এলার্জি দূর করার উপায়
এলার্জি দূর করার উপায় জানার পূর্বে এলার্জি সম্পর্কে জানতে হবে। এলার্জি কেন হয় লক্ষন কি? এলার্জি শব্দের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। এলার্জি একটি চুলকানি জাতীয় রোগ। এ রোগটি সাধারণত হয়ে থাকে রক্তের সমস্যার কারণে।
এটা একটি সাধারণ রোগ হলে ও এটা খুব মারাত্মক। এই রোগটি প্রায় সকলের মাঝে দেখা যায়। এর সঠিক চিকিৎসা সম্পর্কে আমাদের সকলের ধারণা কম।
সকলে জানা প্রয়োজন এলার্জি দূর করার উপায় এলার্জির প্রভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থান চুলকায়। চুলকানোর স্থান লাল হয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ পর ফুলে ওঠে।
এই সমস্যাটি হয়ে থাকে খাবারের সমস্যার কারণে। গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ, হাঁসের মাংস, হাঁসের ডিম, পুটি মাছ ও বিভিন্ন শাকসবজি খাওয়ার ফলে এলার্জির আক্রমণ বেড়ে যায়।
এলার্জি সম্পর্কে আমাদের সঠিক ধারণা নেই। এলার্জি সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা অনেক জরুরি। এলার্জির কারণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ ছড়ায়। শ্বাসকষ্ট ও একজিমা এলার্জির কারণে হয়ে থাকে। এলার্জির কারণে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
এলার্জি
এলার্জি শব্দটি প্রথম পাওয়া গিয়েছে গ্রিক শব্দ Allos ও Ergos এর সমন্বয়ে। Allos ও Ergos থেকে তৈরি হয়েছে Allergy এবং এর বাংলা অর্থের দিকে দৃষ্টিপাত করি তাহলে এর অর্থ দাঁড়ায় পরবর্তী প্রক্রিয়া। এই বিষয়টি যদি সঠিকভাবে বলি, আমরা সব সময় বিভিন্ন ধরনের খাবার গ্রহণ করি, রাস্তার ধুলাবালি, ফুলের রেনু এবং বিভিন্ন অসুখ হলে ওষুধ খেয়ে থাকি।
এর ফলে আমাদের শরীরে এর ধরনের প্রভাব পড়ে এবং গা চুলকায়। এই সমস্যাটি হচ্ছে এলার্জি। এলার্জি সাধারণত গা চুলকানোর রোগ নামে পরিচিত। প্রায় সকল মানুষের মধ্যেই এই সমস্যাটি রয়েছে। তাই আজ জানাবো এলার্জি দূর করার উপায়।
এলার্জি কেন হয়?
এলার্জি অনেক কারণে হয়ে থাকে। সাধারণত এলার্জি হয়ে থাকে আমাদের শরীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য। আমাদের শরীরে থাকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সব সময় বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থের সাথে যুদ্ধ করে। কিন্তু হঠাৎ করে আমাদের শরীরে যদি কোন ধরনের পদার্থ আমাদের শরীরে যায় তাহলে তার সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যুদ্ধ শুরু করে। কিন্তু সে উপাদান আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকার নাম হতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সাথে যুদ্ধ করার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গা ফুলে ওঠে এবং চুলকানো শুরু করে। এইভাবে এলার্জি হয়ে থাকে। আমরা অনেক সময় বুঝতেও পারি না কি কারনে এলার্জি হয়। এবং কেন হয়। এই রোগটি দিন দিন সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে। চলুন জেনে নেই এলার্জি কেন হয়।
১. খাবার
এলার্জি সাধারণত দেখা যায় খাবারের কারণে। এই সমস্যাটি খুঁজে বের করা খুব সহজ। কোন ধরনের খাবার খেলে আপনার সমস্যা হচ্ছে সেসব খাবার খুঁজে বের করলে এলার্জির কারণ খুঁজে বের করা সম্ভব। ধরুন আপনি খিচুড়ি পুলিশ এবং বেগুন ভাজি খাচ্ছেন। হঠাৎ আপনার গা চুলকানো শুরু করেছে। এবং বিভিন্ন জায়গায় লাল লাল হচ্ছে তাহলে বুঝবেন আপনার খাদ্যে এলার্জি রয়েছে।
কিন্তু কোন খাবারে এলার্জি রয়েছে সেটা পরীক্ষার জন্য পুনরায় ইলিশ অথবা বেগুন আলাদাভাবে খেয়ে দেখতে হবে। যদি বেগুন খেয়ে পুনরায় আপনার গা চুলকায় তাহলে বুঝবেন আপনার বেগুনের এলার্জি রয়েছে। তাহলে বেগুন থেকে দূরে থাকতে হবে। এইভাবে কোন খাবার খেলে আপনার অ্যালার্জি হয় খুঁজে বের করতে পারবেন। এলার্জিযুক্ত খাবার হলো: ইলিশ মাছ, বেগুন, পুঁইশাক, গরুর মাংস, হাঁসের মাংস, হাঁসের ডিম, চিংড়ি মাছ ইত্যাদি।
২. ডাস্ট মাইট
ডাস্ট মাইট হল ছোট ছোট পোকা। যা খালি চোখে দেখা যায় না। মাইক্রোস্কোপের নিচে দেখলে আটপা পোকার মত দেখায়। এরা সাধারণত মানব দেহের মৃত কোষ খেয়ে বেঁচে থাকে। কিছু কিছু সময় ডাস্ট মাইট পোকা এলার্জির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে নিয়মিত ব্যবহারিত কাপড় পরিষ্কার করতে হবে।
বিছানার চাদর, কাঁথা, ব্যবহৃত কাপুর, ইত্যাদি নিয়মিত গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এবং যেসব কাপড় পানিতে ধোয়া যায় না সেসব ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হয়। তাহলেই ডাস্ট মাইট আক্রমণ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব্য।
৩. ছত্রাক
ঘরের মেঝে ভেজা বা স্বেচ্ছাতা থাকলে ছত্রাক হতে পারে। ছত্রাক থেকে ছোট ছোট কণা নিঃসরণ হয়। সেটাতে আপনার এলার্জি হতে পারে। বাসার কোথাও ছত্রাক হলে সেটা সরিয়ে ফেলবেন। এবং ছত্রাক যাতে না হয় সেজন্য ঘরের দরজা জানালা খোলা রাখতে হবে। যাতে করে ঘরে বাতাস চলাচল করতেপারে। ঘরের মধ্যে কাপড় শুকাবেন না এবং কোন গাছ থাকলে সেটা সরিয়ে ফেলবেন।
৪. পরাগ রেনু
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে পরাগরেণুর ধারণ বদলায়। পরাগরেণু বাতাসের মধ্যে ভেসে বেড়ায়। বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়ে চোখ চুলকায়, চোখে পানি পড়ে, নাক দিয়ে পানি পড়ে, মাথা ব্যাথা করে, শরধি কাশি ফুরায় না। এমন হলে পরাগরেণু আপনার শত্রু হতে পারে। এই থেকে এলার্জি হতে পারে।
এই সমস্যা থেকে বাঁচতে যে ঋতুতে আপনার সমস্যা হয় সেই সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করবেন। বাহিরে গেলেও খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফিরে আসতে হবে। ফিরে আসার পর ব্যবহৃত পোশাক পরিস্কার করতে হবে। তাহলে পরাগরেণু ঝরে পড়ে যাবে।
৫. গরম বা ঘাম
ঘাম যেসব উপাদান রয়েছে এসবের বিরুদ্ধে আপনার শরীর রিএক্ট করতে পারে। অনেক খাটাঘাঁটি করলে, ব্যায়াম করলে, পরিশ্রম করলে গা ঘেমে যায়। যার ফলে ঘামের সাথে রোগ জীবাণুর সৃষ্টি হয়। তার সাথে আমাদের শরীর প্রতিক্রিয়া করে চুলকানো শুরু হয়। এভাবেই এলার্জি হয়ে থাকে। গা ঘামলে সাথে সাথে পরিষ্কার করতে হবে।
৬. ঠান্ডা
গরমের মত বেশি ঠান্ডায় গেলেও এলার্জি হতে পারে। বৃষ্টিতে ভেজা, পুকুরে গোসল করলেও এলার্জি দেখা দিতে পারে। এ কারণে অবশ্যই ঠান্ডাতে এলার্জি থাকলে ঠান্ডা থেকে দূরে থাকতে হবে। এছাড়াও আরো অনেক কারণে এলার্জি দেখা দিতে পারে। সেসব হল: পশু পাখির লোম বা পালক যা বাতাসে ভেসে বেড়ায়। কিন্তু খালি চোখে দেখা যায় না। পথে ঘাটের ধুলাবালি, বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল, নির্দিষ্ট ধরনের কাপড়, প্লাস্টিক, ঔষধ ইত্যাদি এসবের কারণেও এলার্জি দেখা যায়।
আরও পরুনঃ মাত্র ২ দিনে পা ফাটা সমাধান করুন।
এলার্জির লক্ষণ সমূহ
এলার্জি একটি সাধারণ রোগ। কিন্তু অনেক সময় রোগীকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কারণ, এলার্জি চুলকানি জাতীয় রোগ। বিভিন্ন কারণে এই সমস্যাটি হয়ে থাকে। এই রোগটি হওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশ সবসময় চুলকাতে থাকে। এবং লাল লাল হয়ে ফুলে উঠে। কিছুক্ষণ পর আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। এই রোগের কিছু লক্ষণ রয়েছে। চলুন জেনে নেই এলার্জি রোগের লক্ষণসমূহ:
- হঠাৎ করে গা চুলকানো এবং ফুলে ওঠা।
- খাবার খেলে গা চুলকানো। কারণ অনেক খাবারের এলার্জি থাকে।
- নাক এবং গলা চুলকানো।
- চোখ এবং নাক দিয়ে পানি পড়া।
- শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়া।
- গলা খুসখুস এবং কাশি হওয়া।
- চোখ চুলকানো এবং লাল হয়ে যাওয়া।
সাধারণত এই সবে এলার্জির লক্ষণ। অনেক সময় এর পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু এসব হলে ধরে নিবেন আপনার এলার্জি রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এলার্জিযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকবেন। এবং যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিবেন।
এলার্জির পরীক্ষা নিরীক্ষা
এলার্জি সবার কাছে পরিচিত রোগ। এ রোগ সম্পর্কে আমরা তেমন কোন গুরুত্ব দেই না। কিন্তু অনেক সময় এলার্জি প্রাণঘাতী হতে পারে। এলার্জি কিছু কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে যেগুলো উপরে আলোচনা করা হয়েছে। এসবের মধ্যে কোন একটি দেখা দিলে অবশ্যই পরীক্ষা করতে হবে। কারণ, এলার্জি পরীক্ষা করে ধরা পড়লে তার সঠিক চিকিৎসা করলে ভালো হয়ে যায়। এলার্জি নির্ণয়ের জন্য যেসব পরীক্ষা করতে হয় সেসব হল:
- ব্লাড টেস্ট বা রক্ত পরীক্ষা
- সিরাম আইজিইর মাত্রা নির্ণয়
- স্কিন প্রিক টেস্ট
এইসব পরীক্ষার মাধ্যমে এলার্জি নির্ণয় করা সম্ভব। যত দ্রুত সম্ভব এসব পরীক্ষা করা উচিত। কারণ এলার্জির মাত্রা বেড়ে গেলে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এলার্জি ঔষধ এর নাম
এলার্জি সাধারণ রোগ হলেও এর ভোগান্তি অনেক। এ রোগটি হলে বিভিন্ন সময় গা চুলকানো শুরু করে। অনেক সময় রাতে চুলকানি শুরু হয়। রাতে এই সমস্যা হলে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু ওষুধ রয়েছে। চলুন জেনে নেই এলার্জির ওষুধের নাম।
- Alatrol
- Fexofenadine
- Desloratadine
- Loratin
- Cetizin
উপরে যে সব ওষুধের নাম উল্লেখ করা হলো এ সফল খেলেই অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিন্তু সব সময় এই ওষুধ খাওয়া যাবে না। যখন এলার্জি দেখা যায় ঠিক সেই সময় এসব ওষুধ খেতে হবে। কারণ প্রত্যেকটি ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে।

এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়
এলার্জি সম্পূর্ণভাবে ভালো করা যায় না। কিন্তু সঠিক নিয়মে চিকিৎসা করলে অনেক দিনব্যাপী এটাকে থামিয়ে রাখা সম্ভব। চলুন জেনে নেই এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় সমূহ।
- এলার্জির সমস্যা বেড়ে গেলে Calamine Lotion অথবা 1% Menthol Cream ব্যবহার করতে পারেন।
- এলার্জি হলে যেসব জায়গায় চুলকায় সেসব জায়গায় ঠান্ডা পানির অথবা বরফ সেদ দিতে পারেন। এতে করে অনেক অনেক আরাম পাওয়া যায়।
- যেসব খাবারে এলার্জি রয়েছে সেসব খাবার থেকে দূরে থাকা।
- এলার্জির কারণে অনেক সময় সর্দি লেগে থাকে। যাতে করে নাক দিয়ে পানি পড়ে এবং নাক বন্ধ হয়। এই সময় নাকের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
- এলার্জির কারণে চোখ চুলকায় এবং লাল হয়ে থাকে। বেশি পরিমাণ চোখ চুলকালে চোখের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
- মানসিক চাপ এর কারণে এলার্জি বৃদ্ধি পায়। মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে ব্যায়াম অথবা বিভিন্ন ধরনের বিনোদন করতে পারে না।
- এলার্জির পরিমাণ বেড়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া চিকিৎসা করলে এলার্জির পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্য ধরনের সমস্যা হতে পারে।
এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
যে ব্যক্তির এলার্জি রয়েছে সেই জানে এর যন্ত্রণা সম্পর্কে। এলার্জি হওয়ার ফলে পুরো শরীর চুলকায়। অনেক সময় চোখেও এলার্জি হয়। চোখে এলার্জি হলে সমস্যাটি বেশি হয়। কারণ, চোখ চুলকানো যায় না এবং সব সময় লাল হয়ে থাকে। যার ফলে অনেক সময় চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এলার্জি হলে চোখের সামনে অনেক ভালো ভালো খাবার রেখো খাওয়া যায় না। এই সমস্যা সমাধানের কিছু ঘরোয়া এলার্জি দূর করার উপায় রয়েছে। চলুন জেনে নেই এলার্জির দূর করার ঘরোয়া সম্পর্কে:
- নিম পাতার রস খেতে পারেন। নিম পাতার রস খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়।
- যেসব খাবার খেলে এলার্জি হয় সেসব খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।
- নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। কাপড় চোপড় মাঝে মাঝে গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
- যে ঘরে থাকবেন সে ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাস থাকতে হবে। আলো বাতাস না থাকলে ছত্রাক সৃষ্টি হতে পারে।
- যেসব স্থানে চুলকায় সেসব স্থানে নিমপাতা রস ব্যবহার করতে পারেন।
- চোখে এলার্জি হলে পরিষ্কার পানি দিয়ে মাঝে মাঝে ধুতে হবে।
- বেশি ঠান্ডা অথবা বেশি গরম জায়গায় চলাফেরা কমায় দিতে হবে।
এইভাবে চলাফেরা করলে এলার্জি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। এই সমস্যাটি প্রায় সকলের মধ্যেই রয়েছে। এ কারণে সবাইকে এসব এড়িয়ে চলে হবে। কিন্তু আস্তে আস্তে এই সমস্যাটি বৃদ্ধি পায়। এলার্জির পরিমাণ বেশি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যার ফলে অন্য রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে।
শেষ কথা
এলার্জির একটি পরিচিত শব্দ। বর্তমান সময়ে প্রায় সকল মানুষের মধ্যে এই সমস্যাটি রয়েছে। এটি সাধারণত হয়ে থাকে রক্তের সমস্যার কারণে। রক্তে কোন ক্ষতিকর পদার্থ থাকলে তার সাথে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সাথে প্রতিক্রিয়া হয়। যার ফলে বিভিন্ন জায়গায় চুলকায় এবং ফুলে ওঠে। ফুল অংশ লাল হয়ে থাকে। এ সমস্যাটি রোগীকে অনেক ভোগান্তির মধ্যে ফেলে।
এলার্জির ফলে অনেক সময় রাতের ঘুম বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে এলার্জি হলে সচেতন ভাবে চলাফেরা করতে হবে। যেসব খাবার খেলে অথবা যেসব কারণে এলার্জি হয় সেসব সবসময় এড়িয়ে চলতে হবে। এলার্জি সাধারণ রোগ হলেও এর কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন ধরনের রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে। রাখার মধ্যে ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। এলার্জি দূর করার উপায় সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন-
আক্কেল দাঁত ব্যথা কমানোর উপায়
শীতকালে ত্বকের যত্ন ঘরোয়া উপায়