা বলছে পাচনতন্ত্রের পেশীকে সক্রিয় করতে এই কফি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। আবার কফিতে অল্প পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবারও থাকে। যার কারণে এটি হজমশক্তি বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখে। পাশাপাশি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য ঠিক রাখতেও নিয়মিত ক্যাফেইনযুক্ত কফি পান করা উচিত। 

দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণে সচেতন হোন 

দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার ফলে অন্ত্রের কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। এর ফলে দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য (constipation) রোগ এবং পায়খানা হয়ে যেতে পারে খুবই পাতলা। বিশেষ করে গরুর দুধের প্রোটিন গ্রহণের কারণে এই ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সুতরাং দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করলেও তুলনামূলকভাবে যতটা সম্ভব স্কিপ করার চেষ্টা করুন। 

আরও পড়ুনঃ ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায়

পায়খানা নরম করার ঔষধ 

পায়খানা নরম করার উপায় সম্পর্কে তো জানলেন। এবারে চলুন পায়খানা নরম করার ঔষধ নিয়ে আলোচনা করা যাক। তবে তার আগে মনে রাখতে হবে লাইফস্টাইলে পরিবর্তন না আনলে এবং তা স্বাস্থ্যসম্মত না হলে কোনোভাবেই কোনো ঔষধে কাজ হবে না। যাদের লাইফস্টাইল ঠিক রাখার পরও কোনো কাজ হচ্ছে না তারা নিম্নোক্ত ঔষধগুলি ট্রাই করতে পারেন: 

১। ইমোলিয়েন্ট স্টুল সফটনার

এই ইমোলিয়েন্ট স্টুল সফটনারটি সাধারণত মলকে আর্দ্র করে এবং তৈলাক্ত করে। ফলে মলত্যাগ করতে কষ্ট অনেকটা কমে আসে।

২। অসমোটিক জোলাপ

 অসমোটিক জোলাপের মধ্যে রয়েছে ল্যাকটুলোজ, এবং ম্যাগনেসিয়াম সালফেট/হাইড্রোক্সাইডের জোলাপ। যা মলকে নরম করে তোলে। 

৩। ডকুসেট ক্যাপসুল

সাধারণত এই ক্যাপসুল লিকুইড আকারেও পাওয়া যায়। যাদের ট্যাবলেটে আপত্তি আছে তারা লিকুইড আকারেও তা পান করতে পারেন৷ 

কখন পায়খানা শক্ত হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে

সম্প্রতি, সিডারস-সিনাই-এর আওতাভুক্ত একটি গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি ৫ জন কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীর মাঝে ৩ জনই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করেন না। যা বেশ দুঃখজনক। যারা দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য (constipation) রোগে আক্রান্ত, মলত্যাগের পূর্বে যাদের অতিরিক্ত পেট ব্যাথা করে, যাদের মলত্যাগে অনেক বেশ কষ্ট হয় তাদের উচিত সময় নষ্ট না করে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা।

শেষ কথা

নিয়মিত পায়খানা নরম করার উপায় ফলো করা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করার পাশাপাশি একটি সুশৃঙ্খল জীবনযাপনে নিজেকে অভ্যস্ত করতে হবে। অতিরিক্ত জাঙ্কফুড গ্রহণ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। খাদ্যাভাসে আনতে হবে বড় ধরণের ইতিবাচক পরিবর্তন। পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম এবং হাঁটাচলার মাধ্যমে নিজেকে সক্রিয় রাখতে হবে। আর হ্যাঁ যেকোনো ঔষধ বা জোলাপ গ্রহণের পূর্বেই অবশ্যই তা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিতে হবে৷ 

পায়খানা নরম করার উপায় সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ’s

১. পায়খানা ক্লিয়ার না হলে কি খেতে হবে ? 

উত্তরঃ ইসবগুলের ভুসি, অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর মতো ঘরোয়া টোটকাও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধানে বেশ কাজে আসে। প্রতিদিন প্রচুর পানি ও তরল এবং যথেষ্ট আঁশযুক্ত খাবার খান। 

২. পায়খানা নরম করার খাবার কোনটি? 

উটরঃ পায়খানা নরম করার খাবার হলো ইসবগুলের ভুসি।

৩. কি খেলে পায়খানা হবে?

উত্তরঃ ইসবগুলের ভুসি এবং অ্যালোভেরা খেলে পায়খানা হবে।

৪. কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ কি ?  

উত্তরঃ আপনি যদি পর্যাপ্ত উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার যেমন শাকসবজি, ফলমূল এবং গোটা শস্য না খান তাহলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। প্রচুর পরিমাণে চর্বিযুক্ত মাংস, দুগ্ধজাত খাবার এবং ডিম, মিষ্টি বা প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

আরও পড়ুন-

গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা জানা জরুরী

মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

Leave a Comment