ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়
আপনার দৈনিক খাবার ও পানীয়ের পরিমাণ নির্ভর করে বেশ কিছু বিষয়ের উপর। এর মধ্যে রয়েছে আপনার বয়স,
লিঙ্গ, শারীরিক পরিশ্রম, ওজন নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ধরণ।
সুষম খাদ্যাভ্যাস বলতে বোঝায় নির্দিষ্ট কিছু খাবার বেশি পরিমাণে এবং অন্যান্য খাবারগুলো কম পরিমাণে খাওয়া।
কেবল এক ধরনের খাবার দেহের সব পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণ করতে পারে না।
তাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মূল হল বৈচিত্র্য। আজকের আর্টিকেলে ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়, ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যাভ্যাস কেমন হওয়া উচিত, কোন কোন খাবার ডাযাবেটিস রোগীদের খাওয়া যাবে না ইত্যাদি বিষয় বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় ও তার সমাধান
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্যাভ্যাস

ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয় জানার পূর্বে ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্যাভ্যাস কেমন হবে তা জানতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্যাভ্যাস হওয়া উচিত যেভাবে নিম্নোক্ত নির্দেশনা অনুসারে:
- নিয়মিত খাবার খাওয়া: ডায়াবেটিসে রোগীরা নিয়মিত খাবার খাওয়া উচিত, নির্দিষ্ট সময়ে সম্মান করে।
- কার্বোহাইড্রেট সংযোজন: কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ মেটানো উচিত এবং কার্বোহাইড্রেটের ধারণার জন্য অ্যাল্টারনেটিভ সংক্রান্ত খাবারে মাঝামাঝি পুরো করা উচিত।
- প্রোটিন ও ফ্যাটের সম্মিশ্রণ: প্রোটিন এবং ফ্যাটের উচিত সংমিশ্রণ খাওয়া উচিত, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
- তাজা ফল ও সবজি: তাজা ফল ও সবজির উপভোগ উচিত, যা পুষ্টিগুলি সরবরাহ করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- মিষ্টির সংযোজন: মিষ্টির পরিমাণ সংক্রান্ত সতর্ক হওয়া উচিত, এবং সাধারণত নির্দিষ্ট মিতার মধ্যে রাখা উচিত।
- পর্যাপ্ত পানি: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান উচিত, যা ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
এই নির্দেশনাগুলির মেধা করে এবং নিজের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের সাথে আলাপ করে নিশ্চিত হোন।
ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয় – খাদ্য তালিকা
ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয় জানার সাথে সাথে খাদ্য তালিকা ঠিক করতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকায় নিম্নলিখিত উপাদানগুলি অবশ্যই থাকতে হবে:
- তাজা ফল: সেব, কমলা, আঙ্গুর, আপেল ইত্যাদি।
- সবজি: শাকসবজি যেমন পালং শাক, শিম, মুলা, গাজর, ফুলকপি।
- প্রোটিন: ডাল, মাছ, চিকেন, ডিম।
- দারুচিনি ও লবণের বিশেষ মিশ্রণ: এটি খাদ্যের স্বাস্থ্যকর রক্ষা করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- পর্যাপ্ত পানি: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
- কার্বোহাইড্রেট: পুষ্টিগুলির জন্য অন্যান্য খাবারে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা মেটানো উচিত।
উপরের উল্লেখগুলি অনুসারে খাদ্য তালিকা তৈরি করা উচিত এবং নিয়মিত খাওয়া উচিত। এছাড়াও, ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকায় আমিষ, মিষ্টি, চর্বি এবং অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেটের খাবার থাকা উচিত নয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিছু ভালো ফল
ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয় যদি জানতে চায় তার মধ্যে এটি একটি। ফলের বিকল্প কিছু নেই।
নাশপাতি
এতে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
আপেল
এতে ফাইবার এবং পেকটিন থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কমলা
এতে ভিটামিন সি এবং ফাইবার থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
জাম্বুরা
এতে অ্যান্থোসায়ানিন থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা উন্নত করে।
লেবু
এতে ভিটামিন সি এবং ফাইবার থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য শাকসবজি
ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয় যদি বলতে চাই আমাদের তিন বেলার খাবারের মধ্যে দুই বেলার খাবারে এই থাকা জরুরী।
পালং শাক
এতে ফাইবার এবং ভিটামিন কে থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
লাউ শাক
এতে ফাইবার এবং ভিটামিন সি থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কুমড়া
এতে ফাইবার এবং ভিটামিন এ থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো।
ঢেঁড়স
এতে ফাইবার এবং পটাশিয়াম থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
বেগুন
এতে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য শ্বেতসার-সমৃদ্ধ খাবার
ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয় বলতে গেলে শ্বেতসার সমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন। ডায়াবেটিস রোগীরা শ্বেতসার-সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন নিম্নলিখিত খাবারগুলি
- দুধ এবং দুধ থেকে তৈরি পণ্য: দুধ, দই, চানাচুর, পানির দুধ, পনির, সন্নান্য দুধ থেকে তৈরি পণ্য।
- দারুচিনি: এটি খাদ্যের স্বাস্থ্যকর রক্ষা করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- সবজি এবং ফল: লাউ, পেঁপে, তক্ষণ, মুলা, পরবতী পরবতী, ব্রোকলি, ক্যাপসিকাম, স্পিনাচ, টমেটো, ফুলকপি, গজর, আলু, অলিভ ইত্যাদি।
- ডাল: মসুর ডাল, মুগ ডাল, চানার ডাল ইত্যাদি।
- শাক এবং সবজি: সাদা শাক, মেথি পাতা, পালং শাক, করলা, বোটলগোরু, শীতকালীন সবজি ইত্যাদি।
উপরের উল্লিখিত খাবারগুলি শ্বেতসার-সমৃদ্ধ এবং ডায়াবেটিস রোগীদের ক্যালরি ও শুগারের নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে, ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যের পরিমাণ এবং বিভিন্ন খাবারের সমন্বয় প্রতিদিনের খাবার তালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত করা উচিত।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার
ডায়াবেটিস রোগীরা প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন যেমন:
- মাছ এবং সমুদ্র খাবার: মাছে প্রোটিন এবং অনেক পুরাতন ওমেগা-৩ চর্বি থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের সাহায্য করতে পারে।
- ডাল এবং পুল্স: ডাল এবং পুল্স অত্যন্ত ভালো প্রোটিনের উৎস এবং তা প্রাকৃতিক শরীরের রক্ত শর্করার প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- ডিম: ডিম প্রোটিনের অগ্রগামী উৎস এবং ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যেমন তা সাপোর্ট করে রক্ত শর্করার প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণে।
- পুষ্টিগুলি: সোয়া প্রোটিন ভিত্তিক খাদ্য, সোয়া মিল্ক, পেনাট বাটার এবং শীতকালীন প্রোটিন ড্রিংকস সহিত সোয়া আতা পরিবেশন করতে পারেন।
- কোয়ার্ট মিল্ক: কোয়ার্ট মিল্ক প্রোটিনের উৎস হিসাবে দেখা যায় এবং অন্যান্য সারা মিল্কের প্রাথমিক সম্পর্কে এটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
- চিকেন ব্রেস্ট: চিকেন ব্রেস্ট প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং অল্প চর্বি থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো প্রোটিনের উৎস হিসাবে পরিচিত।
ডায়াবেটিস রোগীরা এই প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবারগুলি নিয়ে তাদের খাদ্য তালিকা পরিচালনা করতে পারেন এবং পুষ্টি পরিমাপে আবার তাদের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে পারেন।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিছু ভালো তেল
যদি জানতে চাই ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়? তাহলে এর মধ্যে কিছু তেল ও রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সঠিক তেল নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ তেল শরীরে চর্বি ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
- জাতির তেল: জাতির তেলে অনেক প্রাচীন ঔষধী গুণ রয়েছে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের লাভজনক।
- অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ রয়েছে এবং এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- কোকোনাট অয়েল: কোকোনাট অয়েল ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়ন্ত্রণে মাধুর্য প্রদান করে এবং লো গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স সাহায্যে তা প্রতিস্থাপন করে যা ডায়াবেটিস ম্যানেজমেন্টে গুরুত্বপূর্ণ।
- এভোকাডো অয়েল: এভোকাডো অয়েলে অমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ও প্রোটিনের ভালো উৎস রয়েছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- ফিশ অয়েল: ফিশ অয়েলে অমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড অনেক বেশি পরিমাণে থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করে।
- অলিভ এবং আভকাডো অয়েল: এই তেলগুলি ডায়াবেটিস রোগীদের কোলেস্টেরল স্তর নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি এসিডের উৎস হিসাবে পরিচিত।
এই তেলগুলি ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। তবে, ডায়াবেটিস রোগীদেরের অত্যন্ত সতর্কতার সাথে এই তেলগুলি ব্যবহার করা উচিত যাতে তাদের স্বাস্থ্যকে কোনো ক্ষতি না হয়।
ডায়াবেটিস রোগী যে খাবার এড়িয়ে চলবেন
ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয় জানার পাশাপাশি যে খাবারগুলো বর্জন করতে হবে সেগুলো সম্পর্কে জানতে হবে।
চিনিযুক্ত খাবার
মিষ্টি, চকোলেট, কেক, বিস্কুট, কোলা, ফ্যান্টা
চিনিযুক্ত পানীয়
- ফলের রস, কোলা, ফ্যান্টা, স্পোর্টস ড্রিঙ্ক, শক্তি পানীয়
- আইসক্রিম, জিলাপি, রসগোল্লা
উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার
- ভাজা খাবার, ফাস্ট ফুড, রেড মিট
- পূর্ণ চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার: মাখন, পনির, ক্রিম
- নারকেল দুধ, নারকেল তেল
প্রক্রিয়াজাত খাবার
- সসেজ, স্যামসেজ, নুডুলস, ফার্ন
- স্যাচেটযুক্ত খাবার, তৈরি স্যুপ, তৈরি মসলা
অন্যান্য
- সাদা ভাত
- সাদা রুটি
- আলু
- কাঁচা কলা
- খেজুর
পরিশেষে
ডায়াবেটিস একটি জটিল রোগ। যে রোগের রোগীর কোন নিস্তার নেই। সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয় এই রোগ।
একবার ডায়াবেটিস হয়ে গেলে কিছু খাদ্যাভাস গ্রহণের মাধ্যমে আমরা নিজেদের কিছুটা হলেও আরোগ্য করতে পারি। আশা করি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয় সম্পর্কিত বিস্তারিত বোঝাতে পেরেছি।
ডায়াবেটিস সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর / FAQ
১। কি কি খাবার খেলে সুগার কমে যায়?
উত্তরঃ নিয়মিত খেলে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবেই। ডায়াবেটিসের সমস্যায় এমন ফল খান যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। কালো আঙুর, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, কালোজাম, কিউই, পেঁপে,শসা, পেয়ারা এসব ফল রোজ খান নিয়ম করে। ফলের মধ্যে থাকে ভিটামিন সি, কে, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, ফাইবার।
২। নিম পাতা খেলে কি ব্লাড সুগার কমে?
উত্তরঃ নিমের পাতা রক্তের সুগার লেভেল কমতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্ত নালীকে প্রসারিত করে রক্ত সংবহন উন্নত করে। ভালো ফল পেতে নিমের কচি পাতার রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। সকালে খালি পেটে ৫টি গোলমরিচ ও ১০টি নিম পাতা বেটে খেলে তা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।
৩। খালি পেটে কত পয়েন্ট হলে ডায়াবেটিস হয়?
উত্তরঃ খালি পেটে সুগারের লেভেল ( Fasting blood sugar – FBS )যদি ৮০ থেকে ১০০র মধ্যে থাকে, আর খাবার ২ ঘণ্টা পরে (Postprandial ) সুগারের মাত্রা যদি ১৪০ এর আশেপাশে থাকে, তাহলে চিন্তা করার বড় কোনও কারণ নেই। যাঁরা বহুদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাঁদের বাড়িতে একটি গ্লুকোমিটার থাকা আবশ্যক।
আরও পড়ুন-
ডায়াবেটিসের লক্ষণ, প্রতিরোধে করনীয় ও চিকিৎসা
কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে ও সঠিক খাবার তালিকা