ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম
মানবশরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি খনিজ উপাদানের নাম হচ্ছে ক্যালসিয়াম (Calcium)। ‘Ca’ হচ্ছে ক্যালসিয়ামের রাসায়নিক সংকেত। এই উপাদানটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অতীব জরুরী।
এছাড়াও এটি আমাদের শরীরে আরও বিভিন্ন উপকারে আসে। যেমন : দাঁতের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ইত্যাদি। বয়স এবং লিঙ্গের উপর ভিত্তি করে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট মাত্রার ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে হয়।
রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কম থাকলে এবং ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার না খেলে হাড় দুর্বল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে দেখা দেয় আরও অনেক সমস্যা।
সাধারণত ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় দুগ্ধজাত খাবার, শাকসবজি, বাদাম ইত্যাদি থেকে। তবে শুধু খাবার থেকে এই খনিজ পদার্থটির চাহিদা পূরণ নাও হতে পারে অনেকের ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে ক্যালসিয়ামের পরিপূরক হিসেবে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট চিকিৎসগণ খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
বাজারে অনেক ধরনের ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট রয়েছে। আজকে আলোচনা করব ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে। এছাড়াও আলোচনা করব ক্যালসিয়ামের উপকারিতা, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি বিষয়ে।
আরও পড়ুনঃ লবঙ্গের উপকারিতা ও অপকারিতা, লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম
ক্যালসিয়াম এর উৎস

বিভিন্ন ধরনের খাবারের মাধ্যমে আমরা ক্যালসিয়াম পেতে পারি। ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার বা ক্যালসিয়ামের উৎস নিচে দেওয়া হল :
- দুগ্ধজাত খাবার : দুধ, দই এবং পনির।
- সবুজ শাকসবজি : পালং শাক, কলমি শাক ইত্যাদি।
- মাছ : স্যামন, সার্ডিন, ইলিশ ইত্যাদি।
- বাদাম : চিনাবাদাম, কাজুবাদাম এবং হ্যাজেলনাট।
- বীজ : তিলের বীজ, সেলারি, সয়াবিনের দানা, পোস্তদানা এবং চিয়া সিড।
- ডাল : মসুর ডাল এবং মটরশুটি।
- ফল : কমলার রস, শুকনো ডুমুর।
- নানা রকম সামুদ্রিক শৈবাল (Seaweed)।
- ডিম
- রেউচিনি (Rhubarb)
ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণ
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে দেখা দেয় শরীরে নানা রকম লক্ষণ। ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণগুলো নিচে দেওয়া হল :
- পেশির ব্যথা, পেশিতে টান লাগা এবং পেশির দুর্বলতা অনুভব করা।
- শরীরের জয়েন্টগুলোতে ব্যথা হওয়া (Arthritis)।
- ক্র্যাম্প এবং খিঁচুনি।
- হাঁটুতে ব্যথা।
- প্রচন্ড ক্লান্তিবোধ।
- অস্টিওপেনিয়া (Osteopenia) ও অস্টিওপোরসিস (Osteoporosis)
- চর্মরোগ, চুলকানি বা একজিমা হতে পারে।
- নিদ্রাহীনতা এবং বিষন্নতায় ভোগা।
- হাইপোক্যালসিমিয়া (Hypocalcemia)
- চুল মোটা হয়ে যাওয়া।
- হাড় এবং নখ ভঙ্গুর হতে পারে।
- দাঁত এবং মাড়ির ক্ষয়রোগ হওয়া।
- বন্ধ্যাত্ব
- ত্বকের শুষ্কতা
- মৃগী রোগ হতে পারে।
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম সমূহ
শুধুমাত্র ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেয়ে অনেকের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয় না। তাই সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে হয়। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির কয়েক রকম ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট আছে। ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম সমূহের একটি তালিকা নিচে দেওয়া হল:
১. এ-ক্যাল ডি ( A-Cal D)
ক্যালসিয়াম কার্বনেট [এলিমেন্টাল সোর্স ] + ভিটামিন ডি৩
৫০০ মিলিগ্রাম + ২০০ আই ইউ (IU)
একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড (ACME Laboratories Ltd.)
দাম : প্রতি পিস ৭ টাকা
- ৭×১৫ = ১০৫ টাকা
- ৭×৩০ = ২১০ টাকা
বিশেষ দ্রষ্টব্য : (৫০০ মিলিগ্রাম + ৪০০ আই ইউ) ‘এ-ক্যাল ডি’ ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটও রয়েছে।
২. ওভোক্যাল-ডি ( Ovocal-D)
ক্যালসিয়াম কার্বনেট [এগশেল সোর্স ] + ভিটামিন ডি৩
৫০০ মিলিগ্রাম + ২০০ আই ইউ (IU)
বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি ( Beacon Pharmaceuticals PLC )
দাম : প্রতি পিস ১২ টাকা
- ১২×১০ = ১২০ টাকা
বিশেষ দ্রষ্টব্য : (৬০০ মিলিগ্রাম + ৪০০ আই ইউ) ‘ওভোক্যাল-ডি’ ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটও রয়েছে।
৩. ক্যালডিক্যাল-ডি (Caldical-D)
ক্যালসিয়াম কার্বনেট [এলিমেন্টাল সোর্স ] + ভিটামিন ডি৩
৫০০ মিলিগ্রাম + ২০০ আই ইউ (IU)
জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (Ziska Pharmaceuticals Ltd.)
দাম : প্রতি পিস ৭ টাকা
- ৭×১০ = ৭০ টাকা
৪. ক্যালবো-ডি (Calbo-D)
ক্যালসিয়াম কার্বনেট [এলিমেন্টাল সোর্স ] + ভিটামিন ডি৩
৫০০ মিলিগ্রাম + ২০০ আই ইউ (IU)
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (Square Pharmaceuticals Ltd.)
দাম : প্রতি পিস ৮ টাকা
- ৮×৩০ = ২৪০ টাকা
৫. ক্যালবোন ডি ( Calbon D)
ক্যালসিয়াম কার্বনেট [এলিমেন্টাল সোর্স ] + ভিটামিন ডি৩
৫০০ মিলিগ্রাম + ২০০ আই ইউ (IU)
এরিস্টোফার্মা লিমিটেড (Aristopharma Ltd.)
দাম : প্রতি পিস ৮ টাকা
- ৮×১৫ = ১২০ টাকা
- ৮×৩০ = ২৪০ টাকা
৬. ক্যালসিন-ডি ( Calcin-D)
ক্যালসিয়াম কার্বনেট [এলিমেন্টাল সোর্স ] + ভিটামিন ডি৩
৫০০ মিলিগ্রাম + ২০০ আই ইউ (IU)
রেনেটা লিমিটেড (Renata Ltd.)
দাম : প্রতি পিস ৮ টাকা
- ৮×১৫ = ১২০ টাকা
- ৮×৩০ = ২৪০ টাকা
বিশেষ দ্রষ্টব্য : (৬০০ মিলিগ্রাম + ৪০০ আই ইউ) ‘ক্যালসিন-ডি’ ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটও রয়েছে।
৭. কোরালক্যাল-ডি ( CoralCal-D)
ক্যালসিয়াম কার্বনেট [কোরাল সোর্স ] + ভিটামিন ডি৩
৫০০ মিলিগ্রাম + ২০০ আই ইউ (IU)
রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ( Radiant Pharmaceuticals Ltd. )
দাম : প্রতি পিস ১২ টাকা
- ১২×১০ = ১২০ টাকা
বিশেষ দ্রষ্টব্য : (৬০০ মিলিগ্রাম + ৪০০ আই ইউ) ‘কোরালক্যাল-ডি’ ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটও রয়েছে।
৮. ক্যালকোরাল-ডি ( Kalcoral-D)
ক্যালসিয়াম কার্বনেট [কোরাল সোর্স ] + ভিটামিন ডি৩
৫০০ মিলিগ্রাম + ২০০ আই ইউ (IU)
পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ( Popular Pharmaceuticals Ltd. )
দাম : প্রতি পিস ১১ টাকা
- ১১×১০ = ১১০ টাকা
বিশেষ দ্রষ্টব্য : (৬০০ মিলিগ্রাম + ৪০০ আই ইউ) ‘ক্যালকোরাল-ডি’ ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটও রয়েছে।
৯. কোরালবেস্ট-ডি ( Coralbest-D)
ক্যালসিয়াম কার্বনেট [কোরাল সোর্স ] + ভিটামিন ডি৩
৫০০ মিলিগ্রাম + ২০০ আই ইউ (IU)
শরীফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ( Sharif Pharmaceuticals Ltd. )
দাম : প্রতি পিস ১০ টাকা
- ১০×১০ = ১০০ টাকা
বিশেষ দ্রষ্টব্য : (৬০০ মিলিগ্রাম + ৪০০ আই ইউ) ‘কোরালবেস্ট-ডি’ ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটও রয়েছে।
১০. কোরালক্যাল-ডিএক্স ( CoralCal-Dx)
ক্যালসিয়াম কার্বনেট [কোরাল সোর্স ] + ভিটামিন ডি৩
৬০০ মিলিগ্রাম + ৪০০ আই ইউ (IU)
রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ( Radiant Pharmaceuticals Ltd. )
দাম : প্রতি পিস ১৬ টাকা
- ১৬×১০ = ১৬০ টাকা
বিশেষ দ্রষ্টব্য : (৫০০ মিলিগ্রাম + ২০০ আই ইউ) ‘কোরালক্যাল-ডিএক্স’ ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটও রয়েছে।
উপরোক্ত ট্যাবলেট গুলো ছাড়াও বাজারে আরও অনেক রকম ক্যালসিয়ামের ট্যাবলেট আছে। যেমন :
- Becoral D
- Becoral Dx
- Cal D
- Aristocal D
- Apocal-D
- Acical-D
- Acical-Dx
- Bonwell-D
- Bonmax-D
- Cal-D-Zen
- Bpcal D ইত্যাদি
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম – উপকারিতা
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট মূলত শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে। ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর উপকারিতা নিচে দেওয়া হল :
- হাড় এবং দাঁতের ক্ষয়রোধ করে।
- হাড় এবং দাঁতকে করে শক্তিশালী এবং মজবুত।
- মানসিক অবসাদ দূর করে।
- ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- শারীরিক দুর্বলতা রোধ করে।
- চুল, নখ এবং ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে।
- ভালো ঘুমের সহায়ক।
- আদর্শ ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম – পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেলে দেখা দেয় নানা রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। যেমন :
- বদহজম
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- পেট ব্যথা
- মারাত্মক ডায়রিয়া
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
- পেট ফুলে যাওয়া / পেট ফাঁপা হওয়া
- মাল্টি ভিটামিনের সঙ্গে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট একসঙ্গে সেবন করলে আয়রন শোষণে ব্যাহত হয়।
- হার্টের অসুখের ঝুঁকি বাড়ে
- বিষন্নতা
- পুরুষদের পোস্টেট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা
- এলার্জির সমস্যা
- মাংসপেশির দুর্বলতা
- কিডনিতে পাথর
যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম শরীরে প্রয়োজন
আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন নির্ভর করে বয়স, লিঙ্গ এবং জীবনের পর্যায়ের মতো বিষয়ের ওপর। বিভিন্ন বয়সে যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম প্রতিদিন গ্রহণ করতে হবে তার একটি তালিকা নিতে দেওয়া হল :
বয়স / লিঙ্গ পরিমাণ / দিন
১. (০-৬) মাস – ২০০ মিলিগ্রাম
২. (৭-১২) মাস – ২৬০ মিলিগ্রাম
৩. (১-৩ বছর) – ৭০০ মিলিগ্রাম
৪. (৪-৮) বছর – ১০০০ মিলিগ্রাম
৫. (৯-১৮) বছর – ১৩০০ মিলিগ্রাম
৬. (১৯-৫০) বছর – ১০০০ মিলিগ্রাম
৭. (৫১-৭০) বছর পুরুষ – ১০০০ মিলিগ্রাম
৮. (৫১-৭০) বছর মহিলা – ১২০০ মিলিগ্রাম
৯. ৭১+ বছর – ১২০০ মিলিগ্রাম
১০. (১৪-১৮) বছর বয়সী প্রসূতি / গর্ভবতী – ১৩০০ মিলিগ্রাম
১১. (১৯-৫০) বছর বয়সী প্রসূতি / গর্ভবতী – ১০০০ মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি : প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি না হলে প্রতিদিন একটি করে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে হবে। প্রতিদিন সকালে বা রাতে খাওয়ার পর ভরা পেটে একটি করে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে হবে।
প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি : প্রতিদিন সকালে এবং রাতে একটি করে মোট দুইটি ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে হবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। অর্থাৎ সকালে খাওয়ার পর একটি এবং রাত্রে খাওয়ার পর একটি।
মনে রাখবেন, দুই মাসের বেশি ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া উচিত নয়। যদি দুই মাসের বেশি খাওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিকট পরামর্শ নিবেন।
শেষকথা
ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান। এই খনিজ উপাদানটির অভাবে আমাদের শরীরে দেখা দিতে পারে অনেক রকম সমস্যা। ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবারের পাশাপাশি অনেকেরই ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট সেবন এর প্রয়োজন হয়।
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম উপরে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি নির্দিষ্ট নিয়মে এবং নির্দিষ্ট সময়ে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাবেন আপনারা। আর যদি ক্যালসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা সর্বদা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত। সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর / FAQ
১. ক্যালসিয়ামের অভাব কেন হয়?
উত্তর : যেসব কারণে ক্যালসিয়ামের অভাব হয় :
- প্রতিদিন ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার না খেলে।
- ভিটামিন ডি এর অভাব হলে।
- অতিরিক্ত শারীরিক ব্যায়াম করলে।
- অতিরিক্ত কোল্ড ড্রিংকস পান করলে।
- শরীর দুর্বল হলে।
২. ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয়?
উত্তর : না, ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেলে মোটা হয় না। ক্যালসিয়াম কোন মোটা হওয়ার ওষুধ নয়। তবে যদি কারো অনেক বেশি ক্যালসিয়ামের অভাব হয়, সেক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেলে হাড়ের ওজন কিছুটা বেড়ে যেতে পারে।
৩. ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটা ভালো?
উত্তর : প্রথমেই বলে রাখি, ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোন ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। সবচেয়ে ভালো কয়েকটি ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম নিচে দেওয়া হলো :
- Calbo-D
- A-Cal D
- Ovocal-D
- Calcin-D
৪. ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হয়?
উত্তর : ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট অনেক বেশি খেলে হতে পারে মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। যেমন:
- হাইপারক্যালসিয়ামিয়া (hypercalcemia) : এটি এমন একটি অবস্থা যখন রক্তে খুব বেশি ক্যালসিয়াম থাকে। যার ফলে বমি অথবা বমির ভাব, দুর্বলতা এবং বিষন্নতা হতে পারে।
- কিডনিতে পাথর এবং
- কোষ্ঠকাঠিন্য।
৫. ক্যালসিয়ামের ঘাটতির ঝুঁকি কাদের বেশি?
উত্তর : যেসব মহিলারা মেনোপজ (Menopause) এর মধ্য দিয়ে গেছে তাদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতির ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। যার ফলে মহিলাদের আর্থ্রাইটিস বা বাত রোগে আক্রান্ত হওয়ার হারও বেশি। ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম
আরও পড়ুন-
দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা