সহবাসের নিয়ম নীতি
সহবাস শব্দের অর্থ স্বামী স্ত্রীর যৌনমিলন। বংশ বৃদ্ধির একমাত্র হালাল পন্থা এবং স্বামী-স্ত্রীর কামবাসনা পূরণ করার একমাত্র উপায় হচ্ছে সহবাস। ইসলাম স্বামী স্ত্রী সহবাসকে হালাল ঘোষণা করেছে। অনেকে সহবাসের নিয়ম নীতি সম্পর্কে
বিশেষ কিছু জানেন না। বিশেষ করে যারা নতুন বিবাহিত তাদের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে এই ব্যাপারে। সংকোচবোধ করার কারণে অনেকেই প্রশ্নগুলা প্রকাশ করতে চান না। তবে সহবাসের নিয়ম নীতি সম্পর্কে জানা প্রাপ্তবয়স্ক সবারই জরুরী।
ইসলাম ধর্মে মানব জীবনের সকল প্রকার বিধি-বিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। দাম্পত্য জীবনকে মধুর এবং রোমান্টিক করার জন্য ইসলাম উৎসাহিত করেছে। আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব সহবাসের নিয়ম নীতি নিয়ে। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
আরও পড়ুনঃ মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা যায়
সহবাসের নিয়ম নীতি – বর্ণনা
সাধারণত সহবাস বলতে বোঝানো হয় একই সাথে বসবাস করা। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে সহবাস বলতে দাম্পত্য জীবনে স্বামী স্ত্রীর যৌনসঙ্গমকে বোঝায়। আজকে আমরা আলোচনা করব ইসলামে যে সহবাসের নিয়ম নীতি রয়েছে সে সম্পর্কে। নিয়ম নীতিগুলো নিচে দেওয়া হল :
১. স্বামী এবং স্ত্রী উভয়েরই পাক পবিত্র থাকতে হবে। নাপাক শরীরে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
২. সহবাসের নিয়ত করা। নিয়ত এমন হতে হবে যে, “আমি সওয়াব অর্জনের উদ্দেশ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সহবাস করবো। এর মাধ্যমে নিজেকে হারাম থেকে বিরত রাখবো এবং সন্তান লাভের আশা থাকবে।”
৩. “বিসমিল্লাহ” বলে সহবাস শুরু করা মুস্তাহাব। প্রথমে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে যদি বীর্যপাতের পূর্বে স্মরণ হয় সেক্ষেত্রে মনে মনে পড়ে নিবেন।
৪. সহবাসের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করা আল্লাহর রাসূলের সুন্নত।
৫. সব ধরনের দুর্গন্ধ জাতীয় জিনিস পরিহার করতে হবে।
৬. সহবাস শুরু করার পূর্বে আলিঙ্গন, চুম্বন, ইস্তন-মর্দন ইত্যাদি করবেন।
৭. সহবাস করার সময় নিজের স্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন নারীকে কল্পনা করা অনুচিত।
৮. জুমার দিনে স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করা মুস্তাহাব।
৯. সহবাস করার সর্বোত্তম পজিশন হলো, স্বামী উপরে থাকবে এবং স্ত্রী থাকবে নিচে। আল কুরআনে বলা আছে – “যখন স্বামী স্ত্রীকে ঢেকে ফেলল তখন স্ত্রীর ক্ষীন গর্ভ সঞ্চার হয়ে গেলো।”
১০. বীর্যপাতের সময় মনে মনে নির্ধারিত দোয়া পড়বেন। কারণ যদি সহবাসের ফলে সন্তান জন্ম নেয়, সেই সন্তান শয়তানের প্রভাবমুক্ত থাকবে।
১১. বীর্যপাতের পর তৎক্ষণাৎ বিচ্ছিন্ন হবেন না।
১২. সহবাসে স্ত্রীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দান করার পূর্বে বিচ্ছিন্ন না হওয়াই উত্তম।
১৩. সহবাস করার সময় বীর্যের প্রতি দৃষ্টি দিবেন না।
১৪. বীর্য মোছার জন্য এক টুকরা কাপড় বা টিস্যু রাখবেন সঙ্গে।
১৫. একবার সহবাস করার পর পুনরায় লিপ্ত হতে চাইলে লজ্জাস্থান এবং হাত ধুয়ে নিবেন।
১৬. সহবাসের শেষে প্রস্রাব করে নিবেন।
১৭. সহবাস করার পর ফরজ গোসল না করে অন্যান্য কাজ করা জায়েজ আছে। তবে নামাজের পূর্বে অবশ্যই ফরজ গোসল করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
সহবাসের নিয়ম নীতি – বিধি নিষেধ
সহবাসের নিয়ম নীতি এর মধ্যে কিছু বিধি নিষেধ রয়েছে-
১. কেবলামুখী হয়ে সহবাস করবেন না। পূর্ব-পশ্চিম দিকে শুয়ে সহবাস করা থেকে বিরত থাকবেন।
২. একদম উলঙ্গ হয়ে সহবাস না করাই ভালো।
৩. চন্দ্র মাসের প্রথম এবং ১৫ তারিখ রাতে সহবাস করা যাবে না।
৪. স্বামী স্ত্রী একে অপরের সমস্ত দেহের দিকে তাকানো, স্পর্শ করা এমনকি যৌনাঙ্গের ক্ষেত্রেও বৈধ। যৌনাঙ্গের মিলন সম্পূর্ণ হালাল। শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো যৌনাঙ্গ দেখা এবং স্পর্শ করা জায়েজ। (আল মুগনী: ৭/৭৭)
৫. বিদেশ বা সফরে যাওয়ার পূর্বের রাত্রে সহবাস করবেন না।
৬. যোহরের নামাজের পর সহবাস করবেন না ।
৭. ভরা পেটে সহবাস করবেন না ।
৮. স্ত্রীর হায়েজ-নেফাসের সময় সহবাস না করা ফরজ।
৯. উল্টোভাবে স্ত্রী সহবাস না করাই ভালো। তবে এতে কোন পাপ হবে না।
১০. স্বপ্নদোষের পর গোসল না করে স্ত্রী সহবাস না করাই উত্তম।
১১. সহবাসের সময় স্ত্রীর সঙ্গে বেশি কথা না বলাই ভালো। তবে স্ত্রীর প্রশংসা করবেন।
১২. সহবাস করার পর অন্তত কিছুক্ষণ ঘুমানো উত্তম।
১৩. পর্দা ঘেরা স্থানে সহবাস করা উচিত। তবে স্বামী স্ত্রী দুজনের মধ্যে কোন পর্দা নেই।
১৪. কোন শিশু বা পশুর সামনে সহবাস করবেন না।
১৫. ফলবান গাছের নিচে সহবাস করবেন না।
আরও পড়ুনঃ থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয়
সহবাসের পূর্বে করণীয় বিষয়
স্ত্রীর সঙ্গে মিলনের পূর্বে স্বামীর কিছু কর্তব্য রয়েছে। এসব কর্তব্য পালন করলে সহবাস অনেক তৃপ্তিদায়ক হবে। কর্তব্যগুলো হল :
- স্বামীর কর্তব্য হলো নিজের তৃপ্তির পাশাপাশি তার প্রিয়তমা স্ত্রীর তৃপ্তির কথাও বিবেচনা করা।
- মনে রাখবেন বল প্রয়োগ করে বা স্ত্রীকে কষ্ট দেওয়া উচিত নয়।
- আলিঙ্গন, চুম্বন, ইস্তন-মর্দন ইত্যাদি বিভিন্ন উপায়ে স্ত্রীর মনে পূর্ণ কামভাব জাগিয়ে তারপর সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া পুরুষের কর্তব্য।
- স্ত্রীর কর্তব্য স্বামীর আলিঙ্গন, চুম্বন, ইস্তন-মর্দন ইত্যাদির প্রতিউত্তর দেওয়া। তার পূর্ণ কামভাব জাগলে স্বামীকে কৌশলে বুঝিয়ে দেওয়া।
- স্ত্রীর ধীরে ধীরে আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত স্বামীর উচিত নয় তার সঙ্গে সহবাসে লিপ্ত হওয়া।
- বেশিরভাগ নারীরা নিজের যৌন উত্তেজনাকে মুখে প্রকাশ করে না। লক্ষণ দেখে অনেকটা বুঝে নিতে হবে স্বামীকে।
- স্ত্রীর কর্তব্য স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং ভালোবাসা প্রদর্শন করা।
- সহবাস করার ইচ্ছা না থাকলে স্ত্রীর উচিত স্বামীকে বুঝিয়ে বলা। ঘৃনা অথবা বিরক্তিসূচক কথা বলে স্বামীর মনে দুঃখ দেওয়া উচিত নয়।
সহবাসের পরে করণীয় বিষয়
সহবাসের পূর্বে এবং পরে কিছু করণীয় বিষয় রয়েছে। সহবাসের পূর্বের টাতো ওপরে আলোচনা করা হয়েছে। এখন আলোচনা করব সহবাসের পরে করনীয় বিষয় সম্পর্কে :
- সহবাসের পর স্বামী-স্ত্রী পরস্পর কিছুক্ষণ সংলগ্ন হয়ে অবস্থান করবেন। এর ফলে মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায়। ধীরে ধীরে দেহ শীতল হয় এবং স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রেম দীর্ঘস্থায়ী হয়।
- সহবাস করার কিছুক্ষণ পর স্বামী স্ত্রী উভয়েই নিজেদের যৌনাঙ্গ ভালোভাবে ধৌত করবেন। তবে সহবাস করার পরপরই ফরজ গোসল করার কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
- নামাজ পড়া ব্যতীত অন্য যেকোনো কাজ ফরজ গোসল না করে করতে পারবেন। তবে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ফরজ গোসল করে নেবেন।
- সহবাসের পর যেহেতু স্বামী স্ত্রী দুজনেরই শরীর কিছুটা ক্লান্ত হয়। সেক্ষেত্রে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উত্তম। শর্করা মিশ্রিত এক গ্লাস পানি, লেবুর রস এবং দুধ অথবা শুধু ঠান্ডা পানি খেতে পারেন। এতে শরীর ভালো থাকবে।
- সহবাসের পর ঘুমানো অনেক ভালো অভ্যাস। শেষরাত্রে সহবাস করে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে এরপর ফরজ গোসল করে নামাজ পড়তে পারেন।
- সহবাসের পর অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকা, শোক প্রকাশ, কলহ ইত্যাদি বিষয় কোনোভাবেই ভালো নয়।
সহবাসের পর ফরজ গোসল সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা
সহবাসের নিয়ম নীতি সম্পর্কে তো জানলাম। কিন্তু ফরজ গোসল সম্পর্কে রয়েছে বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা। যেসব ধারণার কোনো ভিত্তি নেই। তাহলে চলুন ভ্রান্ত ধারণাগুলো জেনে নেওয়া যাক :
১. সহবাস শেষ করার সাথে সাথেই গোসল করতে হবে। নইলে গুনাহ হবে।
২. সহবাস করার পর ফরজ গোসল না করার পূর্বে মাটিতে পা রাখা পাপ হবে।
৩. ফরজ গোসল করার পূর্বে কোন জিনিসে হাত দেওয়া যাবে না। তাহলে সেই জিনিসটি অপবিত্র হয়ে যাবে।
৪. এই অবস্থায় রান্নাবান্না করা যাবে না। ফরজ গোসল করার পূর্বে রান্নাবান্না করলে বাড়ি থেকে লক্ষ্মী চলে যাবে। এই ধারণাটি সম্পূর্ণ শিরক।
৫. ফরজ গোসলের পূর্বে হাতে কিছু নিয়ে দরজা ধরতে হবে। নইলে দরজা অপবিত্র হয়ে যাবে।
৬. ফরজ গোসল না করা পর্যন্ত সন্তানকে বুকের দুধ পান করানো যাবে না, ঘরবাড়ি ঝাড়ু দেওয়া যাবে না।
৭. এই অবস্থায় দোয়া করা, তসবিহ পড়া, জিকির করা যাবে না।
উপরে বর্ণিত ভুল ধারণাগুলো সম্পূর্ণ ইসলাম বহির্ভূত। এসবের কোন ভিত্তি নেই। এসব কুসংস্কার বিশ্বাস করবেন না।
আরও পড়ুনঃ ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম
সহবাস করার উত্তম সময়
সহবাস করার উত্তম সময় নিচে আলোচনা করা হলো:
- স্ত্রী সহবাস করার উপযুক্ত সময় হলো শেষরাত্রি। শেষরাত্রে ভুক্ত খাদ্য ভালোভাবে হজম খাওয়ার পর শরীর ঠিক হয়। এই সময় সরলতা এবং পবিত্রতা রক্ষা করে যদি একাগ্র মনে স্বামী স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হয়, তাহলে অধিকতর তৃপ্তি পাওয়া যাবে।
- শেষরাতে সহবাস করলে স্বাস্থ্যবান সন্তান জন্ম নেয়। প্রমাণ পাওয়া যায় শেষরাতের সহবাসের ফলে বাচ্চা ধার্মিক হয়।
- তবে এক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। অনেকের মতে রাতের প্রথম ভাগে সহবাস করা তৃপ্তিদায়ক, আবার অনেকের মতে রাতের শেষভাগে সহবাস করা তৃপ্তিদায়ক।
- তবে মনে রাখবেন, ভরা পেটে সহবাস করা উচিত নয়। অনেক রোগ হতে পারে ভরা পেটে সহবাস করলে।
- রাতে খাবারের অন্তত ২ ঘন্টা পর সহবাস করা উচিত। নারীদের ঋতুস্রাব হওয়ার পর পাক পবিত্র হলে পরবর্তী ১৪/১৫ দিন পর্যন্ত সহবাস করার প্রবল ইচ্ছা থাকে। আর এই সময়ে সহবাস করলে গর্ভধারণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
- অনেকের মতে, শেষ রাতে নারীদের কামবাসনা প্রবল থাকে। এই সময় সহবাস করলে স্বামী স্ত্রী বেশি আনন্দ এবং তৃপ্তি পেয়ে থাকে।
শেষকথা
স্বামী স্ত্রীর সুসম্পর্ক অনেক বেশি রহমতময়। এই সম্পর্ক আরো গাঢ় করতে পারে স্বামী স্ত্রীর মিলন বা সঙ্গম। সৃষ্টিকর্তার সকল নেয়ামতের মধ্যে সবচাইতে আনন্দদায়ক হলো স্বামী স্ত্রী সহবাস। সহবাসের মাধ্যমে পৃথিবীতেই মানুষ জান্নাতের সুখের কিঞ্চিত নিদর্শন পেয়ে থাকে। মিলন বা সহবাসের ফলেই নতুন প্রজন্মের আবির্ভাব হয় অর্থাৎ গর্ভধারণের ফলে সন্তান পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হয়। সহবাসকে তৃপ্তিদায়ক করে তোলার জন্য স্বামী স্ত্রী উভয়েরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সহবাসের নিয়ম নীতি সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ তায়ালা সহবাসকে হালাল এবং পবিত্র করে দিয়েছেন। ইসলামে বলা হয়েছে স্বামী স্ত্রী একে অপরকে আদর সোহাগ করার কথা। সহবাসকে আরামদায়ক এবং মধুর করতে সহবাসের নিয়ম নীতি মেনে চলুন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের ইসলামিক নিয়মানুযায়ী চলার তৌফিক দান করুন। সকলের বৈবাহিক জীবন সুখে এবং শান্তিতে কাটানোর প্রত্যাশা করছি।
সহবাসের নিয়ম নীতি সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর / FAQ
১. সহবাস করার দোয়া কি?
উত্তর : সহবাস করার পূর্বে দোয়া পড়া সুন্নত। সহবাস করার দোয়াটি হল : ” বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়ত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শায়ত্বানা মা রাযাক্বতানা।”
অর্থ : “হে আল্লাহ! তোমার নামে (যৌন মিলন বা সহবাস) আরম্ভ করছি, তুমি আমাদের (স্বামী-স্ত্রী উভয়ের) কাছ থেকে শয়তানকে দূরে রাখ। আমাদের এ মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবে, সে সন্তানকেও শয়তান (যাবতীয় আক্রমণ) থেকে দূরে রাখ।”
২. কোন সময় সহবাস করা হারাম?
উত্তর : যে সময় সহবাস করা হারাম :
- মহিলাদের হায়েজ বা মাসিকের সময়।
- নেফাস বা প্রসব পরবর্তী ৪০ দিন।
- রোজা রাখা অবস্থায়।
- হজ্বের ইহরাম বাধা অবস্থায়।
- মসজিদে অবস্থানরত অবস্থায় বা ইত্তেকাফ করা অবস্থায়।
৩. সহবাস করার ফজিলত কি?
উত্তর : বৈধ উপায়ে স্বামী স্ত্রীর সহবাস করার ফলে নজরের হেফাজত হয়, লজ্জাস্থানের সংবরণ হয়, ঈমানী জজবা বজায় থাকে, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে, নেক সন্তানের জন্ম হয় ইত্যাদি।
৪. কিভাবে স্ত্রী সহবাস করলে হারাম হয়?
উত্তর : স্ত্রীর পায়ুপথ বা মলদ্বারে সহবাস করা হারাম। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন – ” যে ব্যক্তি ঋতুস্রাবগ্রস্ত স্ত্রীর সাথে বা স্ত্রীর পায়ুপথে সহবাস করলো বা গণকের কাছে এসে তার কথা বিশ্বাস করে নিলো, সে প্রকৃতপক্ষে মুহাম্মাদের উপর অবতীর্ণ সবকিছু অস্বীকার করলো। ” (তিরমিযী – ১৩৫)
৫. দিনে একাধিকবার সহবাস করা যাবে কি?
উত্তর : হ্যাঁ, দিনে একাধিকবার সহবাস করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে প্রতিবার সহবাসের পূর্বে অজু করে নেওয়া মুস্তাহাব। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন – “যখন তোমাদের কেউ নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাস করার পর আবার সহবাস করতে চায় তখন সে যেন এর মাঝখানে ওযু করে নেয়। কেননা এটি দ্বিতীয়বারের জন্য অধিক প্রশান্তিদায়ক। তবে গোসল করে নেওয়া আরো উত্তম।”
আরও পড়ুন-
গর্ভাবস্থায় সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম
গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সহবাস