বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ এর নামের তালিকা

বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ

সাধারণত জীবাণু পেটে ঢোকার কারণে শিশুদের ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া একটি চিন্তার কারণ। কেননা, প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের ডায়রিয়া থেকে সৃষ্ট পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।

দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা না হলে এই পানিশূন্যতা মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। যদি শিশু বাচ্চার ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হয় তবে তাকে ডাক্তারি চিকিৎসা মতে ডায়রিয়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 

চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে একটি শিশু বাচ্চার যদি ৩ বার বা তার অধিক পাতলা পায়খানা হয় তাহলে সেটিকে আমরা ডায়রিয়া হিসেবে ধরে নিবো। 

বাচ্চাদের ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে তাহলে বাচ্চাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ লবণ পানি বের হয়ে যায়, যা পানি শূন্যতার কারণ। 

যার ফলে শিশুদের শরীর খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অস্থির হয়ে যায় প্রচুর পরিমাণ কান্না করে। যদি সঠিক সময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা না করেন তাহলে শিশুর মৃত্যু র্পযন্ত ঘটতে পারে। 

তাই বাচ্চাদের ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক পাতলা পায়খানার সিরাপ খাওয়াতে হবে। আজকের আর্টিকেলে বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ, সেবনবিধি, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, পাতলা পায়খানা হলে করণীয় ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব।

আরও পড়ুনঃ ঘুমের ঔষধ এর নাম, সেবনবিধি ও চিকিৎসা পদ্ধতি

পাতলা পায়খানার সিরাপ

বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ

নিম্নে কিছু বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ এর নাম 

  1. Amodis Syrup ( এমোডিস সিরাপ )
  2. Zox Syrup ( জক্স সিরাপ )
  3. Filmet Syrup ( ফিলমেট সিরাপ )
  4. Nitanid Syrup ( নাইটানিড সিরাপ )
  5. Zinc Syrup ( জিংক সিরাপ )

সারণত বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ হিসেবে এই সব নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।

যদি আপনার শিশুর পাতলা পায়খানা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই এই সিরাপ গুলোর মধ্যে যে কোন ১টি সেবন করাতে পারেন। এই সিরাপ গুলো পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া রোগীদের জন্য প্রচুর পরিমাণ উপকারী। 

যদি কোনো সময় আপনার শিশুর পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখেন তাহলে অবশ্যই সিরাপের মধ্যে একটি সিরাপ আপনার বাচ্চাকে সেবন করান।

আপনাকে মনে রাখতে হবে এই ওষুধগুলো শিশু বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা এবং আমাশা বন্ধ করতে সহায়তা করবে পাশাপাশি এ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে কাজ করবে।

 আপনার শিশুর পাতলা পায়খানা হয় তাহলে আপনার বাচ্চার পানি শূন্যতা দেখা দিবে। তাই অবশ্যই আপনি পানিশল্পতা দূর করার জন্য প্রচুর পরিমাণ খাবার স্যালাইনের পানি খাওয়াতে হবে।

বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ – সেবনবিধি

বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ এর সেবনবিধি। অন্যান্য রোগের জন্য সেবনবিধি।

ট্রাইকোমোনিয়াসিস (প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১০ বৎসরের উপরের বাচ্চা)-

  • ২০০ মিঃগ্রাঃ করে দিনে ৩ বার বা ৪০০ মিঃগ্রাঃ করে দিনে ২ বার। চিকিৎসার সময়কালঃ ৭ দিন
  • ৮০০ মিঃগ্রাঃ করে প্রতিদিন সকালে এবং ১-২ গ্রাম করে প্রতিদিন রাতে। চিকিৎসার সময়কালঃ ২ দিন
  • ২ গ্রাম, একক মাত্রা হিসেবে প্রতিদিন। চিকিৎসার সময়কালঃ ১ দিন

ট্রাইকোমোনিয়াসিস (বাচ্চা)-

  • ৭-১০ বৎসরঃ ১০০ মিঃগ্রাঃ করে ৩ বার
  • ৩-৭ বৎসরঃ ১০০ মিঃগ্রাঃ করে ২ বার
  • ১-৩ বৎসরঃ ৫০ মিঃগ্রাঃ করে ৩ বার

ইনটেস্টিনাল এ্যামেবিয়াসিস (প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১০ বৎসরের উপরের বাচ্চা)-

  • ৮০০ মিঃগ্রাঃ করে ৩ বার। চিকিৎসার সময়কালঃ ৫ দিন

ইনটেস্টিনাল এ্যামেবিয়াসিস (বাচ্চা)-

  • ৭-১০ বৎসরঃ ৪০০ মিঃগ্রাঃ করে ৩ বার
  • ৩-৭ বৎসরঃ ২০০ মিঃগ্রাঃ করে ৪ বার
  • ১-৩ বৎসরঃ ২০০ মিঃগ্রাঃ করে ৩ বার

এক্সট্রা ইনটেস্টিনাল ও লক্ষণবিহীন এ্যামেবিয়াসিস (প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১০ বৎসরের উপরের বাচ্চা)-

  • ৪০০- ৮০০ মিঃগ্রাঃ করে দিনে ৩ বার। চিকিৎসার সময়কালঃ ৫-১০ দিন

এক্সট্রা-ইনটেস্টিনাল ও লক্ষণবিহীন এ্যামেবিয়াসিস (বাচ্চা)-

  • ৭-১০ বৎসরঃ ২০০-৪০০ মিঃগ্রাঃ করে ৩ বার
  • ৩-৭ বৎসরঃ ১০০-২০০ মিঃগ্রাঃ করে ৪ বার
  • ১-৩ বৎসরঃ ১০০-২০০ মিঃগ্রাঃ করে ৩ বার

এক্সট্রা-ইনটেস্টিনাল এবং লক্ষণবিহীন এ্যামেবিয়াসিস (বাচ্চা)-

  • ৭-১০ বৎসরঃ ২০০-৪০০ মিঃগ্রাঃ করে ৩ বার
  • ৩-৭ বৎসরঃ ১০০-২০০ মিঃগ্রাঃ করে ৪ বার
  • ১-৩ বৎসরঃ ১০০-২০০ মিঃগ্রাঃ করে ৩ বার

জিয়ারডিয়াসিস (প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১০ বৎসরের উপরের বাচ্চা)-

  • দৈনিক ২ গ্রাম করে ১ বার। চিকিৎসার সময়কালঃ ৩ দিন

জিয়ারডিয়াসিস (বাচ্চা)-

  • ৭-১০ বৎসরঃ ১ গ্রাম করে ১ বার
  • ৩-৭ বৎসরঃ ৬০০-৮০০ মিঃগ্রাঃ করে ১ বার
  • ১-৩ বৎসরঃ ৫০০ মিঃগ্রাঃ করে ১ বার

তীব্র আলসারেটিভ – জিনজিভাইটিস (প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১০ বৎসরের উপরের বাচ্চা)-

  • ২০০ মিঃগ্রাঃ করে ৩ বার। চিকিৎসার সময়কালঃ ৩ দিন

তীব্র আলসারেটিভ জিনজিভাইটিস (বাচ্চা)-

  • ৭-১০ বৎসরঃ ১০০ মিঃগ্রাঃ করে ৩ বার
  • ৩-৭ বৎসরঃ ১০০ মিঃগ্রাঃ করে ২ বার
  • ১-৩ বৎসরঃ ৫০ মিঃগ্রাঃ করে ৩ বার

তীব্র দাঁতের সংক্রমণে (প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১০ বৎসরের উপরের বাচ্চা)-

  • ২০০ মিঃগ্রাঃ করে ৩ বার। চিকিৎসার সময়কালঃ ৩-৭ দিন

ব্যাকটেরিয়াল – ভ্যাজিনোসিস (প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১০ বৎসরের উপরের বাচ্চা)

  • ৪০০ মিঃগ্রাঃ করে ২ বার। চিকিৎসার সময়কালঃ ৭ দিন
  • ২ গ্রাম, দিনে একক মাত্রা হিসেবে। চিকিৎসার সময়কালঃ ১ দিন

পায়ের ঘা এবং প্রেসার সোরস্ (প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১০ বৎসরের উপরের বাচ্চা)-

  • ৪০০ মিঃগ্রাঃ করে ৩ বার। চিকিৎসার সময়কালঃ ৭ দিন

এনারুবিক – ইনফেকশন (প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১০ বৎসরের উপরের বাচ্চা)-

  • প্রারম্ভিক অবস্থায় ৮০০ মিঃগ্রাঃ এবং পরবর্তীতে ৪০০ মিঃগ্রাঃ করে দিনে ৩ বার। চিকিৎসার সময়কালঃ ৭ দিন

এনারুবিক ইনফেকশন (বাচ্চা)-

  • ১-১০ বৎসরঃ ৭.৫ মিঃগ্রাঃ/কেজি করে ৩ বার

সার্জিক্যাল প্রোফাইলেক্সিস (প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১০ বৎসরের উপরের বাচ্চা)-

  • সার্জারির ২৪ ঘন্টা পূর্বে ৪০০ মিঃগ্রাঃ করে দিনে ৩ বার করে সেবন করতে হবে। চিকিৎসার সময়কালঃ ৭ দিন

সার্জিক্যাল প্রোফাইলেক্সিস (বাচ্চা)-

  • ১-১০ বৎসরঃ ৭.৫ মিঃগ্রাঃ/কেজি করে ৩ বার

বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ পায়খানার পাশাপাশি উপরিক্ত কারণে এ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে চিকিৎসক পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ঔষধের মিথস্ক্রিয়া

ডাইসালফাইরাম

বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ এবং ডাইসালফাইরাম এক সাথে ব্যবহার করলে মানসিক প্রতিক্রিয়ার উদ্ভব হতে পারে বলে রিপোর্ট পাওয়া গেছে।

অ্যালকোহল

পাতলা পায়খানার সিরাপ দ্বারা চিকিৎসা চলাকালীন সময় এবং শেষ হবার অন্তত ১ দিন পর পর্যন্ত রোগীদের অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় সেবন করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিতে হবে। 

কারন সেটা ডাইসালফাইরাম প্রতিক্রিয়ার অ্যানটাবউস ইফেক্ট- ত্বকে অত্যধিক রক্ত সরবরাহ, বমি, দ্রুত হৃদস্পন্দন কারন হতে পারে।

এন্টিকোয়াগুলেন্ট চিকিৎসা (ওয়ারফেরিন জাতীয়)

হেপাটিক ক্যাটাবলিসম কমে যাওয়ার কারনে এন্টিকোয়াগুলেন্ট এর প্রভাব বৃদ্ধি পায় এবং রক্তক্ষরন এর সম্ভবনা বেড়ে যায়। 

বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপএর সাথে দেওয়া হলে নিয়মিত প্রোগ্রন্থিন টাইম পর্যবেক্ষণ করতে হবে, সাথে এন্টিকোয়াগুলেন্ট-এর মাত্রা সমন্বয় করতে হবে।

লিথয়াম

বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপদ্বারা রক্তের প্লাজমা তে লিথিয়াম এর মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

সাইক্লোস্পরিন

সেরাম এ সাইক্লোস্পরিন এবং ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা নিবির ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে যদি বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ এর সাথে দেওয়া হয়।

ফেনাইটয়েন অথবা ফেনোবারবিটাল: বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপনিঃসরণ এর মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় প্লাজমাতে পরিমান কমে যায়।

৫-ফ্‌লুরোইউরাসিল

শরীর থেকে নিঃসরণ এর মাত্রা কমে যাওয়ায় ৫-ফলুরোইউরাসিল দ্বারা বিষক্রিয়ার সম্ভবনা বৃদ্ধি পায়।

বিউসালফান

বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ প্লাজমাতে বিউসালফান এর পরিমান বাড়িয়ে দেয় যা বিউসালফান জনিত বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

নির্দেশনা

বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ মেট্রোনিডাজল ও অন্যান্য নাইট্রোইমিডাজল জাতীয় ডেরিভেটিভের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

চিকিৎসার সময় বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ সেবনের ফলে ধাতব স্বাদ, বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, তন্দ্রাচ্ছন্নতা, রেশ দেখা যেতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

US FDA প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরী অনুযায়ী মেট্রোনিডাজল ‘B’ জাতীয় ঔষধ। অর্থাৎ, গর্ভাবস্থায় ব্যবহারের সুনিয়ন্ত্রিত ও পর্যাপ্ত কোন তথ্য নেই। 

যেহেতু প্রাণিজ প্রজনন গবেষণা সর্বদা মানবদেহে কার্যকারিতা সম্বন্ধে পূর্ব ধারণা দেয় না, সেহেতু এই ঔষধটি গর্ভাবস্থায় সুনির্দিষ্টভাবে প্রয়োজন হলেই ব্যবহার করা উচিত। 

মেট্রোনিডাজল স্তন্যদুগ্ধে নিঃসৃত হয়। সুতরাং, স্তন্যদাত্রী মায়েদের ক্ষেত্রে মেট্রোনিডাজল ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

সতর্কতা

যদি কোন কারনবশত নির্ধারিত সময়কালের অধিক সময় ধরে এ্যামোডিস সেবন করতে হয় সেক্ষেত্রে সেবনকারীর রক্ত পরীক্ষা, বিশেষ করে শ্বেত রক্তকনিকার সংখ্যা, নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে।

রোগীর বিরূপ প্রতিক্রিয়া, যেমন- প্রান্তিক ও কেন্দ্রীয় স্নায়ুরোগ (পারেসথেশিয়া অ্যাটাকশিয়া, ঝিম ঝিম লাগা, খিঁচুনি), পর্যবেক্ষণ এর জন্য নজরদারিতে রাখতে হবে।

এ্যামোডিস হেপাটিক এনসেফেলোপ্যাথি রোগীদের সতর্কতার সাথে সেবন করা উচিত। রোগীদের সতর্ক করা উচিত যে এ্যামোডিস মূত্রকে ডার্ক করতে পারে।

বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার

যকৃতের সমস্যা

এ্যামোডিসের বিপাক প্রধানত যকৃতে জারন দ্বারা হয়ে থাকে। যকৃতের গুরুত্বর সমস্যার ক্ষেত্রে এ্যামোডিসের অপসারণে বড় ধরণের অবণতি ঘটতে পারে।

 যেসব রোগীদের হেপাটিক এন্সেফেলোপ্যাথি আছে তাদের ক্ষেত্রে এ্যামোডিস ঝুঁকিপূর্ণ হয় যার ফলাফলস্বরূপ রক্তে এর মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে এন্সেফেলোপ্যাথির লক্ষণসমূহ দেখা দিতে পারে। 

এই কারনে হেপাটিক এন্সেফেলোপ্যাথির রোগীদেও ক্ষেত্রে এ্যামোডিস সতর্কতার সাথে প্রয়োগ করতে হবে। দৈনিক মাত্রা এক তৃতীয়াংশে কমিয়ে নিয়ে এসে দিনে একবার প্রয়োগ করতে হবে। এ্যামোডিসের কারণে প্রস্রাব গাঢ় বর্ণের হতে পারে এই বাপারে রোগীকে সতর্ক করতে হবে।

কিডনির সমস্যা

কিডনি ফেইলিওর এর ক্ষেত্রে এ্যামোডিসের এলিমিনেশন হাফ-লাইফ অপরিবর্তিত থাকে। তাই এর মাত্রা পরিবর্তনের কোন প্রয়োজন হয় না। 

এই রোগীদের যদিও এ্যামোডিসের মেটাবোলাইট সমুহ শরীরে জমা থাকে। তবে এখনও এর কোন ক্লিনিক্যাল তাৎপর্য নেই। 

হেমোডায়ালাইসিস এর রোগীদের ক্ষেত্রে এ্যামোডিস এবং এর মেটাবোলাইট সমূহ ডায়ালাইসিসের ৮ ঘণ্টার মধ্যে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। 

এই কারণে হেমোডায়ালাইসিস করার সাথে সাথেই পুনরায় এ্যামোডিস দিতে হবে। Intermittent Peritoneal Dialysis (IDP) অথবা Continuous Ambulatory Peritoneal Dialysis (CAPD) এর রোগীদের ক্ষেত্রে এ্যামোডিসের মাত্রার কোনরূপ সমন্বয় সাধন করতে হবে না।

মাত্রাধিক্যতা

হত্যা ও দুর্ঘটনাজনিত ক্ষেত্রে, মেট্রোনিডজোল এর রিপোর্ট মোতাবেক সর্বোচ্চ ১২ গ্রাম সেবন এর ঘটনা পাওয়া গেছে। লক্ষনসমূহ- বমি, অ্যাটাক্সিয়া, সামান্য বিভ্রান্তি বা হ্যালুসিনেশন।

ব্যবস্থাপনা- মেট্রোনিডাজোলের বিষক্রিয়ার কোন প্রতিষেধক নাই। অতিরিক্ত পরিমানে সেবন করলে উপসর্গিক এবং সহায়ক চিকিৎসা দিতে হবে।

সংরক্ষণ

৩০° সে তাপমাত্রার নিচে সংরক্ষন করতে হবে। আলো থেকে দূরে রাখতে হবে। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে। মেয়াদউত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর ব্যবহার করা যাবে না।

পরিশেষে

বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ হিসেবে উপরেরগুলো খুবই কার্যকারী। এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে এ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে বাচ্চাদের জন্য বা বয়স্কদের জন্য চিকিৎসক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। 

বাচ্চাদের পাতলা বা ডায়রিয়া হলে সিরাপ খাওয়ানোর পাশাপাশি স্যালাইন পানি খাওয়ানো অতি জরুরী। না হলে বাচ্চারা পানিশূন্যতায় ভুগবে। পাশাপাশি সুষম পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। 

যেসব খাবার থেকে বিরত থাকতে বলেছে, সেগুলো বাচ্চা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত কোনভাবেই খাওয়ানো যাবে না। আশা করছি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ সম্পর্কিত বিস্তারিত বিষয়গুলো বোঝাতে পেরেছি। ধন্যবাদ।

পাতলা পায়খানার সিরাপ সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর / FAQ

১। ছোট বাচ্চাদের ডায়রিয়া হলে করণীয় কি?

উত্তরঃ শিশুর ডায়রিয়া হলে খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি মায়ের বুকের দুধ বেশী করে খাওয়াতে হবে। এছাড়া বড়দের স্বাভাবিক সবধরনের খাবার খাওয়াতে হবে। তবে তরল জাতীয় খাবার বেশী করে খাওয়াতে হবে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের ভাতের মাড়, ডাবের পানি, চিড়ার পানি, লবন-গুড়ের শরবত, খাবার স্যালাইন, বিশুদ্ধ খাবার পানি খাওয়াতে হবে।

২। পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম কি?

উত্তরঃ জিংক ট্যাবলেট: গবেষণায় দেখা গেছে, জিংক ট্যাবলেট ওষুধটি পাতলা পায়খানা হবার সময়কাল এক-চতুর্থাংশ কমিয়ে আনতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ১০-১৪ দিনের জন্য ২০ মিলিগ্রাম করে জিংক ট্যাবলেট কিংবা সিরাপ খাওয়াতে পারেন।

৩। বুকের দুধ খাওয়ানো শিশুর ডায়রিয়া বন্ধ করার উপায়?

উত্তরঃ বুকের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যান তবে আরও ঘন ঘন বিরতিতে। আপনার শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করবেন না কারণ আপনার শিশুর ডায়রিয়া হয়েছে। গুরুতর (জল এবং ঘন ঘন) ডায়রিয়ার জন্য, 6 থেকে 24 ঘন্টার জন্য বুকের দুধ খাওয়ানোর মধ্যে কাও লেকট্রোলাইট বা পেডিয়ালাইট অফার করুন শুধুমাত্র যদি আপনার শিশু স্বাভাবিকের চেয়ে কম ঘন ঘন প্রস্রাব করে।


আরও পড়ুন-

doxicap এর কাজ কি, খাওয়ার নিয়ম ও প্রতিক্রিয়া

পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম ও ব্যবহারবিধি

Leave a Comment