তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

তিসি খাওয়ার নিয়ম

তিসি খাওয়ার নিয়ম জানার পূর্বে আমাদের  তিসি সম্পর্কে ভালভাবে জানা উচিত। পূর্বে আমাদের চিকিৎসার জন্যে আমরা প্রাকৃতিক অনেক ভেষজ উপাদান ব্যবহার করতাম। আমাদের বাড়ির আশেপাশে অনেক ওষুধি গাছের চারা রোপণের চল ছিল। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে সেসব রকম প্রাকৃতিক উপাদান আমাদের জীবন থেকে।

 তিসি এমন একটি অতি প্রাকৃত ওষুধি গুণ সম্পন্ন ক্ষুদ্র উপাদান যা শরীরের এবং রুপ চর্চায় বহু বছর ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। এমনকি ওজন কমাতেও এর যথেষ্ট কার্যকরী ফলাফল দেখা গেছে তবে সঠিক নিয়ম না জানা থাকায়

তিসি খাওয়া স্বত্তেও কমছে না বাড়তি ওজন। আজ আমরা জানার চেষ্টা করব তিসি খাওয়ার নিয়ম এবং যেভাবে তিসি খেলে দ্রুত ওজন কমে। এই আলোচনার পর আমরা তিসির ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক ধারনা নিতে পারব।

আরও পড়ুনঃ অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা

তিসি বীজ

তিসি অত্যন্ত পুরাতন প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন বীজ যার উৎপত্তি হয়েছিল পশ্চিম এশিয়া, ভূ-মধ্যসাগরীয় উপকূলীয় ভূমি, ক্ষুদ্র এশিয়ায়। এ ছাড়াও তিসি মিশর, তিউনিসিয়া, স্পেন, ইতালি, গ্রিস এবং আলজারিয়ার স্থানীয় ফসলগুলোর একটি। তবে ধারণা করা হয় তিসি সর্বপ্রথম চাষ শুরু হয় মিশরে। তিসির জনপ্রিয়তা এখন সারা বিশ্বে তুঙ্গে। নিত্য নতুন রেসিপিতে তিসির ব্যবহার দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিসির গোত্র, ইংরেজি ও বৈজ্ঞানিক নাম

তিসি লিনাসিয়া গোত্রের অন্তর্ভূক্ত একটি বীজ। এর ইংরেজি নাম Flax Seed এবং বৈজ্ঞানিক নাম হলো  Linum Usitatissimum ( লিনাম উসিটাটিসিমাম)তিসি শণ নামেও পরিচিত বিভিন্ন জায়গায়।  সাধারণত কাণ্ড থেকে নিষ্কাশিত আশের যে জন্ম হয় সেটাই তিসি। তিসি গাছ প্রায় দুই ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। তিসি গাছ আবহাওয়া, পরিবেশ ও যত্নভেদে তিসি গাছের বেড়ে ওঠা নির্ভর করে।

তিসির উপাদানসমূহ

তিসি আমাদের স্বাস্থ্যরক্ষায় দারুনভাবে কার্যকরী কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্স ফ্যাটি এসিডস, লিগনান নামের ফাইটো ক্যামিক্যালস। এক টেবিল চামচ তিসির বীজে (৭ গ্রাম) রয়েছে ২ গ্রাম পলি আনসেচ্যুরেটেড ফ্যাটি এসিড ( যা ওমেগা থ্রির অন্তর্ভূক্ত), ২ গ্রাম ডাইটারি ফাইবার এবং ক্যালরির পরিমাণ ৩৭,কপার ৯%, ফসফরাস ৪%, থায়ামিন ১০%, জিঙ্ক ৩%, আয়রন ২%, সেলেনিয়াআম ৩%, ফোলেট ২%, ম্যাঙ্গানিজ ৭%।

তিসির বর্ণনা

তিসি গাছ লম্বায় ৪ ফিট লম্বা হয় এবং ২ ফিট চওড়া হয়ে থাকে। এই গাছের শিকড় খাড়া হয়। প্রতিটি ফুলে হালকা গোলাপি, নীল ও সাদা রঙ্গয়ের পাপড়ি হয়ে থাকে। খুব সকালের দিকে এই গাছে ফুল ফোটে এবং বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ ফুল ঝরে যায় গাছ থেকে। সঠিকভাবে নিষ্কাশিত কাদামাটির জমিতে তিসি গাছ ভালো জন্মে। তিসির বীজগুলো চ্যাপ্টা হয় এবং ১ থেকে ১.৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। 

তিসিকে বলা হয়ে থাকে সুপার ফুড যা খাওয়ার দ্বারা শরীরের নানান রোগ সেরে যেতে পারে, মলত্যাগ সহজ হয়। নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে খেলে ক্যান্সারের জীবাণু শরীরে বাসা বাধতে পারে না।

তিসির বিভিন্ন ব্যবহার

তিসি অত্যন্ত সহজলভ্য একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা আমাদের আশেপাশে অনায়াসেই পাওয়া যায়। যেকোন মুদি দোকানে এবং সুপার শপে এই তিসির বীজ প্যাকেট হিসেবে বিক্রি হয় আবার গ্রাম হিসেবেও বিক্রি হয়ে থাকে। তিসি খাওয়ার নিয়ম বিবিধ ব্যবহার নিচে দেখানো হলোঃ

  • চুলের যত্নেঃ সারারাত অথবা ৭-৮ ঘন্টা তিসি পানিতে ভিজিয়ে রেখে তিসি ফুলে গেলে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে সেই তিসি ভিজিয়ে রাখা পানি চুলে সরাসরি প্রয়োগ করলে চুলের গোড়া শক্ত হয়। তেলের সাথে সামান্য তিসির বীজ মিশিয়ে জ্বাল করে তেল ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে রোদে রেখে প্রতি সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করলেই চুলের গোড়া শক্ত হবে, চুল পরা কমবে, চুল লম্বা করে চুলের স্বাস্থ্য সুন্দর রাখে। চুলে নিয়ে আসে এক আলাদা ধরনের জৌলস। 
  • রুপচর্চায়ঃ তিসি পানিতে ভিজিয়ে পানি ছেঁকে আলাদা করে সেই তিসি ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড করে মুখে ১০ মিনিট মেখে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে, এতে করে মুখের ত্বক টানটান এবং মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
  • স্বাস্থ্যরক্ষায়ঃ নিয়মিত তিসি সেবন করলে শরীর সুস্থ থাকে, পেটের সমস্যা দূরে থাকে, বদ হজম দূর হয়, ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে, ক্যান্সারের জীবাণু শরীরে বৃদ্ধি পেতে পারে না। 

আরও পড়ুনঃ লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়

তিসি বীজ খাওয়ার নিয়ম

ইন্টারনেটের কল্যাণে আজকাল আমাদের রেসিপির অভাব নেই। প্রতিদিনই নিত্য নতুন রেসিপি আমরা ইউটিউব, ফেসবুক খুললেই দেখতে পাই। সেরকমই কিছু নিয়ম আজ আমরা এই অনুচ্ছেদে জেনে নেব।

  • তিসি পানিতে ভিজিয়ে সাধারণ ভাবে সকালে খালি পেটে খাওয়া যায়।
  • পরিজ এবং সিরিয়ালের সাথে তিসি সামান্য মিশিয়ে স্বাদের অতুলনীয় পরিবর্তন আনা যায়।
  • ময়দা দিয়ে তৈরি রুটির ওপর বা মাঝে তিসির গুড়ো মিশিয়ে দারুন সুন্দর ঘ্রাণের রুটি তৈরি করা যায়।
  • তিসি, মৌরীর গুড়া,মেথী এক সাথে করে পানিতে জ্বাল করে গরম গরম খেলে পেটের জেদী মেদ কমে যায়, তবে তার সাথে সাথে লো কার্ব ডায়েট মেনে চলতে হবে।
  • মায়োনিজের সাথে তিসির গুড়ো মিশিয়ে যেকোন স্ন্যাক্সের সাথে খাওয়া যায়।
  • স্যান্ডউইচের সাথে ডিম, গোল মরিচ, মেয়োনিজ ও তিসির গুড়ো মিশিয়ে নিলে অসাধারণ স্বাদের এগ স্যান্ডউইচ তৈরি করা যায়। 
  • সামান্য টক দৈয়ের সাথে তিসি মিশিয়ে খেলে ক্ষুদা নিবারণের জন্যে আর ময়দা জাতীয় ক্ষতিকর খাবার থেকে দূরে থাকা যায়। 
  • দুধের সাথেও আস্ত তিসি মিশিয়ে খেলে পেটের সমস্যার উপকার পাওয়া যায়। 

যেভাবে তিসি খেলে দ্রুত ওজন কমে

পরিমিত পরিমাণে পানি খাওয়ার আগে খেয়ে নিলেই পেট ভরতি হয়ে যাওয়ার ফলে ক্ষুদা কমে আসে এবং অতিরিক্ত খাবার উদরপূর্তি করে খাবার খাওয়ার সুযোগ থাকে না। পানির সাথে সামান্য তিসি মিশিয়ে খাবারের আগে খেয়ে নিলেই অতিরিক্ত ক্ষুদা লাগার সম্ভাবনা থাকে না ফলে বাড়তি ওজন বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তিসির বীজ মনোস্যাচুরেটেড চর্বিতে পরিপূর্ণ এবং এই চর্বি পেটের মেদ কমাতে বেশ কার্যকরী। 

প্রতিদিন তিসি খাওয়া কি উচিত

যদিও নির্দিষ্ট করে তিসি খাওয়ার কথা প্রতিদিন সেভাবে বলা হয়নি কিন্তু প্রতিদিন এক চামচ পরিমাণ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো বলে পুষ্টিবিদদের মতামত। ১ চামচ তিসিতে ৩৭ ক্যালরি থাকে, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডস, ০.৫ গ্রাম মনুস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ২ গ্রাম ডায়টারি ফাইবার বিদ্যমান। তবে প্রতিদিন ১-২ চামচের বেশি না খাওয়া ভালো। 

আরও পড়ুনঃ কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

তিসি কি নারী দেহের জন্যে উপকারি

তিসি নিয়মিত পরিমাণে খাওয়া অবশ্যই মানব দেহের জন্যে উপকারি তবে বিশেষ করে নারী দেহের জন্যে অনেকাংশে বেশি উপকারি কারণ নারীদের ভবিষ্যতে সন্তান ধারণের একটি বিষয় নিয়েও ভাবতে হয় এবং তিসি এই বিষয়ে দারুন কার্যকরী ফলাফল দিতে পারে।

নিয়মিত তিসি খেলে নারীদের গর্ভ ধারনের সম্ভাবনা বাড়ে এবং ডিম্বানুকে উর্বর হতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা, হরমোনের ভারসাম্য রক্ষার্থে এবং মেনোপজ বা রজঃনিবৃত্তির পরবর্তী সময়ের সমস্যা এড়াতে বিপুলভাবে সাহায্য করে।  

তিসির উপকারিতা

তিসি খাওয়ার নিয়ম, নানান উপকারিতা আমরা হয়ত জানিও না। এই ছোট্ট কিছু বীজের যে এত গুণ তা সম্পর্কে আমরা অবগত নই। তিসি খাওয়ার উপকারিতাগুলো একে একে এবা জেনে নেবঃ

  • তিসিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লিগনানস যা ক্যান্সারে প্রতিরোধে সহায়তা করে। অয়ানিমেল টেস্ট টিউব গবেষণায় দেখা গেছে যে তিসি কলোরেকটাল, ব্লাড, স্কিন এবং লাঙ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। 
  • তিসিতে দুই ধরনের ফাইবার রয়েছে যথাঃ সলিউব্যাল এবং ইনসলিউব্যাল যা প্রতিদিনকার মলত্যাগ (Bowel Movement) নিয়মিত করতে সাহায্য করে। 
  • প্রতিদিন তিসি খেলে হজমের সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়।
  • পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ (Peripheral Artery Disease) এর রোগিদের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন ৪ টেবিল চামচ (৩০ গ্রাম) তিসি খেলে কোলেস্ট্রলের পরিমাণ ১৫% পর্যন্ত কমানো যায়। 
  • উচ্চ রক্তচাপ কমাতে তিসির বীজের তুলনা হয় না।
  • রক্তের সুগার লেভেলের তাপমাত্রা সঠিক রাখতে তিসির বীজ খুবই উপকারী। 
  • যাদের ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে না বা নিয়মিত ইনসুলিনের সাহায্যে ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় তারা প্রতিদিন সকালে তিসির ভেজানো পানি খেলে ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • অতিরিক্ত ওজন বা পেটের জেদি মেদ যা ঝরাতে অনেক কসরতের দরকার হয় তারা নিয়মিত তিসির পানি বা নানান খাবারে তিসি মিশিয়ে খেলে বাড়তি মেদ ঝরে হতে পারেন সুন্দর স্বাস্থ্যের অধিকারী। 
  • হৃদরোগের নানান সমস্যায় তিসি হতে পারে সহজ একটি সমাধান।
  • মুখে বয়সের ছাপ বা বলিরেখা দূর করতে তিসির তুলনা হয় না। তিসি গুড়ো করে সামান্য চন্দনের গুড়োর সাথে মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে মেখে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে ধীরে ধীরে ত্বকের উন্নতি হবে। 

তিসির অপকারিতা

যেহেতু তিসিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারের উপস্থিতি রয়েছে তাই তিসির অতিরিক্ত ভক্ষণ বা সেবন করলে মলত্যাগের সংখ্যা বাড়তে পারে অর্থ্যাৎ যদি কারোর প্রতিদিন একবারের মলত্যাগের অভ্যাস থাকে তাহলে অতিরক্ত তিসি খেলে সেটার পরিমাণ বেড়ে গিয়ে একাধিক বার হতে পারে।

এতে করে শরীর অধিক দুর্বল হতে পারে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত তিসির সেবন পেটের ব্যাথার কারণ হতে পারে। তিসি অন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করার জন্যে দায়ী। এ ছাড়াও পেট স্ফীত হওয়া, বমি ভাব, গ্যাস সহ আরও নানান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।  এরপরও অধিক সতর্কতার জন্যে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 

আরও পড়ুনঃ  গোল মরিচের উপকারিতা

কখন তিসি খাওয়া পরিহার করা উচিত

যে সময়গুলোতে তিসি খাওয়া নিষেধ তা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

  • গর্ভাবস্থায় তিসি খাওয়া পরিহার করা উচিত।
  • ডায়রিয়া হলে তিসি খাওয়া উচিত না কারণ তিসিতে প্রচুর ফাইবার থাকায় এই সময়ে তিসি খেলে ডায়রিয়ার পরিমাণ বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। 
  • যাদের বেশি গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তাদের তিসি খাওয়া থেকে দূরে থাকা উচিত।
  • যাদের তিসিতে এলার্জি রয়েছে তাদের তিসির সেবন ক্ষতিকর হতে পারে। 

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কোথায় তিসি উৎপন্ন হয়

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তিসি উৎপন্ন হয় কাজাখাস্তান নামক দেশে। সেই দেশে তিসি উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় এক লক্ষ আটাঁন্ন হাজার দুইশত সাতচল্লিশ টন (১০৫৮২৪৭ টন) এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম তিসি উৎপাদনকারী দেশের নাম হলো রাশিয়া যাদের উৎপাদনের পরিমাণ সাত লক্ষ সাতাশি হাজার নয়শত তেইশ টন (৭৮৭৯২৩ টন)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কানাডা। ব্যবসা সফল হওয়ার দরুন তিসির চাষ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য সচেতনতায় তিসির ব্যবহার নানান পণ্যেও বেড়ে চলেছে। 

শেষ কথা 

পরিশেষে বলা যায় যে, তিসি দেখতে অনেক ছোট হলেও এবং মূল্য কম হলেও এর উপকারিতার কথা আমরা অস্বীকার করতে পারব না। আমাদের চারিপাশে প্রাকৃতিক উপাদানের সমারোহ রয়েছে কিন্তু আমাদের পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবের কারণে আমরা সঠিক উপাদানের ব্যবহার করতে পারি না। তিসির প্রতিদিন ১-২ টেবিল চামচ আমাদের অনেক শারীরিক সমস্যা থেকে ক্রোশ দূরে সরিয়ে রাখতে পারে।

এ ছাড়াও বেকারত্ব দূরীকরণে তিসি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তিসির চাষ করে অনেক যুবকই স্বাবলম্বী হতে পারে এবং ব্যবসা সফল হলে যুব সমাজের অনেক উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। তাহলে আজ আমরা জানলাম, তিসি খাওয়ার নিয়ম সম্পরকে। শেষ পয়ন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য “ধন্যবাদ

আরও পড়ুন-

কালোজিরার উপকারিতা

মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

 

Leave a Comment