খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়

খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়

খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়: আমাদের কম বেশি প্রায় সবার মাথায় খুশকি হয়। কারো কারো সিজন ভেদে আবার কারো সারা বছর মাথায় খুশকি হয়ে থাকে। এই খুশকি দূর করার জন্য অনেকেই অনেক কিছু ট্রাই করেছি এমন কি অনেক নামি দামি ব্রান্ডের শেম্পু ও। কিন্তু কোনো কিছুতেই যেনো কিছু হচ্ছে না।

আবার যদিও বা কখনো কখনো এই খুশকির হাত থেকে সাময়িক সমাধান পাই তাও সেটা খুব অল্প সময়ের জন্য। যতদিন এই ব্রান্ডের প্রডাক্ট ব্যবহার করি ঠিক তত দিনই।

আজকের এই আর্টিকেল আমরা খুশকি দূর করার প্রকৃতিক, ঘরোয়া ও দৈর্ঘ্য মেয়াদি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো। এই উপায়ে কোনো রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার নেই। তাই এটা যেমন প্রকৃতিক তেমন দৈর্ঘ্য মেয়াদি ও স্বাস্থ্য সম্মত। তো চলুন শুরু করা যাক।

খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায় সমূহ

খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায় সমূহের প্রত্যেকটি প্রকৃতি থেকে নেয়া। এগুলো হলো লেবুর রস, নারকেল তেল, নিমের তেল, মেথি ইত্যাদি। এগুলো নিয়মিত ব্যবহারে যেমন খুশকি দূর হয় তেমন চুলও উজ্জ্বল হয়। এগুলোর ব্যবহার বিধি বিস্তারিত নিম্নে দেয়া হলো।

নিমের তেল: নিমের তেলে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যা খুশকি দূর করতে এবং চুলও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এই তেল সপ্তাহে ২-৩ দিন মাথার ত্বকে ভালো করে মালিশ করে কিছুক্ষণ রেখে তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

লেবুর রস: লেবুর রস মাথার ত্বকের PH ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে। এটি খুশকিও কমাতে সাহায্য করে। লেবুর রস হালকা গরম পানিতে মিশান এবং সেই মিশ্রন মাথার ত্বকে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন এবং ধয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-১ বার এই প্রকিৃয়া ফলো করলে খুশকি থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাওয়া যায়। এতে করে মাথার ত্বক এবং চুল উভয় ভালো থাকে।

নারকেল তেল: নারকেল তেল থাকা ভিটামিন ই, কে মাথার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে থাকে, সাথে সাথে এগুলো খুশকি কমাতেও সাহায্য করে। রাতে ঘুমানোর আগে কুসুম গরম নারকেল তেল মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করে রেখে দিন এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন।

মেথি: মেথি একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা চুলের জন্য খুবই উপকারী। মেথিও খুশকি দূর করতে খুব ভালো সাহায্য করে। সে জন্য মেথিকে কয়েক ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। ভালো হয় যদি রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে তা পেস্ট করে মাথার ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে তার পরে ধুয়ে ফেলেন। এতে করেও মাথার ত্বক এবং চুল উভয় ভালো থাকে। সাথে খুশকি দূর হয়।

অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যা খুশকি কমাতে, চুল উজ্জ্বল ও সিলকি করতে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে প্রথমে অ্যালোভেরা জেল বের করে নিতে হবে এবং তারপরে তা মাথার ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলতে হয়। 

দই: দই শুধু খাওয়ার জন্য না বরং মাখায় ব্যবহারের জন্যও। দই মাথার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং খুশকি কমাতে খুব ভালো সাহায্য করে।

মাথা ও চুল পরিষ্কার রাখা: মাথা ও চুল অপরিষ্কার রাখার জন্যও আমাদের খুশকি হয়ে থাকে। অনেক সময় শারীরক পরিশ্রমের ফলে আমাদের শরীর মাথা ঘেমে যায়। কিন্তু আমরা অনেকে গোসল করিনা শুধু হাত মুখ পরিস্কার করেই থেকে যাই। মাথা আর ধোয়া বা পরিস্কার করা হয় না। এই প্রক্রিয়া দৈর্ঘ্য দিন চলতে থাকলে মাথায় জমতে থাকা ময়লা থেকে খুশকি দেখা দিতে পারে। সে জন্য সব সময় শরীরের সাথে সাথে মাথা ও চুল পরিস্কার রাখা প্রয়োজন।স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কোনো বিকল্প নেই। সুষম খাবার গ্রহন, পর্যাপ্ত পানি পান করা, নিয়মিত ঘুমানো ও ব্যয়াম করা শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য খুবই দরকারী। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপ শুধু খুশকি কমাতে সাহায্য করে না সাথে সাথে যে কোনো রোগ বালায়ের আক্রমন থেকে আমদের রক্ষা করে।

Leave a Comment