বাণী চিরন্তন
মানুষকে ভালো কাজে উৎসাহিত করে মনীষীদের বাণী,সেরা বাণী, সেরা উক্তি বা মনীষীদের উক্তি। নানা ধরণের সমস্যা বিদ্যমাণ আমাদের সমাজে।
নানা ধরণের সমস্যা বা কুসংস্কারে ভরা শুধু সমাজে না আমাদের মনের ভেতরেও। আমাদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া প্রয়োজন এসকল সমস্যা বা কুসংস্কার দূর করতে।
আর শিক্ষা শুধু সীমাবদ্ধ নয় একাডেমিক বইয়ের মধ্যে। একাডেমিক বইয়ের বাইরেও আমাদের অনেক বাণী বা উক্তি পড়া উচিত।
সুতরাং আমাদের বেশি বেশি বাণী চিরন্তন পড়া উচিত। সামাজিক জীবন গঠনে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বাণী চিরন্তন বা বাণীর বাস্তবতা।
মানুষের আত্মাকে জাগ্রত করে শব্দ চিরকাল মানুষের বাস্তবতা শেখায় এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি দেয়। তাই সকলের উচিত আগে থেকে পরিকল্পনা করা এবং তা থেকে শিক্ষা অর্জন করা ।
আর এর জন্য আমাদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এইসব বই থেকে নেওয়া হয়েছে মনীষীদের উক্তি বা মনীষীদের বাণী। মানুষ যদি বিখ্যাত বাণী চিরন্তন পাঠ করে, বই পড়ে এটি তার স্বাচ্ছন্দ্যের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায় এবং হৃদয়কে জাগ্রত করে।
আরও পড়ুনঃ বাণী চিরন্তন বাস্তবতা, বিখ্যাত মনীষীদের উক্তিসমুহ
প্রয়োজনীয় বাণীসমূহ

১। পরিপূর্ণ তৃপ্তি নিয়ে কুঁড়ে ঘরে থাকাও ভালো, অতৃপ্তি নিয়ে বিরাট অট্রলিকায় থাকার কোন সার্থকত নেই।
-উলিয়ামস হেডস
২। মানুষ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে যেই ব্যাবহারটা করে সেটাই তার আসল চরিত্র।
-রেদোয়ান মাসুদ
৩। অভাব যখন দরজায় এসে দাঁড়ায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালাই।
– শেক্সপিয়ার
৪। ভীরুরা তাদের প্রকৃত মৃত্যুর আগেই বহুবার মরে, কির্নতূ সাহসীরা জীবনে মাত্র একবারিই মিত্যূর স্বাদ গ্রহণ করে থাকে।
-শেকসপীয়ার
৫। মেধা থাকলেই তাকে মেধাবী বলা যায়া না, মেধাবী হলো সে-ই যার মেধা না থাকা সত্ত্বেও চেষ্টা দিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যায়। -রেদোয়ান মাসুদ
৬। জীবন হলো পেন্সিলে আাঁকা এক ছবির নাম, যার কোনো অংশ রাবার দিয়ে মুছে ফেলা যায় না
-জন ডার্বলু গার্ডনার
৭। অসৎ লোক কাউকে সৎ মনে করে না, সকলকেই সে নিজের মতো ভাবে।
-হজরত আলী (রা:)
৮। আমি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় পাই। তারপর সেই মানুসকে ভয় পাই যে আল্লাহকে মোটেও ভয় পায় না।
-শেখ সাদী
৯। ভীরুরা মরার আগে বারে বারে মরে। সাহসীরা মৃত্যুর স্বাদ একবারেই গ্রহণ করে। -শেক্সপীয়ার
১০। যে নদীর গভীরতা বেশি, তার বয়ে যাওয়ার শব্দ কম। -জন লিভগেট
১১। প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষন কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১২। আমি বিশ্বের সব ইহুদী মারতাম, কিন্তু কিছু ইহুদী বাঁচিয়ে রাখলাম যাতে পুরো বিশ্ব বুঝতে পারে যে কেন আমি তাদের মেরেছি। -হিটলার
১৩। যদি কোন নারীর ফাসি হয়, ফাসিতে যাওয়ার আগেও সে তার প্রসাধন ঠিক করার জন্য সময় চাইবে। -চেমফোর্ড
১৪। যদি তুমি কখনো অপমানিত বোধ করো তবে অপরকে সেটা বুঝতে দেবে না। -জন বেকার
১৫। যে দৃষ্টির সঙ্গে মনের যোগাযোগ নেই সে তো দেখা নয়, তাকানো। -যাযাবর
১৬। পূর্ণ অর্জন অপেক্ষায়, পাপ বর্জন করা শ্রেষ্ঠতর। -হযরত আলী (রা:)
১৭। সে ব্যক্তি মুমিন নয় যে নিজে তৃপ্তি সহকারে আহার করে, অথচ তার প্রতিবেশি অনাহারে থাকে। -আল হাদিস।
১৮। প্রাপ্তি আর প্রত্যাশার পার্থক্য হল দু:খ। তাই নিজের প্রত্যাশাটা একটু কমিয়ে ফেলুন, দেখবেন আপনার দু:খও কমে গেছে। -রেদোয়ান মাসুদ
১৯। সৎ হতে হবে অথবা সৎ লোকের অনুসন্ধান করতে হবে। -ডেমিক্রিটাস
২০। ” সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর না “ -চন্ডীদ
র মরে, কির্নতূ সাহসীরা জীবনে মাত্র একবারেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে থাকে। -শেকসপীয়ার
২৩। আলোতে একাকী হাটার চেয়ে অন্ধকারে হাটা উত্তম বন্ধুকে নিয়ে।
-হেলেন কিলার
২৪। স্বপ্নপূরণ জীবনের একমাত্র লক্ষ নয়। তাই বলে স্বপ্নকে ত্যাগ করে নয়, তাকে সঙ্গে নিয়ে চলো। স্বপ্ন ছাড়া জীবন অর্থহীন। -ব্রায়ান ডাইসন।
২৫। যারা আমাকে সাহায্য করতে মানা করে দিয়েছিলো আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কারণ তাদের ’না’ এর জন্যই আজ আমি নিজের কাজ নিজে করতে শিখেছি। -আইনস্টাইন
২৬। যারা নিজেকে নিয়ে ব্যাস্ত থাকে তারা কখনও অন্যের দু:খ কষ্টকে উপলদ্ধি করতে পারে না। -রেদায়ন মাসুদ
২৭। জীবণকে এক পেয়ালা চায়ের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। যতই তৃপ্তির সাথে আমরা তা পান করি ততই দ্রুত তলার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। -ক্রিনেট
২৮। বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা।- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২৯। যাকে শ্রদ্ধা করা যায় না, তাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসাও যায় না। – সুইফ্ট
৩০। আইন ভাঙ্গার জন্যই তৈরি হয়। -জন উইলসন
৩১। সব সমস্যার প্রতিকারই হচ্ছে ধৈর্য্য। -হোয়াটলি
শেষ কথা
মানুষকে সুশিক্ষা দেয় বাণী চিরন্তন বাস্তবতা। বাণী চিরন্তন মানুষকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখায়। মানুষের মনে প্রশান্তি জাগ্রত করে বাণী চিরন্তন। তাই সকলের উচিত বাণী চিরন্তন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেকে সামসের দিকে এগিয়ে যাওয়ার।
আরও পড়ুন-
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান, এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
আর্টিকেল লেখার নিয়ম, আর্টিকেলের ধরন ও প্রয়োজন