ব্রডব্যান্ড কি
ব্রডব্যান্ড (Broadband) একটি উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ। যার ইন্টারনেট গতি ১ এমবিপিএস এর ওপর। সাধারণ ভাবে বলতে গেলে যে সংযোগ ব্যবস্থা স্পিড সর্বনিম্ন ১ এমবিপিএস থেকে শুরু হয় তাকে ব্রডব্যান্ড বলা হয়। এই ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহারের ফলে ব্যবহারকারীর অল্প সময়ে বড় ফাইল আপলোড এবং ডাউনলোড করতে পারে।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট আমাদের সকলের কাছে ওয়াইফাই নামে পরিচিত। চলুন জেনে নেয়, ব্রডব্যান্ড কি (What is Broadband) ,ব্রডব্যান্ড কিভাবে কাজ করে। ওয়াইফাই লাইন নিতে কি কি লাগে।
উন্নত বিশ্বে ইন্টারনেটের গতি অনেক বেশি। কিন্তু আমাদের দেশে ইন্টারনেটের গতি কিলোবাইট এর মধ্যে সীমাবদ্ধ।বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যাবহার করেনা এমন মানুষ খুব কম আছে। সকলের ইন্টারনেট প্রয়োজন তাই আজ জানবো ব্রডব্যান্ড কি? ব্রডব্যান্ড কিভাবে কাজ করে ।
কিন্তু বর্তমান সময়ে ব্রডব্যান্ড সংযোগ চালু হওয়ার ফলে ইন্টারনেট গতি বৃদ্ধি হয়েছে। যার ফলে কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং কম সময়ে সব ধরনের কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। বর্তমান সময়ে খুব সহজেই ব্রডব্যান্ড লাইন পাওয়া যাচ্ছে।
ব্রড ব্যান্ড কি
ব্রডব্যান্ড একটি দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট ব্যবস্থা। এই সংযোগ সাধারণত শহর অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। এই সংযোগ ব্যবহার করার জন্য ব্রডব্যান্ড কোম্পানির কাছ থেকে কানেকশন কিনে নিতে হয়। ব্রডব্যান্ড কালেকশন অফিস বা বাসা বাড়িতে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে পৌঁছানো হয়।
অপটিক্যাল ফাইবার থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে রাউটার এর প্রয়োজন হয়। কারণ, রাউটার থেকেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়। রাউটার ছাড়া এ সংযোগ স্থাপন করা অসম্ভব। অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে প্রথমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো হয় তারপর রাউটার মাধ্যমে সকল ডিভাইসে পৌছে দেওয়া হয়। এভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কাজ করে থাকে।
আরও জানতেঃ সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়ম
ব্রডব্যান্ড এর ইতিহাস
প্রথম যখন ইন্টারনেট সংযোগ এসেছিল, তখন সবার কাছে জাদুর মত মনে হয়েছিল। কারণ, প্রথম যে সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করা হতো তখন কোন তার ছিল না যার ফলে সবার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতো। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হয় ২০০৬ সালে। তারপর আস্তে আস্তে সবার কাছে এটি পরিচিত লাভ পায়।
এই সময় ‘ ন্যারব্যান্ড’ ইন্টারনেট সংযোগ ছিল। যার স্পিড খুব কম ছিল। ইন্টারনেট সংযোগ টেলিফোন লাইনের শ্রবণযোগ্য ফ্রিকোয়েন্সি মাধ্যমে কাজ করত। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। যার ফলে ইন্টারনেট সুবিধা সবাই পাচ্ছে।
ব্রডব্যান্ড এর প্রকারভেদ
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দিন দিন সকলের কাছে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যার ফলে এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এর বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। আজ আমরা চার ধরনের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সম্পর্কে আলোচনা করবো।
- কেবল ইন্টারনেট।
- ফাইবার ইন্টারনেট।
- ডিএসএল ইন্টারনেট।
- পেয়ার বন্ডিং ইন্টারনেট।
কেবল ইন্টারনেট
কেবল ইন্টারনেট ব্যবস্থা আমাদের সকলের কাছে পরিচিত। এই ইন্টারনেট ব্যবস্থা তার ব্যবহার করা হয়। তারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো হয়। সেখান থেকে রাউটার সংযোগ দিতে হয়। রাউটার থেকে গ্রাহক তার কম্পিউটার অথবা মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে থাকে। এই ইন্টারনেট সংযোগ কেবল এর মাধ্যমে হওয়ার ফলে এর গতি খুব বেশি হয়। এবং খুব কম সময়ে তথ্য আদান প্রদান করা যায়। বর্তমান সময়ে কেবল ইন্টারনেট সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ফাইবার ইন্টারনেট
ফাইবার ইন্টারনেট অনেক গতি সম্পন্ন হয়ে থাকে।এই সংযোগ অপটিক্যাল ফাইবার এর মাধ্যমে কাজ করে। অপটিক্যাল ফাইবার বলতে আমরা কাঁচের তৈরি তারকে বুঝি। এর মধ্যে হাজার হাজার ক্ষুদ্র সচ্ছ কাঁচ থাকে। যার মাধ্যমে আলো চলাচল করে। যেহেতু আলোর গতি সবচেয়ে বেশি, যার কারণে খুব কম সময়ে অনেক তথ্য আদান প্রদান করা সম্ভব।
তাই ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট অবিশ্বাস্যভাবে অনেক দ্রুত এবং অনেক উচ্চ মানের সংযোগ প্রদান করা সম্ভব। অপটিক্যাল ফাইবার এর মাধ্যমে এক সেকেন্ডে ১ জিপি ডাটা আদান প্রদান করা সম্ভব। এটি সময়ের সাথে সাথে আরো গতি সম্পন্ন হবে। ফাইবার ইন্টারনেট অনেক গতি সম্পন্ন হয়ে থাকে।
ডিএসএল ইন্টারনেট
ডিএসএল ইন্টারনেট এর পূর্ণরূপ ডিজিটাল সাসক্রাইবার লাইন। ব্রডব্যান্ড প্রথম ইন্টারনেট সংযোগের সময় এটি ব্যবহার করা হতো। ডিএসএল ইন্টারনেট কাজ করে সিগন্যাল ভয়েস লাইন থেকে বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে। এই সংযোগের মাধ্যমে আপনি টেলিফোনে কথা বলতে পারেন। ডিএসএল ইন্টারনেট সংযোগ কম্পিউটারে ব্যবহার করতে একটি মডেমের প্রয়োজন। এর সর্বোচ্চ গতি ১০০ এমবিপিএস পর্যন্ত হয়ে থাকে।
পেয়ার বন্ডিং ইন্টারনেট
পেয়ার বন্ডিং একটি বিকল্প সেবা। এটা সাধারণত এক লাইন DSL পরিষেবার তুলনায় দ্বিগুণ ব্যান্ডউইথ সেবা প্রদান করে। ডিএসএল ইন্টারনেট সংযোগে একজোড়া তামার তার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু পেয়ার বন্ডিং ইন্টারনেট সংযোগে ৪ টি পৃথক তার ব্যবহার করতে হয়। যার ফলে প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ১৪০ এমবিপিএস স্পিড পাওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুনঃ সফটওয়্যার কি ও সফটওয়্যারের প্রকারভেদ
ব্রডব্যান্ড মোবাইল প্রযুক্তি কি
ব্রডব্যান্ড মোবাইল প্রযুক্তি একটি ওয়ারলেস ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে কাজ করে থাকে। ব্রডব্যান্ড মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি কাজ করে রেডিও টাওয়ারের মাধ্যমে। প্রটেবল ডিভাইস ওয়্যারলেস হাই স্পিড ইন্টারনেট এক্সেস প্রদানের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে কাজ করে।
এই ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রাহক বিভিন্ন স্থান থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। এই ব্যবস্থা হয় কোন তারের প্রয়োজন পড়ে না। যার ফলে খুব সহজেই যে কোন স্থানে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু এই ইন্টারনেট প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় সমস্যা গতি খুব কম থাকে। যার ফলে কাজ করতে অনেক সময় প্রয়োজন হয়।
ব্রডব্যান্ড এর সুবিধা
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইন্টারনেট সংযোগ ব্রডব্যান্ড। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ এর ফলে তথ্যপ্রযুক্তিতে নতুন বিপ্লব ঘটেছে। কারণ, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করার ফলে খুব কম সময়ে বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে তথ্য আদান প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। এই কানেকশন ব্যবহার এর মাধ্যমে অনেক ধরনের সুবিধা পাওয়ার যাচ্ছে। নিম্নে আলোচনা করা হলো:
কর্মদক্ষতা
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের ফলে দিন দিন কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবস্থা কাজের গতি খুব কম হয়। যার ফলে কাজ করতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করার ফলে খুব কম সময়ে কাজ করা সম্ভব হয়। এজন্য কম সময়ের মধ্যে অনেক ধরনের কাজ শেখা যায়। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করলে সাধারণ ইন্টারনেটের থেকে ১০০ গুণ দ্রুত কাজ করা যায়। যার ফলে দিনদিন কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নির্ভরযোগ্যতা
সাধারণ ইন্টারনেট প্যাক খুব কম সময়ে ফুরিয়ে যায়। যার ফলে কাজ করতে অনেক সমস্যা হয়। কিন্তু ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সম্পূর্ণ মাস ব্যাপিয়া ব্যবহার করা যায়। কারণ, প্রতি মাস ব্রডব্যান্ডের টাকা প্রদান করলে সম্পূর্ণ মাস চালানো যায়। এই সংযোগ সব সময় থাকে। কাজ করতে কোন ধরনের ভোগান্তির সৃষ্টি হয় না। এইজন্য ব্রডব্যান্ড সংযোগ কে নির্ভরযোগ্য বলা হয়।
সঙ্গতি
ব্রডব্যান্ড সংযোগ সব সময় একই রকম গতি থাকে। সবসময় সব ধরনের কাজ করা যায়। এই সংযোগ সামঞ্জস্যপূর্ণ যার ফলে বিচ্ছিন্ন করা অসম্ভব। এই সংযোগ যেকোনো পরিস্থিতিতে সমান গতি থাকে। এর জন্য গ্রাহক খুব সহজে সব ধরনের সুযোগ পেয়ে থাকে।
ব্রডব্যান্ড ও ওয়াইফাই
ব্রডব্যান্ড হলো এক ধরনের হাই স্পিড ইন্টারনেট সংযোগ। বর্তমান সময়ে এই সংযোগ এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান সময়ে ব্রডব্যান্ড সংযোগ কে আমরা ওয়াইফাই নামে জানি। এই সংযোগ কাজ করে তারের মাধ্যমে। প্রথমে তার মাধ্যম গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো হয় তারপর রাউটারের মাধ্যমে প্রত্যেকটা ডিভাইসে সংযোগ স্থাপন করা হয়। এইভাবে ব্রডব্যান্ড বা ওয়াইফাই কাজ করে থাকে। অনেক কম খরচে এই সংযোগ নেয়া যায়। কম সময়ে অনেক গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যায়।
ইন্টারনেটের ব্যবহার
ইন্টারনেট ছাড়া আমাদের জীবন কল্পনাও করতে পারি না। কারণ, সবাই ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল ব্যবহার করে। ইন্টারনেট ছাড়া বর্তমান সময়ে মানুষ কোন কিছুই করতে পারে না। সকল কাজে ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয়েছে। এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় একটিভ থাকতে হলে ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন। নিম্নে ইন্টারনেট এর ব্যবহার তুলে ধরা হলো:
- তথ্য আদান প্রদান করতে ইন্টারনেটের প্রয়োজন।
- বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া চালাতে প্রয়োজন।
- বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ফরম পূরণ করতে।
- ইমেইল চালাতে ইন্টারনেট প্রয়োজন।
- বর্তমান সময়ে সকল ধরনের কাজ অনলাইনে হওয়ার ফলে ইন্টারনেটে প্রয়োজন।
ব্রডব্যান্ড এর প্রয়োজনীয়তা
এখন সকল কাজ অনলাইন ভিত্তিক হয়েছে। যার ফলে ঘরে বসেই সকল ধরনের কাজ করা সম্ভব। এখন আর কোন কাজে বাইরে যেতে হয় না। ইচ্ছা করলে সকল কাজ একটি ফোনের মাধ্যমে করা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু এই সংযোগ স্থাপন করতে প্রয়োজন ইন্টারনেট। ইন্টারনেট ছাড়া এভাবে এসব কাজ করা সম্ভব না।
বর্তমান সময়ে মানুষ সব সময় দ্রুত গতিতে কাজ করা পছন্দ করে। দ্রুতগতির কাজ করার জন্য দ্রুতগতির ইন্টারনেট লাইনের প্রয়োজন। দ্রুতগতির ইন্টারনেট বলতে আমরা সাধারণত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট জানি।ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবস্থা ফলে খুব কম সময়ে অনেক কাজ করা সম্ভব। কারণ, ব্রডব্যান্ড সংযোগের মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে সর্বনিম্ন এক এমবিপিএস গতির পাওয়া যায়। যার ফলে খুব কম সময়ে অনেক কাজ করা সম্ভব হচ্ছে।
দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবস্থা থাকার ফলে দিন দিন ডিস লাইন এর জনপ্রিয়তা কমে যাচ্ছে। সকলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্মার্ট টিভি ব্যবহার করছে। যার ফলে ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। বর্তমান সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ছাড়া আমাদের জীবন অচল। দিন দিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এর প্রয়োজন বৃদ্ধির সাথে সাথে এর চাহিদা বাড়ছে।
আরও পড়ুনঃ শেয়ার বাজার কি? বিনিয়োগের নিয়ম
ওয়াইফাই লাইন নিতে কি কি লাগে
ওয়াইফাই লাইন সম্পর্কে সকলের ধারণা রয়েছে। এটা কিভাবে কাজ করে এবং কি ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা এই সংযোগ কিভাবে নিতে হয়। সংযোগ নেওয়ার তথ্য না জানার ফলে এই সংযোগ নিতে পারছে না। চলুন জেনে নিয় কিভাবে এবং কি কি লাগে ওয়াইফাই লাইন নিতে।
- সংযোগ নিতে সর্বপ্রথম ওয়াইফাই অফিসে দরখাস্ত দিতে হবে।
- তারপর তারা কিছু ডকুমেন্টস আনতে বলবে। ডকুমেন্টস গুলো হল: জাতীয় আইডি কার্ডের ফটোকপি, দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও নাগরিকত্ব।
- কাগজ পত্র দেওয়ার পাশাপাশি টাকা দিতে হয়। কারণ, সংযোগ দিতে অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করতে হয়। এবং এক ধরনের ডিভাইস লাগাতে হয়।
- এরপর আপনাকে রাউটার কিনতে হবে।
উপরে যে সব কথা উল্লেখ করা হলো এভাবে কাজ সম্পন্ন করলে খুব কম সময়ে ওয়াইফাই সংযোগ নিতে পারবেন। কিছু কিছু সময় এই তথ্যের ভুল হতে পারে। কারণ, কোম্পানি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের নিয়ম করে থাকে। সে হিসাবে কাজ করলে ওয়াইফাই লাইন পাবেন।
সংযোগ খরচ
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সবার কাছেই পরিচিত। দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। কারণ কম খরচে অনেক গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সুযোগ পাওয়ার যায়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা এই সুযোগ নিতে কি রকম খরচ করতে পারে। প্রথম অবস্থায় সংযোগ নিতে অনেক খরচ পড়ে। চলুন জেনে নেই সম্পূর্ণ ব্রডব্যান্ড সংযোগ নিতে কত খরচ পড়তে পারে।
সুবিধা সমূহ | টাকার পরিমান |
সংযোগ খরচ | ৩০০০ টাকা |
রাউটারের দাম | ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা |
৫ এমবিপিএস ইন্টারনেট | ৩০০ টাকা |
৮ এমবিপিএস ইন্টারনেট | ৫০০ টাকা |
১০ এমবিপিএস ইন্টারনে | ৮০০ টাকা |
২০ এমবিপিএস ইন্টারনেট | ১২০০ টাকা |
উপরে যে ধারণা দেওয়া হয়েছে অনেক সময় এরকম বেশি হতে পারে। কারণ বর্তমান সময়ে সবকিছু দাম বেড়ে চলেছে। এ কারণে, এই তালিকা পুরোপুরি নাও মিলতে পারে।
ব্রডব্যান্ডের অসুবিধা
সকল কিছুর সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা রয়েছে। ঠিক একই ভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এরো কিছু অসুবিধা রয়েছে। নিম্নে ব্রডব্যান্ডের অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
খরচ
ব্রডব্যান্ড সংযোগের তুলনামূলক খরচ কম হলেও কিছু কিছু সময় এর খরচ বেশি মনে হয়। কারণ, কোন ব্যক্তি যদি একা একটি ফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে তাহলে প্রতিমা সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা দিতে হয়। কিন্তু অনেক সময় সংযোগের প্রয়োজন পড়ে না। তারপরও তাকে টাকা দিতে হয়। এ ধরনের সমস্যা সাধারণত দেখা যায়।
গতি
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সাধারণত অনেক গতি সম্পন্ন হয়। কিন্তু অনেক সময় এর গতি কম বেশি হয়ে থাকে। এর গাত কম বেশি হয়ে থাকে সার্ভিস প্রোভাইডারের সার্ভিসের উপর। অনেক সময় গতি কমবেশি করে থাকে। যার ঘরে কাজ করতে হবে সমস্যা হয়।
নিরাপত্তা
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে সবসময় সংযোগ থাকে। এই সংযোগ থাকার ফলে অনেক সময় হ্যাকারেরা আইডি হ্যাক করে বিভিন্ন ধরনের তথ্য নেওয়া সম্ভাবনা থাকে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য কিছুদিন পর পর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হয়।
সংকেত শক্তি
ব্রডব্যান্ডের লাইন অনেক সময় রাউটারের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়। রাউটার থেকে তার ছাড়া ব্যবহার করতে অনেক সমস্যা হয়। যেমন, দেওয়ালের ওপার থেকে সঠিক সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয় না। যার ফলে কাজ করতে সমস্যা হয়ে থাকে।
শেষ কথা
ব্রডব্যান্ড কিভাবে কাজ করে এই সম্পর্কে আমাদের সকলের ধারণা রয়েছে। এটা কিভাবে কাজ করে সেটাও জানা রয়েছে। বর্তমান সময়ে ব্রডব্যান্ডের জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে। কারণ, অনেক কম খরচে অনেক গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যায়। যার ফলে অনেক কম সময়ে অনেক কাজ করা সম্ভব হচ্ছে।
বর্তমান সময়ে সব কিছু আধুনিক হচ্ছে। আধুনিক সবকিছু বলতে অনলাইনে মাধ্যমে কাজ করাকে বোঝানো হয়। অনলাইনে কাজ করতে হলে অবশ্যই ইন্টারনেটের প্রয়োজন। কম খরচে অনেক গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট ব্যবস্থা হচ্ছে ব্রডব্যান্ড। যার ফলে ব্রডব্যান্ড ছাড়া আমাদের ভবিষ্যৎ জীবন কল্পনাও করতে পারিনা। তাহলে আজ আমারা জানলাম ব্রডব্যান্ড কিভাবে কাজ করে আমার লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন-
Drop Shipping বিজনেস কী? ড্রপশিপিং ব্যবসা করার সুবিধা
দারাজ অনলাইন শপিং দারাজ থেকে পণ্য কেনার নিয়ম