কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম
কোষ্ঠকাঠিন্য বলতে সাধারণত বোঝায় শুষ্ক এবং কঠিন মল নিষ্কাশন। এই অবস্থায় প্রতিটি ব্যক্তির মলত্যাগ করা কঠিন হয়ে পড়ে। যখন কোন ব্যক্তির সহজ ভাবে মল ত্যাগ করার সময় বাধা আসে তখন তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে একজন ব্যক্তি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করার পরেও যদি এক সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ করে তখন তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে। কোষ্ঠকাঠিন্য দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা ও হতে পারে।
আবার কিছু মানুষের কয়েকদিনের মধ্যেই প্রাকৃতিকভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পান। বাজারে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার কিছু সিরাপ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: অ্যাভোলাক সিরাপ (Avolac syrup), মিল্ক অফ ম্যাগ্নেসিয়া (Milk of Magnesia)।
এছাড়াও আমরা পরবর্তীতে আরো কিছু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঔষধ এবং ঘরোয়া পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম নিয়ে আলোচনা করা যাক।
আরও পড়ুনঃ থাইরয়েড কমানোর ঘরোয়া উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় অন্ত্রের গতিবিধি স্বাভাবিকের থেকে শক্ত হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: শক্ত মলত্যাগ, পেট ফেঁপে থাকা, পেটে ব্যথা ইত্যাদি। চলুন এক নজরে দেখে নেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় সমূহ কি কি?
- বেরি জাতীয় ফল,
- কমলা,
- গমের আটা,
- সবুজ শাকসবজি,
- কলা,
- কলমি শাক,
- পর্যাপ্ত পানি,
- ত্রিফলা,
- ভাজা মৌরি,
বেরি জাতীয় ফল
বেরি জাতীয় ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। রাস্পবেরির এক কাপ বেরি ফল সেবনে ৮ গ্রাম ফাইবার পাওয়া যায়। সকালের যে কোন নাস্তায় বেরি মিশিয়ে খেলে পাচনতন্ত্র মসৃণ ভাবে চলে।
কমলা
একটি কমলা থেকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং নারিনজেনিন পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন এক থেকে দুইটি কমলা খেলে মল নরম হবে এবং ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ হবে।
গমের আটা
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় গমের কার্নেলের বাইরের স্তরে প্রচুর ফাইবার থাকে। যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষেত্রে ভালো ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে লাল গমের আটা সবথেকে উপকারী।
সবুজ শাকসবজি
বিভিন্ন রকম মৌসুমী সবুজ শাক-সবজি তে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে তারা খাবার তালিকায় সব ধরনের সবুজ শাকসবজি রাখুন।
কলা
কলা একটি উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ ফল। কলা শরীরের ভেতরের বর্জ্য বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কলা খাওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। এতে করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি কমে যাবে।
কলমি শাক
কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি পাচনতন্ত্রের পরিপাক এবং বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় খাবার তালিকায় কলমি শাক রাখুন।
পর্যাপ্ত পানি
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত। এক্ষেত্রে প্রতিদিন ৩ লিটার এর বেশী পানি পান করুন।
ত্রিফলা
ত্রিফলায় বিদ্যমান গ্লাইকোসাইড কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। গরম পানিতে ত্রিফলা দিয়ে চা তৈরি করে খেলে খুব তাড়াতাড়ি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
ভাজা মৌরি
ভাজা মৌরি খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিক এনজাইম তৈরি হয় যা হজম ক্রিয়ায় সাহায্য করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম -ট্যাবলেট
বাজারে কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করার বিভিন্ন ঔষধ রয়েছে। কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য প্রথমে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত। কোন কিছুতে কাজ না হলে তখন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে। চলুন জেনে নেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ট্যাবলেট এর নাম:
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ট্যাবলেট | মিলিগ্রাম | মূল্য |
এমিগো ট্যাবলেট (Emigo Tablet) | ৮ এম জি | ৩.০০ টাকা |
ওন্সেট ট্যাবলেট (Onset Tablet) | ৮ এম জি | ৯০ টাকা |
এমসেট ট্যাবলেট (Emeset Tablet) | ৮ এম জি | নয় টাকা ৬০ পয়সা |
ওন্ডেম ট্যাবলেট (Ondem Tablet) | ৮ এম জি | ২৭ টাকা ৬৯ পয়সা |
সেট্রোনেম ট্যাবলেট (Setronem Tablet) | ৮ এম জি | ৪৫ টাকা |
ডুরালাক্স (Duralax) | ৫ মিলিগ্রাম | ১৪০ টাকা |
ডুলকোলাক্স (Dulcolax) | ৫ মিলিগ্রাম | ২৯০০ টাকা |
ল্যাক্টুলোজ (Lactulose) | ৬০ মিলিগ্রাম | ৭০ টাকা |
সেনা ট্যাবলেট (Senna tablet) | এক টাকা তেরো পয়সা |
দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কিছু খাবার ম্যাজিক এর মত কাজ করে। যেগুলো খুব তাড়াতাড়ি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। হবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা চিরতরে দূর করার জন্য আপনার জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনুন এবং খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করুন।
প্রতিদিন সুষম খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম এর সাথে আরও কিছু খাবার আছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। চলুন এক নজরে দেখে নিন দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় সমূহ কি কি?
- নাশপাতি,
- আপেল,
- তোকমা,
- টক দই,
- ইসুবগুলের ভুষি,
- বেলের শরবত।
নাশপাতি
আমাদের প্রতিদিন যে ফাইবার প্রয়োজন হয় তার প্রায় ২২ শতাংশ পূরণ হবে প্রতিদিন একটি করে নাশপাতি খেলে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় প্রতিদিন একটি করে নাশপাতি খান।
আপেল
আপেলের খোসায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় খোসা সহ আপেল খেতে হবে। খোসা সহ আপেল কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে।
তোকমা
তোকমা পানির সাথে ভিজিয়ে রেখে খাওয়া যায়, আবার আপনি চাইলে বিভিন্ন শরবতের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। নিয়মিত তোকমা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে।
টক দই
টক দইয়ে রয়েছে প্রবায়োটিক এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড। টক দই খেলে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। না হলে শরীরে পানি শূন্যতা তৈরি হবে। তাই প্রতিবেলায় খাবারের পর কিছু পরিমাণে টক দই খাওয়ার অভ্যাস করুন।
ইসুবগুলের ভুষি
ইসুবগুলের ভুষিতে দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে। যা মল পরিষ্কার করতে এবং মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ইসুবগুলের ভুষি ভেজানো পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা চিরতরে দূর হবে।
বেলের শরবত
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে বেলের শরবত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সহ পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর হবে। তাই সকালে উঠে এক গ্লাস পেলে শরবত খাওয়ার চেষ্টা করুন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার হোমিওপ্যাথি ঔষধ
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম আমরা ইতিমধ্যে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। তবে অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় এলোপ্যাথিক ঔষধ সেবন করতে চান না। তাদের একমাত্র ভরসা হোমিওপ্যাথি ওষুধের উপর।
তবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় হোমিওপ্যাথি ঔষধ খুব ভালো কাজ করে। চলুন এক নজরে দেখে নিন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার হোমিওপ্যাথি ঔষধ গুলো কি কি?
কোষ্ঠকাঠিন্যের হোমিওপ্যাথি ঔষধ | মূল্য |
Nux Vomica (নাক্স ভোমিকা) | ৭৫০ টাকা |
Tabacum (টেবাকাম) | ৬০০ টাকা |
Kali Mur (কালি মোর) | ২০০ টাকা |
Anacardium (অ্যানাকার্ডিয়াম) | ৫৫০ টাকা |
Alumina (অ্যালুমিনা) | ১৫০০ টাকা |
Thuja (থুজা) | ২৭৫ টাকা |
Paraffin (প্যারাফিন) | ১৫০ টাকা। |
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় এলোপ্যাথিক ঔষধ থেকে হোমিওপ্যাথি ওষুধ সেবন করা ভালো। কারণ হোমিওপ্যাথি ঔষধে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এবং সেবনের পর থেকে শরীরের সুস্থতা বোধ করা যায়। কিন্তু এলোপ্যাথিক ঔষধ সেবনের পর কাজ হলেও পরবর্তীতে আবার সেবন না করা পর্যন্ত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে না।
গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম
গর্ভাবস্থায় প্রায় প্রতিটি নারী কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগে থাকেন। গর্ভাবস্থার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যেকোনো সময়ে এই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার সন্তান জন্ম দেওয়ার পরেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে যায়।
মূলত গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন খাদ্য পরিপাকে সমস্যা হওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। এছাড়াও হরমোন জনিত কারণে ক্ষেত্রে দায়ী থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। কিন্তু গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার খুব বেশি ঔষধ চিকিৎসকরা সাজেস্ট করেন না।
এ সময় তারা সবুজ শাকসবজি এবং তরল জাতীয় খাবার খেয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে বলেন। কারণ এ সময় যে কোন ওষুধ গর্ভস্থ শিশুর উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম হল ল্যাকটুলোজ সিরাপ।
গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করলে এই সিরাপটি খেয়ে দেখতে পারেন। তবে এই সিরাপে কাজ না হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।
বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়
সকল মায়েদের একটি কমন অভিযোগ যে বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে। আবার অনেক মায়েরা রয়েছে যারা খেয়াল করেন না বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে কিনা অথবা বাচ্চার কি ধরনের পায়খানা করছে।
কোন বাচ্চা যদি সপ্তাহে তিনবার স্বাভাবিক পায়খানা করে তবে তার কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে বলে ধরা যাবে না। বাচ্চাদের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম প্রযোজ্য নয়।
চলুন দেখে নিয়ে বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো কি কি।
- শিশুকে মৌসুমী ফলমূল খাওয়ান, শিশুর খাদ্যাভ্যাসে রঙিন ফলমূল যুক্ত করুন।
- বাইরে থেকে প্যাকেট জাত জুস বাচ্চাকে খাওয়াবেন না, ঘরে থাকা বিভিন্ন ফল দিয়ে জুস তৈরি করে বাচ্চাকে খাওয়ান।
- শিশু যেখানে টয়লেট করতে পছন্দ করে সেই স্থানে বাচ্চাকে প্রতিদিন দশ মিনিট বসিয়ে রাখুন। যদি টয়লেট না করে তাও প্রতিদিন বসিয়ে রাখুন। এতে করে টয়লেট এর অভ্যাস তৈরি হবে।
- প্রতিদিন বাচ্চাকে খেলাধুলা করা এবং কায়িক শ্রম করতে দিন। দৌড়াদৌড়ি করলে শরীরের ব্যায়াম হয়, এতে করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে।
- শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে দিন,
- তরল জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়ান।
- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কিছুদিনের জন্য মাংস জাতীয় খাবার বন্ধ রাখুন।
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করতে হবে
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কিছু খাবারের মাধ্যমে সমস্যা থেকে পুরোপুরি পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন খাবার নিয়ে আলোচনা করেছি যেগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
অনেকেই জানতে চান কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করতে হবে? চলুন এক নজরে দেখে নিই কোষ্ঠকাঠিন্য হলে মে সব খাবারের মাধ্যমে পুরোপুর এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব সেগুলো কি কি?
তেজপাতা: শুনতে অদ্ভুত লাগলেও প্রতিটি খাবারে তেজপাতা ব্যবহার করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ধীরে ধীরে কমে আসে। এক্ষেত্রে তেজপাতা দিয়ে তৈরি চা কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
লাউ পাতা: লাউপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ল্যাক্সেটিভ। এটা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
মাসকলাইয়ের ডাল: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এড়াতে মাসকলাইয়ের ডাল খুব ভালো কাজ করে। মাশকলার ডাল ভেঙে গুঁড়ো করে পানির সঙ্গে পান করুন।
খেজুর: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয়টা খেজুর অল্প পরিমাণ ঘি গোলমরিচের গুড়োর সঙ্গে মিশিয়ে খান। তারপর এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করুন। নিয়মিত সকালে এটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা চিরতরে দূর হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাঁচার উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাঁচার জন্য খাবার-দাবারের পাশাপাশি জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। এবং এই পরিবর্তনগুলো সারা জীবন মেনে চলার চেষ্টা করা উচিত। এতে করে কোষ্ঠকাঠিন্যের পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য সমস্যা ও দূর হবে। চলুন জেনে নিই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাঁচার উপায়-
- রাত জাগবেন না, রাতে ভাল ঘুম হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
- মল চেপে রাখার অভ্যাস বাদ দিন।
- প্রচুর পানি পান করুন।
- আশ জাতীয় খাবার এবং তরল খাবার অধিক পরিমাণে খান।
- প্রতিদিনের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় অ্যালোভেরা পাতার নির্যাস খাওয়ার অভ্যাস করুন।
- প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ইসুবগুলের ভুষি খান।
- মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
- ফাস্টফুড এবং অধিক চিনি মিশ্রিত বেকারি খাবার এড়িয়ে চলুন।
এগুলোতে কাজ না হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যারা দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন এবং এ রোগ থেকে কিছুতেই পরিত্রাণ পাচ্ছেন না আশা করি আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।
তবে মনে রাখবেন কোষ্ঠকাঠিন্য কোন সহজ রোগ নয়। এটি পুষে রাখলে মারাত্মক অসুখ হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ
১) কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দিনে কতটুকু পানি পান করা উচিত?
উত্তর: প্রতিদিন ৪ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করুন।
২) ৩০ মিনিটে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়?
উত্তর: এক গ্লাস উষ্ণ গরম পানি পান করে তলপেটে মাসাজ করুন।
৩) মল softeners নিরাপদ?
উত্তর: না এটা সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়, এর বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
আরও পড়ুন-
এলার্জি ঔষধ এর নাম, কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি
পাতলা পায়খানা হলে করণীয়, চিকিৎসা ও খাবার তালিকা