আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আর্টিকেল কিভাবে লিখতে হবে তা জানা দরকার হয় নিজের ব্লগ অথবা ক্লায়েন্টের জন্য সুন্দর SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার জন্য।
ব্লগিংয়ের জগতে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সর্ম্পকে বেশ প্রচলিত আছে একটা কথা। কথাটি হলো Quality content is the king।
আর মোটেও সহজ নয় কোয়ালিটি কন্টেন্ট লেখা। এই জন্য কন্টেন্ট রাইটিং এর ধাপসমূহ সর্ম্পকে জানতে হবে এবং কন্টেন্ট রাইটিং সর্ম্পকে ভালোমতো লেখাপড়া করতে হবে।
আজকের আর্টিকেলে আমরা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরব।
আরও পড়ুনঃ রবিতে এমবি চেক করার কোড সমুহ ও ব্যবহারের নিয়ম
কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রকারভেদ

বেশ বড় এই সেক্টেরটি। আসলে বলা মুশকিল সুনির্দিষ্ট প্রকারভেদ সর্ম্পকে। তাই সুনির্দিষ্ট কোন সংখ্যা বলা যায় না।
১। ব্লগ রাইটিং
২। স্ক্রিপট রাইটিং
৩। কপি রাইটিং
৪। ইমেইল রাইটিং
৫। সোশ্যাল মিডিয়া রাইটিং
আবার অনেক প্রকারভেদ রয়েছে এগুলোর প্রত্যেকটির।
আর্টিকেল কিভাবে লেখা যায়
ভালো আর্টিকেল রাইটার হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভাষাগত দক্ষতা ও ব্যাকারণ এ ভালোভাবে দখল থাকতে হবে। আর্টিকেল লিখার জন্য প্রচুর রিসার্চ করার ও পড়ার মানসিকতা থাকতে হবে।
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আর্টিকেল লেখার নিয়ম বাংলা, ইংরেজি অথবা যেকোন ভাষায় প্রায় একই। এদের মধ্যে দেখা যায় না তেমন কোন পার্থক্য। নিম্নে কন্টেন্ট রাইটিং করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে সে ধাপগুলো আলোচনা করা হলো:
আর্টিকেল লেখার ধাপসমূহ
১। টপিক ও কিওয়ার্ড রিসার্চ
২। টাইটেল বা হেডিং লেখা
৩। নির্বাচন করা সাব- হেডিং
৪। বিষয়ভিত্তিক বিস্তারিত লেখা
৫। মেটা ডেসক্রিপমন লেখা
৬। রিভিউ ও প্লেজারিজম চেক।
নিম্নে এগুলো সর্ম্পকে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
১। টপিক ও কিওয়ার্ড রিসার্চ
কোন আর্টিকেল লেখার শুরুতে খুঁজে বের করতে হবে আর্টিকেল কোন বিষয়ের উপর লিখবো। এজন্য আর্টিকেল লেখার নিয়ম হলো রিসার্চ করতে হবে কিওয়ার্ড ও টপিক। সঠিকভাবে Keyword Research করা জানতে হবে কোন আর্টিকেল গুগোলে বা যেকোন সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করানোর জন্য।
অনেক টুল রয়েছে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য। এগুলোর মধ্যে কিছু টুলস ব্যাবহার করতে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন কিনতে হয় আর কিছু টুলস ফ্রিতে ব্যাবহার করা যায়।
কিছু ফ্রি কিওয়ার্ড টুলর্স হলো-
- Ahrefs
- Ubersuggest
- Google Keyword Planner
- KeywordTool.io
এগুলোর মধ্যে ব্যাবহার করা যায় Ubersuggest ও Ahrefs বাংলা কিওয়াড রিসার্চ করার জন্য। বেশ ভালো ফলাফল পাওয়া যায় এই দুইটা সমন্বয় করে ব্যাবহার করলে।
এছাড়াও গুগলে কিছু প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সাজেস্ট করে আপনার টপিক লিখে সার্চ করার পর। সেগুলির প্রতিটি Search volume ও Keyword Difficulty চেক করে ডিফিকাল্টি এবং সার্চ ভলিউম কম এমন কিওয়াড নিতে হবে।
২। হেডিং বা টাইটেল লেখা
ভালো ও এসইও ফ্রেন্ডলি হেডিং লিখতে হবে আর্টিকেল জন্য। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনার মূল কিওয়ার্ড যেন থাকে। আর্টিকেল লেখার নিয়ম হলো বেশি হতে পারবেনা টাইটেল বা হেডিং এর দৈর্ঘ।
তাই টাইটেল লেখা যাবে না বেশি লম্বা। বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে টাইটেল লেখার ক্ষেত্রে। ভিজিটর সেটা দেখে পড়তে আগ্রহী হয় এমন টাইটেল লিখতে হবে। তবে কোন অবস্থাতেই লেখা ঠিক হবে না ক্লিকবেইট টাইটেল। কারণ এতে বিরুপ ধারণা করবে পাঠক আপনার সাইটের প্রতি। যা ভালো নয় কোন সাইটের জন্য।
৩। সাব-হেডিং নির্বাচন করা
আর্টিকেল লেখার নিয়ম হলো কিছু প্রাসঙ্গিক সাব হেডিং খুঁজে বের করতে হবে আর্টিকেলের প্রয়োজন অনুযায়ী। Relative Keyword গুলো যেন সাব-হেডিং হয় সেই দিকে নজর দিকে দিতে হবে। মূল কিওয়ার্ড এর ভেতরে সাবহেডিং থাকবে।
কিওয়ার্ড রিসার্চ করার সময় মূল কিওয়াড ছাড়াও সাব -হেডিয়ে ব্যাবহার করতে হবে অন্য যে কিওয়র্ড গুলো পাওয়া যাবে। মূল কিওয়ার্ড রাখতে হবে টাইটেলের পাশাপাশি সাব টাইটেল বা সাবহেডিংয়ে।
৪। বিষয়ভিত্তিক বিস্তারিত লেখা
আলাদা আলাদা রিসার্চ করে লিখতে হবে সাব-হেডিং লেখার পরে প্রতিটি সাব-হেডিং সর্ম্পকে। এজন্য তথ্য সংগ্রহ করতে হবে সাব-হেডিং সর্ম্পকে গুগলে সার্চ করে। এভাবে আলাদা আলাদা ভাবে রিসার্চ করতে হবে প্রতিটি সাব-হেডিং।
আর্টিকেল লেখার নিয়ম হলো প্যারাগ্রাফগুলো সাব-হেডিংএর অধীনে বেশি লম্বা করা যাবে না। অনেক বেশি ফাঁকা দেওয়া যাবে না প্রতিটি প্যারাগ্রাফের মাঝে। কিওয়ার্ডর ঘনত্ব ঠিক রাখতে হবে সর্ম্পণ আর্টিকেল জুড়ে। প্রতি হাজারে ৮-১০ বার থাকবে মূল কিওয়ার্ডের ঘনত্ব।
৫। মেটা ডেসক্রিপশন লেখা
আর্টিকেল লেখার নিয়ম জেনে ঠিকভাবে মেটা ডেস্ক্রিপশন লেখা খুব জরুরি কোন কন্টেন্ট সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করানোর জন্য। মেটা ডিসক্রিপশন হলো আর্টিকেলর টাইটেল ও লিংক ছাড়াও সার্চ যে অংশ থাকে সেটা।
মেটা ডেসক্রিপশনের দৈঘ্য যেন ১৬০ ক্যারেক্টারের বেশি না হয় লেখার সময় সেই দিকে নজর দিতে হবে। ভিজিটর সর্ম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আগ্রহী হয় মেটা ডিসক্রিপশনে এমন কিছু কথা লিখতে হবে।
৬। রিবিউ ও প্লেজারিজম চেক করা
আর্টিকেলে যা লিখা হয়েছে তা ভালোভাবে পড়তে হবে এবং গ্রামার ভুল অথবা কোন বানান ভুল থাকলে তা সংশোধন করতে হবে। কিওয়ার্ড ডেনসিটি ঠিক আছে কিনা তা ভালোভাবে চেক করতে হবে। গুগোল ভালোভাবে দেখে না অনেক বেশিবার ফোকার্স কিওয়াড ব্যাবহার করলে।
সম্পূণ ইউনিক ও প্লেজারিজম-ফ্রি হয়েছে কিনা তা আর্টিকেল পাবলিশ চেক করার আগে চেক করে নিতে হবে। প্লেজারিজম চেক করার জন্য Duplichecker টুলটি ব্যাবহার করা যেতে পারে।
৭। অপ্রয়োজনীয় কথা পরিহার করতে হবে
পাঠকের প্রয়োজনীয় কথা মাথায় রাখতে হবে একটি আদর্শ এবং পারফেক্ট আর্টিকেল লেখার জন্য। কন্টেন্ট লিখতে হবে টাইটেলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে। কন্টেন্টে অবশ্যই অপ্রয়োজনীয় কথা লেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। আর্টিকেলটি অবশ্যই ইনফরমেশন যুক্ত করতে হবে এবং অতিরিক্ত বড় করা যাবে না।
৮। পাঠকদেরকে সঠিক ইনফরমেমন দিতে হবে
কোন কিছু জানার জন্য আমরা গুগোলে সার্চ করি। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ভিজিটর অনেক সময় ঐ পেজ থেকে ফিরে আসে এবং অন্য পেইজ অপেন করে যদি ভিজিটর যেটি জানতে চায় সেই ইনফরমেশন না পায়।
গুগোল এটিকে খুব খারাপ চোখে দেখে যদি ভিজিটর ইনফরমেশন না পেয়ে পেইজ থেকে ফিরে আসে। গুগোল সেটিকে আবার নিচের দিকে নামিয়ে দেয় ভুল ইনফরমেশন রয়েছে এমন পেইজগুলো র্যাঙ্ক করে বসে।
শেষকথা
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যেসব শব্দ ব্যাবহার করি সেগুলো দিয়েই আর্টিকেল লিখতে হবে এবং কঠিন কঠিন কোন শব্দ ব্যাবহার করা যাবে না। আর্টিকেল লেখার নিয়ম হলো বেশি বড় করার দরকার নেই কোন বাক্য।
বেশি বেশি ব্যাবহার করতে হবে ছোট ছোট সিম্পল বাক্য। কম ব্যাবহার করতে হবে কমপ্লেক্স বাক্য। খুব বড় করা যাবে না আর্টিকেলের কোন প্যারাগ্রাফ।
আর্টিকেল লেখা সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ
১। আর্টিকেল কিভাবে লেখা যায়?
উত্তরঃ
১। টপিক ও কিওয়ার্ড রিসার্চ কোনো আর্টিকেল লেখার শুরুতেই কোন বিষয়ে লিখবেন তা খুঁজে বের করতে হবে।
২। হেডিং বা টাইটেল লেখা আর্টিকেলের জন্য ভালো ও এসইও ফ্রেন্ডলি হেডিং লিখতে হবে।
৩। সাব-হেডিং নির্বাচন করা
৪। বিষয়ভিত্তিক বিস্তারিত লেখা
৫। মেটা ডেসক্রিপশন লেখা
৬। রিভিউ ও প্লেজারিজম চেক করা
২। নিবন্ধ বা আর্টিকেল কি?
উত্তরঃ নিবন্ধ হচ্ছে একটি এক ধরনের লেখা যা কাগজে বা বৈদ্যুতিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। খবর, গবেষণা, শিক্ষা, বিতর্ক ইত্যাদি উদ্দেশ্যে নিবন্ধ হতে পারে। প্রবন্ধের চেয়ে নিবন্ধের বিস্তার ছোট।
আরও পড়ুন-
রবি সিমের ব্যালেন্স চেক করার পদ্ধতি ও কোড সমুহ
গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব ও প্রয়োজনীয় দক্ষতা