ঘি এর উপকারিতা
গরম ভাত, খিচুড়ি বা ডালে স্বাদ বাড়ানোর জন্য এক চামচ ঘি যোগ করলে মন্দ হয় না। শাহী রান্নার ক্ষেত্রে (পোলাও, রোস্ট, কোরমা, বিরিয়ানি ইত্যাদি) ঘি ছাড়া তো চলেই না। তবে স্বাস্থ্য বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই ঘি খেতে চান না। ঘি খেলে স্বাস্থ্য বেড়ে যায় এই কথাটা কি আসলেও সত্যি? না, সত্যি না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন পরিমাণ মতো ঘি খেলে স্বাস্থ্য বাড়ে না। বরং পরিমান মত ঘি আপনার শরীরের অনেক উপকার করবে। দুগ্ধ জাতীয় খাবার (Dairy Food) ঘি এর উপকারিতা অনেক। ঘি-তে বিদ্যমান ফ্যাট শরীরের জন্য উপকারী।
এছাড়াও ঘি সহজে হজম করা যায়। ঘি এর স্ফুটনাংক অনেক বেশি। ২৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা পর্যন্ত ঘি গরম করা যায়। সহজে নষ্ট হয় না ঘি। তাই অনেকদিন পর্যন্ত রেখে খাওয়া যায় এটি। আজকে আলোচনা করব ঘি এর উপকারিতা, ঘি এর অপকারিতা, ঘি কিভাবে তৈরি করে ইত্যাদি সম্পর্কে।
আরও পড়ুনঃ কাঠবাদাম এর উপকারিতা
ঘি এর পুষ্টিগুণ

আমরা জানি দুধ একটি আদর্শ খাবার। দুধ থেকে তৈরি করা হয় ঘি। প্রাচীনকাল থেকেই ঘি এর ব্যবহার অনেক জনপ্রিয়। এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুন। নিচে ঘি এর গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানগুলো দেওয়া হলো :
- ভিটামিন এ
- ভিটামিন ডি
- ভিটামিন ই
- ভিটামিন কে
- অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
- ব্রেন টনিক
- ফ্যাটি অ্যাসিড
- ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
- কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড
- বিউটারিক অ্যাসিড
ঘি এর উপকারিতা – বর্ণনা
ঘি একটি দুগ্ধজাত খাবার। শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিই নয়, এর রয়েছে অনেক উপকারিতা। তবে অতিরিক্ত কোন খাবার গ্রহণ করাই উচিত নয়। ঘি এর উপকারিতা পেতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেই ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে :
শক্তি বৃদ্ধিতে
আমরা জানি পুষ্টিকর খাবার শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে। স্বাস্থ্যকর প্রোটিন শরীরে পুষ্টি যোগায় এবং হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করে। ঘিয়ে বিদ্যমান মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে ঘিয়ে ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি। তাই ওজন বৃদ্ধি করার জন্য ঘি খেতে পারেন। এছাড়া ওজন কমাতেও সাহায্য করে ঘি। কারণ এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যা ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। ওজন কমানোর জন্য পরিমাণ মতো ঘি খেতে হবে।
হজমশক্তি বৃদ্ধি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে
ঘিতে উপস্থিত বিইটারিক অ্যাসিড (Butyric Acid) হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দূর হয়। যাদের গ্যাস্ট্রিক এবং হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ঘি অনেক উপকারী। ঘি যেকোনো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কিছুটা হলেও কমিয়ে দেয়। ডায়াবেটিস রোগীদের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে ঘি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ঘি
ঘিতে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ঘি এর বৈশিষ্ট্য হলো এটি দীর্ঘ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে, সহজে নষ্ট হয় না। এর কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। তাই নতুন মায়েদের ডেলিভারির পর ঘি খাওয়ানো হয়। এছাড়াও ঘিতে উপস্থিত ভিটামিন এ এবং সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতেও ঘি অনেক উপকার করে।
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে
মস্তিষ্কের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ব্রেন টনিক ঘিতে রয়েছে। এই উপাদানটি মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমানোর জন্য ঘি খেতে পারেন। এতে উপস্থিত ওমেগা-৬ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীর এবং মস্তিষ্ককে চাঙ্গা রাখতে ভূমিকা পালন করে। নিউট্রিশনিস্টদের মতানুসারে, নার্ভের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সার্বিকভাবে ব্রেনের পাওয়ারের উন্নতি সাধনে ঘি কার্যকরী।
হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে
ঘিতে বিদ্যমান ভিটামিন-কে যা ক্যালসিয়ামের সঙ্গে একত্রে হাড়ের স্বাস্থ্য এবং গঠনে ভূমিকা রাখে। স্বাস্থ্যকর ইনসুলিন এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ভিটামিন-কে। ঘিতে উপস্থিত প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট গিঁটে ব্যাথা এবং আর্থ্রাইটিসের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। ঘি’র ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং হাড়কে সুস্থ রাখে। তাই হাড়কে সুস্থ এবং মজবুত রাখতে প্রতিদিন পরিমাণ মতো ঘি খেতে পারেন।
শরীর ঠান্ডা রাখতে ঘি
মিষ্টি এবং শীতল প্রকৃতির খাবার হচ্ছে ঘি। শরীরের প্রদাহ দূর করতে ঘি সাহায্য করে। আমাদের মন এবং শরীরে এক ধরনের শীতলতা কাজ করে ঘি খেলে। এছাড়া শরীরকে শিথিল রাখতেও সাহায্য করে ঘি। শরীরের ভেতর আদ্রতার ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে ঘি। এতে রয়েছে ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য, যা শরীরকে ভিতর থেকে হাইড্রেট রাখে। পুষ্টিবিদদের মতে, গরমকালে ঘি খেলে শরীরে পানির অভাব অনেকটাই পূরণ হয়। এছাড়া ঘি ত্বকের ক্ষেত্রেও অনেক উপকারী।
এলার্জি কমাতে ঘি
“ল্যাকটোজ ইনটোলেরেন্ট” বা দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারে অনেকেরই সমস্যা হয়। দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারে পেটে গড়বড় অথবা হজমে সমস্যা দেখা দেয় অনেকেরই। তাদের জন্য ঘি হতে পারে উত্তম সমাধান। কারণ দুধ থেকে তৈরি মাখনকে উচ্চ তাপমাত্রায় গরম করে ঘি তৈরি করা হয়। যার ফলে আমিষ (আমিষ অংশটুকুই পেটের সমস্যার জন্য দায়ী) উপাদান পাত্রে থেকে যায় এবং এর চর্বি অংশটুকু ঘিতে থাকে।
চুলের উপকারিতায় ঘি
চুলের যত্নে ঘি অনেক উপকারী একটি উপাদান। এটি মাথার ত্বকের আদ্রতা কে লক করতে পারে। মাথায় ঘি লাগালে মাথার ত্বক মসৃণ থাকে। চুলকে দেখায় অনেক বেশি প্রাণবন্ত। এছাড়াও ঘি ব্যবহার করার ফলে চুলে তেল কম লাগে। চুলের জন্য খালি পেটে ঘি সবচেয়ে উপকারী। শুধু চুল নয় ত্বকের যত্নেও ঘি অনেক কার্যকরী। ঘি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে ঘি
ঘি একটি কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার। তাই অনেকের ধারণা ঘি খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পায়। তবে ধারণাটি সঠিক নয়। ঘি আমাদের দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের (LDL) পরিমাণ কমিয়ে দেয়। সেই সাথে উপকারী কোলেস্টেরলের (HDL) পরিমাণ বৃদ্ধি করে। তাই নির্দ্বিধায় ঘি খেতে পারেন।
হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ঘি
ঘিতে রয়েছে লিনোলিক অ্যাসিড, যা ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। মানসিক অবসাদ দূর করতেও ঘি কার্যকরী। দুশ্চিন্তা থেকে মাথা ব্যথা হলে ঘি খেতে পারেন। রান্নায় ঘি ব্যবহার করতে পারেন। এতে পুষ্টিগুণ কমবে না, কারণ ঘিয়ের স্ফুটনাংক অনেক। তবে এর সুগন্ধ অটুট রাখার জন্য অনেকে খাবারের শেষের দিকে ঘি দেয়। ঘি সহজে নষ্ট হয় না, তাই দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে পারবেন এটি।
ক্যান্সার প্রতিরোধে ঘি
ঘিতে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে থাকা ক্ষতিকর রেডিকেলদের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। যার ফলে ক্যান্সার কোষ বা ক্যান্সার সেল সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। তাই ঘি খেলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে। এছাড়া দুধের বিকল্প হিসেবেও ঘি খেতে পারেন। কারণ অনেকেই দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারে সমস্যা থাকে। যেমন – পেটে সমস্যা, বদহজম, এলার্জি ইত্যাদি। কি খেলে দুধের পুষ্টি পাবেন কিন্তু এসব সমস্যা হবে না।
ঘি এর অপকারিতা
ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে তো জানলাম। কিন্তু আমরা জানি কোন খাবারই অতিরিক্ত গ্রহণ করা উচিত নয়। অতিরিক্ত গ্রহণ করার ফলে হীতে বিপরীত হতে পারে। অতিরিক্ত ঘি খেলে উপকারের থেকে অপকারিতাটাই বেশি হবে। ঘি এর অপকারিতা নিচে দেওয়া হলো :
- অতিরিক্ত ঘি খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। যার কারণে হার্ট এটাক বা হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- অতিরিক্ত ঘি খেলে শরীরে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে ওজনও বৃদ্ধি পাবে।
- হজমের সমস্যা এমনকি বদহজমও দেখা দিতে পারে অতিরিক্ত ঘি খাওয়ার ফলে।
- পেট ফাঁপা, পেট ফুলে যাওয়া এমনকি গ্যাস্ট্রিকের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে যদি অতিরিক্ত ঘি খাওয়া হয়।
- চর্বিযুক্ত খাবার হওয়ায় উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ঘি না খাওয়াই ভালো।
- যাদের হাড়ের সমস্যা আছে তারাও অতিরিক্ত ঘি খাবেন না। কারণ এতে হীতে বিপরীত হতে পারে।
শেষকথা
আশা করছি উপরের আলোচনা থেকে ঘি এর উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এর অপকারিতার থেকে উপকারিতাই অনেক বেশি। ঘি এর পুষ্টিগুণ এবং এর উপকারিতা পাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খেতে হবে। অতিরিক্ত খেতে যাবেন না। ঘি এর উপকারিতা পাওয়ার জন্য প্রতিদিন এক চামচ খাওয়াই যথেষ্ট। অনেক আদিকাল থেকেই হয়ে আসছে ঘি এর ব্যবহার। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে রয়েছে ঘিয়ের অনেক গুরুত্ব। “Tongue Of The God” বা “Navel Of Immortality” নামে ঘি এর পরিচয় আছে। এছাড়া প্রাচীনকাল থেকে পজিটিভ ফুড (Positive Food) হিসেবে ঘি পরিচিত। আধুনিক গবেষণা মতেও, ঘি খেলে পজিটিভিটি বাড়ে এবং সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। সকালে খালি পেটে ঘি খেলে কোষের পুনরুজ্জীবনের প্রক্রিয়া উন্নত হয়। যা আমাদের দেহে নিরাময় প্রক্রিয়াকে বৃদ্ধি করে। তাই পরিমিত পরিমাণ ঘি খান এবং সুস্থ থাকুন।
ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর / FAQ’s
১. গাওয়া ঘি এর উপকারিতা কি?
উত্তর : গাওয়া ঘি এর উপকারিতা :
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে ।
- হাড়ের গঠন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
- মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
২. ঘি আসলে কি?
উত্তর : দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য ঘি এবং এটি আসলে সম্পৃক্ত চর্বি। ঘি (Clarified Butter) এর প্রায় ৯৯.৯% চর্বি। বাকি ০.১% হলো জলীয় দ্রবণ যা চর্বিতে দ্রবণীয়। সম্পৃক্ত চর্বি হওয়ার কারণে সাধারণ তাপমাত্রাতেই এতে সংরক্ষণ করা যায়। ঘি সহজে নষ্ট হয় না। এমনকি শত বছর পর্যন্তও ভালো থাকে।
৩. ঘি কিভাবে তৈরি করা হয়?
উত্তর : দুধ থেকে ঘি তৈরি করা হয়। প্রথমে দুধ থেকে মাখন বা বাটার তৈরি করতে হবে। এরপর সেই মাখন ভালোভাবে ফেটে নিয়ে (মথিত করে) জ্বাল দিতে হবে। জ্বাল দেওয়ার ফলে চর্বি থেকে তরল এবং দুধের কঠিন অংশগুলো আলাদা হয়ে যায়। তরল পদার্থ বাষ্পীভূত হওয়া এবং দুধের কঠিন পদার্থ সোনালী থেকে গাড় বাদামী বর্ণ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বাদামী বর্ণ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। এরপর ঠান্ডা হলে ছেঁকে নেন ঘি।
৪. প্রতিদিন কতটুকু ঘি খাওয়া উচিত?
উত্তর : ঘি এর উপকারিতা পাওয়ার জন্য পরিমাণ মতো খেতে হবে। প্রতিদিন ১ চা চামচ ঘি খেলে ভালো। তবে ২ চা চামচ এর বেশি ঘি খাওয়া উচিত নয় দিনে।
৫. অতিরিক্ত ঘি খেলে কি হয়?
উত্তর : অতিরিক্ত ঘি খেলে দেখা দিতে পারেন নানা রকম সমস্যা। যেমন – পেটের সমস্যা, বদহজম, গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি।
৬. ঘি খাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন?
উত্তর : চিকিৎসকদের মতে, ঘি খাওয়ার উপযুক্ত সময় শীতকাল। তবে সারা বছরই খেতে পারবেন ঘি। ঘি শরীরকে ভেতর থেকে হাইড্রেট রাখে। তাই গরমকালে পানির অভাব অনেকটাই পূরণ হয় ঘি খেলে। পরিমাণ মতো ঘি সুস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অনেক সাহায্য করে।
আরও পড়ুন-
লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
ওজন কমানোর উপায়