স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা

স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে একই ছাদের নিচে থাকতে থাকতে এই মধুর সম্পর্কের মধ্যেও ঝামেলা তৈরি হতে পারে।

এজন্য আমাদেরকে অবশই জানতে হবে, স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা খুশি রাখার সহজ উপায়  সম্পর্কে। একে-অপরকে সবসময় গুরুত্ব দিতে হবে। পার্টনারের ভালোলাগা বা মন্দ লাগায় খেয়াল রাখতে হবে।

রাগ-অভিমান করে সব কিছু শেষ করে না দিয়ে, সবসময় নিজেদের মধ্যে বোঝাপোড়া ঠিক রাখতে হবে। একটি ভালো দাম্পত্য জীবনের প্রথম এবং

প্রধান শর্ত হল সম্পর্কের স্বচ্ছতা। তাই দুজনের এই উচিত তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে কোন মিথ্যার আশ্রয় না নেওয়া। এতে করে সম্পর্কের ভিত নষ্ট হয়। যেকোনো সমস্যায় দুজনের আলোচনা করে সমাধানে আসা উচিত।

আজকের আলোচ্য বিষয়

বউকে খুশি করার উপায় 

একটি দাম্পত্য জীবনে শারীরিক সুখ যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি ভাবে মানসিক সুখও গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার স্ত্রীকে সবসময় শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সাপোর্ট দিন। তাকে খোঁচা মেরে কথা না শুনিয়ে বুঝিয়ে বলুন। সে যেন বুঝতে পারে আপনি তাকে নিয়ে ঠিক কতটা খুশি।

আরও পড়ুনঃ মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা যায়

সঙ্গিনী কে সময় দিন

ঘুরতে যেতে সবাই ভালোবাসে। কোথাও ঘুরতে বের হলে মনটাও অনেক ফ্রেশ লাগে। আর নিজেদের মধ্যে একটা সুন্দর কোয়ালিটিফুল সময়ও কাটানো যায়। তাই সময় পেলেই আপনার স্ত্রীকে নিয়ে মাঝে মাঝে ঘুরতে বের হন। বছরে ১ থেকে ২ বার একটা লম্বা ট্রিপ দেন। এতে করে আপনার পার্টনার নিশ্চয়ই খুশি হবে।

স্ত্রীকে উপহার দিন

আপনার ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য প্রায়শই স্ত্রীকে উপহার দিন। শুধু নির্দিষ্ট দিবস বা উৎসবে নয় বরং মাঝে মাঝে কোন উপলক্ষ ছাড়াই আপনার স্ত্রীকে উপহার দিন। বেশি দামি কিছু নয়, ছোটখাট উপহার দিয়েও কিন্তু আপনার স্ত্রীকে খুশি করতে পারেন। যেমনঃ ফুল, পছন্দের চকলেট, পছন্দের মিষ্টি ইত্যাদি উপহার দিতে পারেন।

স্ত্রীর প্রশংসা করুন

এই কাজ যেই স্বামী যত বেশি করবেন ততই মঙ্গলজনক। আপনার স্ত্রীকে খুশি করার জন্য যখন ইচ্ছা আপনি হুটহাট আপনার স্ত্রীর প্রশংসা করতে পারেন, এতে করে আপনার স্ত্রী ভীষণ খুশি হবে। আপনি তার রুপের, গুনের, বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করতেই পারেন।

 তার প্রশংসা স্বরূপ বলতে পারেন-তোমাকে কাজল পড়লে খুব ভালোলাগে বা তুমি চুল খোলা রাখলে আমার জীবনানন্দ দাশের, বনলতা সেন কবিতার “চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা” এই লাইনটা মনে পড়ে। এই ছোট খাটো প্রশংসা শোনার জন্য মেয়েরা উৎসুক হয়ে থাকে।

আপনি চাইলে তার রান্নার প্রশংসা করতে পারেন। রান্না খারাপ হলেও তাকে সরাসরি আক্রমন না করে বলতে পারেন তোমার রান্না তো দিন দিন আরও ভালো হচ্ছে। আমার তো মনে হয় তুমি একসময় নিশ্চয়ই ভালো রাঁধুনি হবে। এই কথা শুনার পর আপনার স্ত্রী যতটা না খুশি হবে তার চেয়েও বেশি মনোযোগ দিয়ে পরবর্তীতে আপনার জন্য রান্না করবে। তাকে ভালো স্ত্রীর পাশাপাশি ভালো মায়েরও উপাধি দেন। মোটকথা প্রায়ই আপনার বউ এর প্রশংসা করুন।

কাজে সাহায্য করুন

অধিকাংশ মেয়েরাই স্বভাবজাত ভাবে সাংসারিক কাজে পটু হয়ে থাকে। তবুও মাঝে মধ্যে স্ত্রীর কাজে সাহায্য করুন। যেমনঃ বিছানা গোছানো, মশারি টাঙ্গানো, থালাবাসন যায়গা মত গুছিয়ে রাখা, বাচ্চাদের পড়া একটু দেখিয়ে দেওয়া, বোতলে পানি ভরা ইত্যাদি কাজে স্বামীরা খুব অল্প পরিশ্রম দিয়েই নিজের স্ত্রীকে সাহায্য করতে পারেন।

এতে করে আপনার স্ত্রী অনেক খুশি হবে। নিজে ভালো রান্না করতে না পারলেও স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে থেকে তাকে উৎসাহিত করতেই পারেন।

স্ত্রীর কথা মন দিয়ে শুনুন

হতে পারে কোন সাংসারিক ইস্যু অথবা ব্যক্তিগত কোন ইস্যু। আপনার স্ত্রী যদি আপনার কাছে শেয়ার করতে চায় আপনি অবশ্যই মন দিয়ে শুনুন। তারপর আপনার মত করে কোন সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করুন। তবে হুটহাট মতামত দিলে স্ত্রীর মনে হতে পারে আপনি বিষয়টি না বুঝেই বা সেটা নিয়ে চিন্তা না করেই আপনার মতামত প্রকাশ করেছেন। তাই অবশ্যই তাকে বিষয় টা বুঝিয়ে বলবেন।

নরম স্বরে স্ত্রীর সাথে কথা বলুন

আপনি কোন কারনে আপনার স্ত্রীর সাথে প্রচণ্ড রকম তুলকালাম করেও যে জিনিস আদায় করতে পারবেন না। অথচ আপনি যদি আপনার স্ত্রীকে সুন্দর ভাবে ও নরম স্বরে বুঝিয়ে বলেন তাহলে আপনার স্ত্রী খুব সহজেই আপনার কথায় সায় দিবে। স্ত্রীর সাথে সবসময় ভালোভাবে নরম স্বরে কথা বললে আপনার স্ত্রী অবশ্যই খুশি হবে। তাকে বলুন আপনি তার সাথে সংসার করে কতটা সুখি। স্ত্রীর মুখে হাসি ফোটানো খুব কঠিন কিছু না। আপনি সবসময় আপনার স্ত্রীর সাথে ভালো ব্যবহার করুন।

স্ত্রীর জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে জানুন

বর্তমান সময়ে প্রতিটা মেয়েরই কোন না কোন স্বপ্ন থাকে। বিয়ের পর অর্ধেক এর চেয়েও বেশি মেয়েদের স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় শুধুমাত্র স্বামী এবং শশুর বাড়ির সাপোর্ট না থাকায়। আপনি শুরুতেই জেনে নিন আপনার স্ত্রীর জীবনের স্বপ্ন বা লক্ষ্য কি? তাকে তার লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য আপনি কিভাবে সাহায্য করতে পারেন সেটা তার সাথে শেয়ার করুন। এতে করে আপনার স্ত্রী অনেক খুশি হবে এবং সে যে আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ এটাও বুঝবে।

স্ত্রীকে বলুন আপনি তাকে কতটা ভালবাসেন 

এই একটি কথার মাধ্যমে আপনি আপনার স্ত্রীকে ভীষণ খুশি করতে পারবেন। মেয়েরা মুখে প্রশংসা শুনতে বেশি পছন্দ করে। তাই তাকে বলুন আপনি তাকে কেন এত ভালোবাসেন। আপনার জীবনে তার অবস্থান, তার গুরুত্ব ঠিক কতটা তা তাকে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে বলুন। এতে করে আপনার স্ত্রী অনেক খুশি হবে।

স্ত্রীকে সরি বলুন 

আপনার স্ত্রীকে যে আপনি সম্মান করেন সেটা তাকে বুঝাবেন কোন ভুল হয়ে গেলে তাকে সরি বলার মাধ্যমে। অনেক সময় অনেক ভুল হয়ে যায় যেগুলো স্ত্রীরা সহজে মেনে নিতে পারে না। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে তাৎক্ষনিক ভাবে কয়েকবার সরি বলে তাকে স্বাভাবিক করুন। আপনি বোঝান আপনি তাকে সম্মান করেন। এভাবে সেও আপনার প্রতি অনেক উচ্চ ধারনা পোষন করবে। এবং তার ভুলে সেও সহজে সরি বলবে।

স্ত্রীর পরিবারের প্রশংসা করুন

সময় পেলেই স্ত্রীর পরিবারের প্রশংসা করবেন। পরিবার সম্পর্কে আপনার কোনো কথা শুনে আপনার স্ত্রী যেন কষ্ট না পায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। আপনার স্ত্রীর পরিবারের সম্পর্কে তার মুখ থেকে জানতে চান। পারিবারিক বিভিন্ন গল্প, তার ছোট বেলার গল্প শুনতে চান, দেখবেন এতে করে আপনার স্ত্রীর মন ভালো হয়ে যাবে।

স্ত্রীর প্রতি দায়িত্বশীল হন

শুধুমাত্র স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব নিলেই হবেনা। স্ত্রীর ভালোলাগা, মন্দ লাগার দায়িত্বও নিতে হবে। আপনার স্ত্রী যেন বুঝতে পারে আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই বাহিরে থাকলেও স্ত্রীকে ফোন দিয়ে তার খোঁজখবর নেন। সব সমস্যায় স্ত্রীর পাশে থাকার চেষ্টা করুন। আপনার স্ত্রী বিয়ের পরে পুরোপুরি নতুন একটা পরিবারে এসে উঠেছেন। 

আর নতুন পরিবারের সবাই তার অচেনা এবং সবার সাথে মানিয়ে নিতেও তার কিছুটা সময় লাগবে। তাই নিজ পরিবারের সবার সামনে স্ত্রীর প্রশংসা করুন, তাকে সবার সাথে ভালোভাবে পরিচয় করিয়ে দিন। এমনকি পরিবারের কার কী পছন্দ বা অপছন্দ তাও আপনার স্ত্রীকে আগে থেকেই জানানোর দায়িত্বটাও একান্তই আপনার। আর এইসব বিষয় মেনে চললে আপনার স্ত্রীও খুশি হবে। 

স্ত্রীর সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করুন

বিয়ের প্রথমদিকে স্ত্রী হয়তো সব বিষয় নিয়ে আপনার সাথে কথা বলতে পারবে না, কিছুটা দ্বিধা বোধ করতেই পারে। এক্ষেত্রে আপনি তার খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবেন। তার সাথে খোলাখুলি ভাবে সব বিষয় নিয়ে কথা বলবেন। যেন সে আপনাকে বন্ধু ভাবতে পারে। দুজনের মধ্যে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হলে আপনাদের সম্পর্কের বন্ধনটাও মজবুত হবে।

সম্পর্কে সৎ থাকুন 

যেকোনো সম্পর্কের মূল ভিত্তি হল বিশ্বাস। তাই কারনে-অকারণে মিথ্যে না বলাই ভালো। কেননা, একটা মিথ্যা ঢাকতে গিয়ে হাজারটা মিথ্যা কথা বলতে হয়। আর সেখান থেকেই মনের অজান্তে সত্যি কথা বেরিয়ে আসে। এজন্য স্ত্রীকে লুকিয়ে কোনো কাজ করবেন না। কারন এতে ধরা পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। 

স্ত্রীর মতামতকে গুরুত্ব দিন

স্ত্রীর কথা সবসময় হেসে না উড়িয়ে মন দিয়ে শুনুন। কারণ তিনি কখনই আপনাকে খারাপ উপদেশ দিবে না। বরং আপনার কীসে ভালো হবে সেটাই তিনি মন দিয়ে দেখেন এবং সবসময় আপনার ভালোই চান। তাই আপনি যদি তার কথায় সায় দেন তাহলে সে অবশ্যই খুশি হবে।

আরও পড়ুনঃ গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

স্ত্রীর ভুল ধরবেন না

কখনই স্ত্রীর ভুল ধরবেন না বরং ভুল করলে শুধরে দিন। অনেকেই আছে স্ত্রীর ভুল বা দোষ ধরতে ব্যস্ত। রান্নায় কেন তেল বেশি হয়েছে, রান্না মজা হয় নাই বা কেন মোটা হয়ে যাচ্ছ এসব বলে খোঁটা দেয়। কিন্তু এটি একটি বাজে স্বভাব। সবসময় এমন ভুল ধরতে থাকলে সম্পর্ক নষ্ট হয়। এমনকি আপনার স্ত্রী যদি কোন জনসমাবেশে নিজের অজান্তে কোনও ভুল করে থাকে, তাহলেও তাকে সবার সামনে অপমান করবেন না বরং পরবর্তীতে বিষয়টি তাকে বুঝিয়ে বলুন। 

স্ত্রীকে অন্যের সাথে তুলনা করবেন না

ভুলেও স্ত্রীকে অন্যের সাথে তুলনা করবেন না। নিজের স্ত্রীর সামনে কখনোই অন্যের স্ত্রীর প্রশংসা করবেন না। এতে করে আপনার স্ত্রী ভীষণ কষ্ট পাবে। স্ত্রীর উপস্থিতিতে কখনও তৃতীয় ব্যক্তিকে বেশি গুরুত্ব দিবেন না। 

স্বামীকে খুশি করার উপায় 

জীবনসঙ্গিকে খুশি রাখার সহজ উপায়

একটি দাম্পত্য জীবনে শারীরিক সুখ যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি ভাবে মানসিক সুখও গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার স্বামীকে সবসময় শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সাপোর্ট দিন। তাকে খোঁচা মেরে কথা না শুনিয়ে বুঝিয়ে বলুন। সে যেন বুঝতে পারে আপনি তাকে নিয়ে ঠিক কতটা খুশি।

নরম স্বরে কথা বলুন এবং ভালো আচরণ করুন

স্বামীর সাথে সব সময় নরম স্বরে কথা বলুন এবং ভালো আচরণ করুন। স্বামীর ঘরের ও বাহিরের সমস্যা গুলো বোঝার চেষ্টা করুন। তার যেকোনো সমস্যাতে সাহায্য করুন। যেকোনো খারাপ পরিস্থিতিতে তাকে মানসিক ভাবে সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করুন। কখনোই অকারণে রাগ দেখাবেন না। 

সবকিছু নিজেদের মধ্যে খোলাখুলি ভাবে আলোচনা করে সমাধান করবেন। আপনার স্বামী যেন তার জীবনে আপনাকে বিশাল একটা আস্থা বা ভরসার জায়গা ভাবে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এছাড়াও স্বামীর পরিবারের সবার সাথে আপনি বন্ধুত্ব করে নিন এবং ভালো আচরণ করুন। দেখবেন আপনার স্বামী এতে অনেক খুশি হবে।

বিশ্বাস ও সম্মান করুন

সাংসারিক জীবনে সুখী হওয়ার প্রথম শর্তই হল একে অপরকে বিশ্বাস করা এবং সম্মান করা।  আপনি যখন আপনার স্বামীকে সবসময় সম্মান করবেন এবং বিশ্বাস করবেন তখন দেখবেন আপনার স্বামীও আপনাকে যথেষ্ট সম্মান ও বিশ্বাস করবে। সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাবোধ খুব এই গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো থাকে।

পছন্দের খাবার রান্না করুন

জীবিকার তাগিদে পুরুষ মানুষ বেশির ভাগ সময় এই বাহিরে থাকে। তাই প্রতি বেলা তারা ঘরের  খাবার খেতে পারেনা। তাই স্বামীকে খুশি রাখতে সবসময় তার পছন্দের খাবার নিজের হাতে রান্না করুন। দেখবেন এতে আপনার স্বামী অনেক খুশি হবেন। সবসময় মনে রাখবেন পেট ঠাণ্ডা তো মন ঠাণ্ডা।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন

সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করুন। স্বামীরা সবসময় স্ত্রীকে ভালো ও সুন্দর পোশাকে এবং টিপটপ দেখতে পছন্দ করেন। আপনার স্বামী যদি সাজগোজ পছন্দ করে তাহলে মাঝে মাঝে সাজগোজ করতে পারেন। আর সাজগোজ পছন্দ না করলেও সবসময় ফ্রেশ থাকার চেষ্টা করবেন। তাই সারা দিন যতই ব্যস্ত থাকুন, নিজেদের একান্ত ব্যক্তিগত সময়ে স্বামীর কাছে নিজেকে সুন্দর ভাবে প্রেজেন্ট করুন। এতে করে আপনার স্বামী সত্যিই অনেক খুশি হবে।

ভুল ক্ষমা করুন

সংসারে প্রায়শই অনেক ভুল বোঝাবুঝি ও সমস্যা হতেই পারে। তাই আপনার স্বামী কোনো ভুল করলে তাকে খোলাখুলি ভাবে বলেন এবং মীমাংসা করে নেন। রাগ পুষে রাখলে কখনো মানসিক ভাবে শান্তিতে থাকতে পারবেন না। তাই এক ভুল ধরে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করবেন না। সবসময় মনে রাখবেন ক্ষমা করা মহৎ গুণ। 

আরও পড়ুনঃ ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম

হাসিখুশি থাকুন

নিজেকে সব সময় হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করুন। অবশ্যই কোন সমস্যা হলে আপনার স্বামীকে বুঝিয়ে বলবেন। কিন্তু আপনার স্বামী যখন সারাদিনের কাজের ব্যস্ততার পর বাড়ি এসে আপনার হাসি মুখটা দেখবে তখন ভীষণ খুশি হবে।

স্বামীর সেবাযত্ন করুন

স্বামীর সেবাযত্ন করলে আপনার প্রতি তার ভালোবাসা আরও দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। তাই মাঝে মাঝে তার বডিতে ম্যাসাজ করে দিন অথবা মাথায় অয়েল ম্যাসাজ করে দিন। এতে করে আপনার স্বামী যেমন শান্তি পাবে তেমনি অনেক খুশিও হবে।

স্বামীর প্রশংসা করুন

মানুষ মাত্রই প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে। আর তা যদি হয় সঙ্গীর মুখ থেকে, তাহলে তো আর কোন কথাই নাই। তাই আপনি চাইলেই মাঝে মাঝে আপনার স্বামীর প্রশংসা করতে পারেন। আপনি তাকে বলতে পারেন, আপনি তার কাছে অনেক নিরাপদ বোধ করেন। কারণ প্রত্যেক স্বামী এই চান তার সঙ্গীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।  

আপনার স্বামীকে বলতে পারেন তাকে বিয়ে করে আপনি নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করেন। এটাও বলতে পারেন তার ব্যবহারে আপনি অনেক খুশি। দেখবেন এতে করে তিনি আপনার প্রতি আরও ইতিবাচক থাকবে এবং সবসময় সুন্দর ব্যবহার করবেন। আপনার স্বামীর কাজের বা পরিশ্রমের প্রশংসা করুন। তিনি যে একজন ভালো স্বামী এটা প্রকাশ করুন। তাহলে দেখবেন আপনার স্বামী অনেক বেশি খুশি হবে। 

পরিশেষে  

স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা খুশি করতে চাইলে দুজনের কেউ এই ভাববাচ্যে কথা বলবেন না। কোনও সমস্যা হলে কিংবা কোনও কারণে একজন রাগ করলে আরেকজনকে তা খুলে বলুন। একজন আরেকজনকে ঘুরিয়ে কথা শোনাবেন না কিংবা অপমান করবেন না। কখনোই তৃতীয় কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে কথা বলানোর চেষ্টা করবেন না বরং নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করুন। এতে করেই সম্পর্ক ভালো থাকবে। 

আরও পড়ুন-

সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে

বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি

Leave a Comment